আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড ২০২৫

আপনারা কি আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করবেন কি ভাবে বুঝতে পারছেন না বা ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন? তাহলেন আজকের পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। কারণ আজকের পোস্টের মধ্যে  কিভাবে আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড  করবেন বিস্তারিত আলোচনা করব।

আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড ২০২৫

আপনি যদি কাজের ভিসায় বিদেশে যেতে চান, সে জন্য অবশ্যই আপনার বিএমইটি (BMET) কার্ড থাকতে হবে। আপনি বিএমইটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু কিভাবে ডাউনলোড করবেন বুঝতে পারছেন না? তাহলে এই পোস্টটি পরে নিতে পারেন। কারণ এখানে আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করবেন? বিএমইটি কার্ড কি? বিএমইটি কার্ড করতে কি কি লাগে, বিএমইটি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা কি ইত্যাদি সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্র.

আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড

আপনি যদি প্রবাসে কাজের ভিসায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বিএমইটি কার্ড লাগবে। বিএমইটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার পর সেটার ক্লিয়ারেন্স কার্ডের জন্য আবেদন করে  বিএমইটি আইডি কার্ড  পেতে হয়।

আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড মূলত দুটি ভাবে ডাউনলোড করা যায়। প্রথমত আপনি  "amiprobashi.com" ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডাউনলোড করতে পারবেন। আর দ্বিতীয়ত Ami Probashi অ্যাপের মাধ্যমেও ডাউনলোড করতে পারবেন।

এখন আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন উপায়ে বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করতে নিচের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

বিএমইটি কার্ড ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করার নিয়ম 

বর্তমান সময়ে আপনি ঘরে বসে আপনার নিজের স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমি প্রবাসী ওয়েবসাইট থেকে বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

প্রথমে আপনাকে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার যেকোন একটি ডিভাইস থেকে ব্রাউজারে গিয়ে সার্চবারে amiprobashi.com লিখে সার্চ করুন। তারপর এই https://amiprobashi.com/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। তারপর amiprobashi.com" ওয়েবসাইটে যেয়ে হোম পেইজ থেকে "Download QR-code Clearance Card." অপশনে ক্লিক করতে হবে।

 নিচের ছবির মতন একটি পেইজ দেখতে পাবেন।

পাসপোর্ট নাম্বার প্রদান এবং ক্যাপচা পূরন করুন

"Download Cards" অপশনে ক্লিক করার পর BMET Smart Card নামে একটি অপশন আসবে সেখানে  ক্লিক করুন। তারপর পাসপোর্ট নাম্বার প্রদান এবং ক্যাপচা পূরন করে "Search BMET Smart Card" অপশনে ক্লিক করলেই আপনার বিএমইটি কার্ড  নিচে দেখতে পাবেন।

কার্ড ডাউনলোড করুন

বিএমিটি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য পাসপোর্ট নাম্বার এবং ক্যাপচা দিয়ে সার্চ করে আপনি স্কল করে পেইজের নিচের দিকে গেলেই আপনার বিএমইটি কার্ড "BMET Smart card" দেখতে পাবেন। এরপর সেটি pdf আকারে ডাউনলোড করে রাখবেন। যে কোন সময় সেটি প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন।

উপরে দেয়া নিয়ম অনুসরণ আপনি ঘরে বসে থেকেই অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন। তারপর আপনার যখন দরকার হবে তখন সেটি প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন।

বিএমইটি কার্ড অ্যাপ থেকে ডাউনলোড করার নিয়ম 

বর্তমানে আপনি ঘরে বসে থেকেই আপনার নিজের স্মার্টফোন দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমি প্রবাসী অ্যাপ  থেকে বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

  • প্রথমে আপনার মোবাইল ফোনে আমি প্রবাসী অ্যাপটি ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন।আমি প্রবাসী অ্যাপ রেজিস্ট্রেশন নিয়ম নিচে দেওয়া হয়েছে। 
  • যখন বিএমটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন মোবাইল নাম্বার প্রদান করে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করলেই আপনার সেট করা পাসওয়ার্ড  চাইবে সেটি দিয়ে "Continue" হবে তাহলেই  "বিএমটি কার্ড" লিখা অপসন চলে আসবে তার উপরে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর আপনি যে বিএমইটি কার্ড (BMET) রেজিষ্ট্রেশন করেছেন সে সকল তথ্য চলে আসবে এবং তার পাসে "Download" এর একটি আইকন দেখতে পাবেন তার উপরে  ক্লিক করতে হবে। তাহলেই বিএমইটি নাম্বার চলে আসবে সেটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।

বিএমইটি কার্ড (BMET) রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম 

বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম জানার জন্য অনেক মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। আপনাদের জানার সুবিধার্থে এই আর্টিকেলটি বিএমইটি (BMET) রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম নিচে দেয়া হলো-

আপনারা যারা বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে চান সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে আমি প্রবাসী অ্যাপ রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের কাজটি সম্পন্ন করার পর। আমি প্রবাসী অ্যাপে বিভিন্ন ধরনের অপশন দেখতে পাবেন সেগুলো পর্যায়ক্রমে পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।

 আমি প্রবাসী অ্যাপ রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম

  • বিএমটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার সচল একটি মোবাইল নাম্বার প্রদান করে পরবর্তী অপশনে করতে হবে।
  • তারপর আপনার মোবাইলে যাওয়া ভেরিফিকেশন কোডটি প্রদান করে কনফার্ম অপশনে ক্লিক করে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।
  • এরপর আপনি কোন দেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশটি সবার প্রথমে সিলেক্ট করে আরো কয়েকটি দেশের নাম সিলেক্ট করে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • তারপর আপনার কি কি  দক্ষতা আছে সেগুলো সিলেক্ট করে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর আপনি পুরুষ না মহিলা , আপনার বয়স, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি, আপনার বর্তমান চাকরির অবস্থা এবং নিব বিদেশে কর্মরত আছেন কিনা এখানে না সেটি সিলেক্ট করবেন। তাহলে আপনার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে।

এবং নিচের ছবির মতন একটি পেইজ দেখতে পাবেন।

বিএমইটি কার্ড (BMET) রেজিষ্ট্রেশন করুন

দেশ সিলেক্ট করতে হবে, আমি প্রবাসী অ্যাপে প্রবেশ করার পরে বিএমইটি (BMET) রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করতে হবে ও আপনি কোন দেশে যাবেন সেই দেশ সিলেক্ট করে দিতে হবে।

এরপর পাসপোর্টের তথ্য প্রদান করতে হবে, আপনার পাসপোর্ট স্ক্যান করুন" অফশনটিতে ক্লিক করতে হবে এবং আপনার পাসপোর্টের ছবি গ্যালারি কিংবা ক্যামেরার মাধ্যমে তুলে আপলোড করে দিতে হবে। পাসপোর্টটির ছবি আপলোড দিলে অটোমেটিক ভাবে নাম্বার বসে যাবে বাকি তথ্য গুলো আপনার পাসপোর্ট অনুসারে সঠিক ভাবে দিতে হবে।

উদাহরণ অনুযায়ী-

  • আপনার নাম লিখতে হবে।
  • পাসপোর্ট নাম্বার দিতে হবে (অটোমেটিক ভাবে বসে যাবে)
  • পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ সিলেক্ট করতে হবে।
  • পাসপোর্ট মেয়াদ উত্তির্ণর তারিখ সিলেক্ট করতে হবে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার।
  • জন্ম তারিখ সিলেক্ট করতে হবে।
  • আপনাকে পুরুষ নাকি মহিলা সেটি সিলেক্ট করতে হবে।

পাসপোর্ট অনুযায়ী সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে সিলেক্ট করার পর পরবর্তী অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে, এই অপশনটিতে অর্থাৎ আপনার পাসপোর্ট অনুযায়ী ব্যক্তিগত তথ্যগুলো নির্ভুলভাবে প্রদান করতে হবে।

যেমন,

  • পিতার নাম
  • মাতার নাম
  • বৈবাহিক অবস্থা  (বিবাহিত হলে স্ত্রীর  বা স্বামীর নাম লিখতে হবে)
  • আপনার ধর্ম
  • আপনার ওজন কত কেজি
  • আপনার উচ্চতা সিলেক্ট করতে হবে।

উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো প্রদান করে "পরবর্তী" অপশনে ক্লিক করতে হবে।

আপনারা সাথে যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে হবে, পাসপোর্ট অনুযায়ী আপনার সাথে যেন সহজেই যোগাযোগ করতে পারে সেজন্য তথ্য প্রদান করতে হবে। 

যেমন,

  • আপনার সচল মোবাইলে নাম্বার
  • ইমেইল এড্রেস
  • কিংবা স্থায়ী ঠিকানা

উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো প্রদান করে পরবর্তী অপশনটিতে "ক্লিক" করতে হবে।

নমিনির তথ্য প্রদান করতে হবে,

যেমন,

  • নমিনির সাথে আপনার সম্পর্ক কি সেটি সিলেক্ট করতে হবে।
  • নমিনির নাম লিখতে হবে
  • নমিনিট জাতীয় পরিচয়পত্র
  • নমিনির মোবাইল নাম্বার দিতে হবে
  • নমিনির পিতার নাম
  • নমিনির মাতার নাম

উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো প্রদান করতে "পরবর্তী" অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

আপনাকে জরুরী যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে হবে, জরুরী ভিত্তিতে আপনার সাথে যেন যোগাযোগ করতে পারে সে জন্য তথ্য প্রদান করতে হবে।

  • সম্পর্ক সিলেক্ট করতে হবে
  • নাম লিখতে হবে
  • মোবাইল নাম্বার লিখতে হবে

পরবর্তী "পরবর্তী" অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে

আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ প্রদান করতে হবে, আপনারা শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল বিবরণ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে,

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা সিলেক্ট করতে হবে
  • পাশের সাল সিলেক্ট করতে হবে
  • প্রতিষ্ঠান সিলেক্ট করতে হবে
  • বোর্ড সিলেক্ট করতে হবে
  • ডিভিশন সিলেক্ট করতে হবে
  • বিষয় সিলেক্ট করতে হবে

আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা গুলো নির্ভুল ভাবে দিয়ে সিলেক্ট করে "জমা দিন" অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। আপনি যদি আরো তথ্য প্রদান করতে চান সেক্ষেত্রে "আরো যোগ করুন" অপশনটিতে ক্লিক করে তথ্য প্রদান করতে পারবেন।

ভাষাগত দক্ষতা প্রদান করতে হবে, আপনার ভাষাগত দক্ষতা সিলেক্ট অর্থাৎ আপনি কোন ভাষায় পারদর্শী সেটি সিলেক্ট করে দিতে হবে।

  • ভাষাগত যোগ্যতা
  • মৌখিক দক্ষতা
  • লিখিত দক্ষতা

আপনার যদি আরো ভাষায় দক্ষতা থাকে তাহলে "আরো ভাষা যোগ করুন" অপশনটিতে ক্লিক করার পর পরবর্তী অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

সকল তথ্য যাচাই করতে হবে,

আপনার দেওয়া সকল তথ্য গুলো বিএমইটির  ( BMET)  ডাটাবেজ সংরক্ষণ করেছে ও পেমেন্ট করার আগে প্রদান করা সকল তথ্য গুলো পুনরায় যাচাই করে দেখে নিতে পারেন। তথ্য গুলো যাচাই করার জন্য "রিভিউ" অপশনে ক্লিক করে, তথ্যগুলো যদি সঠিক থাকে তাহলে "পরবর্তী" অপশনে ক্লিক করতে পারেন।

আপনার পাসপোর্টটি ভেরিফিকেশন করুন-

উপরে তথ্য অনুযায়ী আপনার পাসপোর্টের ভেরিফাই করার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন হতে সময় প্রায় ৭২ ঘন্টা লাগে । তারপর আপনি "ঠিক আছে" অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস পেন্ডিং থাকবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনাকে পেমেন্ট দিতে হবে।

বিএমইটির রেজিস্ট্রেশন পেমেন্ট ফি প্রদান করুন-

৭২ ঘন্টা হলে আবার আমি প্রবাসী অ্যাপে প্রবেশ করতে হবে। তারপর আপনাকে বিএমইটি ( BMET) রেজিস্ট্রেশন আবেদন অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনার যদি পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস "ভেরিফাইড" দেখায় তারপর পেমেন্ট করুন অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। সেজন্য পেমেন্ট ফি ৩০০ টাকা লাগবে। আপনি অনলাইনে দুটি মাধ্যমে দিতে পারবেন বিকাশ এবং নগদ।

বিএমইটি ( BMET) কার্ড কি?

বিএমইটি ( BMET) এর ইংরেজি পূর্ণরূপ হচ্ছে- Bureau Of Manpower, Employment and Training ( বাংলায়- জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরো ) । বিএমইটি ( BMET) প্রধানত গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আয়োজিত ১৯৭৬ সালে জনশক্তির উন্নয়নের উদ্দেশ্যে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সংযুক্ত বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

বিএমইটি ( BMET) মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিদেশগামী কর্মীদের কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা করা। যাতে করে তারা প্রবাসে যেয়ে ভালো কোন কাজে নিয়োজিত হতে পারে। এছাড়াও বিএমইটি কার্ডের জন্য প্রবাসীদের কাজের বেতন বেশি হয়ে থাকে।

বিএমইটি ( BMET) কার্ড  করতে কি কি লাগে?

আপনি যদি বিএমইটি কার্ডের জন্য রেজিস্ট্রেশন না করে  থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে আগে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে নিতে হবে। আর BMET কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার কিছু কাগজপত্র লাগবে সেগুলো নিচে দেয়া হলো-

  • সর্ব প্রথমে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • সর্বনিম্ন ১৮ এবং সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়সী নাগরিক হতে হবে।
  • শারীরিক দিক থেকে কর্মঠ হতে হবে।
  • পাসপোর্টের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬ মাস থাকা লাগবে।
  • সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট থাকা লাগবে।

বিএমইটি কার্ড করতে কত টাকা লাগে?

বিএমইটি কার্ড ( BMET) করতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে প্রায় অনেকেই ধারণা রাখেন না। যার ফলে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। কোন সমস্যা নেই আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আপনি যদি নিজে নিজেই ঘরে বসে আবেদন করতে পারেন তাহলে বিএমইটি কার্ড করার জন্য আপনার খরচ হতে পারে ৩০০ টাকার মতো।

তবে বিএমইটি নির্দিষ্ট ফি আপনার এলাকার অফিসের উপর নির্ভর করে কিছুটা ভিন্ন হতেও পারে। ফি সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি জানার জন্য বিএমটি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করা উচিত।

বিএমইটি কার্ড করতে কতদিন লাগে?

বিএমইটি (BMET) কার্ড করতে সাধারণত সময় লাগে তিন থেকে সাত কর্ম দিবস। তবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে স্থানীয় অফিসের কার্যক্ষমতা এবং কাজের চাপের উপর নির্ভর করে। অনেক সময় দেখা যায় ১০ কার্য দিবস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। আমি প্রবাসী অ্যাপস থেকে কিংবা বিএমইটি (BMET)  ওয়েবসাইট থেকে সহজেই স্ট্যাটাস পরীক্ষা করতে পারেন।

বিএমইটি কার্ডের সুবিধা কি?

বিএমইটি (BMET) কার্ডের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, বিশেষ করে যারা বিদেশে কাজ করতে যেতে চান তাদের জন্য। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা উল্লেখ করা হলো:

  • বিএমইটি (BMET) কার্ড বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার জন্য একটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এটি প্রমাণ করে যে আপনি অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কাজ করতে যাচ্ছেন না। বৈধভাবে যাচ্ছেন ।
  • বিএমইটি (BMET) কার্ডধারীরা বিভিন্ন সেবা এবং সুরক্ষা সুবিধা পেতে পারেন, যেমন প্রবাসী কল্যাণ বোর্ড থেকে সহায়তা এবং বিভিন্ন আইনগত সুরক্ষা।
  • বিএমইটি কার্ডধারীদের কাজ সংক্রান্ত কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে সরকার থেকে সহায়তা পাওয়া যায়।
  • বিএমইটি কার্ডধারীরা বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ সেবা গ্রহণ করতে পারেন, যা তাদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
  • বিএমইটি কার্ডধারীরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা পেতে পারেন, যা তাদের বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে সাহায্য করে।
  • বিএমইটি কার্ডধারীরা স্বল্পমূল্যে বিমা সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন, যা তাদের প্রবাস জীবনে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।

এই কার্ডটি একজন অভিবাসী শ্রমিকের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, যা তাকে বিদেশে নিরাপদ ও সুরক্ষিত কাজ করার সুযোগ দেয়।

আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড -শেষ কথা

আপনারা ইতিমধ্যে আজকের আলোচনা থেকে  জানতে পারলেন যে,আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড   কিভাবে করতে হয় তার নিয়ম সম্পর্কে। সাথে আরো জানতে পেরেছেন কিভাবে  আমি প্রবাসী অ্যাপ রেজিষ্ট্রেশন করবেন ও বিএমইটি কার্ড (BMET) রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম সম্পর্কে। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url