ছোট ব্যবসার আইডিয়া | নতুন ব্যবসার আইডিয়া
আপনারা কি ছোট ও নতুন কিছু ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন?বা ছোট ব্যবসা করার সিধান্ত নিচ্ছেন? কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেন না কোন ব্যবসা ধরনের করলে সফল হবেন। তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য।কারণ আজকের পোস্টটি আমরা কিছু ছোট ব্যবসার আইডিয়া এবং তার সাথে কিছু নতুন ব্যবসার আইডিয়া আপনার সামনে তুলে ধরবো যে ব্যবসার গুলো পরিচালনা করে আপনি সফল হতে পারবেন।
ছোট ও নতুন ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে একটি পরিষ্কার ব্যবসা সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে কেননা ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকলে লাভবান হতে পারবেন না । ব্যবসায় লাভবান হওয়ার জন্য বিস্তারিত ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। যেখানে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কৌশল, এবং আর্থিক পূর্বাভাস অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার সেরা ২০টি উপায়
এছাড়াও প্রাথমিক বিনিয়োগের জন্য একটি বাজেট তৈরি করুন এবং প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও অনুমোদন সংগ্রহ করুন। সঠিক ব্যবসার নাম নির্বাচন করে একটি পেশাদার ওয়েবসাইট ও মার্কেটিং কৌশল তৈরি করতে যেন, ব্যবসার কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে নিয়মিত গ্রাহক সেবা এবং বাজার বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যবসার কার্যক্রমের উন্নয়ন সাধিত হয়।
ছোট ও নতুন ব্যবসার আইডিয়া
ছোট ও নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য কত টাকা লাগবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের ব্যবসা শুরু করতে চান তার উপর। কোন ব্যবসার জন্য কম পুঁজি লাগবে, আবার কোন ব্যবসার জন্য বেশি পুঁজি লাগবে।
কিছু কারণ যা ছোট ও নতুন ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজির পরিমাণ নির্ধারণ করে-
- ব্যবসার ধরন: অনলাইন শপ, খাবারের দোকান, পরিষেবা মূলক ব্যবসা, ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার জন্য বিভিন্ন পরিমাণ পুঁজি লাগবে।
- ব্যবসার আকার: ছোট একটা দোকান না বড় একটা শোরুম, সেটা অনুযায়ী পুঁজি লাগবে।
- অবস্থান: ব্যবসাটি কোন জায়গায় হবে, সেটা অনুযায়ী ভাড়া, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদির খরচ হবে।
- উপকরণ: ব্যবসা চালানোর জন্য যেসব উপকরণ লাগবে, সে গুলো কিনতে খরচ হবে।
- মার্কেটিং: ব্যবসাটির প্রচারের জন্য মার্কেটিং করতে হবে ও মার্কেটিং এর খরচ লাগবে।
অনলাইন টিউশনি ব্যবসা
অনলাইন টিউশনি ব্যবসা করে আয় করা বর্তমান যুগে একটি জনপ্রিয় ও সহজলভ্য আয়ের মাধ্যম। ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় শেখানো সম্ভব। আপনি গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞানের মতো স্কুল-কলেজের বিষয় কিংবা ভাষা, কোডিং, ডিজাইন, মিউজিকের মতো বিশেষ দক্ষতার বিষয়েও অনলাইন ক্লাস নিতে পারেন।যেমন,
আরো পড়ুনঃ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ, যেমন Zoom বা Google Meet ব্যবহার করে লাইভ ক্লাস নেওয়া যায়। আবার রেকর্ডেড লেকচার বিক্রি করা সম্ভব। শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজড কোর্স তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করতে পারেন। আবার ফ্রি ট্রায়াল ক্লাস দিয়ে আস্থা তৈরি করলে বেশি শিক্ষার্থী পাওয়া যায়। এভাবে জনপ্রিয়তা বাড়লে গ্রুপ টিউশন বা কোর্স বিক্রয় করে অল্প পুঁজিতে আয় বাড়ানো সম্ভব।
হোম বেকিং ব্যবসা
কম পুঁজিতে হোম বেকিং ব্যবসা করে আয় করা একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে। ঘরে বসে বেকিং শুরু করতে কম পুঁজির প্রয়োজন হয়, এবং অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য প্রচার ও বিক্রি করা যায়। কম পুঁজিতে কেক, কুকিজ, পেস্ট্রি বা অন্যান্য বেকড আইটেম তৈরি করে কাস্টমার বা স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব।
আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ তৈরি করে অর্ডার নেওয়া ও প্রচারণা করা খুবই কার্যকর। গুণগত মান এবং সৃজনশীল ডিজাইন দিয়ে ক্রেতাদের আকর্ষণ করা যায়। হোম বেকিং ব্যবসায়ে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময় মত ডেলিভারি এবং মানসম্মত খাবার সরবরাহ ক্রেতাদের ধরে রাখতে সহায়ক ভুমিকা রাখে।
হ্যান্ডমেড কারুশিল্প ব্যবসা
হ্যান্ডমেড কারুশিল্প ব্যবসা করে আয় করা একটি সৃজনশীল ও লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে। এ ব্যবসা ঘরে বসেই শুরু করা যায় এবং প্রাথমিক বিনিয়োগও তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। গয়না, পাটের পণ্য, মাটির জিনিস, কাগজের তৈরি সামগ্রী, ব্যাগ বা পোশাকের ডিজাইন ইত্যাদি হাতে তৈরি পণ্যের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। এই পণ্য গুলো স্থানীয় মার্কেট বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করা সম্ভব।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে পণ্য প্রচার এবং ক্রেতাদের আকর্ষণ করা যায়। মানসম্পন্ন ও ইউনিক পণ্য তৈরি করলে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জন করা সহজ হয়। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজড পণ্য তৈরি করাও ভালো আয়ের উৎস হতে পারে। আর কম পুঁজিতেই হ্যান্ডমেড কারুশিল্প ব্যবসা করা সম্ভব।
বুটিক এর ব্যবসা
বুটিক ব্যবসা করে আয় করা একটি সৃজনশীল এবং লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে। ফ্যাশনের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে, এবং বুটিক ব্যবসায় ইউনিক ডিজাইন ও মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করলে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করা সম্ভব। বুটিক গুলো সাধারণত কাস্টমাইজড পোশাক ও এক্সক্লুসিভ ডিজাইন প্রদান করে, যা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে।
ছোট পরিসরে শুরু করা সম্ভব এবং সময়ের সঙ্গে ব্যবসা প্রসারিত করা যায়। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ফ্যাশনের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন ট্রেন্ড অনুসরণ করলে বুটিক ব্যবসায় দ্রুত সফলতা পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে, বিয়ের পোশাক, ট্রাডিশনাল পোশাক, এবং ফ্যাশনেবল আনুষ্ঠানিক পোশাকের চাহিদা বেশি থাকে।
বুটিকের ডিজিটাল উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে পণ্য প্রচার ও বিক্রি করা যায়, যা আয়ের উৎস বাড়ায়। অনলাইন অর্ডার ও হোম ডেলিভারি সেবা প্রদান করে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়া যায়। বুটিকের মানসম্মত সেবা ও সময়মতো ডেলিভারি ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে, যা দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক সফলতা নিশ্চিত করে।
ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা
ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা করে আয় করা একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উদ্যোগ, বিশেষত ভ্রমণপ্রিয় মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই ব্যবসায়ে সঠিক পরিকল্পনা ও পরিষেবার মাধ্যমে ভালো আয় করা সম্ভব। ট্রাভেল এজেন্সি বিভিন্ন ধরণের সেবা প্রদান করে, যেমন দেশি-বিদেশি ট্যুর প্যাকেজ, ফ্লাইট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন, ভিসা প্রসেসিং, এবং ট্যুরিস্ট গাইডিং।
এছাড়াও, কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের জন্য মিটিং, কনফারেন্স বা অফিশিয়াল ট্যুরের ব্যবস্থা করে আয়ের নতুন ক্ষেত্র তৈরি করা যায়। ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স, বিদেশে মেডিক্যাল সাপোর্ট, এবং বিশেষ গাইড সার্ভিস প্রদান করে অতিরিক্ত আয় সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
বিশেষত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এজেন্সির উপস্থিতি বাড়িয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালানো খুবই কার্যকরী। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউবের মাধ্যমে আকর্ষণীয় ভিডিও, রিভিউ, এবং ট্রাভেল ব্লগিং করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়।
ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ে সময়মত পরিষেবা এবং মানসম্পন্ন সহযোগিতা প্রদান করলে দীর্ঘমেয়াদী সফলতা আসে। গ্রাহকদের সাথে সুষ্ঠু যোগাযোগ এবং নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদান করলে তারা বারবার ফিরে আসে। জনপ্রিয়তা বাড়লে বৃহত্তর পর্যটন সংস্থা বা হোটেল চেইন গুলোর সাথে অংশীদারিত্ব করে আয়ের পরিধি বাড়ানো যায়।
ইভেন্ট প্ল্যানিং ব্যবসা
ইভেন্ট প্ল্যানিং ব্যবসা করে আয় করা বর্তমানে একটি লাভজনক ও সৃজনশীল উদ্যোগ। ইভেন্ট প্ল্যানাররা ব্যক্তিগত এবং কর্পোরেট অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে থাকে, যেমন বিয়ে, জন্মদিন, কর্পোরেট মিটিং, কনফারেন্স, প্রমোশনাল ইভেন্ট, ওয়ার্কশপ ইত্যাদি। ইভেন্টের স্থান নির্বাচন, সাজসজ্জা, খাবার, বিনোদন এবং অতিথিদের সঠিক ভাবে পরিচালনা করে আয় করা সম্ভব।
একটি সফল ইভেন্ট প্ল্যানিং ব্যবসার জন্য নেটওয়ার্কিং ও যোগাযোগ দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসার প্রচারণা করে ক্লায়েন্ট সংগ্রহ করা যায়।প্রতিটি ইভেন্টের জন্য কাস্টমাইজড পরিকল্পনা তৈরি করে।গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদান করলে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায়। বড় ইভেন্ট বা কর্পোরেট ক্লায়েন্টের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ বাড়ে।
বিশেষ করে, বাচ্চাদের জন্মদিন, বিয়ে, ও কর্পোরেট পার্টির মতো ইভেন্টে পেশাদারিত্ব এবং সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো আয় করা সম্ভব।
ছোট রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফে ব্যবসা
ছোট রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফে ব্যবসা করে আয় করা একটি লাভজনক ও সৃজনশীল উদ্যোগ হতে পারে। এই ধরনের ব্যবসা সাধারণত কম পুঁজিতে শুরু করা যায় এবং সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্রুত লাভ করা সম্ভব। খাবারের মান, পরিবেশ, এবং গ্রাহক সেবার ওপর ভিত্তি করে একটি রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফে জনপ্রিয় হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর ও মুখরোচক খাবার সরবরাহ করলে গ্রাহকরা বারবার আপনার ছোট রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফে ফিরে আসে। মেনুতে ইউনিক আইটেম বা স্থানীয় খাবারের সমন্বয় করলে নতুন গ্রাহকদের আকর্ষণ করা সহজ হয়। লোকাল এলাকায় ক্যাফে বা রেস্টুরেন্ট হলে, স্থানীয় মানুষের রুচি ও চাহিদা বুঝে মেনু তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিসের সাথে যুক্ত হয়ে বাড়তি আয় করা যায়। ক্যাফের মধ্যে আরামদায়ক পরিবেশ, ওয়াই-ফাই সুবিধা, এবং আধুনিক সাজসজ্জা থাকলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়ে।বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বা ছোট পার্টির জন্য রেস্টুরেন্ট বুকিং সুবিধা থাকলে আয়ের নতুন সুযোগ তৈরি হয়। জনপ্রিয়তা বাড়লে, ফ্র্যাঞ্চাইজি বা দ্বিতীয় শাখা খোলার মাধ্যমে ব্যবসা আরও সম্প্রসারণ করা সম্ভব।
চায়ের দোকান ব্যবসা
চায়ের দোকান ব্যবসা একটি সহজলভ্য ও লাভজনক ব্যবসা। বিশেষ করে জনবহুল এলাকায় চায়ের দোকান পরিচালনা করলে অনেক লাভবান হওয়া যায়।কারণ চা সারা বছরই জনপ্রিয়, তাই এর চাহিদা থাকে সর্বদা। মূলধন কম থাকলেও এই ব্যবসা শুরু করা যায় এবং মুনাফা দ্রুত অর্জন করা সম্ভব।
চায়ের পাশাপাশি বিস্কুট, স্ন্যাক্স, বা হালকা খাবার বিক্রি করলে আয় বাড়ানো যায়। ভালো মানের চা ও সেবা দিয়ে নিয়মিত ক্রেতা আকৃষ্ট করা সহজ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস, বা বাজারের কাছে দোকান হলে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি বেশি হয়।
চায়ের দোকান প্রতিদিনের খরচ কম হওয়ায় লাভের হার বেশি থাকে। বাড়তি বৈচিত্র্য আনতে বিভিন্ন স্বাদের চা বা কফি যোগ করা যেতে পারে। অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করলে বিক্রি বাড়ানো যায়। সময় মতো খোলার ও পরিষ্কার পরিবেশ বজায় রাখলে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করা সম্ভব।
আচার তৈরির ব্যবসা
আচার তৈরির ব্যবসা ছোট আকারে শুরু করে ধীরে ধীরে বড় করা যায়। এটি ঘরে বসেই শুরু করা সম্ভব, তাই কম বিনিয়োগে লাভ করা যায়।দেশীয় স্বাদ ও প্রক্রিয়াজাত করণের আচার সর্বদা চাহিদায় থাকে। আচার সংরক্ষণে দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় সারা বছর বিক্রি করা যায়। মৌসুমি ফল ও সবজি দিয়ে আচার তৈরি করে বিভিন্ন স্বাদ তৈরি করা যায়। যা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে।
আরো পড়ুনঃ ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম। ১২টি সেরা উপায়
আচার তৈরির কাঁচামাল সহজলভ্য ও কম দামের ফলে উৎপাদন খরচ কম। অনলাইন বিক্রি, স্থানীয় বাজার, এবং সুপারশপে আচার সরবরাহ করে আয় বাড়ানো যায়। ব্র্যান্ডিং এবং প্যাকেজিংয়ের ওপর জোর দিলে ক্রেতাদের আস্থা বাড়ে। ভালো মানের আচার তৈরি করে রপ্তানির সুযোগও রয়েছে। আচার তৈরি শেখা সহজ হওয়ায় শ্রমিক খরচ কম হয়, যা মুনাফা বাড়ায়।
শাক সবজির ব্যবসা
শাক-সবজির ব্যবসা দ্রুত এবং ভালো মুনাফা অর্জনের একটি সম্ভাবনাময় খাত। তাজা এবং স্বাস্থ্যকর পণ্য হওয়ায় এর চাহিদা সারা বছরই থাকে। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি শাক-সবজি সংগ্রহ করলে কম দামে পণ্য পাওয়া যায়। মূলধন কম হলেও দ্রুত বিক্রির মাধ্যমে নগদ প্রবাহ নিশ্চিত করা যায়।
মৌসুমি শাক-সবজির চাহিদা বেশি থাকায় সঠিক সময়ে সেগুলি সংগ্রহ করলে মুনাফা বাড়ে। পাইকারি ও খুচরা বিক্রি দুটোই করা সম্ভব, যার ফলে আয় বহুমুখী হয়। ভোক্তাদের কাছে তাজা শাক-সবজি পৌঁছে দিলে ক্রেতা সন্তুষ্টি ও পুনরায় কেনার হার বাড়ে।
সংরক্ষণ এবং পরিবহন সঠিক ভাবে করতে পারলে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমে। সুপারশপ, অনলাইন বা হোম ডেলিভারির মাধ্যমে বিক্রির পরিধি বাড়ানো যায়। এ ব্যবসায় লাভের মার্জিন ভালো হওয়ায় নিয়মিত আয়ের সুযোগ থাকে।
মুদির দোকানের ব্যবসা
মুদির দোকানের ব্যবসা একটি স্থিতিশীল এবং লাভজনক উদ্যোগ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কারণে সারা বছরই এর চাহিদা থাকে। দোকানটি ভালো স্থানে হলে নিয়মিত ক্রেতা পাওয়া সহজ হয়। কম মূলধনে শুরু করা সম্ভব, তবে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়িয়ে মুনাফা বৃদ্ধি করা যায়। পাইকারি দামে পণ্য কিনে খুচরা বিক্রি করলে লাভের মার্জিন ভালো থাকে।
নিয়মিত ক্রেতাদের জন্য ডিসকাউন্ট বা বোনাস অফার দিলে ক্রেতা ধরে রাখা সহজ হয়। স্থানীয় বাজারের চাহিদা বুঝে পণ্য মজুত করলে বিক্রি দ্রুত হয়। গ্রাহক সেবা এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ক্রেতাদের আকর্ষণ করে। বিকাশ, নগদ, বা অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম যোগ করলে বিক্রি বৃদ্ধি পায়। অল্প ঝুঁকির ব্যবসা হওয়ায় মুনাফার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যায়।
হাঁস মুরগির ব্যবসা
হাঁস-মুরগির ব্যবসা একটি লাভজনক উদ্যোগ। বিশেষ করে যদি সঠিক ভাবে পরিচালনা করা হয়। এটি দ্রুত আয়ের সুযোগ প্রদান করে, কারণ মুরগি ও হাঁস তাড়াতাড়ি বড় হয়। সঠিক পোষাক, খাদ্য, ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা করলে উৎপাদন বাড়ানো যায়। উচ্চ চাহিদার ফলে নিয়মিত বাজারে বিক্রি করা সম্ভব, যা আয় বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ুনঃ টিকটক ভিডিও করে ইনকাম করার উপায়
অল্প জায়গায় ছোট আকারের খামার শুরু করা যায়, যা শুরুতে কম বিনিয়োগের সুযোগ দেয়। মুরগির মাংস এবং ডিমের উচ্চ চাহিদা থাকার কারণে আয় স্থিতিশীল থাকে। হাঁসের মাংসও বিশেষ কিছু বাজারে ভালো দামে বিক্রি হয়। রোগবালাই থেকে রক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। স্থানীয় বাজার ছাড়াও রেস্টুরেন্ট বা সুপারশপে সরবরাহ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও বাজার গবেষণার মাধ্যমে লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।
ছোট ও নতুন ব্যবসার আইডিয়া-শেষ কথা
ছোট ব্যবসার আইডিয়া | নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি ছোট ও নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url