কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়

আপনারা কি কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন বা গুগলে সার্চ দিয়েছেন? তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আজকের এ পোস্টের এর মধ্যে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত তথ্য। আশাকরি,পোস্টটি পরলে আপনি যে তথ্য সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সে সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়

উন্নত জীবনমান, চাকরি ও পড়াশুনার করার জন্য কানাডা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি জনপ্রিয় দেশ। জীবনযাত্রার মানের বিবেচনায় কানাডা অবস্থান শীর্ষ বলে বিবেচনা করা হয়। কানাডা বিশ্বের অভিবাসিদের এক নাম্বার পছন্দনীয় দেশ হিসেবে এরই মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। আয়তনের তুলনায় দেশটিতে জনসংখ্যা কম এবং রাজনৈতিক বন্ধুত্বপূর্ণ সংস্কৃতির কারণে সেখানে বসবাসকারীরা নিরাপদ ও সুখী জীবনযাপন করেন। এজন্য পৃথিবীর বহু দেশ থেকে মানুষ কানাডা যাওয়ার চেষ্টা করে।

বর্তমানে অনেক উন্নত দেশ আছে যে দেশ গুলো থেকেও অনেক মানুষ কানাডায় অভিবাসী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন পূরণের জন্য  অনেক সময় অবৈধ উপায় অনুসরণ না করার অভাবে নানা ধরনের  হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হয়। তবে অবৈধ পথে না গিয়ে বৈধ ভাবে কানাডা যাওয়ার নানা উপায় রয়েছে। কারণ এখন বৈধ ভাবে বাংলাদেশিদেরও কানাডা যাওয়ার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে।

কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়

বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের স্বপ্ন কানাডায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করা। অভিবাসীদের দেশ কানাডা প্রতি বছর গড়ে ৩ লাখ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য থাকে। কিন্তু বেশ কিছু আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যায় সঠিক ভাবে আবেদন পত্র পূরণের অভাবে এবং প্রকৃত ডকুমেন্ট প্রদান না করার কারণে। আজ আমরা জানব কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় ও আবেদনপত্র করতে হলে কী কী ডকুমেন্ট লাগবে।

কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য মূলত সঠিক ভাবে ভিসা আবেদন  ফরম পূরণ করতে হবে ও সকল ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কানাডার ভিসা পাওয়ার জন্য আমদের যে বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে তা নিচে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো-

সবার আগে একটি বিষয় পরিষ্কার করে বলা ভালো তা হলো নামের বানান। কারণ আমাদের দেশে অনেক মানুষের নামের বানান একেক জায়গায় একেক ধরনের হয়ে থাকে। তেমনি আমাদের নামের বানানে অনেক অসঙ্গতি থাকে। কারো নামের শুরুতে এক জায়গায় শুধু মোহাম্মদ  থাকে আবার অন্য জায়গায় মোহাম্মদ থাকে না বা নামের মধ্যে স থাকে আবার অন্য জায়গায় শ থাকে ।

তাই সব ডকুমেন্ট একই ধরনের বানান থাকা উচিত। কেননা নামের বানান একই ধনের না  হলে আপনার আবেদন পত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আবার শুধু নিজের নাম না বাবা-মায়ের নামের বানানও সব জায়গায় এক ধরনের থাকা জরুরি।

কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা

  • যে ব্যক্তি মূলত আবেদন করবেন তার এবং তার ডিপেন্ডেড (স্বামী/স্ত্রী, সন্তান)-এর মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট।
  • আবেদন প্রক্রিয়া চলার সময় কমপক্ষে পাসপোর্টের মেয়াদ ৬ মাস থাকতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া চলার মাঝে মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৬ মাস আগে পাসপোর্ট রিনিউ করে নিতে হবে।
  • জন্মনিবন্ধন হতে হবে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রকৃত জন্মনিবন্ধন।
  • আর ১৮ বছরের উপরের হলে ভোটার আইডি কার্ড অথবা ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে।
  • বিবাহিতদের জন্য Marriage Certificate এবং নিকাহনামা থাকতে হবে।
  • প্রতিটি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এবং মার্কশিট ক্রেডিনশিয়াল করতে হবে। আর এ ক্রেডিনশিয়াল করার গাইড লাইন কানাডার ইমিগ্রেশনের সরকারি ওয়েবসাইটে (http://www.cic.gc.ca/) দেয়া আছে।
  • আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যান তাহলে আপনাকে ওঊখঞঝ-এর একাডেমিক পরীক্ষা দিতে হবে ও IELTS স্কোরের সার্টিফিকেট দিতে হবে। আর প্রায় অন্য সব ভিসার জন্য আপনাকে IELTS জেনারেল দিতে হবে।
  • আপনি যদি ওয়ার্ক ভিসায় যেতে চান তাহলে এক্সপেরিয়েন্স  গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। যেমন, আপনার যদি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তবে প্রতিটির কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতার সনদপত্র জোগাড় করতে হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনার নিজ থানার মাধ্যমে দরখাস্ত করতে হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কানাডিয়ান সরকারি ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন দেয়া আছে তা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।
  • ভিসার জন্য আপনাকে সেটেলমেন্ট ফান্ড ব্যাংকে দেখাত হবে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে টাকার পরিমাণ কম বেশি হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে যে টাকার কথা বলবে সেই পরিমাণ টাকা ব্যাংকে থাকতে হবে। তা না হলে এ টাকা বিভিন্ন ভাবে থাকতে পারে যেমন ফিক্স ডিপোজিট, সঞ্চয়পত্র, চলতি হিসাব, প্রভিডেন্ট ফান্ড, শেয়ারবাজার ইত্যাদি। বাড়তি হিসেবে আপনাদের সোনা-গহনা, নিজ নামে বা স্পাউসের নামে সম্পত্তি থাকলে তা দেখাতে পারেন।

এছাড়াও আপনি যদি ফেসবুক ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন তাহলে  কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগ ঘাঁটাঘাঁটি করবে। সে ক্ষেত্রে আপনার দেয়া তথ্য গুলোর সঙ্গে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলের পার্সোনাল ইনফরমেশন গুলোর মিল অবশ্যই থাকতে হবে।

কানাডার ভিসার জন্য আবেদন 

কানাডা সরকারের অভিবাসন এবং নাগরিকত্ব বিষয়ক পোর্টালে কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কানাডিয়ান ভিসার জন্য আপনি যে ধরনের ভিসা আবেদন করবেন সে রিলেটেড কাগজপত্র দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করার পর ভিসার ধরনের ওপর নির্ভর করে বায়োমেট্রিক্স প্রদানের জন্য ঢাকায় কানাডিয়ান হাইকমিশনে আপনাকে যেতে হবে।

কানাডার ভিসা অনলাইনে আবেদন করার জন্য-

  • IRCC, কানাডার ইমিগ্রেশন, রিফিউজিস অ্যান্ড সিটিজেনশিপ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
  • আপনার নিজের প্রোফাইল তৈরি করে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
  • এর সাথে যে ধরনের ভিসা করবেন তার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে।
  • ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে। (ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ইত্যাদি দিয়ে)।
  • অনলাইন আবেদন জমা দেওয়ার পর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আপনার বায়োমেট্রিক দিতে হবে (ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি) যা আপনার নিকটস্থ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে করতে হবে। ইন্টারভিউয়ের জন্যও ডাক পড়তে পারে।

কানাডা ভিসা প্রসেসিং টাইম

কানাডা ভিসা প্রসেসিং টাইম বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আবেদনকারী ভিসা আবেদন অনলাইনে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে পারে। একবার কানাডা ভিসার আবেদন অনলাইনে পূরণ করা হয় ওয়েবসাইট, আপনার পরিচয় যাচাই করার জন্য এটি ইমিগ্রেশন, রিফিউজিস এবং সিটিজেনশিপ কানাডা (IRCC) দ্বারা যাচাই করা হয়।

মূলত বেশি ভাগ কানাডা ভিসা আবেদন করার 24 ঘন্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ও কিছু ক্ষেত্রে 72 ঘন্টা পর্যন্ত সময় নিতে পারে। তবে অনেক সময় কানাডা ভিসা অনলাইনের সিদ্ধান্ত আপনাকে দেওয়া ইমেল ঠিকানার মাধ্যমে জানানো হয়। আর ভিসা প্রসেসিং সময় ২০ থেকে ২৫ কর্ম দিবস হয়ে থাকে।

কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি

কানাডার সরকারের বিভিন্ন ধরনের অভিবাসন কর্মসূচি রয়েছে। সেখান থেকে আপনি যে ভিসা করতে চাচ্ছেন তার সাথে মিলে রেখে ভিসার একটি ধরন বেছে নিতে হবে। এর জন্য আজকের আরটিকেলে আপনাকে কয়েক ধরনের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত জানানো হবে। যাতে করে আপনি ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের কাগজপত্র প্রস্তুত করতে পারেন।

কানাডা সরকার মূলত কয়েক ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে-

  • ভিজিট ভিসা
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ভিসা

আপনি কানাডায় কেন যেতে চান তার ওপর নির্ভর করে ওপরের যেকোনও একটি ধরন বেছে নিতে পারেন।

কানাডার ভিজিট ভিসা 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং উচ্চ-আয়ের বেশির ভাগ দেশের নাগরিকদের কানাডায় যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না। তবে অন্যান্য দেশের বেশির ভাগ বিদেশিকে কানাডার সরকারের ওয়েবসাইট থেকে অবশ্যই একটি ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) সংগ্রহ করতে হবে। যা আপনি অনলাইনে আবেদন করার পর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে পেতে পারেন।

কানাডা ভ্রমণে যাওয়ার জন্য আপনার ভিসার প্রয়োজন আছে কিনা তা এই ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারেন। কানাডার ভ্রমণ ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে যা দেখাতে হবে-

ভ্রমণের পুরো সময় জুড়ে আপনার ব্যয় নির্বাহ করার সক্ষমতা থাকতে হবে।

ভ্রমণ শেষে কানাডা ত্যাগ করার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

আপনি যদি প্রথমবার কানাডার ভিসা করার জন্য আবেদন করেন তাহলে অবশ্যই বায়োমেট্রিক্স জমা দিতে হবে। যা কানাডিয়ান কনস্যুলেট অথবা হাইকমিশনে গিয়ে দেওয়া যাবে।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাবেন কী ভাবে? প্রত্যেক বছর কানাডা সরকার লাখ লাখ মানুষকে দেশটিতে কাজের সুযোগ দেয়। ২০২১ সালে কানাডার সরকার এক ঘোষণায় বলেন, আগামী তিন বছরে কানাডায় অন্তত ১২ লাখ বিদেশি কর্মী কাজের সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশ থেকেও অনেকে দেশটিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন। 

কানাডা ভ্রমণে যাওয়ার জন্য আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন আছে কিনা তা এই ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারেন। কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে যা দেখাতে হবে-

প্রথমে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য কাজের সন্ধান করতে হবে। যদি আপনার ভাগ্য ভালো হয় তাহলে ভালো কোনও নিয়োগ কর্তার সন্ধান পেতে পারে্ন। আপনার দক্ষতা আর অভিজ্ঞতার সাথে মিলে যায় এমন কোনও কাজ পেলে কানাডার নিয়োগ কর্তাই আপনার জন্য ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবস্থা করবেন।

আপনার কাছাকাছি এলাকায় কোনও নিয়োগকারী সংস্থাকে খুঁজুন। যারা আপনাকে কানাডায় কাজ খুঁজে পেতে সহায়তা করতে পারে। তবে অত্যন্ত সাবধানতার সাথে যাচাই-বাছাই করে নিয়োগকারী সংস্থার দ্বারস্থ হতে হবে। এই কাজের সময় অনেকে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণারও শিকার হয়ে থাকেন।

আবার কানাডার সরকার এর কর্মসংস্থান প্রকল্প আছে এখানে চাইলে আবেদন করতে পারেন। কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে  অনেক সময় চাকরি ব্যতিত কানাডার ভিসা পাওয়া যায়।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা

প্রথমত আপনাকে কানাডার যে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করতে হবে। আপনাকে সে সব বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোঁজ করতে হবে। যেখানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার করার সুযোগ রয়েছে।

এরপরে আপনার জন্য কানাডার সরকারের স্টাডি পারমিটের দরকার হবে। এই স্টাডি পারমিট কানাডায় অবস্থানের জন্য আপনার শিক্ষার্থী ভিসা হিসাবে কাজ করবে। এছাড়াও আপনার যদি কানাডীয় গবেষণার লাইসেন্স থাকে অথবা পুনরায় পড়াশোনা শুরু করতে চান, তাহলে গবেষণার লাইসেন্স পুনঃনবায়ন অথবা আবার পড়াশোনা শুরু করার জন্য আবেদন করতে পারেন।

কানাডার পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ভিসা

আপনি যদি কানাডায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে চান তাহলে পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে আর আপনাকে কিছু বিষয় প্রদর্শন করতে হবে। এর জন্য কানাডার যেখানে বসবাস করতে চান, সেখানকার কর্তৃপক্ষ আপনার কাজের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার মাধ্যমে কী ভাবে উপকৃত হবে, সে বিষয় উপস্থাপন করতে হবে।

এছাড়াও আপনার পরিবারের কোন সদস্য যদি আগে থেকেই কানাডায় বসবাস করে তাহলে তার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য স্থায়ী বসবাসের অনুমতির আবেদন করতে পারেন। আপনি কানাডায় গিয়ে নতুন করে ব্যবসা শুরু অথবা সফল ব্যবসা চালাতে চান বলেও উল্লেখ করতে পারেন। স্থায়ী বসবাস করার আবেদন করার জন্য আপনাকে কানাডায় কোন চাকরি খুঁজতে হবে না।

অনলাইনে পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া শেষে করতে হলে আপনাকে অপেক্ষার প্রহর গুণতে হবে। আপনি যদি কানাডায় স্থায়ী ভাবে বসবাসের যোগ্য হন, তাহলে দেশটির সরকার আপনাকে একটি কার্ড দেবে। যা পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট বা পিআর কার্ড নামে পরিচিত।আর এই কার্ড পাওয়ার পর আপনি যখন কানাডায় যাবেন, তখন সেখানকার কর্মকর্তাদের কাছে আপনাকে এই কার্ড ও পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।

এছাড়াও বিদেশিরা কানাডায় যাওয়ার জন্য যোগ্য কি না? তা যাচাই করে দেখার জন্য দেশটির সরকার একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। সেখানে দেখবেন বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন ও তার জবাব দেওয়া আছে। আপনার যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সাথে মিল আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাব দিয়ে আপনি চাইলে নিজেকে যাচাই করে দেখতে পারেন।

কানাডা যাওয়ার খরচ কত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর ভিজিট, স্টুডেন্ট, ওয়ার্ক পারমিট ও পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ভিসা ভিসায় হাজার হাজার মানুষ কানাডা পাড়ি জমাচ্ছে। কানাডা ভিসার ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে নিচে তা দেওয়া হলো-

  • ভিজিট ভিসা:  আপনি যদি ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে চান তাহলে সবমিলিয়ে সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ হবে।
  • স্টুডেন্ট ভিসা: স্টুডেন্ট ভিসাতে বা পড়াশোনা জন্য কানাডা যেতে ন্যূনতম ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগে। তবে স্কলারশিপ পেলে এর থেকেও কম টাকা লাগতে পারে।
  • ওয়ার্ক পারমিট: ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা যেতে ন্যূনতম ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা লাগবে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এর থেকেও কম টাকা খরচ হয়।
  • পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ভিসা: পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ভিসা নিয়ে যদি কানাডা যেতে চান ন্যূনতম ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগে। তবে পরিবারের কেউ থাকলে কিছু কম টাকা লাগতে পারে।

কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়-শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন কানাডার ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য। আপনারা যদি কানাডার ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে এ নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন করলে খুব সহজেই কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোষ্ট পড়েছেন এবং আপনার ভালো লেগেছে। আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আশেপাশের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দিন।আর এমন মজার মজার পোস্ট পড়তে প্রতিদিন আমাদের ওয়েবসাইট এ ভিজিট করুন। ধন্যবাদ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url