সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থসহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আজকের আলোচনার বিষয় সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থসহ কি?তা নিচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে। সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থসহ সঠিক ভাবে জানতে চাইলে নিচের তথ্য গুলো আপনার জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।তো চলুন দেরি না করে দেখে নেই, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থসহ।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (আয়াত ২৫৫-২৫৬) ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এই আয়াত গুলোর মাধ্যমে আল্লাহর একত্ব, শক্তি ও দয়ালুতা সম্পর্কে গভীর ধারণা প্রদান করে। প্রথম আয়াতে আল্লাহর অসীম ক্ষমতা, জ্ঞান ও সর্বব্যাপী উপস্থিতি তুলে ধরা হয়ম। যা মুসলমানদের বিশ্বাসের মূল ভিত্তি।

আরো পড়ুনঃ আল্লাহর ৯৯ নাম আরবিতে অর্থসহ 

আর দ্বিতীয় আয়াতে ধর্মের ক্ষেত্রে জোরজবরদস্তির প্রতি সতর্কতা ও মুক্ত ইচ্ছার গুরুত্বকে নির্দেশ করা হয়েছে। এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান এবং মানুষের জন্য সঠিক পথ নির্বাচন করার স্বাধীনতা প্রদান করে। এই আয়াত গুলো প্রার্থনা ও স্মরণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ইসলামী সংস্কৃতিতে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেছে।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত হলো ২৮৫ এবং ২৮৬ নম্বর আয়াত। নিচে আয়াত গুলো তুলে ধরা হলো:

সূরা বাকারার ২৮৫ নম্বর আয়াত:

اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْهِ مِنْ رَّبِّهٖ وَالْمُؤْمِنُوْنَ‌ؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَمَلٰٓئِكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِهٖ ‌ۚ وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَاَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَاِلَيْكَ الْمَصِيْرُ

সূরা বাকারার ২৮৬ নম্বর আয়াত:

لَا يُكَلِّفُ اللّٰهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا ‌ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ‌ۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِيْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا ‌ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَاۤ اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِنَا‌ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ‌ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ‌ۚ اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكٰفِرِيْنَ

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ

নিচে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের বাংলা উচ্চারণ দেওয়া হলো-

আয়াত ২৮৫: আমানার রাসূলু বিমা উনজিলা ইলাইহি মির-রাব্বিহি ওয়াল-মুমিনুন, কুল্লুন আমানা বিল্লাহি ওয়া মালা'ইকাতিহি ওয়া কুতুবিহি ওয়া রুসুলিহি, লা নুফাররিকু বাইনা আহাদিম-মির-রুসুলিহি, ওয়া ক্বালু সামি'না ওয়া আতও'না গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল-মাসির।

আরো পড়ুনঃ আল্লাহর ৯৯ নাম বাংলায় 

আয়াত ২৮৬: লা ইউকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উস'আহা, লাহা মা কাসাবাত ওয়া 'আলাইহা মাকতাসাবাত, রাব্বানা লা তুআখিজনা ইন্না নাসিনা আও আখতানা, রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল 'আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহু 'আলাল্লাযিনা মিন ক্বাবলিনা, রাব্বানা ওয়ালা তুহামমিলনা মা লা তা'ক্বাতা লানা বিহ, ওয়া'ফু 'আন্না ওয়াগফির লানা ওয়ারহামনা, আন্তা মাওলানা ফানসুরনা 'আলাল-ক্বাওমিল-কাফিরীন।

এই উচ্চারণ আপনাকে আয়াত গুলো শুদ্ধভাবে পড়তে সহায়তা করবে।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থসহ

اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْهِ مِنْ رَّبِّهٖ وَالْمُؤْمِنُوْنَ‌ؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَمَلٰٓئِكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِهٖ ‌ۚ وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَاَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَاِلَيْكَ الْمَصِيْر

বাংলা অর্থ: রাসূল বিশ্বাস রাখেন তাতে, যা তার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে এবং মুমিনগণও। প্রত্যেকে বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। তারা বলে, আমরা তাঁর রাসূলদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না। তারা আরও বলে, আমরা শুনেছি ও মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আপনার ক্ষমা চাই এবং আপনার কাছেই প্রত্যাবর্তন।

আরো পড়ুনঃ নামাজের বিভিন্ন অংশের দোয়া 

لَا يُكَلِّفُ اللّٰهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا ‌ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ‌ۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِيْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا ‌ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَاۤ اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِنَا‌ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ‌ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ‌ۚ اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكفِرِيْنَ

বাংলা অর্থ: আল্লাহ কারও উপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না। প্রত্যেকেই তার উপার্জনের ফল ভোগ করবে এবং যা সে অর্জন করবে তার জন্য দায়ী থাকবে। হে আমাদের পালনকর্তা! যদি আমরা ভুলে যাই অথবা ভুল করি, তবে আমাদের ধরবেন না।হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের ওপর বোঝা চাপাবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়েছিলেন। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের এমন বোঝা বহন করতে বাধ্য করবেন না, যা বহন করার সামর্থ্য আমাদের নেই। আমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের গুনাহ মাফ করুন এবং আমাদের প্রতি রহম করুন। আপনিই আমাদের অভিভাবক। অতএব, আমাদের সাহায্য করুন কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ফজিলত

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (আয়াত ২৮৫ ও ২৮৬) ইসলামিক শিক্ষা ও আমলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আয়াত গুলোকে মুসলিমদের রক্ষাকবচ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এ গুলোর অনেক ফজিলত রয়েছে। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য ফজিলত তুলে ধরা হলো-

আরো পড়ুনঃ পাচঁ কালেমা সমুহ

  • নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে, তা তার জন্য যথেষ্ট হবে।এর অর্থ, এই দুই আয়াত পাঠ করলে রাতভর আল্লাহর সুরক্ষা পাওয়া যায় এবং শয়তানের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।" (বুখারী, মুসলিম)
  • বিশ্ব নবী (সাঃ) একদিন বললেন, “এই মাত্র আকাশের একটি দরজা খোলা হয়েছে।এর আগে কখনও এ দরজাটি খোলা হয়নি, এ দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা অবতরণ করছেন। এর আগে তিনি কখনও পৃথিবীতে অবতরণ করেননি। এ ফেরেশতা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে সালাম করে বলেন, সুসংবাদ গ্রহণ করুন আপাদমস্তক দুটি নূরের, যা আপনার আগে কোন নবীকে দেয়া হয়নি।তা হলো ফাতেহাতুন কিতাব অর্থাৎ সুরা ফাতেহা এবং সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত।

  • উভয় আয়াতে দোয়া আছে। আল্লাহর উসিলা করে,আপনি এসব দোয়ার যে অংশই পাঠ করবেন আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই রহমত দান করবেন, (অর্থাত কবুল করা হবে)।সহীহ মুসলিম।
  • রাসুলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাতের বেলা সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়বে সেটা তার জন্য যথেষ্ঠ হবে। ”বুখারি ৫০১০, মুসলিম ৮০৭।
  • হজরত আবু মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতে পাঠ করবে, তার জন্য এ দুটি আয়াত যথেষ্ট হবে; অর্থাৎ সারারাত সে জিন ও মানুষের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে এবং প্রতিটি অপ্রিয় বিষয় থেকে তাকে হেফাজত করা হবে। সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিম।
  • রাতের বেলা ঘুমানোর পূর্বে সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করলে তাহাজ্জুদ নামাযের সমান সওয়াব পাওয়ার আশা করা যেতে পারে।
  • সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত গুলোতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে এবং আল্লাহর রহমত ও দয়া কামনা করা হয়েছে। এই আয়াত পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দয়া প্রার্থনা করা হয়, যা একজন মুমিনের জন্য অনেক বড় নেয়ামত।
  • সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বলা হয়েছে যে আল্লাহ কারো ওপর এমন বোঝা চাপান না যা তার সামর্থ্যের বাইরে। ফলে, এই আয়াত গুলোর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সহজ বোঝা ও জীবনের ভুল-ত্রুটি মাফ করার জন্য প্রার্থনা করা হয়।
  • সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত গুলোতে মুমিনদের বিশ্বাস ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের কথা বলা হয়েছে। ফলে, এই আয়াত পাঠের মাধ্যমে একজন মুমিন তার বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করতে পারেন এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
  • সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতে কাফেরদের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা হয়েছে, যা মুমিনদের জন্য একটি রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।
  • অনেক হাদিসে বলা হয়েছে, রাতে ঘুমানোর আগে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শান্তির ঘুম নিশ্চিত করে এবং রাতের যাবতীয় বিপদ থেকে সুরক্ষা দেয়।
  • একটি বর্ণনায় এসেছে, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠকারী ব্যক্তির বাড়িতে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না এবং ফেরেশতারা তাকে রক্ষা করেন।

সর্বোপরি, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করা আল্লাহর রহমত, দয়া ও সুরক্ষা পাওয়ার একটি মাধ্যম। এগুলো প্রতিদিন পড়া একজন মুসলিমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পরার নিয়ম

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (আয়াত ২৮৫ ও ২৮৬) নিয়মিত পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ একটি আমল। হাদিস অনুযায়ী, এই আয়াত গুলো পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত, সুরক্ষা ও ক্ষমা পাওয়া যায়। নিচে আয়াত দুটি পড়ার সাধারণ নিয়ম ও কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো-

আরো পড়ুনঃ আল্লাহ ৯৯ নামের অর্থ ও ফজিলত

  • পড়ার নিয়ম:রাতে ঘুমানোর আগে: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে, তা তার জন্য যথেষ্ট হবে। (বুখারি, মুসলিম) তাই রাতে ঘুমানোর আগে এই দুই আয়াত পড়া সুন্নাত এবং এতে রাতের যাবতীয় বিপদ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
  • যদিও রাতে পড়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, এই দুই আয়াত দিনে বা যেকোনো সময়ও পড়া যায়।
  • শরীর ও মনের পবিত্রতা বজায় রাখতে চেষ্টা করুন। অযু করে আয়াত গুলো পড়লে তা আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। 
  • প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া উচিত। এটি একটি আমল হিসেবে ধারাবাহিক ভাবে পালন করলে আল্লাহর বিশেষ রহমত ও দয়া লাভ করা যায়।
  • "আউজু বিল্লাহি মিনাশ শয়তানির রাজিম" (أعوذ بالله من الشيطان الرجيم) এবং বিসমিল্লাহ (بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ) দিয়ে শুরু করতে পারেন। আয়াত গুলো পড়ার সময় আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস, একাগ্রতা ও ভক্তি থাকতে হবে। এর অর্থ ও প্রার্থনার গুরুত্ব বুঝে পড়া উত্তম।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত-শেষ কথা

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থসহ সম্পর্কে আপনাদের এ পোস্টের মধ্যে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনারা এ গুলো ভালোভাবে জানতে পেরেছেন ও আপনার কাছে ভালো লেগেছে।সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ভুলে যেতে পারেন তাই মাঝে মাঝে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন। এরকম আরও শিক্ষণীয় ও ইসলামি পোস্ট পেতে আমাদের  ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url