মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় [সেরা ২০টি]
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে মাসে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা কঠিন কোন বিষয় না।পরিসংখ্যান অনুযায়ী,বাংলাদেশের কত শতাংশ মানুষের আয় সীমা মাসে ৩০ হাজার টাকা তা নিয়ে সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও মনে করা হয় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০% মানুষ মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করে থাকে।
মাসে ৩০ হাজার টাকা অনেকেই আছে যারা ঘরে বসে অনলাইনে কাজের মাধ্যমে আয় করে। আর কেউবা অন্যান্য ব্যবসা করে আয় করে থাকে। আজকের পোস্টে আমরা সে স্পেসিফিক উপায় গুলো নিয়েই আলোচনা করবো যে গুলো বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সময়ের জন্য কার্যকর উপায় এবং আপনাকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সুযোগ তৈরি করে দিবে।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
মাসে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করার জন্য মূলত দুটি উপায় রয়েছে। যেমন, আপনি অনলাইন এর মাধ্যমে মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন বা ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন। অথবা আপনি অফলাইনে ব্যবসা করে আয় করতে পারেন।
এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে কি ভাবে অনলাইন বা অফলাইনে থেকে ইনকাম করব বা কি ভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায়। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক উপায় গুলো-
অনলাইন আয় করার উপায় গুলো হল-
বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন ভাবে কাজ করে ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে। যেমন গ্রাফিক ডিজাইনিং, ব্লগিং, ডাটা এন্ট্রি, আর্টিকেল রাইটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও ইডিটিং, ইউটিউব চ্যানেল, অনলাইন কোর্স বিক্রি, ফেসবুক, ইনফ্লুয়েন্সার কাজ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন করে আয় ইত্যাদি।
অফলাইন আয় করার উপায় গুলো হলো-
অনলাইন ইনকাম করার যেমন রয়েছে তেমনি অফলাইনে বিভিন্ন ভাবে কাজ আছে যার মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। যেমন রেস্টুরেন্টের ব্যবসা, ফাস্ট ফুডের ব্যবসা, ফলের দোকান করে, মুদির দোকান করে, ফার্মেসির দোকান দিয়ে, বইয়ের দোকান থেকে, কোচিং সেন্টার পরিচলনা, কাপুড়ের ব্যবসা, কসমেটিক্সের ব্যবসা, বিউটি পার্লারের ব্যবসা ও মাছ ও মুরগির খাবার তৈরি করে আয় ইত্যাদি।
অনলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়
আমরা প্রথমেই জেনেছি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য দুটি উপায় রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম উপায় হলো অনলাইন থেকে ইনকাম। অনলাইন এর উপর ভিত্তি করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার আপনাকে কোথাও যেতে হবে না।
আপনি বাড়িতে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমেই নিচের কাজ গুলো করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আর অনলাইনের বেশি ভাগ কাজের ক্ষেত্রেই প্যাসিভ আয় জেনারেট করতে পারবেন।যেমন,আরটিকেল রাইটিং করে অথবা গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে পারেন।
গ্রাফিক ডিজাইনিং করে আয়
আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে মাসে ৩০ হাজার আয় করতে পারেন। কারণ বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের ও প্রচুর চাহিদা ও ডিমান্ড রয়েছে। একজন গ্রাফিক ডিজাইনার অনেক ধরনের কাজ করে থাকে যেমন, লোগো ডিজাইন ব্যনার তৈরি থেকে শুরু করে পোস্টার, ছবির ইডিটিং ও বিজ্ঞাপন তৈরি ইত্যাদি।
কিন্তু গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ করতে হলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সম্পর্কে পূর্ণ দক্ষতা ও ধারণা থাকতে হবে। এ জন্য গ্রাফিক ডিজাইনিং কাজ শিখতে পারেন এবং কাজ শিখে মাসে এটাকে পেশা হিসেবে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ করে মাসে খুব সহজেই মাসে ৩০ হাজার আয় করতে পারবেন।
ব্লগিং করে আয়
বর্তমানে ব্লগিং করে মাসে অনেকেই লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। কেননা এখনকার সময়ে ব্লগিং অন্যতম জনপ্রিয় একটি পেশা হিসাবে পরিচিত। তাই আপনি যদি সঠিক ভাবে ব্লগিং করতে পারেন তাহলে মাসে অনায়াসেই মাসে ৩০ হাজার আয় করতে পারবেন।
আপনি ব্লগিং পেশায় যদি আয় করতে চান তাহলে আপনাকে ধর্য্য ধারণ করে কাজ করতে হবে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনি প্যাসিভ আয় জেনারেট করতে পারবেন। যদি একবার কষ্ট করেন তাহলে আজীবনের জন্য লাভবান হওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো ব্লগিং ।
আর্টিকেল রাইটিং করে আয়
আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করে মাসে আপনি খুব সহজেই মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কারন আপনি জেনে অবাক হবেন যে, একজন আর্টিকেল রাইটারের কাছে মাসে ৩০ হাজার আয় করা বড় কোন বিষয় নয়। হোক আপনি বাংলা আর্টিকেল রাইটার অথবা ইংরেজি। তবে ইংরেজি রাইটিং কাজ করলে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়।
আপনি উভয় ভাবেই মাসে ৩০ হাজার আয় করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ আপনাকে বেশ কিছু টেকনিক অনুসরণ করতে হবে।যেমন, সুন্দর ও সাজিয়ে গুছিয়ে আর্টিকেল লিখার স্কিল থাকতে হবে ও আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের কাজ করে যেতে হবে। এ ভাবে সঠিক নিয়মে কাজ করলেই মাসে ৩০ হাজার আয় করতে পারবেন।
কন্টেন্ট রাইটিং করে আয়
বর্তমানে কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসাবে পরিচিত । কিন্তু কন্টেন্ট রাইটার হয়ে উঠতে হলে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে ও এ ক্ষেত্রে আপনার বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান থাকতে হবে।এছাড়াও সে বিষয়ে সুন্দর করে উপস্থাপনার মত স্কিল থাকতে হবে। নিজের আওয়াজের টোনে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের কাজ করে যেতে হবে।
তাই কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে হলে আপনি ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করে মাসে ৩০ হাজার আয় করতে পারেন। তবে আপনাকে ধর্য্য ধারণ করে কাজ করতে হবে ও আপনার প্রোফাইলে নিয়মিত সুন্দর কন্টেন্ট তৈরি করে নিয়মিত আপলোড করতে হবে।
ভিডিও ইডিটিং করে আয়
বর্তমানে ভিডিও ইডিটিং কাজ করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। যেমন, ভিডিও এডিটিং ফিল্ম এবং টেলিভিশন শো, ভিডিও বিজ্ঞাপন এবং ভিডিও প্রবন্ধসহ সমস্ত ভিডিও তথ্য গঠন এবং উপস্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও কন্টেন্ট মেকিং থেকে শুরু করে ব্যবসার প্রোডাক্ট প্রোমোশন করা, সব কিছুই যেন ভিডিওতে উপস্থাপন করা হয়। এ অবস্থায় যত বেশি ভিডিও নিয়ে কাজ, তত বেশি ভিডিও ভিডিও ইডিটিং এর কাজের চাহিদা।
তাই আপনি যদি এখন থেকে শুরু করে লং টাইমের জন্য কাজ করতে চান তাহলে ভিডিও ইডিটিং এর কাজ করতে পারেন। আপনি যদি ভিডিও ইডিটিং এর কাজের দক্ষতা থাকে বা শিখে থাকেন তাহলে অনলাইন এবং অফলাইন রিসোর্স পাওয়া যায়। আর এই কাজ গুলো করেই মাসে ৩০ হাজার আয় করা সম্ভব।
ডাটা এন্ট্রি করে আয়
ডাটা এন্ট্রি কাজ করে মাসে ৩০ হাজার ইনকাম করতে পারেন। কারণ বর্তমানে ডাটা এন্টি কাজ যত বেশি করা যাবে সে ক্ষেত্রে ততো বেশি টাকা ইনকাম হবে। বর্তমানে আপওয়ার্ক ও ফাইভারে যদি ডাটা এন্ট্রির কাজ করা যায় তাহলে আপনি মাসে এখান থেকেই ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
ডাটা এন্ট্রি কাজ হচ্ছে মূলত কম্পিউটার সিস্টেম বা ডাটাবেজে ডেটা প্রবেশের মাধ্যমে। আপনি যদি একজন দক্ষ ডাটা এন্টি-এক্সপার্ট অপারেট হতে চান তাহলে ঘন্টায় ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দ এন্টি করতে সক্ষম হতে হবে। এ ভাবে ডাটা এন্ট্রি করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
ইনফ্লুয়েন্সার কাজ করে আয়
ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রায়ই ব্র্যান্ড এবং কোম্পানি গুলোর দ্বারা তাদের পণ্য বা পরিষেবা গুলোকে প্রচার করার জন্য ভাড়া করা হয়।আর এই প্রক্রিয়াটিকেই ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বলা হয়। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় বিপণন কৌশল যা লক্ষ্য দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন জন্য ব্যবহার করা হয়।
ইনফ্লুয়েন্সার এর কাজ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে বিভিন্ন পণ্য বা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ। ইনফ্লুয়েন্সার কাজ করে মাসে ৩০ হাজার আয় করতে পারবেন।কারণ অনেক ইনফ্লুয়েন্সার আছে যারা ব্যান্ডের প্রমোশন করে দিনে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকাও নিয়ে থাকে।তাই বলা যায় এটি এমন একটি ব্যবসায়িক উপায় যেখান থেকে আপনি ঘরে বসেই মাসে ভালো মানের টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন।
ফেসবুক মার্কেটিং থেকে আয়
বর্তমান এর সব চেয়ে জনপ্রিয় ও সবার কাছে পছন্দের সোশ্যাল যোগাযোগ মিডিয়া প্লাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক। বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ মানুষ রাত-দিন 24 ঘন্টা ফেসবুকে কাজ না থাকলে টাইম পার করে থাকে। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না ফেসবুকে কাজ করে মাসে অনেক টাকা আয় করা যায়।
আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখে থাকেন তাহলে ফেসবুকে মার্কেটিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।তাই সঠিক ভাবে ফেসবুক মার্কেটিং শিখে ফেসবুকে অযথা টাইম পার না করে সময়টাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে ফেসবুকে কন্টেন্ট শেয়ার করে বা এখানে বিভিন্ন পণ্য বিক্রির মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করুন।
ইউটিউব থেকে আয়
বর্তমানে ইউটিউব হচ্ছে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য জনপ্রিয় এবং লাভজনক মাধ্যম। ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। এ জন্য আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে ও এখানে প্রতিদিন নতুন ভিডিও বানিয়ে চ্যানেলে আপলোড করতে হবে এবং viewers এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
কিন্তু ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। আর সে গুলো হচ্ছে লাস্ট ১২ মাসের মধ্যে আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইব ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইমের প্রয়োজন হবে। তবেই আপনি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার জন্য উপযুক্ত হবেন।যদি আপনি একটু পরিশ্রম করে কাজ করেন তাহলে এ শর্ত গুলো পূরণ করতে পারবেন ও মাসে ইউটিউব থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার একটি জনপ্রিয়, লাভজনক মাধ্যম। যেখানে আপনি অন্য কোম্পানির পণ্য বা সেবা প্রচার করার মাধ্যমে কমিশনের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটাররা তাদের ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে।
যখন কেউ এই লিঙ্ক থেকে কিছু কেনে, মার্কেটাররা একটি নির্দিষ্ট শতাংশ কমিশন পান।এটি প্যাসিভ আয়ের একটি জনপ্রিয় উপায়, কারণ আপনাকে কোনো প্রোডাক্ট তৈরির প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র বিক্রির মাধ্যমে উপার্জন সম্ভব। এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রযুক্তিগত দক্ষতা ছাড়াও সৃজনশীলতা এবং মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির উপর ভিত্তি করে করা যায়, যা ইন্টারনেটের বিশাল পরিসরকে কাজে লাগিয়ে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জনের সুযোগ দেয়।
সাধারণত এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় উপায় যার মাধ্যমে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এটি এমন একটি ব্যবসা যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই বাড়িতে বসে থেকেই মাসে ভালো মানের টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন।
অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয়
অনলাইন কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা সহজেই আয় করা যেতে পারে। অনলাইন কোর্স বিক্রি করার জন্য সঠিক প্ল্যাটফর্ম ও দক্ষতা প্রয়োজন। যদি আপনার কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ভালো দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি সেটা অন্যদের অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে শেখাতে পারেন। এ জন্য আপনার কোনো ডিগ্রি অর্জন অথবা শিক্ষক হওয়ার প্রয়োজন নেই।
আপনি অনলাইনে কোর্স তৈরি করতে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে কোর্স বিক্রি করতে একটি ওয়েবসাইটে তৈরি করতে পারেন। সেখানে আপনার কোর্স গুলো আপলোড ও সাজিয়ে রাখতে পারেন এবং অনলাইন কোর্স বেচার জন্য একটি বিশেষ মূল্য নির্ধারণ করে টাকা আয় করতে পারেন। এ ভাবে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন করে আয়
বর্তমান সময়ে ওয়ার্ডপ্রেস অ্যাকাউন্ট কাস্টমাইজেশন এর মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ এটি একটি জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) যা ব্যবহারকারীদের তাদের ওয়েবসাইটকে সহজেই দ্রুত তৈরি এবং পরিচালনা করতে সুযোগ করে দেয়।এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীরা তাদের ওয়েবসাইটের চেহারা এবং কার্যকারিতা কাস্টমাইজ করতে বিভিন্ন উপায়ে সহায়তা করে থাকে।
আপনি ওয়ার্ডপ্রেস অ্যাকাউন্ট কাস্টমাইজেশন করে সহজেই মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।যেমন, Fiverr – এ, ওয়ার্ডপ্রেস কা স্টমাইজেশনের সহজ কাজ করার জন্য গড় মূল্য $5 থেকে $50 এর মধ্যে থাকে। আরও জটিল কাজের জন্য, আপনি $100 বা তার বেশি চার্জ করতে পারেন।এভাবে যদি মাসিক ১০ থেকেন ১৫টি কাজ পান তাহলে আপনি সহজেই মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
অফলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়
আমরা আগেই মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার দুটি উপায় সম্পর্কে জেনেছি । তার মধ্যে প্রথমটি জেনেছি উপায় আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে অফলাইন থেকে আয়। অফলাইন উপর ভিত্তি করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার আপনাকে ব্যবসার উপায় বেছে নিতে হবে। নিচে আয় করার উপায় গুলো দেওয়া হল-
রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করে আয়
বর্তমানে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করে অনেক মানুষ লাভবান হচ্ছে। কারণ রেস্টুরেন্টের খাবার বর্তমানে অনেক মানুষের কাছে জনপ্রিয় সবাই পছন্দ করে। আর এ রেস্টুরেন্টেরের খাবার বিক্রি করার মাধ্যম চাইলে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু এতে অনেকটা আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।
মূলতএকটি সফল রেস্টুরেন্ট ব্যবসা চালাতে হলে একটি ভাল ব্যবসায়িক কৌশল অপরিহার্য। যেমন, আপনাদের খাবারের মান ভালো হতে হবে,সঠিক ভাবে খাবারের মূল্য ধরতে হবে ও কৌশল পূর্ণ ভাবে আপনার কাস্টমারের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। এভাবে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
ফাস্ট ফুডের ব্যবসা করে আয়
ফাস্ট ফুডের ব্যবসা দ্রুত বর্ধনশীল ও একটি লাভজনক ব্যবসা । ফাস্ট ফুডের ছোট দোকান সপ্তাহে প্রায় ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে। আর বড় ফাস্ট ফুডের দোকান আরও বেশি আয় করা সম্ভব।কারণ ফাস্ট ফুড খাবারের মধ্যে বার্গার, পিৎজা, চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এ গুলো অন্যান্য খাবারের তুলনায় দ্রুত এবং সহজে পাওয়া যায় এবং অন্যান্য খাবারের তুলনায় দাম কম।
ফাস্ট ফুডের ব্যবসা বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হিসাবে ধরা হয়।কেননা আপনি যদি যেখানে জনসমাগম বেশি সেখানে ফাস্ট ফুডের দোকান দেন তাহলে আপনার ব্যবসা ভালো চলবে। এতে করে আপনি মাসে খুব সহজেই মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
ডিলারশিপের ব্যবসা করে আয়
ডিলারশিপের ব্যবসা বর্তমান সময়ের একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। ডিলারশিপের ব্যবসা করার জন্য আপনাকে আগে কিছু পরিমাণ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। সেই টাকা দিয়ে আপনি যে কোন ধরনের প্রোডাক্ট বা মাল কিনে অল্প অল্প করে বিক্রি বা সেল করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
ডিলারশিপের ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। মূলত ডিলারশিপের ব্যবসা করার জন্য আপনার কিছু পুঁজির দরকার হবে। আর এ পুঁজির অর্থ দিয়েই ডিলারশিপের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে এ ব্যবসা করার জন্য আপনাকে বুঝে প্রোডাক্ট বা মাল কিনতে হবে। এ ভাবেই আপনি চাইলে ডিলারশিপের ব্যবসা করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
ফলের দোকান করে আয়
বর্তমান সময়ে ফলের দোকান করে অনেকেই লাভবান হচ্ছে। মূলত ফলের ব্যবসা লাভজনক একটি ব্যবসা ।কারণ প্রতিনিয়ত খাবারের জন্য ফলের অনেক চাহিদা রয়েছে। আর এ ফল বিক্রি করে করেই আপনারা চাইলে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু এতে কিছুতা আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।
কারণ একজন সফল ফল ব্যবসায়িক হতে হলে পরিশ্রম ও ভাল ব্যবসায়িক কৌশল অবলম্বন করতে হবে।যেমন, আপনার ফলের মান ভালো হতে হবে,সঠিক ভাবে ফলের মূল্য নির্ধারন করতে হবে ও কৌশলপূর্ণ ভাবে আপনার কাস্টমারের কাছে উপস্থাপন করতে হবে।এ ভাবে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
কোচিং সেন্টার পরিচলনা করে আয়
বর্তমানে কোচিং সেন্টার ব্যবসায় মাসে ৩০ হাজার আয় করা সম্ভব। কেননা বর্তমান প্রতিযোগিতা মূলক শিক্ষা ব্যবস্থায় জন্য মানুষ কোচিং সেন্টারের উপর আস্থা রয়েছে। আর অনেক ছেলে মেয়ে স্কুল কলেজ এর সাথে সাথে কোচিং সেন্টার গুলোতে কোচিং করার জন্য যেয়ে থাকে।
তাই বলা যায় কোচিং সেন্টার ব্যবসা করে সপ্তাহে ভালো মানের টাকা আয় করা সম্ভব। এর জন্য আপনাকে কোচিং সেন্টার গুলোকে অভিজ্ঞ শিক্ষক দিয়ে পরিচালনা করতে হবে ও বিভিন্ন ধরণের কোর্সের অফার দিতে হবে। এ ভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা কোর্সে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
বইয়ের দোকান করে আয়
বই বিক্রয়ের ব্যবসা সবার কাছে সফল ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। এখান থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ এখানে ক্ষতির কোন সম্ভাবনান থাকে না বললেই চলে। আর এ ব্যবসায় সফল হওয়ার অন্যতম কারণ হলো বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে বইয়ের চাহিদা অনেক বেশি ও বইয়ের দোকানে বই বিক্রির পাশাপাশি আপনারা আরও বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী পেয়ে যাবেন যেমন খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার ও কাগজ ইত্যাদি।
বইয়ের দোকান এর ব্যবসা করে বর্তমান সময়ে অনেক লাভবান হওয়া যায় ও মানুষ হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারছে। আপনি যদি চান বইয়ের দোকান পরিচালনা করে বা বইয়ের এর পাইকেরি ব্যবসা করে লাভবান হতে পারেন। আর এ বইয়ের দোকান এর ব্যবসা করেই মাসে খুব সহজেই ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
কাপড়ের ব্যবসা করে আয়
যদি জীবনে সফল হতে চান তাহলে ব্যবসার বিকল্প নেই। ব্যবসার করে মাসে লাখ লাখ টাকা করা আয় সম্ভব। আর যদি সেটা কাপড়ের ব্যবসা হয় তাহলে আপনি মাসে চোখ বন্ধ করে মাসে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ কাপরের কাপড়ের ব্যবসা অনেক লাভজনক ব্যবসা।
কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য আপনার সঠিক পরিকল্পনা থাকতে হবে। কারণ আপনি যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করেন তাহলে অনেক তারাতারি ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করতে পারবেন ।এ জন্য কাপড়ের ব্যবসা যদি সঠিক ভাবে পরিকল্পনা করে পরিচালনা করেন তাহলে মাসে সহজেই ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
কসমেটিকস ব্যবসা করে আয়
বর্তমানে কসমেটিকস ব্যবসা করে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কারণ ত্বকে সুন্দর ও মসৃণ করতে মেয়েদের কাছে কসমেটিক অনেক পছন্দের ও ছেলেরাও কসমেটিক ব্যবহার করে থাকে। তাই বাজারে কসমেটিকের চাহিদা অনেক বেশি। এ জন্য কসমেটিক ব্যবসাকে লাভজনক ব্যবসা হিসাবে ধরা হয়।
কসমেটিক এর ব্যবসা করে বর্তমানে অনেক লাভবান হওয়া যায়। আপনি চাইলে কসমেটিক দোকান পরিচালনা করতে বা কসমেটিকের পাইকেরি ব্যবসা করে লাভবান হতে পারেন। আর এ কসমেটিক এর ব্যবসা করেই মাসে খুব সহজেই ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
মুদিখানার দোকান করে করে আয়
মুদির দোকান চালানো একটি লাভজনক ব্যবসা। আপনি যদি ভাল মানের মুদিখানার দোকান দিয়ে থাকেন সেখান থেকে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু মুদির দোকান চালানোর জন্য আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে। আপনার এলাকার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য নির্বাচন করতে হবে বা কোন ধরনের পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে সেটি জেনে সেই অনুযায়ী দোকান মজুদ রাখতে হবে।
মুদিখানার দোকান সকলের কাছে অনেক জনপ্রিয় কারণ বর্তমান সময়ে নৃত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্য মুদিখানার দোকানে পাওয়া যায়। আর এইসব দ্রব্য মানুষ প্রতিনিয়তই ক্রয় করে থাকে আর এই দ্রব্য গুলো বিক্রি করে অনেক টাকা লাভ করা সম্ভব।এজন্য মুদিখানার দোকান চালিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা খুব সহজেই আয় করতে পারবেন।
ফার্মেসির দোকান করে আয়
ফার্মেসির দোকান করে সপ্তাহে অনেক টাকা আয় সম্ভব। কারণ ওষুধ আমাদের জীবনে একটি নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু।আর প্রতিনিয়তই মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আরে রোগ সারানোর জন্য ওষুধ অনেক দরকারি। আর এই ওষুধ মূলত পাওয়া যায় ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। আমাদের দেশের মানুষ সুস্থ থাকার জন্য ওষুধের ভুমিকা অপরিসীম।
ফার্মেসির দোকানের ব্যবসা করে বর্তমানে মানুষ অনেক লাভবান হওয়া যায় ও মানুষ হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারছে। আপনারা যদি তাহলে চান ফার্মেসি দিতে পারেন বা ওষুধের পাইকেরি ব্যবসা করে লাভবান হতে পারেন। এ ফার্মেসির দোকান এর ব্যবসা করেই মাসে খুব সহজেই ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
বিউটি পার্লারের ব্যবসা করে আয়
বিউটি পার্লারের হচ্ছে টাকা আয় করার সবথেকে জনপ্রিয় ও লাভজনক একটি মাধ্যম। বিউটি পার্লারের ব্যবসার আয় করার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ নারীদের মধ্যে রুপচর্চার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। আর ছেলেরাও অনেকেই এখন নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বিউটি পার্লারে যায়। তাই বিউটি পার্লারের ব্যবসার চাহিদাও বাড়ছে।
মূলত বিউটি পার্লারের ব্যবসার ইনকাম নির্ভর করে পার্লারের অবস্থান, পরিষেবার মান, কর্মীদের দক্ষতা এবং গ্রাহকের সংখ্যার উপর। আপনি যদি বিউটি পার্লারের ব্যবসা করতে চান তাহলে একটি ভাল মানের বিউটি পার্লার খুলতে পারেন।আর সেখানে ভাল মানের পরিসেবা প্রদান করে মাসে ৩০ হাজারটাকা আয় করতে পারেন।
মাছ ও মুরগির খাবার তৈরি করে আয়
বর্তমান সময়ে মাছ ও মুরগির খাবারের অনেক চাহিদা রয়েছে।কারণ অনেকেই বর্তমানে মাছ চাষ ও মুরগির পালন করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। আর মাছ চাষ ও মুরগির পালন করার জন্য খাবারের অনেক প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যদি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে চান তাহলে মাছ ও মুরগির খাবার তৈরি করতে পারেন।
তবে মাছ ও মুরগির খাবার তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে।যেমন,মাছ ও মুরগির কোন খাবারের বেশি চাহিদা রয়েছে সেটি মাথায় রেখে খাবার তৈরি করতে হবে।তাহলে আপনি মাছ ও মুরগির খাবার বিক্রি করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তাই বলা যায় মাছ ও মুরগির খাবার তৈরি করা একটি লাভজনক ব্যবসা।
মাসে ৩০ হাজার আয় করুন -শেষ কথা
মাসে ৩০ হাজার আয় করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোর অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশি ব্যবস্যা করেও মাসে ৩০ হাজার আয় করা সম্ভব। কারণ ব্যবস্যা বর্তমান যুগের অন্যতম লাভজনক এবং উন্নয়নশীল ক্ষেত্র।
আপনি যদি এই ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা ও দক্ষতা নিয়ে কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনি সফল ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। আশাকরি এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে অথবা আরও বিস্তারিত কোনো বিষয় জানতে চান তাহলে কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url