প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন । কেননা এ আর্টিকেল এর মধ্যে কি ভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছি।আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পরলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পাবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য তাদের কিছু শর্ত আছে সে গুলো মেনে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টর নিয়ে নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় গিয়ে নির্দিষ্ট ফরম পূরণে সময় সকল প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ব্যাংকে আবেদন পত্র জমা দিতে হবে।অথবা আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে লোন অ্যাপলি করার জন্য অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ডাউনলোড করে, যথাযথ সঠিক তথ্য দিয়ে সেটি পূরণ করে আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় জমা দিতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান যা প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের ঋণ প্রদান করে। এই ঋণ গুলো সাধারণত প্রবাসীদের পরিবার বা দেশে ফিরে আসার পর তাদের ব্যবসা বা অন্যান্য প্রকল্পের জন্য সহায়তা প্রদান করে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন করার জন্য আপনাকে নিকটস্থ ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করতে হবে।তারপর আপনাকে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবে ও সাথে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
এভাবে ব্যাংকের কর্মকর্তারা আপনাকে লোন দেওয়ার জন্য যোগ্য মনে হয় তাহলে আপনাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন দেওয়া হবে।
আরো পড়ুনঃ ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি ও অনলাইনে আবেদনের নিয়ম
এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে আপনি চাইলে অনলাইন আবেদন করতে পারবেন।এর জন্য অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন লিখে গুগলে সার্চ করতে হবে।তারপর ঋণের জন্য আবেদন ফরম এর নিচে পিডিএফ ডাউনলোড করার অপশন থাকবে সেখান থেকে ফরমটি ডাউনলোড করতে হবে।
তারপর, ফরমটি পূরণ করে এবং সাথে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় গিয়ে ফর্মটি জমা দিতে হবে। যদি কর্মকর্তারা মনে করে আপনি লোন গ্রহণের জন্য যোগ্য তাহলে আপনাকে লোন দেওয়া হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন গ্রহণ করতে কি কি যোগ্যতা লাগবে ও কোন কোন কাগজপত্র লাগবে সব কিছু প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে বলা আছে। https://pkb.gov.bd/ এই লিংকে ক্লিক করে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে পারবেন। এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে "ঋণ সেবা" অপশন থেকে আপনি বিভিন্ন ঋণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন।
এ ভাবে আপনি সরাসরি আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় যেয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম ডাউনলোড করতে হলে এ লিঙ্কে ঢুকে বা ওয়েব সাইটে ভিজিট করে আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারেন।লিঙ্কটি হল http://www.pkb.gov.bd/ অথবা আপনি সরাসরি আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করে লোনের আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন। যথাযথ ভাবে এই ফর্মটি পূরণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্টস সংযুক্ত করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের প্রকারভেদ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বর্তমান সময়ে প্রধানত ৪ ধরনের লোন প্রদান করা হয়।যেমন, অভিবাসন ঋণ, পূর্ণবাসন ঋণ, বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ ও বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ।নিচে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল-
অভিবাসন ঋণ: প্রবাসীদের বিভিন্ন উপায়ে সহযোগিতার লক্ষে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অভিবাসন ঋণ প্রদান করে। বিদেশে যাওয়ার সকল কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করে এই লোন গ্রহণ করতে পারবেন। প্রবাসীরা সর্বোচ্চ ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা অভিবাসন ঋণ গ্রহণ করতে পারবে।
পূর্ণবাসন ঋণ: আপনি যদি একজন বৈধ বিদেশ প্রবাসী হয়ে থাকেন এবং বিদেশ থেকে চলে আসেন, সেক্ষেত্রে আপনি পূর্ণবাসন ঋণ পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। আপনি যদি বৈধভাবে বিদেশে ভ্রমণ করেন এবং রাজনৈতিক, সামাজিক অথবা নিয়োগ দাতা কর্তৃক হয়রানির শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন।
আরো পড়ুনঃ সর্বজনীন পেনশন আবেদন করার নিয়ম
পরবর্তীতে আপনি স্বাবলম্বী হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করলে প্রবাসী ব্যাংক থেকে পূর্ণবাসন ঋণ গ্রহণ করতে পারেন। এই ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর। একজন ঋণ গৃহিতা সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করতে পারবে তবে জামানতবিহীন ৩ লক্ষ টাকা সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহণ করতে পারবে।
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ: বিদেশে বৈধভাবে চাকরির জন্য ভ্রমণ করার পরে পরিবারের যেকোন সদস্য যেমন বাবা, মা, ভাই, বোন, দাদা, দাদি, স্ত্রী, সন্তান অথবা নিকআত্মীয় কেউ বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। এই লোনের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর।
এই ঋণ প্রকল্পে আপনি সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকার লোন গ্রহণ করতে পারবেন তবে ৩ লক্ষ টাকা জামানতবিহীন গ্রহণ করতে পারবেন, ৫ লক্ষ টাকার বেশি লোন গ্রহণের জন্য ঋণ গ্রহীতার স্থাবর সম্পত্তির রেজিস্ট্রি মর্টগেজ মূল্যে উক্ত ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
বিশেষ পুনর্বাসন: বিশেষ পুনর্বাসন লোন (Special Rehabilitation Loan) একটি বিশেষায়িত ঋণ সুবিধা, যা সাধারণত ব্যক্তি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় দাঁড়ানোর জন্য প্রদান করা হয়। এটি সাধারণত সেই সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়, যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অর্থনৈতিক সংকট, বা অন্যান্য বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তাদের পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের প্রয়োজনীয় কাগজ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত ও প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হয়। সাধারণভাবে, আপনাকে নিম্নলিখিত নথি ও তথ্য প্রদান করতে হতে পারে:
- আবেদনপত্র: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নির্ধারিত আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
- পরিচয়পত্র: জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, বা অন্যান্য সরকারী পরিচয়পত্র।
- ছবি: সাধারণত পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
- পেশার প্রমাণ: প্রবাসে কাজ করার প্রমাণ যেমন, চাকরির সনদপত্র, নিয়োগপত্র ইত্যাদি।
- আয়কর সনদ: আপনার আয়ের উৎস ও পরিমাণের প্রমাণ স্বরূপ আয়কর রিটার্ন বা সনদ।
- ব্যানক স্টেটমেন্ট: আপনার বর্তমান ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট, যা আপনার আয় ও ব্যয় প্রমাণ করে।
- লোনের উদ্দেশ্য: লোন নেবার উদ্দেশ্য এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ।
- প্রবাসী ব্যাংক হিসাব: যদি আপনি প্রবাসে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন তার বিবরণ দিতে হবে।
এই তালিকা সাধারণ নির্দেশিকা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনীয়তা বা শর্তাবলী ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। তাই, আপনি যে ব্যাংক শাখায় আবেদন করতে চান, তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা শাখার সাথে যোগাযোগ করে সঠিক ও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা সর্বোত্তম হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে অনলাইনে লোন আবেদন করার জন্য আপনাকে অনলাইন থেকে লোনের আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে।তারপর অনলাইন থেকে লোন এপ্লিকেশন ফর্ম সংগ্রহ করে যথাযথ ভাবে সকল তথ্য উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহ আপনার নিকটস্থ সরাসরি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ইসলামি ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম ও এর সুবিধা সমূহ
এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় সরাসরি লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।এর জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট নিয়ে ব্যাংকে যেয়ে সকল তথ্য দিয়ে সঠিক ভাবে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।তারপর সঠিক ভাবে আবেদন ফর্ম পূরণ ব্যাংকে জমা দিতে হবে।কিন্তু লোনের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে আপনার আগে থেকে টাকা লেনদেনের অ্যাকাউন্ট থাকা লাগবে।কারণ লোনের টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে।
প্রবাসী লোন কোন কোন ব্যাংক দেয়
যে সকল ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য লোন প্রদান করে থাকে। সে সকল ব্যাংক গুলোর নাম নিচে দেওয়া হলো-
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
- জনতা ব্যাংক
- পূবালী ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- অগ্রণী ব্যাংক
- এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক
- এনআরবি ব্যাংক
- এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক মূলত ১ লক্ষ থেকে শুরু করে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোনের মেয়াদ ও পরিমাণ
অভিবাসন: লোনের মেয়াদ মূলত ২ বছর ও লোন দিয়ে থাকে ১ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
পূর্ণবাসন: লোনের মেয়াদ মূলত ১০ বছর সর্বোচ্চ লোন দিয়ে থাকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার: লোনের মেয়াদ মূলত ১০ বছর (সম্ভবত) সর্বোচ্চ লোন দিয়ে থাকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের সুদ
অভিবাসন: সুদের হার ৯% (সরল সুদ)।
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার: সুদের হার পুরুষ ঋণ গহীতাদের জন্য ৯% ও মিহলা ঋণ গহীতাদের গহীতাদের ৭% সরল সুদ হারে।
বিশেষ পুনর্বাসন: সুদের হার ৪% (সরল সুদ)।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রবাসীদের বিভিন্ন উপায়ে আর্থিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কাজ করে চলেছে। সহজ শর্তে এই ব্যাংক থেকে প্রবাসীরা বিভিন্ন উপায়ে লোন গ্রহণ করতে পারে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা সমূহঃ
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সাধারণত অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় তুলনামূলক ভাবে কম সুদের হার প্রস্তাব করে, যা ঋণগ্রহীতার জন্য আর্থিক ভাবে সুবিধা জনক।
- চাকরি বা কাজের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করতে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে।
- প্রবাসে থাকাকালীন কোন প্রবাসী আর্থিক সমস্যায় পড়লে, সেই সমস্যা থেকে উদ্ধারের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন প্রদান করে।
- ব্যাংকটি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প যেমন কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদির জন্য ঋণ প্রদান করে, যা দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
- প্রবাসীরা দেশে ফিরে অন্য কাজের মাধ্যমে নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে চাইলে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাং ক ঋণ প্রদান করে।
এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে প্রবাসীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন শর্তের উপর লোন প্রদান করে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অসুবিধা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ঋণ গ্রহণে যেমন সুবিধা আছে তেমনি এর কিছু সাধারণ অসুবিধা আছে। যে গুলো নিচে কিছু উল্লেখ করা হলো-
- ঋণ আবেদন ও প্রক্রিয়া বেশ জটিল হতে পারে, যেখানে অনেক ধাপ এবং কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এটি প্রক্রিয়াকে ধীর করতে পারে এবং ঋণ পাওয়া কঠিন করে তুলতে পারে।
- ঋণের শর্তাবলী কখনও কখনও কঠোর হতে পারে। এই শর্তাবলী পঠন এবং বুঝতে সমস্যা হতে পারে এবং ঋণগ্রহীতার জন্য আর্থিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
- ঋণ পরিশোধের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা হয়তো খুব কষ্টসাধ্য হতে পারে, বিশেষ করে যদি ঋণগ্রহীতার আয়ের পরিমাণ কম হয়।
- ঋণ প্রক্রিয়ার সময়সীমা কখনও কখনও দীর্ঘ হতে পারে, যা ঋণগ্রহীতার প্রয়োজনীয়তা মেটাতে বিলম্বিত হতে পারে।
- ঋণের জন্য জামানত বা গ্যারান্টির প্রয়োজন হতে পারে, যা ঋণগ্রহীতার জন্য একটি অতিরিক্ত বোঝা সৃষ্টি করতে পারে।
এই অসুবিধা গুলোর মধ্যে কিছু সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে বা ঋণের শর্তাবলী পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা সমূহ
বর্তমান সময়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের বাংলাদেশের প্রায় সব বিভাগেই শাখা রয়েছে।বিশেষ করে ঢাকা বিভাগে তুলনা মূলক ভাবে এ ব্যাংকের শাখার পরিমাণ বেশি।যদি আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখার ঠিকানা জানতে চান তাহলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের https://pkb.gov.bd/ এ লিঙ্ক এর উপর ক্লিক করে জানতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সমূহ
অথবা আপনি “প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখার ঠিকানা” লিখে গুগলে সার্চ করলেই আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখার ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দেখাবে। এ ভাবে আপনি নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখার ঠিকানা পেয়ে যাবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম-শেষ কথা
আপনারা যদি আজকের আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পরেন তাহলে বাংলাদেশি ভাই-বোনেরা ও প্রবাসী ভাই-বোনেরা সকলেই উপকৃত হতে পারবেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন এই বিষয়ে আপনাদের যদি আরো কোনো তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনারা সরাসরি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url