ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা এ আর্টিকেল এর মধ্যে কি ভাবে ব্যাংক লোন করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পরলে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পাবেন।
ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে আপনাকে সবার আগে জানতে হবে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় কি? যদি আপনি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার আগে ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত শর্ত সমূহ পূরণ করেন তাহলে ব্যাংক কর্তৃক আপনাকে খুব সহজেই লোন প্রদান করবে। সুতরাং ব্যাংকের শর্ত গুলো আগে পূরণ করে তারপর ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করা উচিত।
ব্যাংক লোন হলো একটি আর্থিক সুবিধা যেখানে একটি ব্যাংক নির্দিষ্ট শর্তে এবং সময়সীমার জন্য একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে টাকা ধার দেয়। এই লোন সাধারণত সুদসহ নির্ধারিত কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়। ব্যাংক লোন বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যেমন: ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ, শিক্ষা ঋণ, ব্যবসায়িক ঋণ ইত্যাদি।
লোন নেওয়ার জন্য ব্যাংক কিছু শর্ত আরোপ করে, যেমন: আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর, আয়ের তথ্য, আয়ত্ত ক্ষমতা, এবং কখনো কখনো জামানত।
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
সাধারণত মধ্যযুগ থেকে ব্যাংকের প্রচলন শুরু হয়েছে। ব্যাংকের প্রচলন শুরু হওয়ার পর থেকে জনজীবনে ও আমূল পরিবর্তন এসেছে। তখনকার সময়ে ব্যাংকের উদ্দেশ্য ছিল সংরক্ষণ এবং আমানত গ্রহণ করা। পরবর্তীতে কালের বিবর্তনে ব্যাংকের কার্যক্রম আরো ভিন্নমুখী করা হয়েছে।
ব্যাংকের কার্যক্রম গুলো অত্যধিক জনপ্রিয় এবং উপকারী হওয়ার জন্য প্রত্যেকটি ব্যাংক তাদের কার্যক্রম অনুযায়ী জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গেছে। তৎকালীন সময়ে রোম সভ্যতায় ব্যবসায়ী ও জনগণদের মধ্যে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থার ব্যাপক বিবর্তন ঘটানো হয়েছিল।
তার পরিপ্রেক্ষিতে 'ব্যাংক লোন" কথাটি এসেছে, যা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক শর্তসাপেক্ষে গ্রাহকদের লোন প্রদান করে যাচ্ছে।আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সময় কাজের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থের প্রয়োজন পড়ে। সেই সময় কারো কাছে থেকে অর্থের জোগাড় না হলে আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়ি ব্যাংকের দিকে লোন নেওয়ার জন্য।
তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোন ব্যাংক কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে লোন প্রদান করি অর্থাৎ সেই ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সংক্রান্ত বিষয় গুলো আমরা অনেকেই জানিনা। বিষয়টি জানার জন্য ব্যাংকের লোন সংক্রান্ত কিছু প্রাথমিক ধারণা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।যেমন ব্যাংকের লোন সাধারণত ৩ ধরনের হয়ে থাকে। সে গুলো হলো স্বল্প মেয়াদী লোন, মধ্য মেয়াদী লোন এবং দীর্ঘমেয়াদি লোন।
ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু উপায় এবং করণীয় বিষয়ে রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমেই কেবলমাত্র লোনের আওতায় যাওয়া সম্ভব। আসুন তাহলে এবার লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ের উপর লক্ষ রাখতে হবে।
সর্ব প্রথমে প্রয়োজন নির্ধারণ করতে হবে। যেহেতু প্রত্যেকটি ব্যাংক তাদের প্রয়োজন এবং ক্ষেত্র অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে যা আমরা একটু আগে উপরে জানলাম। সুতরাং আপনি কোন ধরনের লোন চাচ্ছেন সে বিষয়টি আগে নির্ধারণ করতে হবে।
কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে সুবিধা হবে এ বিষয়টি প্রথমে নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৬৭ টি ব্যাংক রয়েছে। আর লোনের বিষয়টি সামনে আসলে সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এ বিষয়টিও আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়।
যে ব্যাংক আপনাকে বেশি সুবিধা প্রদান করবে সেই ব্যাংকের আওতায় লোনের আবেদন করা জরুরী। বাংলাদেশে কিছু ব্যাংক রয়েছে যারা সহজ শর্তে বিনা জামানতে ঋণ প্রদান করে। সেই সকল ব্যাংকের নাম আপনাদের জেনে বুঝে সেখানে লোনের আবেদন করা প্রয়োজন।
সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
সহজে যদি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে কোন কোন সহজ শর্তে বিনা জামানতে লোন প্রদান করে থাকে আপনাকে জানতে হবে। কেননা ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত কিছু শর্ত আছে যে গুলো পূরণ করে ব্যাংক থাকে লোন নিতে হয়। নিচে ব্যাংক লোনের জন্য সেরা কিছু ব্যাংকের নাম দেওয়া হল-
- সিটি ব্যাংক
- কর্মসংস্থান ব্যাংক
- এবি ব্যাংক
- ব্র্যাক ব্যাংক
- ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
- ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
- গ্রামীণ ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- জনতা ব্যাংক
- পূবালী ব্যাংক
- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
- প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড
- ব্যাংক এশিয়া
ব্যাংক লোনের ধরন সমূহ
ব্যাংক বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে থাকে। লোন অনেক ধরনের হতে পারে।যা আপনার উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে। আপনি কোন ধরনের লোন, কি উদ্দেশ্যে নিতে চান, সেটা আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে প্রথমে।
স্বল্প মেয়াদি: স্বল্প মেয়াদি লোন সাধারণত ১ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হয় এজন্য এটাকে স্বল্প মেয়াদি লোন বলা হয়ে থাকে।
মধ্য মেয়াদী: মধ্য মেয়াদী লোনের ক্ষেত্রে ১ বছরের বেশি ঋণের মেয়াদ হয়ে থাকে।
দীর্ঘ মেয়াদী: দীর্ঘ মেয়াদী লোনের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ বছর সময় পাওয়া যায়। এ সকল লোনের মধ্যে হোম লোন, কার লোন, ব্যক্তিগত লোন, শিক্ষা লোন উল্লেখযোগ্য।
ব্যাংক লোন কত প্রকার ও কি কি?
পার্সোনাল লোন: ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী যে লোন ব্যাংক প্রদান করে থাকে সেটাকেই পার্সোনাল লোন বা ব্যক্তিগত লোন বলা হয়ে থাকে। আর অনেক সময় যদি চাকরীর বেতন এর উপর লোন নেওয়া হয় এটাকে স্যালারি লোন ও বলা হয়ে থাকে ।
বিজনেস লোন: ব্যবসার প্রসার, পরিচালনা বা নতুন উদ্যোগ শুরু করার জন্য এই লোন নেওয়া হয়। ব্যবসায়িক প্রয়োজন অনুযায়ী এটি জামানতসহ বা জামানতবিহীন হতে পারে।
হোম লোন: গৃহ নির্মাণ বা কেনার জন্য এই ঋণ নেওয়া হয়। এই ঋণে সাধারণত জামানত হিসেবে প্রস্তাবিত সম্পত্তি রাখা হয়, এবং এর সুদের হার কম হতে পারে।
অটো লোন: গাড়ি কেনার জন্য এই ঋণ নেওয়া হয়। এতে জামানত হিসেবে কেনা গাড়িটি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত স্থায়ী আয় থাকা ব্যক্তিরাই এই ঋণ নিতে পারেন।
এডুকেশন লোন বা স্টুডেন্ট লোন: উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে এই ঋণ প্রদান করা হয়। এতে টিউশন ফি, থাকার খরচ এবং অন্যান্য শিক্ষাসংক্রান্ত খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
প্রবাসী লোন: বাংলাদেশের বাইরে যাওয়ার জন্য লোন।
কৃষি লোন: কৃষকদের কৃষি কার্যক্রম পরিচালনা ও উন্নয়নের জন্য এই ঋণ প্রদান করা হয়। এতে সার, বীজ, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য কৃষি খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
ব্যাংক লোন পাওয়ার শর্ত সমূহ
ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য কিছু সাধারণ শর্ত থাকে, যা প্রার্থীর আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। প্রধান শর্তগুলো নিম্নরূপ:
বয়স সীমা: প্রার্থীর বয়স সাধারণত ২১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হয়, তবে ব্যাংক ও ঋণের ধরণ অনুযায়ী এই সীমা পরিবর্তিত হতে পারে।
স্থায়ী আয়ের উৎস: ব্যাংক একটি নির্ভরযোগ্য আয়ের উৎস চায়। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত মাসিক বেতন, আর ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে স্থায়ী আয়ের উৎস থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট: ব্যাংক প্রার্থীর সাম্প্রতিক ৬-১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট চায়। এতে তার আর্থিক লেনদেনের ইতিহাস দেখা যায়, যা ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বোঝাতে সাহায্য করে।
কর্মসংস্থান বা ব্যবসার স্থায়িত্ব: ব্যাংক সাধারণত ২-৩ বছরের কর্মসংস্থান বা ব্যবসার স্থায়িত্ব দেখতে চায়। এটি প্রার্থীর আয়ের নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
কোল্যাটারাল (জামানত): অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক জামানত বা বন্ধক চায়, যেমন জমি, সম্পত্তি, স্বর্ণ ইত্যাদি। এটি মূলত বড় অঙ্কের ঋণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ঋণের উদ্দেশ্য: প্রার্থীকে ঋণের উদ্দেশ্য পরিষ্কার ভাবে জানাতে হয়, যেমন ব্যবসা সম্প্রসারণ, গৃহ নির্মাণ, শিক্ষা বা চিকিৎসা।
পরিচয় ও ঠিকানার প্রমাণপত্র: প্রার্থীকে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো পরিচয়পত্র এবং ঠিকানার প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়।
আয়ের প্রমাণপত্র: প্রার্থীর আয়ের প্রমাণ হিসাবে সাম্প্রতিক স্যালারি স্লিপ, আয়কর রিটার্ন বা ব্যবসার আর্থিক নথি প্রদান করতে হয়, যা ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নিশ্চিত করে।
উপরের এই শর্তগুলো বিভিন্ন ব্যাংক এবং ঋণের ধরণ অনুযায়ী কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
ব্যাংক লোন নিতে প্রয়োজনীয় কাগজ
আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে কোন না কোন সময় বিশেষ ভাবে অর্থের প্রয়োজন পড়ে। আর সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম মাথায় আসে ব্যাংক লোনের কথা। আবার যারা সরকারি চাকরিজীবী তারাও সরকারি লোন কিভাবে পাওয়া যাবে এই প্রশ্নটি মনে মনে পড়ার পাশাপাশি ব্যাংক লোন নিতে কি লাগে বিষয় গুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক গুলো সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে যারা সহজ শর্তে দ্রুত লোন প্রদান করে থাকে। দুর্ঘটনাবশত কারণ বা অন্য যে কোন কারণে লোনের প্রয়োজন পড়লে আমাদের মাথা সঠিক ভাবে আর কাজ করে না।
তাই আজকের এই আর্টিকেলের প্রত্যেকটি বিষয়বস্তু যদি আপনারা ভালোভাবে পড়েন। তাহলে আশা করি বিপদের সময় লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করতে হয় তা অনেকটাই কাজে আসবে।
সরকারি এবং বেসরকারি যত গুলো ব্যাংক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল শর্ত এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করতে হয় সব গুলোই মোটামুটি একই ধরনের হয়ে থাকে। তবে একটি বিষয় উল্লেখ করতে হবে প্রতিটি ব্যাংকের লোনের সিস্টেম এবং সে অনুযায়ী সুদের হার পাশাপাশি লোন পরিশোধের নিয়ম আলাদা হয়ে থাকে।
আসুন তাহলে এবার জেনে নিব ব্যাংক লোন নিতে কি লাগে। নিচে মোটামুটি সব ব্যাংকের চাহিদা সম্পন্ন শর্তাবলী এবং কাগজপত্রের বিবরণ দেওয়া হলো।
- লোন আবেদনকারীকে অবশ্যই একজন বাংলাদেশ এর স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
- লোন নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির বয়স অবশ্যই ১৮ এর বেশি হতে হবে।
- লোনের আবেদন করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র, শিক্ষা সনদ এবং রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ আরো অন্যান্য সকল কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে।
- লোনের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে এ সকল কাগজপত্র দাখিল হবে সব গুলোই সত্যায়িত হতে হবে।
- লোন নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তি যেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চাচ্ছেন সেই ব্যাংকের আওতায় হিসাব একাউন্ট থাকতে হবে।
- এনওসি, জমির দলিল, খতিয়ান নামধারী রশিদ দাখিল করতে হবে।
- ক্ষেত্র বিশেষে লোন করার জন্য আবেদন করতে হলে গ্রাহকের অবশ্যই বেতন ভুক্ত কর্মচারী হতে হবে।
- জামানত হিসেবে জমা দিতে পারবে এ ধরনের সম্পদ থাকতে হবে।
- ব্যবসার উপরে যদি লোন নিতে হলে ট্রেড লাইসেন্স এর মূল কপি শো করতে হবে এবং জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ফটোকপি দিতে হবে।
- মাসিক আয়ের হিসাব জমা দিতে হবে।
- দোকানে পজিশন প্রমাণ করার ক্ষেত্রে দোকানের ফ্রন্ট এর ছবির প্রয়োজন পড়বে।
- সরকারি লোন কি ভাবে পাওয়া যাবে এই প্রশ্নে যদি চাকুরীজীবী হয় সে ক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হয়েছে সেখানকার মাসিক বেতনের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
- কৃষি লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সাথে সাথে একজন ফুল টাইম কৃষক আপনাকে হতে হবে।
- লোন এর আবেদন করার জন্য অবশ্যই জমির দলিল থাকতে হবে।
- লোন গ্রহণের পর কি ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে অর্থাৎ প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কি ভাবে কৃষি কাজকে প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত করা যায় সেই বিষয়ের পরিকল্পনা দাখিল করতে হবে।
- লোন আবেদনকারীর বর্তমানে আয়ের উৎস কি এবং কি পরিমান মাসিক আয় হয় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তি হিসাব
আমরা এই পর্যন্ত সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এবং ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সে সম্পর্কে মোটামুটি অবগত হতে পারলাম। কোন ব্যাংক গুলো সহজ শর্তে লোন প্রদান করছে এবং সুদের পরিমাণ কম রাখছে এ বিষয়টি যেমন জানা জরুরি ঠিক তেমনি ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তি হিসাব বিষয়টিও গুরুত্ব আকারে জানা উচিত।
এর কারণ হলো কেউ যদি ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করে, তারপরে যে বিষয়টি তার সামনে আসে সেটি হল প্রতিনিয়ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা। আর এজন্য ঋণ গ্রহিতাকে অবশ্যই সঠিক ভাবে লোনের ভিত্তি অনুযায়ী কি পরিমান মাসিক অথবা সাপ্তাহিক কিস্তির পরিমাণ আসে সেটা কর্মচারীর সাথে আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেওয়া উচিত।
প্রত্যেকটি ব্যাংক তাদের সুদের পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। আবার বাজেট অনুযায়ী যদি বাংলাদেশ সরকার কোন সময় সুদের হারের পরিবর্তন আনে সে ক্ষেত্রেও মাসিক কিস্তির পরিমাণ কম বেশি হবে। বাজেট অনুযায়ী যদি সুদের পরিবর্তন ঘটে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক একটি নির্দেশনা জারি করা হবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংক গুলো তাদের সুদের পরিমাণ বাজেট অনুযায়ী নির্ধারণ করবে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গুলো মাসিক কিস্তির পরিমাণ সাধারণত কতদিন লোনের মেয়াদ রয়েছে এবং সুদের পরিমাণ কত আছে সে অনুযায়ী হিসেব করে মাসিক কিস্তির পরিমাণ দিয়ে থাকে।
অর্থাৎ ব্যাংকের লোনের উপর ভিত্তি করে মাসিক কিস্তির হিসাব কেমন হতে পারে নিচের ছকের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক। আমরা এখানে উল্লেখিত ব্যাংকের সুদের হারের উপর নির্ভর করে, লোনের পরিমাণ এবং লোনের মেয়াদ একই রেখে মাসিক কিস্তির পরিমাণ হিসাব করব।সিটি ব্যাংকের লোন ক্যালকুলেটর অনুযায়ী নিচে মাসিক কিস্তির পরিমাণ এর হিসাব দেওয়া হলো-
ব্যাংকের নাম |
সুদের হার |
লোনের পরিমাণ |
লোনের মেয়াদ | মাসিক কিস্তির পরিমাণ |
এবি ব্যাংক |
7.43% |
100000 |
12 মাস |
8673 |
ব্রাক ব্যাংক |
8% |
100000 |
12 মাস |
8699 |
সিটি ব্যাংক |
9% |
100000 |
12 মাস |
8745 |
বেসিক ব্যাংক |
9% |
100000 |
12 মাস |
8745 |
প্রাইম ব্যাংক |
9% |
100000 |
12 মাস |
8745 |
পূবালী ব্যাংক |
9% |
100000 |
12 মাস |
8745 |
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়-শেষ কথা
আমাদের আজকের আলোচনার মূল টপিক ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। আপনারা যদি উপরের নিয়ম অনুসরণ করে ব্যাংক লোন জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনি সহজেই প্রয়োজনীয় লোন পেতে পারেন এবং আপনার অর্থনৈতিক স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে পারে।
আজকের আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পরেন তাহলে খুব সহজেই ব্যাংক লোন নিতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন। ব্যাংক লোনের বিষয়ে আপনাদের যদি আরো কোনো তথ্য জানার থাকে তাহলে যে ব্যাংক এ লোন করবেন আপনারা সরাসরি সে ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url