টাকা ইনকাম করার অ্যাপ
আপনারা কি টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।কারন এ পোস্টটি এর মধ্যে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি কি ভাবে অ্যাপ দিয়ে সহজেই টাকা ইনকাম করা যায় ।আশা করি আপনাদের কাছে ভাল লাগবে ও টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন ।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অনলাইন থেকে অ্যাপ দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান। কিন্তু সঠিক অ্যাপ খুঁজে না পাওয়ার জন্য আপনাদের টাকা ইনকামের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়।আবার অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের অ্যাপে কাজ করে প্রতারিত হয়ে থাকেন। তাই আপনাদের স্বপ্ন পূরণ ও কাজ করে যেন প্রতারিত না হন সে জন্য আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে টাকা আয় করার অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো।
টাকা ইনকাম করার অ্যাপ
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি সহজেই টাকা আয় করতে পারেন, কিন্তু এটি করার জন্য সঠিক পদ্ধতি ও কৌশল জানতে হবে।এখনকার সময়ে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, এবং এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা উপার্জন করতে পারি।
আরো পড়ুনঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps 2024
নিচের নিম্নলিখিত পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে একটু ধৈর্য্য ধারণ করে কাজ করলেই প্রতি মাসে ভালো মানের আপনার টাকা আয় করতে পারবেন। অ্যাপ গুলো হচ্ছে-
- ফেসবুক,
- ইউটিউব,
- টিকটক,
- টেলিগ্রাম
- ফ্যানফেয়ার।
ফেসবুক অ্যাপ (Facebook)
বর্তমানে সময়ে প্রায় সকলের স্মার্ট ফোনেই ফেসবুক অ্যাপ রয়েছে।প্রতিনিয়ত আমরা কিছু অবসর সময় পেলেই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনারা ফেসবুকের এ বিষয়টি জানলে অবাক হবেন।
ফেসবুকে শুধুমাত্র পোস্ট করা, কমেন্ট পড়া বা ভিডিও শেয়ার করার জন্য নয়। আপনি চাইলে ফেসবুকের থেকে সহজেই টাকা ইনকাম করা, ব্যবসা পরিচালনা করা সহ আরোও অনেক কাজ করতে পারবেন।কিন্তু ফেসবুক অ্যাপে সরাসরি টাকা ইনকাম করার কোনো অফিসিয়াল সুবিধা নেই, তবে কিছু পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এখানে কয়েকটি পদ্ধতির উল্লেখ করা হলো:
ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ থেকে আয়: Facebook অ্যাপ থেকে ফ্রিতে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে একটি Verified ফেসবুক একাউন্ট খুলতে হবে। কারন অন্যের নাম দিয়ে বা শুধু নাম্বার অথবা জিমেইল দিয়ে খোলা ফেসবুক একাউন্ট গুলো থেকে শুধু মাত্র সাময়িক সময়ের জন্য আয় করা গেলেও দীর্ঘ সময় আয় করা সম্ভব হবে না। তাই একটি ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্ট থাকলে সব থেকে ভালো হয়।
আর এ ভেরিফাইড একাউন্ট এর অধীনে পেজ বা গ্রুপ তৈরি করতে হবে ।এরপর সেই পেজ বা গ্রুপের যে কোনো ধরনের ভিডিও তৈরি করে সে গুলো নিয়মিত আপলোড করতে হবে।যেমন রান্না করতে পারলে রান্নার ভিডিও, ভালো ড্রইং করতে পারলে ড্রইং ভিডিও, নাচতে বা গাইতে পারলে এর ভিডিও করে আপলোড দিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়
এভাবে করে কয়েক দিন নিয়মিত ভিডিও আপলোডের পর একটা সময় দেখবেন আপনার পেজটির ফলোয়ার সংখ্যা বাড়বে এবং মনিটাইজেশনের জন্য উপযুক্ত হবে।ঠিক সে সময় ফেসবুক মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে হবে। আর এক বার মনিটাইজেশন পেয়ে যান তাহলে , আপনি বিজ্ঞাপন বা স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আপনার পেজ বা গ্রুপে তাদের পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য আপনাকে টাকা দিতে পারে।
ইউটিউব (YouTube )
Facebook এর মতই ইউটিউব থেকেও ইনকাম করা সম্ভব।আর কোন ধরনের টাকা ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া আপনি চাইলেই YouTube থেকে ফ্রিতে টাকা আয় করতে পারবেন। YouTube এ আয় করার জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় পদ্ধতি আছে। এখানে কিছু মূল পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো:
ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম: ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে আপনি আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে-
1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম (যারা আপনার ভিডিও দেখেছে) পূরণ করতে হবে।
YouTube এর নীতিমালা ও নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনার ভিডিওতে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের রিভিউ বা রেফারেন্স দিয়ে অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারেন। যদি কেউ আপনার লিংক দিয়ে কিনে, আপনি কমিশন পাবেন।
স্পনসরশিপ: আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা কোম্পানি আপনার ভিডিওতে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচারের জন্য আপনাকে স্পনসরশিপ অফার করতে পারে।
ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন: ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবাররা বিজ্ঞাপন মুক্ত ভিডিও দেখতে পারে এবং আপনি তাদের সাবস্ক্রিপশন ফি থেকে কিছু আয় করতে পারেন।
চ্যানেল সদস্যপদ: আপনার চ্যানেলে সদস্যপদ (Membership) চালু করে চ্যানেলের বিশেষ কনটেন্ট বা সুবিধা প্রদান করতে পারেন। আপনার সাবস্ক্রাইবাররা মাসিক সদস্যপদ ফি প্রদান করে এই সুবিধাগুলি লাভ করতে পারে।
সুপারচ্যাট এবং সুপার স্টিকার লাইভ: স্ট্রিমিং এর সময় আপনার দর্শকরা সুপারচ্যাট বা সুপার স্টিকার কিনে আপনার ভিডিওতে হাইলাইট করতে পারে, যা থেকে আপনি আয় করতে পারেন।
কোর্স বা অন্যান্য পণ্য বিক্রি: আপনার বিশেষজ্ঞতা অনুযায়ী অনলাইন কোর্স, ইবুক, অথবা অন্যান্য ডিজিটাল পণ্য তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।
কী ভাবে কাজ শুরু করবেন:
আরো পড়ুনঃ ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম। ১২টি সেরা উপায়
- ভালো কনটেন্ট তৈরি করুন: দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয় ও মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
- SEO ও মার্কেটিং: ভিডিওর টাইটেল, ট্যাগ, এবং ডেসক্রিপশনে সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
- নিয়মিত আপলোড: নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করলে আপনার দর্শক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
- দর্শকদের সাথে যোগাযোগ: কমেন্টস এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
- ধৈর্য্য ধারন: ইউটিউবে আয় করার জন্য ধৈর্য্য ও সময় প্রয়োজন, তবে সঠিক পরিকল্পনা এবং পরিশ্রম করলে আপনি সফল হতে পারেন।
টিকটক অ্যাপ (TikTok)
Tiktok অ্যাপটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। বর্তমান সময়ের স্মার্ট ফোন ব্যবহার করছে অথচ জীবনে একবারও Tiktok অ্যাপটি ইন্সটল করেননি বা Tiktok এ ভিডিও দেখেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন।আমরা অনেকেই জানি টিকটক শুধু মাত্র এন্টারটাইমেন্ট এর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে Tiktok কোম্পানি তার ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটক টাকা ইনকামের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।বর্তমানে Tiktok থেকে যে কেউ চাইলে পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ হয়ে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। টিকটক থেকে যে ভাবে টাকা ইনকাম করবেন। টিকটক থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম করার জন্য প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনার স্মার্ট ফোনে টিকটক অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে।
তারপর অ্যাপটি যখন ইনস্টল হয়ে যাবে অ্যাপটি ওপেন করে আপনার জিমেইল বা ফোন নাম্বার দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।এবার ফেসবুক পেজের মতো একই ভাবে আপনি Tiktok এ ভিডিও আপলোড করবেন।
আপনি চাইলে একই কন্টেন্ট বা একই ভিডিও টিকটক এবং ফেসবুক পেইজে আপলোড করতে পারেন তবে টিকটকে সাধারণত ১ মিনিটের ভিডিও গুলো বেশি ভিউ পায়।কারণ টিকটক হল একটি শর্ট ভিডিও প্লাটফর্ম তাই চেষ্টা করুন টিকটক এ শর্ট ভিডিও আপলোড করার।
এভাবে Tiktok এ নিয়মিত নিজের তৈরি করা শর্ট ভিডিও গুলো আপলোড করার পর আপনি চাইলে টিকটক মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারেন ।মনিটাইজেশন এর আবেদন করার জন্য আপনার কিছু নিয়ম মানতে হবে।যেমন,
- আপনাকে 18 বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে।
- আপনার 1000 ফলোয়ার এবং 10000 ভিডিও ভিউ হতে হবে গত 30 দিনে।
- TikTok এর সম্প্রতি চালু করা ব্র্যান্ড নিউ গাইড লাইনস মেনে চলতে হবে।
এ ভাবে মনিটাইজেশন হয়ে গেলে আপনি টিকটক থেকে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।আর এছাড়াও আপনি চাইলে টিকটক এ কোন কোম্পানি বা ব্র্যান্ডকে রেফার করেও টাকা আয় করতে পারেন।
টেলিগ্রাম অ্যাপ (Telegram)
Telegram মূলত ফেসবুক, ইউটিউব ও মতই একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া বা সমাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। বর্তমানে প্রায় সারা বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়ন (1B) এর চেয়ে বেশি মানুষ Telegram ব্যবহার করছে। আর আপনি চাইলে এই টেলিগ্রামকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- মেম্বার বৃদ্ধি: আপনার নিজস্ব Telegram চ্যানেল বা গ্রুপ তৈরি করে আপনি বড় সংখ্যক সদস্য সংগ্রহ করতে পারেন।
- স্পনসরশিপ: জনপ্রিয় চ্যানেল বা গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচারের জন্য আপনাকে স্পনসরশিপ অফার করতে পারে।
- বিজ্ঞাপন: আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন পোষ্ট করে আয় করতে পারেন। এতে আপনি চ্যানেলের সদস্যদের জন্য ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচার করবেন।:
আরো পড়ুনঃ টেলিগ্রাম কি - টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম
টেলিগ্রাম অ্যাপ এ টাকা আয় করারর জন্য প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে টেলিগ্রাম অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে। তারপর অ্যাপটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন এবং চ্যানেল তৈরি করতে হবে।কিন্তু টেলিগ্রাম অ্যাপ ইউটিউব এর মতো ভিডিও আপলোড করতে হয় না। এখনে শুধু মাত্র চ্যানেল তৈরি করতে হয় ও এ চ্যানেলে মানুষকে এড করতে হয়। টেলিগ্রাম চ্যানেল ফেসবুক গ্রুপের মতোই কাজ করে। আপনার যদি ৫০০-১০০০ মানুষের একটি একটিভ চ্যানেল থাকে তাহলে আপনি অনায়াসে Telegram থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
যে ভাবে টেলিগ্রাম চ্যানেল ব্যবহার করে ইনকাম করবেন।আপনি যদি চান নিজের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে Lead তৈরি করে ডিজিটাল মার্কেটিং বা অ্যাফিলিয়েটিং মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন হয়ে ছোট বড় কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন: টেলিগ্রামে এমন অনেকে গ্রুপ রয়েছে যেখানে আপনি ইউটিউব সাবস্ক্রাইব, লাইক, শেয়ার, ফেসবুক ফলো, শেয়ার, কমেন্ট ইত্যাদি কাজ করে আয় করতে পারবে।
ফ্যানফেয়ার অ্যাপ (FanFare)
বর্তমান সময়ে ফ্রিতে টাকা আয় করার জন্য সেরা কয়েকটি অ্যাপ এর মধ্যে FanFare একটি অন্যতম। আপনি যদি চান FanFare অ্যাপ থেকে ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন। কি ভাবে এই অ্যাপ থেকে ইনকাম করবেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
FanFare অ্যাপ থেকে টাকা আয় করার জন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে।এরপর আপনার জিমেইল বা ফেসবুক একাউন্ট এর মাধমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। Sign up হয়ে গেলে নিচে থেকে ক্যামেরা আইকনে ক্লিক করে আপনার ফোনের ক্যামেরাটি অন করতে হবে। এরপর আপনার হাতের কাছে থাকা যে কোন একটি ব্র্যান্ড বা কম্পানির প্রডাক্টের ভিডিও করে আপলোড করে দিন।যেমন আপনার হাতের কাছে থাকা পানির বতল, সাবান, মোবাই, পিসি, চেয়ার টুলস ইত্যাদি।
যে কোন ধরনের পণ্যের ভিডিও তৈরি করুন এবং আপলোড করুন।নিয়ম অনুযায়ী কম্পানির নাম দিতে সম্পূর্ণ প্রডাক্টের ভিডিও করতে হবে।আর ভিডিও যত ভালো হবে আপনি তত বেশি অর্থ আয় করতে পারবেন।
আপনার নিজের বানানো ভিডিও বা কন্টেন্ট আপলোডের করার পর FanFare সে সব ভিডিও রিভিউ করে অ্যাপরুফ করলে আপনার নিজের একাউন্টে কিছু পয়ন্ট এড হয়ে যাবে।তারপর আপনি চাইলে এসব পয়ন্ট দিয়ে FanFare থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন জামা-কাপড়, জুইলারি, প্রসাধনী ইত্যাদি অর্ডার করতে পারবেন।
যে গুলো সরাসরি আপনার বাসায় ডেলিভারি হয়ে যাবে। যদিও FanFare থেকে সরাসরি আয় পকেটে আসবে না। তবে পরক্ষ ভাবে আপনি এখান থেকে আয় করতে পারবেন। FanFare একটি বিশ্বস্ত কেনা কাটার ওয়েব সাইট ও আপনার চ্যানেলে অথবা কনটেন্টে বিজ্ঞাপন বা ব্র্যান্ড প্রমোশন করতে পারেন। আপনার ফ্যানবেস বৃদ্ধি পেলে ব্র্যান্ড ও কোম্পানি গুলো আপনাকে স্পনসরশিপ বা প্রমোশনাল অফার দিতে পারে।
টাকা ইনকাম করার অ্যাপ ২০২৪
টাকা ইনকাম করার অ্যাপস অনেক গুলোই আছে কিন্তু তাদের বৈধতা ও বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন উঠে।তাই কিছু জনপ্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য অ্যাপস যে গুলো ব্যবহার করে আপনি আয় করতে পারবেন সে গুলো হলো-
- Swagbucks: এটি একটি জনপ্রিয় অ্যাপ যা সার্ভে পূরণ, ভিডিও দেখা এবং অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য আপনাকে পয়েন্ট প্রদান করে। পয়েন্ট গুলো পরে নগদ অর্থ বা গিফট কার্ডে রূপান্তরিত করা যায়।
- Google Opinion Rewards: গুগল কর্তৃক পরিচালিত এই অ্যাপে আপনাকে বিভিন্ন সার্ভে পূরণের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়। এই পুরস্কার গুলো আপনার গুগল প্লে ক্রেডিট বা অন্য কিছু ফর্মে পাওয়া যায়।
- Toluna: এটি একটি অনলাইন সার্ভে প্ল্যাটফর্ম যা আপনাকে বিভিন্ন সার্ভে পূরণের জন্য পয়েন্ট প্রদান করে। পয়েন্ট গুলো পরবর্তীতে নগদ অর্থ বা গিফট কার্ডে রূপান্তরিত করা যায়।
- InboxDollars: এখানে আপনি বিভিন্ন কাজ যেমন সার্ভে পূরণ, ভিডিও দেখা, এবং ওয়েবসাইট পরিদর্শন করার জন্য টাকা উপার্জন করতে পারেন।
- Rakuten: এটি মূলত একটি ক্যাশব্যাক অ্যাপ যা আপনি অনলাইন শপিং করার সময় ক্যাশব্যাক উপার্জন করতে সাহায্য করে।
এই অ্যাপস গুলোর মধ্যে অনেক গুলো আপনার স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ এবং প্রতিটি অ্যাপের জন্য আলাদা ধরনের কাজ ও উপার্জনের সুযোগ থাকে। যাইহোক, ফ্রি টাকা ইনকামের প্রতিশ্রুতি দেওয়া অ্যাপস গুলো সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত কারণ কিছু অ্যাপস প্রতারণা মূলক হতে পারে। তাই ব্যবহার করার আগে তাদের রিভিউ এবং রেটিং চেক করা নেওয়া ভাল।
টাকা ইনকাম করার অ্যাপ-শেষ কথা
উপরে উক্ত আর্টিকেলের আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সে সম্বন্ধে।আশা করি এই পোস্ট থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন কি ভাবে অ্যাপ দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন বা করা যায়।এমন নিত্য নতুন তথ্য জানতে অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইটটি ফলো করুন। এই পোস্ট থেকে আপনার মতামত অবশ্য কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url