নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন নিয়ম সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি প্রয়োজনে নিজেই নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। কারণ অনেক সময় বাড়ি তৈরি করলে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে হয়। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হলে প্রথমেই নতুন মিটার কি ভাবে পাওয়া সে সম্পর্কে জানতে হবে। বর্তমানে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য নতুন মিটার পাওয়ার প্রক্রিয়া আগের চেয়ে অনেকটাই সহজ করা হয়েছে। আপনি চাইলে বাড়িতে বসেই থেকেই অনলাইনে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতে করে সময় সাশ্রয়ী এবং আপনি নিজেই আবেদন করতে পারবেন। আর এ প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় হওয়ায় আপনি আফলাইনে আবেদন করার তুলনায় দ্রুত মিটার সংযোগ পেতে পারেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন
মিটারের জন্য আবেদন করার অনেক গুলো নিয়ম রয়েছে। আপনারা চাইলে বাড়িতে বসেই থেকেই অনলাইনে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনেক সময় আমাদের কোন দালালের মাধ্যমে মিটার আবেদন করতে গেলেও অনেক টাকা খরচ হয় এবং কি ঝামেলায় পড়তে হয়। এক্ষেত্রে অনলাইনে মিটারের জন্য আবেদন করাই ভালো।
আপনি আমাদের এই লেখাটি পরেন তাহলে নিজেই নিজের পল্লী বিদ্যুৎ এর নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে। আপনি কি ভাবে এবং কি কারনে মিটার আবেদন করতে চাচ্ছেন সেই তথ্য সঠিক ভাবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে প্রদান করতে হবে। চলুন তাহলে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করতে কি কি লাগে জেনে নেওয়া যাক-
পল্লী বিদ্যুৎ আবেদন করতে কি কি লাগে
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের বাসা বাড়ি গুলোতে মিটার হঠাৎ সমস্যা দেখা দেয় যেমন লাইট, ফ্যান অফ থাকার পরেও মিটার চলতে থাকে অর্থাৎ বিদ্যুৎ বিল বেশি চলে আসে। এক্ষেত্রে তখন গ্রাহকের চিন্তার শেষ থাকে না। তাই সে সময় গ্রাহক চায় তার এই মিটারটি পরিবর্তন করতে।
আর তখন গ্রাহক বুঝতে পারে না পল্লী বিদ্যুৎ আবেদন করতে কি কি লাগে অর্থাৎ কোন কোন কাগজপত্র দাখিল এর মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করা যায়। আবার যাদের নতুন ঘরবাড়ি তৈরি হয়েছে তাদের বাড়িতে নতুন সংযোগের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন ফরম সংক্রান্ত বিষয় গুলো না জানার কারণে এবং নতুন সংযোগ নিতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় এবং পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম পূরণের মাধ্যমে সংযোগ নেওয়া যায় সে সম্পর্কে না জানার কারণে গ্রাহক অনেক সময় বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। তাই নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদনের কাগজপত্র নিচে দেওয়া হলো-
- সক্রিয় মোবাইল নম্বর: আবেদনকারীর নাম ও সক্রিয় মোবাইল নম্বর।
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড (এনআইডি): NID বা জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ও স্থায়ী ঠিকানা এবং সংযোগস্থলের ঠিকানা।
- জমির তথ্য: সংযোগস্থলের জমির মালিকানা তথ্য, দাগ নং ও খতিয়ান নম্বর(প্রমাণ হিসেবে খারিজের/দলিলের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে)।
- হাউজ ওয়্যারিং প্রমান: হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত প্রমান করার জন্য, গ্রাউন্ড রডের ক্যাশ মেমোর ছবি বা স্ক্যান কপি।
- অনাপত্তি সনদ (যদি প্রয়োজন হয়): জমি যৌথ মালিকানাধীন হলে অন্য মালিকদের কাছ থেকে অনাপত্তি সনদ জমা দিতে হতে পারে।
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন
সাধারনত rebpbs ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে পারবেন। যারা অনলাইন থেকে মিটার আবেদন করতে চাচ্ছেন তারা rebpbs ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করতে পারবেন।
মনে রাখবেন, আপনি শুধুমাত্র সকাল ৮টা থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। আর অন্যান্য সময় অনলাইনে আবেদন এর কার্যক্রম বন্ধ থাকে। নিচে অনলাইনে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার নিয়ম গুলো দেওয়া হলো-
১ম ধাপ- ওয়েবসাইটে প্রবেশ।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে নতুন মিটারের সংযোগ নিতে অনলাইনে আবেদন করতে হলে মোবাইল বা কম্পিউটার এর মাধ্যমে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের এই www.rebpbs.com লিংকে প্রবেশ করুন। উক্ত ঠিকানায় প্রবেশ করার পর আপনার সামনে নিচের পেইজটি ওপেন হবে।
২য় ধাপ- বিদ্যুৎ অফিস,সংযোগ ও আবেদনকারীর তথ্য পূরণ।
ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর আপনি উক্ত পেইজে কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন। এখান থেকে আবেদন এর ওপর ক্লিক করলে ৭টি অপশন দেখাতে পাবেন। তারপর দ্বিতিয় অপশন আবেদন করুন লেখার উপর ক্লিক করুন। এরপর আপনার সামনে অনলাইনের আবেদন ফরম চলে আসবে।
উপরের ফরমে লাল রংয়ের (*) চিহ্নিত তথ্য গুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। আপনার এলাকা অনুযায়ী জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও জোনাল অফিস লিস্ট থেকে সিলেক্ট করতে হবে। একক বাসা-বাড়ির জন্য সংযোগের ট্যারিফ হিসেবে এলটি-এ (আবাসিক) সিলেক্ট করুন। তাছাড়া, বহুতল ফ্ল্যাট বাড়ির ক্ষেত্রে এমটি-এ (আবাসিক) সিলেক্ট করতে হবে।
এরপর আবেদনকারীর বিবরণ দেওয়ার অংশে নাম,পিতার নাম, মাতার নাম সহ যে কলাম লাল রংয়ের [*] চিহ্ন দেওয়া আছে সে গুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এছাড়া যে সব ঘর গুলোতে ইংরেজীতে লিখতে বলা হয়েছে সেখানে ইংরেজীতে লিখতে হবে আর বাংলাতে যে গুলাতে লিখতে বলছে সে গুলাতে বাংলাতে লিখতে হবে।
যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম তারিখ, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল, TIN নাম্বার, পাসপোর্ট নাম্বার, ফোন নাম্বার। এই তথ্য গুলো অবশ্যই ইংরেজীতে লিখতে হবে।
৩য় ধাপ- স্থায়ী ঠিকানা ও প্রস্তাবিত সংযোগ স্থলের বিবরণ।
প্রথমে বিদ্যুৎ অফিসের বিবরনণ, সংযোগস্থলের বিবরণ এবং আবেদনকারীর বিবরণ পূরনের পর একই ফরমের মধ্যের অংশে দেখতে পাবেন স্থায়ী ঠিকানা এবং প্রস্তাবিত সংযোগ স্থলের বিবরণ।
এখানে স্থায়ী ঠিকানা গ্রাহকের প্রদত্ত আইডি কার্ড অনুযায়ী পূরন করুন। অর্থাৎ আইডি কার্ডে যে স্থায়ী ঠিকানা দেওয়া আছে অবশ্যই সেই ঠিকানা দিতে হবে। ঠিকানা প্রদানের ক্ষেত্রে লাল রংয়ের [*] চিহ্নিত তথ্য গুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
প্রস্তাবিত সংযোগ স্থলের বিবরণ পূরণ করার জন্য আপনি যেই স্থানে সংযোগ নিতে চান সেখানের তথ্য দিতে হবে। তবে যেই জায়গার নামজারী/দলিলের কপি সংযুক্ত করবেন সংযোগ স্থলের ঠিকানা সে অনুযায়ী হতে হবে।
চতুর্থ ধাপ- জিওগ্রাফিক, কানেকশন, লোড, চাহিদাকৃত লোডের তথ্য পূরণ।
জিওগ্রাফিক তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করতে নিকটবতী সার্ভিস পোল হইতে সংযোগস্থলের দূরত্ব মেপে নিন। কেননা সঠিক মাপ না হলে ক্যাবল বা তার এবং খুটির কারনে সংযোগ পেতে সমস্যা হতে পারে।
একই ট্রান্সফরমারের আওতায় পার্শ্ববর্তী গ্রাহকের বই নং হিসাব নং, মিটার নম্বর এবং পোল নম্বর (ইংরেজীতে) পূরণ করতে হবে। এর পর আবেদন প্রকৃতি নির্ধারণ করুন অর্থাৎ স্থায়ী/অস্থায়ী তা নির্ধারণ করুন।
পরের অংশে, ব্যবহার করা হবে এমন লাইট, ফ্যান সহ অন্যান্য ইলেক্ট্রিক ডিভাইসের সংখ্যা নির্ধারণ করুন। যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে শেষে বাড়ির/প্রতিষ্ঠানের লোকেশন এবং মন্তব্য(বাংলা) লিখুন।
৫ম ধাপ- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড ও সম্মতি প্রদান।
এই পর্যায়ে ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং খারিজ আপলোড করুন। অপলোড করার ক্ষেত্রে ফরমে উল্লেখিত সাইজে আবেদনের আগেই আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে একটি ফোল্ডারে সংরক্ষণ করুন। তারপর সহজেই আপলোড করতে পারবেন।
অতঃপর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু শর্ত রয়েছে সে গুলোর সাথে একমত আছেন এই মর্মে পাশে রাখা খালি বক্সে টিক চিহ্ন দিন।
সবশেষে একটি ক্যাপচা কোড পূরণ করুন [ইংরেজীতে] এবং সংরক্ষণ করুন অপসনে ক্লিক করতে হবে। এ ভাবে আপনার আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।
আবেদনপত্র প্রিন্ট
আবেদন ফরম পূরন করার যাবতীয় কাজ শেষে যখন আপনি নিচের সংরক্ষণ অপসনে ক্লিক করবেন তখন আপনাকে একটি ট্যাকিং নাম্বার ও পিন নাম্বার দিবে। সেটা সাথে সাথে নোট ডাউন করে বা লিখে রাখুন। কারণ পরবর্তী সময়ে আপনার আবেদনের অবস্থা জানতে বা সংশোধন সহ যে কোন তথ্য জানার জন্য এই ট্যাকিং নাম্বার ও পিন নাম্বার আপনার প্রয়োজন হবে।
তারপর অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ এর নতুন মিটারের জন্য আবেদন ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন।
হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন
তারপরে আপনার বৈদ্যুতিক বাসায় হাউজ ওয়্যারিং সম্পন্ন হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। আর মূলত হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হবে গ্রাউন্ড রড ক্রয়ের মেমো/রশিদ, ট্যাকিং নাম্বার ও পিন নাম্বার।
এরপর ওয়েবসাইটের হোম পেইজের মেনুবার অপশন থেকে হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন এ লিংকে ক্লিক করলেই আপনার সামনে নিচের ইন্টারফেইজটি ওপেন হবে। ফরমে প্রথমে ট্যাকিং নাম্বারও পরে পিন নাম্বার বসিয়ে সাবমিট বাটনে অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ট্যাকিং নাম্বার ও তারপরে পিন নাম্বার বসানোর পরে সাবমিট করলে আপনার কাছে হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিতের তথ্য চাইবে। অর্থাৎ হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত হয়েছে সিলেক্ট করে গ্রাউন্ড রড ক্রয়ের মেমো/রশিদ নাম্বারটি ইংরেজীতে লিখতে হবে।
এরপর গ্রাউন্ড রড ক্রয়ের মেমো/রশিদটি আপলোড করতে হবে। তারপর বাসার ঠিকানা লিখে ক্যাপচা কোড পূরণ করে সমর্পন করুন অপসনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার একটু পর আপনার হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত হয়েছে এরকম একটি ম্যাসেজ দেখা যাবে।
আবেদনের সংযোগ ফি পরিশোধ করুন
ফি পরিশোধ দুই ভাবে প্রদান করা যায়। যথা-
আপনি অনলাইনে ফি পরিশোধ করুন অপশনে গিয়ে আপনার ট্যাকিং নাম্বার ও পিন নাম্বার দিয়ে রকেটের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারেন।
আবার সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিস বা নির্ধারিত ব্যাংকে পরিশোধ। কিন্তু সংযোগ ফি পরিশোধ সরাসরি অফিসে গিয়ে পরিশোধ করায় ভালো।
নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র
আপনি নতুন সংযোগ অথবা নতুন মিটার নেয়ার জন্য খুব সহজে আবেদন করতে পারেন। নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র লিখে অন্যের সাহায্য ছাড়াই আপনি নিজে নিজেই আবেদন করে জমা দিতে পারবেন। নিজেই নতুন মিটারের জন্য আবেদনপত্র লিখে জমা দিলে, দালাল দের মত খপ্পর থেকে আপনি রক্ষা পাবেন। নিচে নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র লিখার নিয়ম দেওয়া হল-
বরাবর:
বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক,
[বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির নাম],
বিদ্যুৎ অফিসের[শাখার ঠিকানা],
আবেদন লিখার [তারিখ]
বিষয়ঃ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার স্থাপনের জন্য আবেদন পত্র
মহাশয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি [আপনার নাম], পিতা/স্বামীর নাম [পিতার বা স্বামীর নাম], ঠিকানা [পুরো ঠিকানা]। আমি আমার বাড়ি/ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন অনুভব করছি। মহাশয় আমার নাম মহাশয় আমার পরিবারে এখনও বিদ্যুৎ সেবা নেই। এর জন্য আমি পারিবারিক ভাবে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। মহাশয়ের নিকট আমি আমার নিজস্ব সকল কাগজপত্র সহকারে আবেদন করিতেছে যে আপনি আমাকে বিদ্যুতের নতুন পরিষেবা প্রদান করে সাহায্য করবেন।
অতএব
অতএব, মহাশয়ের নিকট আমার প্রার্থনা এই যে আমার বাড়িতে/প্রতিষ্ঠানে দ্রুত নতুন মিটার স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
নিবেদক
[আপনার নাম]
ঠিকানা: [আপনার ঠিকানা]
মোবাইল: [আপনার মোবাইল নম্বর]
ইমেইল: [আপনার ইমেইল]
উপরের উল্লেখিত নিয়ম গুলো মেনে যদি আপনি আবেদন পত্র লিখেন তাহলে আপনি নতুন মিটারের জন্য খুব সহজেই আবেদন পত্র নিজে লিখে জমা দিতে পারবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম
আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করতে চান কিন্তু কি ভাবে ফরম পূরণ করতে হয় সে বিষয়ে কোন কিছু জানেন না। আবেদন করার পূর্বে আমাদের সঠিক ভাবে ফরম পূরণ করতে হবে।
আবেদন ফরম পূরণ করতে হলে প্রথমত আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ এর নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.rebpbs.com) সাইটে আপনি একটি আবেদন করার ফরম পাবেন। কি কি দিয়ে পূরণ করতে হবে সে তথ্য জেনে নিন-
- পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে সরাসরি ফরম সংগ্রহ করুন, অথবা পল্লী বিদ্যুতের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করতে পারেন।
- জমির দলিল বা ভাড়াটিয়ার ক্ষেত্রে বাড়ির মালিকের অনুমতি।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।
- আপনার পাসপোর্ট সাইজের কয়েকটি ছবি।
- বিদ্যুৎ সংযোগের খুঁটির থেকে দূরত্ব সম্পর্কিত তথ্য।
- আপনার নাম, ঠিকানা, এবং ফোন নম্বর।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর।
- জমির মালিকানার প্রমাণপত্র।
- সংযোগের ধরন (বাড়ির জন্য, দোকানের জন্য বা কৃষিকাজের জন্য ইত্যাদি)।
- আপনার বিদ্যুৎ চাহিদা (কত কিলোওয়াট)।
- আবেদন জমা দেওয়ার পরে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।
আবেদন জমা:সব তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আবেদন ফরমটি সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত
আপনি পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করতে চান, প্রথমে আপনাকে মিটারের জন্য ফি পরিশোধ দিতে হবে। আপনি যদি ফি পরিশোধ না তাহলে আবেদন সফল হবে না। অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ ফর্ম পূরণ করার পর নির্দিষ্ট একটি ফি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে পাঠিয়ে দিতে হবে। আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। কত টাকা ফি দিতে হবে অনেকেই জানেন না।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের ফি পরিশোধ দিতে হলে আপনাকে ক্যাটাগরি হিসেব করে ফি জমা দিতে হবে। আপনি যদি পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য ফি পরিশোধ করতে চান তাহলে আপনাকে ১১৫ টাকা দিতে হবে।
আপনি ১১৫ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দিতে পারবেন। এছাড়াও আপনাকে নিরাপত্তা জামানো হিসেবে প্রতি কিলোওয়াট হিসাব করে টাকা জমানো দিতে হবে।
- ২ কিলোওয়াটে ৪০০ টাকা।
- ২ কিলোওয়াট এর উপরে হলে ৬০০ টাকা।
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন-শেষ কথা
আমাদের আজকের আলোচনার মূল টপিক নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন সম্পর্কে। আপনারা যারা নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার জন্য বিভিন্ন তথ্য জানতে চাচ্ছেন। তারা ইতিমধ্যেই আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে মিটার আবেদন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছেন।
আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোষ্ট পড়েছেন এবং আপনি মিটার আবেদন করার বিভিন্ন তথ্য জেনে উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে অথবা আরও বিস্তারিত কোন বিষয় জানতে চান তাহলে কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাতে পারেন। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url