ফ্রি টাকা ইনকাম | ফ্রি টাকা ইনকাম apps

আপনারা কি ফ্রি টাকা ইনকাম বা ইনকাম করার অ্যাপ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।কারন এ পোস্টটি এর মধ্যে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি কি ভাবে অ্যাপ দিয়ে সহজেই ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়। আশা করি আপনাদের কাছে ভাল লাগবে ও ফ্রি টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন ।

ফ্রি টাকা ইনকাম

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অনলাইন থেকে অ্যাপ দিয়ে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে চান। কিন্তু সঠিক অ্যাপ খুঁজে না পাওয়ার জন্য আপনাদের টাকা ইনকামের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। আবার অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের অ্যাপে কাজ করে প্রতারিত হয়ে থাকেন। তাই আপনাদের স্বপ্ন পূরণ ও কাজ করে যেন প্রতারিত না হন সে জন্য আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে ফ্রি টাকা আয় করার অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো।

ফ্রি টাকা ইনকাম 

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারেন। কিন্তু আপনাকে ইনকাম করার জন্য সঠিক পদ্ধতি ও কৌশল জানতে হবে। এখনকার সময়ে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, এবং এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা উপার্জন করতে পারি।

নিচের নিম্নলিখিত পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে একটু ধৈর্য্য ধারণ করে কাজ করলেই প্রতি মাসে ভালো মানের আপনার টাকা আয় করতে পারবেন।

আর্টিকেল রাইটিং করে আয়

Bloggers এবং Webmasters মালিকরা সব সময়ই তাদের ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের জন্য নতুন এবং SEO যুক্ত আর্টিকেল খোজ করে থাকেন। এক জন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার (article writer) হওয়ার জন্য আপনার ভালো লেখালেখির দক্ষতা থাকতে হবে এবং বিভিন্ন  ব্লগ বা ওয়েবসাইটের আর্টিকেল গুলো প্রচুর পরিমাণে পড়তে হবে।

অনলাইনে আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে কোন ধরনের ইনভেস্টমেন্ট এর দরকার হবে না। নিচের ওয়েবসাইট গুলোতে আর্টিকেল লিখে আপনারা টাকা আয় করতে পারবেন-

  • Fiverr
  • Upwork
  • Freelancer

আপনার আর্টিকেলের quality বা মানের উপর নির্ভর করে প্রতিটি আর্টিকেল লেখার বিনিময়ে আপনি ২ থেকে ২০ ডলার আয় করতে পারবেন। যখন আপনি কোন বায়ার বা ক্লায়েন্টের সাথে ডিল করবেন সে সময় আপনাকে আর্টিকেলের মান কেমন হবে , শব্দ সংখ্যা, নিশ (niche) ইতাদি বিষয় সম্পর্কে আপনাকে  জানিয়ে দেওয়া হবে।

ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার, কনটেন্ট রাইটার, ওয়েব ডিজাইনার, ভিডিও এডিটর বা অন্য কোনো কাজে expert হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

একজন ফ্রিলান্সার হিসেবে কাজ করলে আপনি নিজেই নিজের boss এবং আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন সময়ে যে কোন জায়গা থেকে কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমে Freelancer, Upwork, Fiverr, PeoplePerHour ইত্যাদি যেকোনো একটি ওয়েবসাইটে নিজের profile তৈরি করতে হবে। এরপর আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজ খুঁজতে হবে।

ভিন্ন ভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর ভিন্ন ভিন্ন payment system এবং terms and conditions রয়েছে। এ গুলো ভালো ভাবে পড়ে ও বুঝে আপনাকে কাজ করার জন্য একটি freelancing platform বাছাই করে নিতে হবে।

যেমন, Pro Tip: ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে আপনার প্রোফাইলটিকে সুন্দর ভাবে সাজাতে হবে। কোন একটি কাজ সম্পন্ন করার পর ক্লায়েন্টকে আপনার প্রোফাইলে সুন্দর রিভিউ দেওয়ার জন্য বলতে  হবে। কারণ ভালো রিভিউ ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে একজন reputed freelancer হয়ে উঠতে আপনাকে অধিক সাহায্য করবে।

ব্লগিং করে ইনকাম

যদি আপনি লেখালেখি করতে অধিক পছন্দ করেন তাহলে ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনার জ্ঞান, চিন্তা-ভাবনা, আবেগ, অনুভূতি লোকদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।এতে আপনার শখ পূরণ করার পাশাপাশি অনলানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি online blog তৈরি করে নিতে হবে। আপনি Blogger ব্যবহার করে সহজেই একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করে নিতে পারবেন।

ফ্রি ব্লগ তৈরি করে কিভাবে আয় করবেন-

একটি ব্লগ বানানোর পর আপনার ব্লগে ভালো মানের আর্টিকেল publish করতে হবে। আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন বা যে বিষয়ের উপর আপনার ভালো জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেই বিষয় নিয়ে আপনার ব্লগে লেখালেখি করতে পারেন।

তারপর যখন আপনার ব্লগে প্রতিদিন ৪০০-৮০০ জন organic traffic / visitors আসা শুরু হবে, তখন আপনি ব্লগ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।সাধারণত একটি ব্লগ থেকে ইনকাম শুরু হওয়ার জন্য ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। তবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কতটুকু সময় দিচ্ছেন এবং কিরকম পরিশ্রম করছেন।

মজার ব্যাপার হলো, এক বার যদি ব্লগ থেকে একবার আয় হওয়া শুরু হয়ে গেলে এ ভাবে আপনার আয় হতেই থাকবে এবং দিন দিন আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় 

বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার একটি সেরা এবং জনপ্রিয় উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এর মাধ্যমে আপনি কোন ইনভেস্টমেন্ট না করেই ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেমন: ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদির মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট লিংকের প্রোমোশন করে ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কোনো কোম্পানি বা ব্রান্ড এর প্রোডাক্টের লিংক আপনার ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। যখন কেউ সেই লিংকে ক্লিক করে প্রোডাক্টটি ক্রয় করবে, তখন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি কমিশন পাবেন। বিশ্ব বাজারে ভিন্ন ব্লগাররা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর দ্বারা ঘরে বসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন।

Fiverr থেকে আয় 

ফ্রি টাকা অনলাইন ইনকাম করার জন্য ফাইভার হলো একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস (freelancing marketplace) এই ওয়েবসাইটে আপনি যে কোন ধরনের কাজ পেতে পারবেন যে গুলো করার বিনিময়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ফাইভারের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার প্রক্রিয়া খুবই সহজ। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করে আয় করতে পারেন। এরকম অনেক সফল (successful) মানুষ জন রয়েছেন, যারা ফাইভার এ কাজ করার মাধ্যমে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করছেন।

যদি আপনি ফাইভার মার্কেটপ্লেসে ব্রাউজ করে দেখেন, তাহলে অনেক গুলো কাজের আইডিয়া পেয়ে যাবেন। এরপর আপনি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করা শুরু করার প্রস্তুতি নিতে পারবেন।ফাইভার থেকে আয় করার জন্য আপনাকে কোনো ধরনের ইনভেস্ট করতে হবে না। এটা ফ্রিতে অনলাইনে ইনকামের একটি অন্যতম উপায় হিসেবে বিবেচিত।

অনলাইন সার্ভে করে আয়

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার জন্য সার্ভে করা সহজ অনলাইন কাজ গুলোর মধ্যে একটি। এর মাধ্যমে আপনি দ্রুত অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।আপনি যদি আপনার মতামত প্রকাশ করতে আগ্রহী হন, তাহলে অনলাইন সার্ভেতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

সার্ভে করে আয় করার জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি অনলাইন জরিপ সাইটে নিবন্ধন করতে হবে। এসব সাইটে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আগ্রহের বিষয় ইত্যাদি প্রদান করতে হবে।

এরপর আপনি বিভিন্ন কোম্পানির পেইড সার্ভেতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সার্ভেতে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রশ্ন গুলো সাধারণত আপনার পছন্দ, মতামত, ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সম্পর্কিত।প্রতিটি সার্ভে সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে আপনি ০.৫ ডলার থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

কিছু জনপ্রিয় পেইড সার্ভে ওয়েবসাইট হলো-

Swagbucks

InboxDollars

Survey Junkie

Survey Monkey

ট্রান্সলেশন সার্ভিস দিয়ে আয় 

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে অনুবাদ পরিষেবা প্রদান করে আয় করুন। এক ভাষা থেকে অন্য ভষায় অনুবাদ করার মাধ্যমে অনলাইনে আয় করা যায় এটা বেশির ভাগ লোকেরাই জানে না। এখানে আপনাকে একটি ভাষাতে লেখা বা অডিওকে অন্য ভাষাতে অনুবাদ করতে হবে।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে অনুবাদ লিখে অনুসন্ধান করেন, তাহলে এই বিষয়ক কাজের আইডিয়া পেয়ে যাবেন। শুধুমাত্র ট্রান্সলেশন সার্ভিস প্রদান করেই অনেক ফ্রিলান্সার প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন।

তাই অনলাইনে ফ্রি টাকা আয় করার জন্য ট্রান্সলেশন এর কাজ  আপনি বেছে  নিতে পারেন। কোন ধরনের খরচ ছাড়াই ট্রান্সলেশন সার্ভিস প্রদানের কাজ আপনারা শুরু করতে পারবেন।

ফ্রি টাকা ইনকাম apps

ফ্রি টাকা ইনকাম করার অ্যাপস অনেক গুলোই আছে কিন্তু তাদের বৈধতা ও বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন উঠে।তাই কিছু জনপ্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য অ্যাপস যে গুলো ব্যবহার করে আপনি আয় করতে পারবেন সে গুলো হলো-

  • Swagbucks 
  • Alamy 
  • Fiverr 
  • Upwork 

  • Small worker 
  • Facebook 
  • Youtube
  • Tittok
  • Telegram
  • FanFare 

 ফ্রি টাকা আয় করার অ্যাপ গুলোর বিস্তারিত তথ্য-

Swagbucks অ্যাপ

Swagbucks একটি জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যা বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে অর্থ আয় করার সুযোগ দেয়। এটি মূলত একটি পুরস্কার ভিত্তিক সাইট যেখানে আপনি বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে পয়েন্ট (যাকে SB বলা হয়) অর্জন করতে পারেন। এরপর আপনি সেই পয়েন্ট গুলো নগদ অর্থ বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করতে পারবেন। Swagbucks app এর কাজ গুলো হল-

  • Survey পূরণ করা
  • ভিডিও দেখানো
  • অনলাইন শপিং করা 
  • গেম খেলা
  • কোড ইনপুট করা

Alamy অ্যাপ

একটি স্টক ফটোগ্রাফি সাইট যা ফটোগ্রাফারদের এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের তাদের ছবির মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দেয়।Alamy-তে সফল ভাবে আয় করতে হলে সময় ও ধৈর্য প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু নিয়মিত ও উচ্চমানের ছবি আপলোড করার মাধ্যমে আপনার আয়ের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আপনি যদি Alamy ব্যবহার করে আয় করতে চান, তবে আপনাকে নিচের পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করতে হতে পারে:

  • ফটোগ্রাফি ও ছবি তোলা
  • ছবি আপলোড করা
  • ছবির বর্ণনা ও ট্যাগ
  • কোয়ালিটি কন্ট্রোল 
  • মেটাডেটা এবং ট্যাগিং 
  • ছবির কাস্টমাইজেশন

Fiverr অ্যাপ

Fiverr হল একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আয় করতে পারেন।Fiverr কাজ করার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং নিয়মিত গিগ তৈরি করে পাবলিশ করতে হবে।

Fiverr: এ সাধারণত যে কাজ গুলো পাওয়া যায় তা হলো:

  • প্রোগ্রামিং
  • ডাটা এন্ট্রি
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • লোগো ডিজাইন
  • ব্যানার ডিজাইন

Fiverr এ কাজ করে আয় করতে কিছু সময় লাগতে পারে, কিন্তু সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরিশ্রম দিয়ে আপনি সফল হতে পারেন।

Upwork অ্যাপ

Upwork একটি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিভিন্ন প্রকারের কাজ পাওয়া যায়। এখানে ক্লায়েন্টরা তাদের প্রজেক্ট বা কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করতে পারেন এবং ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কাজ পেতে পারেন।

Upwork-এ সাধারণত যে কাজ গুলো পাওয়া যায় তা হলো:

  • লেখা ও কনটেন্ট ক্রিয়েশন
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • মার্কেটিং এবং SEO
  • ডেটা এন্ট্রি 
  • ভিডিও এডিটিং এবং অ্যানিমেশন

আপনি যদি Upwork-এ কাজ করতে চান, তবে আপনাকে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে, যেখানে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং পূর্বের কাজের নমুনা উল্লেখ থাকবে। তারপর আপনি বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য বিড করতে পারেন, এবং ক্লায়েন্টদের থেকে কাজ পাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

small worker অ্যাপ

Small Worker একটি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যা মূলত ছোট ছোট কাজ বা টাস্ক সম্পাদনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।Small Worker প্ল্যাটফর্মে কাজ করার জন্য সাধারণত আপনাকে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে, যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা উল্লেখ করবেন। এছাড়া, আপনি বিভিন্ন টাস্কের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

প্রত্যেকটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়, যা আপনি কাজ সম্পন্ন করার পর আয় হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন। 

এখানে কাজ করার কয়েকটি প্রধান ধরনের কার্যক্রম রয়েছে:

  • ডেটা এন্ট্রি
  • অনলাইন সার্ভে ও মার্কেট রিসার্চ:
  • লেখালেখি ও কনটেন্ট ক্রিয়েশন:
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল মার্কেটিং

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার জন্য আমরা বেশ কিছু অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। তবে মনে রাখতে হবে যে এই ধরনের অ্যাপ গুলোর মধ্যে কিছু বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।কারণ কিছু অ্যাপ আছে যে গুলো মানুষকে  ফাঁকি দিয়ে থাকে।কিন্তু যে কোনো অ্যাপ ব্যবহার করার আগে, তার রিভিউ এবং রেটিং দেখে নেওয়া উচিত এবং যে কোন ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার আগে সতর্ক থাকুন।

Facebook অ্যাপ

বর্তমানে সময়ে প্রায় সকলের স্মার্ট ফোনেই ফেসবুক অ্যাপ রয়েছে।প্রতিনিয়ত আমরা কিছু অবসর সময় পেলেই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনারা ফেসবুকের এ বিষয়টি জানলে অবাক হবেন। ফেসবুকে শুধু মাত্র পোস্ট করা, কমেন্ট পড়া বা ভিডিও শেয়ার করার জন্য নয়।

আপনি চাইলে ফেসবুকের থেকে ইনকাম করা, ব্যবসা পরিচালনা করা সহ আরোও অনেক কাজ করতে পারবেন।কিন্তু ফেসবুক অ্যাপে সরাসরি টাকা ইনকাম করার কোনো অফিসিয়াল সুবিধা নেই।তবে কিছু পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এখানে কয়েকটি পদ্ধতির উল্লেখ করা হলো:

ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ থেকে আয়:  Facebook অ্যাপ থেকে ফ্রিতে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে একটি Verified ফেসবুক একাউন্ট খুলতে হবে। কারন অন্যের নাম দিয়ে বা শুধু নাম্বার অথবা জিমেইল দিয়ে খোলা ফেসবুক একাউন্ট গুলো থেকে শুধু মাত্র সাময়িক সময়ের জন্য আয় করা গেলেও দীর্ঘ সময় আয় করা সম্ভব হবে না। তাই একটি ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্ট থাকলে সব থেকে ভালো হয়। 

আর এ ভেরিফাইড একাউন্ট এর অধীনে পেজ বা গ্রুপ তৈরি করতে হবে ।এরপর সেই পেজ বা গ্রুপের যে কোনো ধরনের ভিডিও তৈরি করে সে গুলো নিয়মিত আপলোড করতে হবে।যেমন রান্না করতে পারলে রান্নার ভিডিও, ভালো ড্রইং করতে পারলে ড্রইং ভিডিও, নাচতে বা গাইতে পারলে এর ভিডিও করে আপলোড দিতে পারেন

এ ভাবে করে কয়েক দিন নিয়মিত ভিডিও আপলোডের পর একটা সময় দেখবেন আপনার পেজটির ফলোয়ার সংখ্যা বাড়বে এবং মনিটাইজেশনের জন্য উপযুক্ত হবে।ঠিক সে সময় ফেসবুক মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে হবে। আর এক বার মনিটাইজেশন পেয়ে যান তাহলে , আপনি বিজ্ঞাপন বা স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আপনার পেজ বা গ্রুপে তাদের পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য আপনাকে টাকা দিতে পারে।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস আয়: ফেসবুকের মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এটি আপনাকে সরাসরি আপনার পণ্যের বিক্রি থেকে আয় করতে সাহায্য করবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আয়: আপনি আপনার ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইলে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করে আয় করতে পারেন। যখন আপনার অনুসারীরা সেই লিঙ্কের মাধ্যমে কিছু কিনবে আপনি সেই কমিশন গুলোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। 

আপনার যদি কনটেন্ট বা পণ্য বিক্রি করার পরিকল্পনা থাকে, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ফেসবুকের নীতিমালা অনুসরণ করা উচিত এবং সব সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অনলাইন আয়ের ক্ষেত্রে প্রতারণামূলক প্রস্তাব বা স্ক্যামের প্রতি আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে ।আর ফেসবুক অ্যাপ থেকে উপার্জন করা টাকা আপনি আপনার ব্যাংক অথবা ক্রেডিট কার্ড কিংবা মাস্টারকার্ডে উইড্র করতে পারবেন। যে গুলা সরাসরি আপনার হাতে পৌঁছাবে।

YouTube অ্যাপ

Facebook এর মতই ইউটিউব থেকেও ইনকাম করা সম্ভব।আর কোন ধরনের টাকা ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া আপনি চাইলেই YouTube থেকে ফ্রিতে টাকা আয় করতে পারবেন। YouTube এ আয় করার জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় পদ্ধতি আছে। এখানে কিছু মূল পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো:

ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম: ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে আপনি আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে-

1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম (যারা আপনার ভিডিও দেখেছে) পূরণ করতে হবে।

YouTube এর নীতিমালা ও নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনার ভিডিওতে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের রিভিউ বা রেফারেন্স দিয়ে অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারেন। যদি কেউ আপনার লিংক দিয়ে কিনে, আপনি কমিশন পাবেন।

স্পনসরশিপ: আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা কোম্পানি আপনার ভিডিওতে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচারের জন্য আপনাকে স্পনসরশিপ অফার করতে পারে।

ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন: ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবাররা বিজ্ঞাপন মুক্ত ভিডিও দেখতে পারে এবং আপনি তাদের সাবস্ক্রিপশন ফি থেকে কিছু আয় করতে পারেন।

চ্যানেল সদস্যপদ: আপনার চ্যানেলে সদস্যপদ (Membership) চালু করে চ্যানেলের বিশেষ কনটেন্ট বা সুবিধা প্রদান করতে পারেন। আপনার সাবস্ক্রাইবাররা মাসিক সদস্যপদ ফি প্রদান করে এই সুবিধাগুলি লাভ করতে পারে।

সুপারচ্যাট এবং সুপার স্টিকার লাইভ: স্ট্রিমিং এর সময় আপনার দর্শকরা সুপারচ্যাট বা সুপার স্টিকার কিনে আপনার ভিডিওতে হাইলাইট করতে পারে, যা থেকে আপনি আয় করতে পারেন।

কোর্স বা অন্যান্য পণ্য বিক্রি: আপনার বিশেষজ্ঞতা অনুযায়ী অনলাইন কোর্স, ইবুক, অথবা অন্যান্য ডিজিটাল পণ্য তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।

কী ভাবে কাজ শুরু করবেন:

  • ভালো কনটেন্ট তৈরি করুন: দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয় ও মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
  • SEO ও মার্কেটিং: ভিডিওর টাইটেল, ট্যাগ, এবং ডেসক্রিপশনে সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
  • নিয়মিত আপলোড: নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করলে আপনার দর্শক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
  • দর্শকদের সাথে যোগাযোগ: কমেন্টস এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
  • ধৈর্য্য ধারন:  ইউটিউবে আয় করার জন্য ধৈর্য্য ও সময় প্রয়োজন, তবে সঠিক পরিকল্পনা এবং পরিশ্রম করলে আপনি সফল হতে পারেন।

Tiktok অ্যাপ

Tiktok অ্যাপটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। বর্তমান সময়ের স্মার্ট ফোন ব্যবহার করছে অথচ জীবনে একবারও Tiktok অ্যাপটি ইন্সটল করেননি বা Tiktok এ ভিডিও দেখেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন।আমরা অনেকেই জানি টিকটক শুধু মাত্র এন্টারটাইমেন্ট এর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।

কিন্তু বর্তমান সময়ে Tiktok কোম্পানি তার ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটক টাকা ইনকামের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।বর্তমানে Tiktok থেকে যে কেউ চাইলে পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ হয়ে  ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। টিকটক থেকে যে ভাবে টাকা ইনকাম করবেন। টিকটক থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম করার জন্য প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনার স্মার্ট ফোনে টিকটক অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে।

তারপর অ্যাপটি যখন ইনস্টল হয়ে যাবে অ্যাপটি ওপেন করে আপনার জিমেইল বা ফোন নাম্বার দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।এবার ফেসবুক পেজের মতো একই ভাবে আপনি Tiktok এ ভিডিও আপলোড করবেন। আপনি চাইলে একই কন্টেন্ট বা একই ভিডিও টিকটক এবং ফেসবুক পেইজে আপলোড করতে পারেন তবে টিকটকে সাধারণত ১ মিনিটের ভিডিও গুলো বেশি ভিউ পায়।কারণ টিকটক হল একটি শর্ট ভিডিও প্লাটফর্ম তাই চেষ্টা করুন টিকটক এ শর্ট ভিডিও আপলোড করার।

এভাবে Tiktok এ নিয়মিত নিজের তৈরি করা শর্ট ভিডিও গুলো আপলোড করার পর আপনি চাইলে টিকটক মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারেন ।মনিটাইজেশন এর আবেদন করার জন্য আপনার কিছু নিয়ম মানতে হবে।যেমন,

  • আপনাকে 18 বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে।
  • আপনার 1000 ফলোয়ার এবং 10000 ভিডিও ভিউ হতে হবে গত 30 দিনে।
  • TikTok এর সম্প্রতি চালু করা ব্র্যান্ড নিউ গাইড লাইনস মেনে চলতে হবে।

এ ভাবে মনিটাইজেশন হয়ে গেলে আপনি টিকটক থেকে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।আর এছাড়াও আপনি চাইলে  টিকটক এ কোন কোম্পানি বা ব্র্যান্ডকে রেফার করেও টাকা আয় করতে পারেন।

Telegram অ্যাপ

Telegram মূলত ফেসবুক, ইউটিউব ও   মতই একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া বা সমাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। বর্তমানে প্রায় সারা বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়ন (1B) এর চেয়ে বেশি মানুষ Telegram ব্যবহার করছে। আর আপনি চাইলে এই টেলি গ্রামকে কাজে লাগিয়ে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

  • মেম্বার বৃদ্ধি: আপনার নিজস্ব Telegram চ্যানেল বা গ্রুপ তৈরি করে আপনি বড় সংখ্যক সদস্য সংগ্রহ করতে পারেন।
  • স্পনসরশিপ: জনপ্রিয় চ্যানেল বা গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচারের জন্য আপনাকে স্পনসরশিপ অফার করতে পারে।
  • বিজ্ঞাপন: আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন পোষ্ট করে আয় করতে পারেন। এতে আপনি চ্যানেলের সদস্যদের জন্য ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচার করবেন।

টেলিগ্রাম অ্যাপ এ টাকা আয় করারর জন্য প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে টেলিগ্রাম অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে। তারপর অ্যাপটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন এবং চ্যানেল তৈরি করতে হবে।কিন্তু টেলিগ্রাম অ্যাপ ইউটিউব এর মতো ভিডিও আপলোড করতে হয় না।

এখনে শুধু মাত্র চ্যানেল তৈরি করতে হয় ও  এ চ্যানেলে মানুষকে এড করতে হয়। টেলিগ্রাম চ্যানেল ফেসবুক গ্রুপের মতোই কাজ করে। আপনার যদি ৫০০-১০০০ মানুষের একটি একটিভ চ্যানেল থাকে তাহলে আপনি অনায়াসে Telegram থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যে ভাবে টেলিগ্রাম চ্যানেল ব্যবহার করে ইনকাম করবেন। আপনি চাইলে নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে Lead তৈরি,ডিজিটাল মার্কেটিং বা অ্যাফিলিয়েটিং মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

এছাড়াও বিভিন্ন টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন হয়ে ছোট বড় কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন: টেলিগ্রামে এমন অনেকে গ্রুপ রয়েছে যেখানে আপনি ইউটিউব সাবস্ক্রাইব, লাইক, শেয়ার, ফেসবুক ফলো, শেয়ার, কমেন্ট ইত্যাদি কাজ করে আয় করতে পারবে।  

FanFare অ্যাপ

বর্তমান সময়ে ফ্রিতে টাকা আয় করার জন্য সেরা কয়েকটি অ্যাপ এর মধ্যে FanFare একটি অন্যতম। আপনি যদি চান FanFare অ্যাপ থেকে ঘরে বসে ফ্রিতে টাকা আয় করতে পারবেন। কি ভাবে এই অ্যাপ থেকে ইনকাম করবেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো-

FanFare অ্যাপ থেকে টাকা আয় করার জন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে।এরপর আপনার জিমেইল বা ফেসবুক একাউন্ট এর মাধমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। Sign up হয়ে গেলে নিচে থেকে ক্যামেরা আইকনে ক্লিক করে আপনার ফোনের ক্যামেরাটি অন করতে হবে।

এরপর আপনার হাতের কাছে থাকা যে কোন একটি ব্র্যান্ড বা কম্পানির প্রডাক্টের ভিডিও করে আপলোড করে দিন।যেমন আপনার হাতের কাছে থাকা পানির বতল, সাবান, মোবাই, পিসি, চেয়ার টুলস ইত্যাদি।

যে কোন ধরনের পণ্যের ভিডিও তৈরি করুন এবং আপলোড করুন।নিয়ম অনুযায়ী কম্পানির নাম দিতে সম্পূর্ণ প্রডাক্টের ভিডিও করতে হবে।আর ভিডিও যত ভালো হবে আপনি তত বেশি অর্থ আয় করতে পারবেন।

আপনার তৈরি করা ভিডিও আপলোডের করার পর FanFare সে সব ভিডিও রিভিউ করে অ্যাপরুফ করলে আপনার নিজের একাউন্টে কিছু পয়ন্ট এড হয়ে যাবে।তারপর আপনি চাইলে এসব পয়ন্ট দিয়ে FanFare থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন জামা-কাপড়, জুইলারি, প্রসাধনী ইত্যাদি অর্ডার করতে।

যে গুলো সরাসরি আপনার বাসায় ডেলিভারি হয়ে যাবে। যদিও FanFare থেকে সরাসরি আয় পকেটে আসবে না। তবে পরক্ষ ভাবে আপনি এখান থেকে আয় করতে পারবেন। FanFare একটি বিশ্বস্ত কেনা কাটার ওয়েব সাইট ও আপনার চ্যানেলে অথবা কনটেন্টে বিজ্ঞাপন বা ব্র্যান্ড প্রমোশন করতে পারেন। আপনার ফ্যানবেস বৃদ্ধি পেলে ব্র্যান্ড ও কোম্পানি গুলো আপনাকে স্পনসরশিপ বা প্রমোশনাল অফার দিতে পারে।

 ফ্রি টাকা ইনকাম-শেষ কথা

উপরে উক্ত আর্টিকেলের আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সে সম্বন্ধে।আশা করি এই পোস্ট থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন কি ভাবে অ্যাপ দিয়ে  টাকা ইনকাম করতে পারবেন বা করা যায়। এমন নিত্য নতুন তথ্য জানতে অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইটটি ফলো করুন। এই পোস্ট থেকে আপনার মতামত অবশ্য কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url