হাউজ লোন কিভাবে পাব

আপনারা অনেকেই আছেন যারা নিজের ব্যবসা বা নতুন বাড়ি নির্মাণ করার জন্য হাউজ লোন নিতে চাচ্ছেন? বা হাউজ লোন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এ মধ্যে আর্টিকেলে আমরা জানবো হাউজ লোন কি ভাবে পাবেন বা হাউজ লোন নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে এবং সুদের হার কত?

হাউজ লোন কিভাবে পাব

আপনাদের মধ্যে অনেকেরই সাধ থাকলেও পর্যাপ্ত সামর্থ্য না থাকায় জমি বা ফ্ল্যাট কেনার সময় লোন নিয়ে থাকেন। কিন্তু চাইলেই আপনাকে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান লোন দেবে না। কিছু নিয়ম-কারুন অনুসরণ করে লোন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর কাছে আবেদন করতে হবে। আর প্রতিষ্ঠান গুলো যাচাই-বাছাই করে যদি আপনাকে যোগ্য মনে করে, তাহলেই ঋণ পাবেন।

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবুল ফজল বলেন, লোন পেতে হলে লোন গ্রহীতার বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছর হতে হবে। চাকরিজীবীদের মাসিক আয় হতে হবে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা। আর ব্যবসায়ী ও বাড়িওয়ালারাও এই লোনে সুবিধা পাবেন। তবে সরকারি চাকরিজীবীদের ব্যাংক লোন পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয় না। বেসরকারি চাকরিজীবী হলে আপনার চাকরির স্থায়িত্ব, মাসিক বেতন, ঋণখেলাপি, অন্যান্য আয় ইত্যাদির ওপর ব্যাংক লোন পাবেন কি না বা পেলে কী পরিমাণ পাবেন, সেটা নির্ভর করে।

হাউজ লোন কিভাবে পাব

হাউজ লোন একটি বাড়ি কেনা বা  বাড়ি নির্মাণের জন্য ব্যাংক বা কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়া অর্থের সমষ্টিকে বোঝানো হয় । এটি একটি সুরক্ষিত লোন যেখানে লোন পরিশোধ পর্যন্ত সম্পত্তিটি লোন প্রদানকারীর কাছে সুরক্ষা হিসাবে বন্ধক রাখা হয়। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান লোনের সুদ দিয়ে লোন পরিশোধ না করা অবধি সম্পত্তি বা দলিল জমা রাখে।

হাউজ লোন একটি অর্থনৈতিক লোন , যা সাধারণত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহ ক্রয়, নির্মাণ, বা মেরামতের জন্য নেওয়া হয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী লোন , যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাসিক কিস্তির মাধ্যমে লোন পরিশোধ করতে হয়।

হাউজ লোন পাওয়ার জন্য প্রথমে একটি স্থায়ী আয়ের উৎস থাকা জরুরি। ঋণের জন্য আবেদন করার আগে ব্যাংকের শর্তাবলী এবং সুদের হার ভালো ভাবে যাচাই করতে হবে। ব্যাংক সাধারণত ক্রেডিট স্কোর, আয় এবং সম্পত্তির নথি যাচাই করে থাকে। সময় মতো লোন পরিশোধ না করলে জরিমানা বা আইনগত পদক্ষেপ হতে পারে।

হাউজ লোন নিতে যোগ্যতা

হাউজ লোন পাওয়ার জন্য যোগ্যতা বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ম বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তবে,সাধারণ ভাবে নিচের বিষয় গুলো বিবেচনা করে হাউজ লোন প্রদান করা হয়-

বয়স: আবেদনকারীর বয়স সাধারণত ২১ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে অবসরকালীন বয়সের পরেও লোন নেওয়া সম্ভব। তবে সেটা নির্ভর করে লোনের শর্তের উপর।

আয়: আপনার মাসিক স্থায়ী আয়ের উপর ভিত্তি করে ব্যাংক হাউজ লোনের যোগ্যতা নির্ধারণ করে। আয়ের উৎস যেমন চাকরি, ব্যবসা, বা ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে, তবে তা নিয়মিত এবং প্রমাণযোগ্য হতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাংক আপনার মাসিক আয়ের ৩০-৫০% পর্যন্ত লোন কিস্তি নেওয়ার অনুমোদন দেয়।

ক্রেডিট স্কোর: ক্রেডিট স্কোর ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনার পূর্ববর্তী লোন, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার, এবং অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। সাধারণত একটি ভালো ক্রেডিট স্কোর (৭০০ এর উপরে) হাউজ লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক হয়।

চাকরি বা ব্যবসার স্থায়িত্ব: যদি আপনি চাকরিজীবী হন, তবে আপনি সাধারণত ২-৩ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে।যদি আপনি ব্যবসায়ী হন, তবে আপনার ব্যবসার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের প্রতিষ্ঠা এবং আয়ের স্থায়িত্ব থাকতে হবে।

ডাউন পেমেন্ট: সাধারণত ব্যাংক সম্পত্তির মূল্যমানের ৭০-৮০% পর্যন্ত লোন দেয়। বাকি ২০-৩০% ডাউন পেমেন্ট হিসেবে দিতে হয়।

সম্পত্তি যাচাই: যে সম্পত্তির জন্য আপনি লোন নিচ্ছেন, সেটি ব্যাংক দ্বারা মূল্যায়ন এবং যাচাই করা হবে। সম্পত্তির আইনি কাগজপত্র সঠিক থাকা জরুরি।

হাউজ লোন নেওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

হাউজ লোন নিতে প্রয়োজনীয় যে সব কাগজপত্র লাগবে জনতা ব্যাংক এর ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে- Janata Bank PLC

প্রাইভেট জমির ক্ষেত্রে

  • জমির মূল মালিকানা দলিল
  • সি.এস,এস.এ, আর.এস, বি.এস ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিটি জরিপ খতিয়ানের জাবেদা নকল
  • এস.এ/আর.এস রেকর্ডিয় মালিক থেকে মালিকানা স্বত্বের প্রয়োজনীয় ধারাবাহিক দলিল
  • জেলা/সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত ১২ (বার) বছরের নির্দায় সনদ (এন.ই.সি)
  • ফ্ল্যাট ক্রয়ের রেজিস্ট্রিকৃত বায়না চুক্তি
  • ফ্ল্যাটের মালিকানা দলিল (বন্ধক প্রদানের পূর্বে)

সরকারি/লীজ জমির ক্ষেত্রে

প্লটের বরাদ্দ পত্রের ফটোকপি

দখল হস্তান্তর পত্রের ফটোকপি

মূল লীজ দলিল ও বায়া দলিলের ফটেকপি;

লীজ দাতা প্রতিষ্ঠান হতে বন্ধক অনুমতি পত্র;

ফ্ল্যাট ক্রয়ের রেজিস্ট্রিকৃত বায়না চুক্তি

ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র

ফ্ল্যাটের মালিকানা দলিল (বন্ধক প্রদানের পূবে)

এছাড়াও অন্যান্য কাগজপত্র-

  • নামজারী খতিয়ানের জাবেদা নকল, ডি.সি.আর হাল সনের খাজনা রশিদ
  • জমির মালিকানা কর্তৃক ডেভেলপারকে প্রদত্ত রেজিস্ট্রিকৃত আম মোক্তার নামা দলিল
  • ডেভেলপার ও জমির মালিক এর সাথে রেজিস্ট্রিকৃত ফ্ল্যাট বন্টনের চুক্তিপ ত্র
  • অনুমোদন পত্র সহ অনুমোদিত নকশার ফটোকপি
  • প্লটের সয়েল টেষ্ট রিপোর্ট এর ফটোকপি
  • বাড়ি নির্মাণের নকশার ফটোকপি ও ভারবহন সনদ (৬ (ছয়) তলা পর্যন্ত ভবনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের নির্ধারিত ছক মোতাবেক কমপক্ষে ৫ বছরের এবং ৭ (সাত) ও তদুর্ধ তলা ভবনের ক্ষেত্রে ১০ বছরের নির্মাণ ও ডিজাইন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন গ্রাজুয়েট সিভিল ইঞ্জিয়ার/প্রকৌশল পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ভারবহন সনদ, সনদ প্রদানকারী প্রকৌশলীকে অবশ্যই ইনষ্টিটিউশন অফ ইঞ্জিয়ারয়ার্স বাংলাদেশ এর সদস্য হতে হবে);
  • ডেভেলপার কোম্পানীর সংঘ স্মারক, সংঘবিধি ও রিহ্যাব এর নিবন্ধন সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি
  • ডিজাইন মোতাবেক কাজ করার ব্যাপারে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত আন্ডারটেকিং
  • অন্য কোন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ক্রয়তব্য ফ্ল্যাটের বিপরীতে ঋণ নাই মর্মে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ট্যাম্প পেপারে ঘোষনা পত্র
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি, বেতন সনদ পত্র, সত্যায়িত ছবি ও স্বাক্ষর

হাউজ লোন কত টাকা

সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো লোন দিয়ে থাকে  ২ কোটি টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক আবাসন নির্মাণে ‘সোনালী নীড়’ নামে গ্রামাঞ্চলে লোন দিয়ে থাকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।

আইএফআইসি ব্যাংক বাড়ি নির্মাণে ‘আমার বাড়ি’ নামে আলাদা একটি পণ্য চালু করেছে। আবাসন নির্মাণে ২ কোটি টাকা দিলেও ব্যাংকটি সেমিপাকা ভবন নির্মাণে দিচ্ছে ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।

হাউজ লোনের সুদের হার ও মেয়াদ

বেবিচ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৯%। এটি হবে সরল সুদ এবং সুদের ওপর কোনো সুদ আদায় করা যাবে না! লোন গ্রহীতা ব্যাংক রেটের সমহারে (বর্তমানে ৪%) সুদ পরিশোধ করবে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় লোনের শতকরা সুদের হার ৯%। তবে দেশের সকল বিভাগীয় ও জেলা সদর এলাকা এবং পেরিআরবান, উপজেলা সদর ও গ্রোথ সেন্টার এলাকায় সুদের হার ৭ এবং ৮%।

লোনের মেয়াদ (Period of loan)১ (এক) বছরের গ্রেস পিরিয়ড সহ সর্বোচ্চ ১৫ বছর ।

হাউজ লোন লোনের জন্য আবেদন

হাউজ লোনের জন্য আবেদন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পদক্ষেপ। যা ব্যক্তিরা তাদের স্বপ্নের বাড়ি কেনা, নির্মাণ, অথবা সংস্কার করার জন্য গ্রহণ করে। এটি মূলত একটি দীর্ঘমেয়াদী ঋণ, যেখানে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পত্তির মূল্য বা নির্মাণ খরচের একটি অংশ ঋণ হিসেবে প্রদান করে। আবেদন প্রক্রিয়া বেশ কিছু ধাপ নিচে দেওয়া হলো-

আবেদন ফরম সংগ্রহ: প্রথমে, আপনার যে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাউজ লোন নিতে চাচ্ছেন সে ব্যাংকের শাখা বা অফিসে যেতে পারেন এবং হাউজ লোনের আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন। আবেদন ফরমটি অনলাইনে ডাউনলোড ও প্রিন্ট করার অপশনও থাকতে পারে।

আবেদন ফরম পূরণ: আবেদন ফরম পূরণ করার জন্য  আপনার হাউজ লোনের তথ্য যেমন আয়, চাকরির বিবরণ, ব্যবসার তথ্য (যদি থাকে), আপনার ঋণের পরিমাণ এবং আরো  প্রাসঙ্গিক তথ্য দিতে হবে। আবেদন ফরমটি সঠিক ভাবে পূরণ করার জন্য সময় নিয়ে  এবং আপনার তথ্য গুলো অনেক যত্নশীল ভাবে প্রদান করুন।

আপনার দক্ষতা ও আয় প্রতিনিধিত্ব: আবেদন ফরম পূরণের করার পর, আপনি আপনার স্থানীয় ব্যাংকের বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের  শাখায় যেতে হবে। সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে-

  • আপনার পরিচয়পত্রের কপি
  • সঠিক সাইজের ছবি
  • হাউজ লোনের আয় প্রমাণপত্র যেমন বাড়ি নির্মাণের কাগজপত্র, বেতন স্লিপ, আয় ট্যাক্স রিটার্ন
  • ব্যাংক লেনদেনের তথ্য বা স্টটেমেন্ট

আপনার আবেদন জমা দিন: সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনি আপনার স্থানীয় ব্যাংকের বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখায় যেতে হবে এবং আপনার আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তা আপনার আবেদন পরীক্ষা করে এবং প্রয়োজন হলে আরো তথ্য অনুমোদন করতে যাচ্ছেন।

সাধারণ ভাবে, এই ধাপ গুলো অনুসরণ করে আপনি ব্যাংকের বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হাউজ লোনের জন্য সফল ভাবে আবেদন করতে পারবেন। তবে, আমি আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে ব্যাংকের নীতিমালা এবং শর্তাদি ভালভাবে পড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

হাউজ লোনের সুবিধা

ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হাউজ  লোন একটি মৌলিক অধিকার যা আপনাকে আপনার স্বপ্নগুলি সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ দেয়। এই ঋণের মাধ্যমে আপনি সফল ভাবে বাড়ি নির্মাণ ও ফ্লাট ক্রয় করতে পারবেন।

হাউজ লোনের সুবিধা গুলোর বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো-

ঋণের পরিমাণ: সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো লোন দিয়ে থাকে  ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে থাকে । এই ঋণের সাহায্যে আপনি  বাড়ি নির্মাণ ও ফ্লাট ক্রয় করতে পারবেন।

সুদের হার: ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোনের সুদের হার মাত্র ৯% যা অন্যান্য ব্যাংকের লোনের সুদের সাথে তুলনায় অনেকটাই কম। এটি আপনার আর্থিক স্থিতির উপর আপনাকে অত্যন্ত ন্যায্যতা প্রদান করে, যাতে আপনি মাসিক পরিশোধের সময় সুদে টাকা বেশি খরচ করতে না হয়।

আর্থিক সাপোর্ট: হাউজ লোন আপনাকে বড় অঙ্কের টাকা একবারে বিনিয়োগ না করেও বাড়ি কেনার সুযোগ দেয়। এটি ধীরে ধীরে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়, যা আপনার আর্থিক চাপ কমায়।

দীর্ঘমেয়াদী পরিশোধের সুযোগ: হাউজ লোন সাধারণত দীর্ঘমেয়াদে নেওয়া যায়, যা ১০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। এর ফলে আপনার মাসিক কিস্তি (EMI) তুলনামূলকভাবে কম হয় এবং আপনি আরামদায়কভাবে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন।

সম্পত্তির মালিকানা অর্জন: বাড়ি কেনার জন্য হাউজ লোন আপনাকে নিজের সম্পত্তির মালিক হওয়ার সুযোগ দেয়, যা ভবিষ্যতে স্থায়ী বিনিয়োগ হিসেবে কাজ করে। বাড়ির দাম সময়ের সাথে বৃদ্ধি পেলে, এটি একটি লাভজনক বিনিয়োগ হয়ে ওঠে।

বাজেট পরিচালনা: হাউজ লোন নিয়ে বাড়ি কিনলে বা তৈরি করলে আপনার পুরো টাকা একবারে বিনিয়োগ করতে হয় না। আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণের একটি ডাউন পেমেন্ট দিয়ে বাকি টাকা ঋণের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারেন।

নগদের প্রবাহের সুবিধা: হাউজ লোনের মাধ্যমে নগদ অর্থ আপনার হাতে থাকার সুবিধা থাকে, যা আপনি অন্যান্য বিনিয়োগ বা জরুরি খরচে ব্যবহার করতে পারেন।

সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি: বাড়ি একটি স্থায়ী সম্পদ যা সময়ের সাথে সাথে এর মূল্য বৃদ্ধি পায়। লোনের মাধ্যমে বাড়ি কেনার ফলে ভবিষ্যতে আপনি বাড়ির মূল্য বৃদ্ধির সুবিধা পেতে পারেন।

হাউজ লোন কিভাবে পাব-শেষ কথা

আমাদের আজকের আলোচনার মূল টপিক হাউজ লোন কিভাবে পাব সম্পর্কে। আপনারা যদি উপরের নিয়ম অনুসরণ করে হাউজ লোনের জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনি সহজেই প্রয়োজনীয় লোন পেতে পারেন এবং আপনার অর্থনৈতিক স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে পারে।

আজকের আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পরেন তাহলে খুব সহজেই হাউজ লোন কিভাবে পাবেন বা লোন নিতে পারবেন বিস্তারিত জানতে পারবেন। হাউজ লোনের বিষয়ে আপনাদের যদি আরো কোনো তথ্য জানার থাকে তাহলে যে ব্যাংকে আপনারা হাউজ লোন নিবেন সরাসরি সে ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url