জাফরান কেন পৃথীবির সবথেকে দামি মসলা ও এর উপকারিতা
আপনারা অনেকেই জাফরান কেন পৃথীবির সবথেকে দামি মসলা ও এর উপকারিতা জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন বা জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য।কেননা এ পোস্টটির মধ্যে জাফরান কেন পৃথীবির সবথেকে দামি মসলা ও এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সপ্তম শতাব্দীতে এসিরিয়াম রাজা অশুরবাণীপাল দ্বারা সঙ্কলন পড়া উদ্ভিদ সংক্রান্ত গ্রন্থের জাফরানের ইতিহাসের নীতি পাওয়া যায়। ৪০০০ বছরের বেশি সময় ধরে এর ব্যবসা ও ব্যবহার চালু রয়েছে। জাফরান ক্রোকাস ধীরে ধীরে ইউরেশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং পরে উত্তর আফ্রিকা উত্তর আমেরিকা ওশেনিয়া অংশ ছড়িয়ে পড়েছিল। বর্তমানে বৈশ্বিক উৎপাদনের প্রায় ৯০% অংশ ইরানে উৎপাদন হচ্ছে।
জাফরান কেন পৃথীবির সব থেকে দামি মসলাঃ
জাফরান কেন পৃথীবির সব থেকে দামি মসলা ও এর উপকারিতা এ প্রশ্নটি প্রায় সময়ই আমাদের মনে আসে। মসলা হিসেবে জাফরান অত্যন্ত দামি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো এর উৎপাদন প্রক্রিয়ার জন্যনকারন এক কিলোগ্রাম জাফরান উৎপাদনের জন্য কমপক্ষে দেড় লাখ ফুল ও প্রায় এক হাজার বর্গমিটার একর জমির প্রয়োজন হয়।আর জাফরান গাছে বছরে একবার ফুল ফোটে তাও মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য।
আরো পড়ুনঃ পুদিনা পাতা ও থানকুনি পাতার গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন
ফুল ফুটার পর
সকালে খুব সাবধানে কাটতে হয় না হলে এর গন্ধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটি খুব ব্যয় বহুল
ও দীর্ঘমেয়াদী চাষ প্রক্রিয়ার কারণে জাফরান বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলা হিসেবে পরিচিত।
তবে জাফরান সরাসরি কোন ভুল নয়। জাফরানের আদি নিবাস গ্রিসে। প্রাচীন সময় থেকেই ইউরোপ
ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে জাফরান সুপরিচিত ছিল তার উজ্জ্বল সুগন্ধ ও রঙের জন্য।
জাফরান কোন ফুল থেকে তৈরি হয়ঃ
জাফরান কোন ফুল থেকে তৈরি হয়? জাফরানের ঔষধি গুনাগুন দেখে আমাদের মনে প্রায় সময় এ প্রশ্ন আসে জাফরান কোন ফুল থেকে তৈরি। জাফরান এসেছে ক্রোকাস স্যাটিভাসের কলঙ্ক থেকে, উজ্জ্বল বেগুনি পাপড়িসহ আইরিস পরিবারের একটি ফুলের উদ্ভিদ যার জাফরান ক্রোকাস বা শরতের ক্রোকাস নামেও পরিচিত। প্রতিটি ফুল শুধু মাত্র কয়েকটি মূল্যবান ক্রিমসন লাল স্টিগমাস তৈরি করে। সাধারণত এটিকে থ্রেড হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যে গুলি হাতে বাছাই করা হয় এবং তারপর শুকানো হয়।
জাফরানের ফুল সংগ্রহঃ
বর্তমান সময়ে পৃথীবির সবথেকে দামি মসলা হলো জাফরান। জাফরান ক্রোকাস উদ্ভিদ থেকে জাফরান মসলা সংগ্রহ করা হয়। এই উদ্ভিদটি বর্তমানে দক্ষিণ ফ্রান্স, ইরান, স্পেন, ইতালি, মরক্কো ও গ্রিসে চাষ করা হয়। তবে, এটি মূলত এশিয়া ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের উদ্ভিদ। মসলা হিসেবে জাফরান অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ার কারণ এর উৎপাদন প্রক্রিয়া।
আরো পড়ুনঃ সজনে পাতা বা মরিঙ্গার উপকারিতা সম্পর্কে পড়ুন
মূলত জাফরান গাছে থেকে বছরে শুধু একবার ফুল ফোটে ও একবার ফুল সংগ্রহ করা যায়। আবার তাও মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য। ফুল ফোটার পর সকালে খুব সাবধানে কাটতে হয়, না হলে এর গন্ধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এক কিলোগ্রাম জাফরানের জন্য কমপক্ষে দেড় লাখ ফুল বা প্রায় ১ হাজার বর্গ মিটার একর জমির প্রয়োজন হয়। সেগুলো সংগ্রহ করতে প্রায় ৬০০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। মসলা হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি এটি খাবারে রঙ আনার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
আসল জাফরান চেনার উপায়ঃ
বর্তমান সময়ে জাফরান অত্যন্ত দামি তাই আমারা অনেকেই জাফরান আসল না নকল নিয়ে চিন্তায় থাকি। আমাদের দেশে অনেক সময় দেখা যায় জাফরান ফুলের পরিবর্তে কুসুম ফুল ব্যবহার করা হয়। কারণ কুসুম ফুল গুলো দেখতে জাফরান ফুলের মত।আসল জাফরান চেনার জন্য পানিতে জাফরান দিতে দেখতে হবে পানি হলুদ হচ্ছে কি না।
যদি হলুদ হয় তাহলে আসল জাফরান।কিন্তু অনেক অসাধু ব্যাবসায়ী আছে যারা জাফরান এর সাথে হলুদ রং মেসায়।এতে জাফরান পানিতে দেওয়ার সাথে সাথে হলুদ হয়ে জাবে।কিন্তু আসল জাফরানে পানির রং হলুদ হতে কিছুতা সময় নিবে।তাই আমাদের জাফরান কিনার সময় ভালো ভাবে আসল জাফরান চিনে কিনতে হবে।
জাফরান খেলে কি হয়ঃ
মূলত জাফরান খেলে কি হয় বা জাফরানের গুনাগুন দেখে বোঝা যায় জাফরান কেনো বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলা। কারণ বিশ্বের যেকোনো মসলা থেকে জাফরানের গুনাগুন ও উপকারিতা সবচেয়ে অধিক। সেজন্য এই মসলা এত দামি। বিশেষ করে এই মসলা দেহের জন্য ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল দূর করে এবং উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
জাফরানের স্বাদ কিসের মতঃ
জাফরানের স্বাদ কিসের মত বা জাফরান খেতে কতটুকু সুস্বাদু এ বিষয়ে জানার আগ্রহ আমাদের সকলের মাঝেই রয়েছে। জাফরানের একটি সূক্ষ্ম মাটি মিষ্টি স্বাদের প্রোফাইল রয়েছে। যার জিহ্বায় তিক্ত তার আভা রয়েছে। যা সূক্ষ্ম ফুল ও মধুর নোট গুলিকে পথ দেয়। তাজা জাফরানের গন্ধ কিছুটা মিষ্টি খড়ের মত মিশ্রিত তাজা কাটা ঘাসের সাথে মরিচের ঝাঁকুনি দেয়। জাফরানের স্বাদ এবং খড়ের মতো সুবাসের উৎপত্তি হয় রাসায়নিক জৈব যৌগ পিক্রক্রোাসন এবং সাফ্রাসল থেকে। আবার জাফরানে ক্যারোটিনয়েড রঙ্গক এবং ক্রসিং রয়েছে যা খাবার এবং কাপড়ে সোনালী ফুল রঙের সৃষ্টি করে।
জাফরান খাওয়ার নিয়মঃ
জাফরান খাওয়ার নিয়ম সঠিক ভাবে জানা যেমন কোন কোন খাবারের সাথে জাফরান খাওয়া বেশি উপকার সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানা আমাদের প্রত্যেকেরই কর্তব্য। যেমন এক কাপ দুধে এক চিমটি জাফরান এবং দুই চামচ চিনি মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে খেলে এটি সবচেয়ে বেশি উপকার দিবে।
আরো পড়ুনঃ কালো জিরার ও জিরা ঔষধি গুনাগুণ
জাফরান জন্য আপনারা প্রতি দিনের রুটিনে রাখুন।এর দুধ চা এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। জাফরান ঘন কমলা রঙের জলে মিশে যায় এবং এমন এক ধরনের ক্যারোটিন থাকে যাকে ক্রোসিন বলা হয়। এই ক্রোসিন এর জন্যই খাবারে জাফরান ব্যবহার করলে একটি উজ্জ্বল সোনালী রং হয় খাবারের।
জাফরানের উপকারিতাঃ
জাফরানের উপকারিতা বলে শেষ সম্ভব নয় কেননা জাফরান মানব শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে সহায়তা করে।জাফরানের নানান উপাদান আমাদের মস্তিষ্ককে শিথিল করতে সাহায্য করে। এতে করে মানসিক চাপ ও বিষন্নতা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জাফরানের ক্রোসিন নামক উপাদানটি অতিরিক্ত জল কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত জাফরান সেবনে শ্বাস প্রশ্বাসের নানা ধরনের সমস্যা যেমন অ্যাজমা, পারটুসিস, কাশি এবং বসে যাওয়া কফ দূর করতে সাহায্য করে।
এক চিমটি জাফরানে রয়েছ প্রায় ১৫ টি শারীরিক গুনাগুন।যা বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। জাফরানে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ ও হৃৎপিণ্ডের সমস্যা জনিত রোগ দূর করে। মস্তিষ্কের গঠন উন্নত করে। স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তা শক্তিকে উন্নত করতে এটি খুব কার্যকারী। হজমের সমস্যা এবং হজম সংক্রান্ত যে কোনো ধরনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে জাফরান।
জাফরানের ঔষধি কাজঃ
প্রাচীন কাল থেকে ঔষধি কাজে জাফরান ব্যবহার হয়ে আসছে।এটি মানব শরীরের ঔষধি কাজ করে থাকে। এর নির্যাস এবং টিংচার বিভিন্ন সিনড্রোম এবং রোগের চিকিৎসার জন্য ঐতিহ্য।এর মধ্যে কিছু ব্যবহার হলো অ্যান্টি স্পাসমেডিক, ইউপেপ্টিক সিডেটিভ, টারমিনেটিভ, ডায়াফোরেটিক, কফেরেন্ট, পাকস্থলী সংক্রান্ত, উদ্দীপক এবং অ্যাবোরটিফেসেন্ট।
জাফরান দুধের উপকারিতাঃ
জাফরান দুধের উপকারিতা সমূহ গুলো সম্বন্ধে বর্ণনা করতে গেলে বোঝা যায় যে জাফরান কেনো বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলা। দুধ জাফরান পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সাথে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা মেটাতেও ভালো কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ আমলকীর প্রাকৃতিক গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
জাফরান দুধের সাথে খাওয়ার ফলে পুরুষের শরীরের শুক্রানুর পরিমাণ বাড়াতেও দুধ জাফরান সাহায্য করে। দুধের জাফরানের মধ্যে ক্যালসিয়াম প্রোটিন ভিটামিন বি২, ভিটামিন এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-কে, এবং ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন, এবং অনেক খনিজ পদার্থ থাকে।
গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপরিতাঃ
মুড স্যুইংঃ
গর্ভবতী মহিলার জন্য জাফরান খুবই উপকারি। গর্ভাবস্থায় অনেক নারীদের মুড স্যুইং হয়ে থাকে।এ অবস্থায় জাফরান খেলে মুড স্যুইং নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ভালো ঘুমের সহায়কঃ
গর্ভবতী মহিলাদের ঘুম ভালো হওয়ার জন্য জাফরান খুবই উপকারি।যদি এক গ্লাস দুধের সাথে এক চিমটি জাফরান খেলে গর্ভবতী মহিলার ঘুম ভালো হয়।
ব্যথা বেদনার সহায়কঃ
গর্ভাবস্থায় একজন মহিলা বিভিন্ন প্রকার ব্যথা বেদনার সম্মুখীন হয়। তাই গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে গর্ভ অবস্থায় ব্যথা বেদনা থেকে সহায়তা পাওয়া যাবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ
গর্ভাবস্থায় প্রত্যেকটি মহিলার রক্তচাপের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই গর্ব অবস্থায় যদি জাফরান খাওয়া হয় তাহলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শরীরের হৃদ যন্ত্রের সুস্থতাঃ
জাফরান নিয়মিত সেবনে মানুষের শরীরের হৃদ যন্ত্র সুস্থ ও সবল থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত জাফরান খাওয়া উপযুক্ত।
রূপচর্চায় জাফরানের ব্যবহারঃ
রূপচর্চায় জাফরান নিয়মিত ব্যবহার হয়ে আসছে।জাফরান মূলত ত্বকের রং ফর্সা ও উজ্জল করতে সহায়তা করে থাকে।এছাড়াও চুল লম্বা এবং ঘন করে ঠাকে।নিচে এর বিস্তারিত দেওয়া হল-
ত্বক ফর্সা করেঃ
জাফরান খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়? এমন প্রশ্ন সাধারণত মেয়েরাই বেশি করে থাকে। রান্না থেকে রূপচর্চা সব ক্ষেত্রেই দারুন কাজে লাগে এই জাফরান। জাফরান অনেক ধরনের প্রসাধুনিক পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। জাফরান আপনার ত্বককে তারুণ্যময় ও লাবণ্যময় দেখানো থেকে শুরু করে মশ্চারাইজার করে তুলতে সাহায্য করে। এটি ত্বক সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
চুল লম্বা করেঃ
প্রতিনিয়ত জাফরান তেল কি চুল লম্বা করে এ বিষয় সম্বন্ধে শুধু মেয়েরাই নয় বহু সংখ্যক ছেলেরাও প্রতি নিয়ত গুগল থেকে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করে। কারণ চুল পরা বর্তমান সময়ে একটি গুরুত্ব পূর্ণ ও কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাই চুল পরা সমস্যা সমাধানে জাফরানের তেল খুবই খুবই উপকারি।
আরো পড়ুনঃ তুলসী গাছ ও নিম গাছ এর ঔষধি গুণাগুন
বিশেষ করে জাফরান তেল মেয়েদের লম্বা এবং ঘন চুলের জন্য সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য তেল।আবার জাফরান দিয়ে তৈরি হারবাল নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। মাথায় নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে চুলের যাবতীয় সমস্যা সমাধান হয়। চুল লম্বা ও ঘন হয়। যারা চুল নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন এবং যারা চুলকে আরো লম্বা ও ঘন করতে চান তাদের প্রত্যেকের উচিত জাফরান তেল নিয়মিত ব্যবহার করা।
জাফরান কেন পৃথীবির সব থেকে দামি মসলা ও এর উপকারিতা-শেষ কথাঃ
জাফরান মূলত আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে থাকে।উপরের পোস্টটির আজকের মূল কথা ছিল জাফরান কেন পৃথীবির সবথেকে দামি মসলা ও এর উপকারিতা সম্পর্কে।জাফরান কেন পৃথীবির সবথেকে দামি মসলা ও এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপরে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। আমাদের সাথে এতোক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url