স্বপ্নের পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতু সুবিধা সমূহ
আপনি হয়তো স্বপ্নের পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতু সুবিধা সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন? বা পদ্মা বহুমুখী সেতু সুবিধা সম্পর্কে জানেনা । তবে সমস্যা নেই আজকে আমি স্বপ্নের পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতু সুবিধা সম্পর্কে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
যেহেতু আপনি স্বপ্নের পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতু সুবিধা সম্পর্কে জানেন না সে ক্ষেত্রে পদ্মা বহুমুখী সেতু কি এবং স্বপ্নের পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতু সুবিধা সমূহ সম্পর্কে আমাদের ভালো জ্ঞান রাখা জরুরি। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতু সুবিধা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করি।
পদ্মা সেতুঃ
পদ্মা সেতু সবার কাছে স্বপ্নের সেতু।এ সেতু নির্মিত হওয়ার ফলে যাতায়াত ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছেন।পদ্মা নদীর ওপর তৈরি পদ্মা সেতু হলো সড়ক ও রেল সেতু। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দীর্ঘতম একটি সেতু। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
মূল সেতুর কাজ করেছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।পদ্মা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং অ্যাপ্রচ সড়ক ১২.১৭কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর জন্য মোট জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে প্রায় ১৪৭১ হেক্টর।এছাড়াও মাওয়া প্রান্তে জন্য পাশাপাশি ন ১.৬ কিলোমিটার নদী শাসন করতে হয়েছে ।আবার জাজিরা প্রান্তে জন্য ১২.২ কিলোমিটারের নদী শাসন করতে হয়েছে।
পদ্মা সেতুর অবস্থানঃ
স্বপ্নের পদ্মা সেতু হলো বাংলাদেশের এর পদ্মা নদীর উপর তৈরিকৃত একটি সড়ক ও রেল সেতু।প্রকল্পটি তিনটি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করবে।আর স্বপ্নের পদ্মা সেতু্র জন্য মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে।পদ্মা সেতু বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে পদ্মা নদীর উপর প্রস্থান করে থাকে।যা দুইটি দেশের সংযোজন মাধ্যম।পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ার ফলে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
পদ্মা সেতু বিশ্বের কত তম সেতুঃ
সেতু মূলত নদীর উপর দিয়ে তৈরি করা হয় যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধার জন্য। দুইটি নদীর প্রান্তকে এক করতে পারে একটি সেতু। বিশ্বে ছোট বড় সহ প্রায় অনেক সেতু রয়েছে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করার জন্য সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলাকে ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে সরাসরি সংযুক্ত করেছে। পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে প্রায় একশত বছর।
আরো পড়ুনঃ কর্ণফুলী টানেল বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল
সর্ব প্রথমে বাংলাদেশের সব থেকে বড় সেতু ছিল বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু। আমরা জানি বঙ্গবন্ধু সেতুটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রায় পঞ্চম দীর্ঘতম সেতু এবং বিশ্বের ৯২ তম দীর্ঘ সেতু বলে বিবেচিত। তবে বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পদ্মা সেতুর অবস্থান হলো প্রথম। পৃথিবীর বৃহত্তম সড়ক সেতু গুলোর মধ্যে পদ্মা সেতুর অবস্থান হলো ২৫ তম। সকল দিক বিবেচনায় পদ্মা সেতুর অবস্থান বিশ্বে ১২২ তম।
পদ্মা সেতুর আগে এই অবস্থানে ছিল সুইডেনের অলেন্ড নামক একটি সেতু। বাংলাদেশর এ প্রথম এত লম্বা সেতু তৈরির পরিকল্পনা করা হয় । এ সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। বিশ্বের মধ্যে প্রথম সেতু হিসেবে পদ্মা সেতু স্টিল ও কংক্রিট দিয়ে তৈরি। পদ্মা সেতুটি উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালের ২৫ শে জুন।পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলে বসবাসকারীর প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষের জীবনকে বদলে দিয়েছে। আধুনিক ও বাণিজ্য কার্যক্রমকে প্রসারিত করেছে এবং অর্থনৈতিক ও কাজের সুযোগ করে দিয়েছে।
পদ্মা সেতুর তৈরির কাজ শুরুঃ
পদ্মা সেতুর তৈরির কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল মূলত সর্ব প্রথম পরিকল্পনা করা হয় ২০১১ সালের প্রথম দিকে সেতুর তৈরির কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু তা না হয়ে সেতুর তৈরির কাজ শুরু হয় ২৬ নভেম্বর ২০১৪ সালে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষঃ
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৩ সালের মধ্যে প্রধান কাজ গুলো শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু কাজ শেষ না হয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২৩শে জুন ২০২২ সালে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয়ঃ
পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে প্রায় খরচ হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। অনুমান করা হচ্ছে পদ্মা সেতুতে যে পরিমাণে ব্যয় হয়েছে সে পরিমাণ টাকা উঠতে কমপক্ষে নয় বছর সময় লাগতে পারে। পদ্মা সেতুতে মোট পিলার রয়েছে ৪২ টি এবং স্পেন রয়েছে ৪১ টি এবং প্রতি ৩৮ পিলারের জন্য পাইলিং ছয়টি। পদ্মা সেতুর মোট পাইলিং এর সংখ্যা ২৬৪ টি।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন ২০২২ সালের ২৫ শে জুন। ২৬ শে জুন অর্থ্যাৎ পরের দিন থেকে জন সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মা সেতু কয়টি জেলাকে সংযুক্ত করবেঃ
পদ্মা বহুমুখী সেতু পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত।স্বপ্নের পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতু কাজ শুরু হবার জন্য আমাদের দেশের দক্ষিণ উপকূলের কৃষি পর্যটন ও শিল্প বিকাশের অভার সম্ভাবনা দেখছেন এ অঞ্চলের মানুষ। যোগাযোগের ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় সুফল মিলবে সামগ্রিক অর্থনীতি ও মানুষের জীবন যাত্রার পথে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে উত্তরের বিভাগ রাজশাহী ও রংপুরের চেয়ে পিছিয়ে আছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমের খুলনা ও বরিশাল।
আমরা জানি যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব একটা ভালো না থাকাই বরিশালে ঔষধ, সিমেন্ট ও টেক্সটাইল কারখানার বাইরে তেমন কোন বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে কৃষকের জন্য সহজেই শস্য, সবজি ও মাছ খুব সহজেই ঢাকায় পাঠাতে পারবেন। পদ্মা সেতু মোট ১৯ টি জেলাকে একত্রে সংযুক্ত করবে।মূলত পদ্মা সেতু মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ঐতিহাসিক ভাসমান পেয়ারা বাজার ঝালকাঠি
স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মুখের হাসি ফোটানোর অন্যতম মাধ্যম পদ্মা সেতু। তাই পদ্মা সেতু তৈরি হওয়ার পূর্বে দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ সেতুর অভাবে কোন ধরনের শিল্প কারখানা তৈরি করতে পারেনি। জীবন ও জীবিকার জন্য সেখানকার মানুষকে সব সময় ঢাকা মুখে হতে হতো। বর্তমান সময়ে পদ্মা সেতুর চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এবং পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন হয়েছে।
বাংলাদেশের বৃহত্তম সেতু পদ্মা বহুমুখী সেতুঃ
বাংলাদেশের সব থেকে বৃহওম সেতুর নাম হল পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতু। পদ্মা সেতু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন এসেছে। তাই পদ্মা বহুমুখী সেতু হল বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম এবং বিশ্বে ১২২ তম দীর্ঘ সেতু।পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের এবং শেষ হয় ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ সালে।পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মি।পদ্মা সেতুতে মোট ২২ টি পিলার এবং ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ টি স্পেন ব্যবহার করা হয়েছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুঃ
- বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম সেতু পদ্মা বহুমুখী সেতু বা স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
- পদ্মা বহুমুখী সেতু হল বাংলাদেশের সব থেকে বড় ও বিশ্বে ১২২ তম দীর্ঘ সেতু।
- বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়া বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে।
- পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ার পর মুন্সিগঞ্জ এর মাওয়া জেলা এবং শরীয়তপুর এর জাজিরা জেলা পরস্পর সংযুক্ত হয়েছে।
- বাংলাদেশের বর্তমানে ২১ টি জেলা মূলত পদ্মা সেতু ব্যবহার করে অনেক ধরনের সুবিধা লাভ করতে পারছে।
- পদ্মা সেতুর তৈরির কাজ আরাম্ভ করা হইয়েছে ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের এবং শেষ হয় ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ সালে।
- পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্যের মাপ ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মি।
- পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ২২ টি পিলার এবং ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ টি স্পেন ব্যবহার করা হয়েছে।
- পদ্মা সেতু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- অর্থনৈতিক খাতের জন্য পদ্মা সেতু অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
পদ্মা সেতু নির্মানে সুবিধাঃ
- পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই সহজ হয়েছে।
- পদ্মা সেতুর বহুমুখী মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার সাথে বাংলাদেশের দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চল এর মংলা বন্দর দিয়ে তারাতারি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে ।
- রোড, রেল ছাড়াও এই ব্রিজের মাধ্যমে বিদ্যুত, ইন্টারনেট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস সংযোগের সাথে সংযুক্ত হবে।
- সামাজিক ও সামগ্রিক অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রা এসেছে বিপুল পরিবর্তন।
- বাংলাদেশের জিডিপি ১.৫% বৃদ্ধি পাবে।
- রাজধানী এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াতের সময় কমে আসবে।এতে করে পর্যটন খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
- পদ্মা সেতুর প্রভাবে এই অঞ্চলের দারিদ্র এক শতাংশ কমে আসবে।
- মানুষের জীবনমানের উন্নতি হবে। ইন্ডাস্ট্রি নির্মাণ করা হলে ঐ এলাকার মানুষ রাজধানী মুখি কম হবে।
- যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত না থাকায় এবং গ্যাস সহ অন্যান্য সংযোগ না থাকায় তেমন কলকারখানা গড়ে উঠেনি। এখন এর ফলে বিনিয়োগ বাড়বে। ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে।
- সেতু নির্মাণ কে কেন্দ্র করে বহু মানুষের চাকরি হয়েছে। সিমেন্ট, স্টিল সহ অনেক নির্মাণ সামগ্রীর প্রয়োজন হচ্ছে এই সেতু নির্মাণে। ৩২ হাজার কোটি টাকার এই প্রজেক্টের টাকার বড় একটা অংশ তারাও পাচ্ছে।
- দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ হবে। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রেল যোগাযোগে দূরত্ব কমে আসবে।
- বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর মংলা ও পায়রা বন্দরের সাথে সড়ক পথে সরাসরি চলাচল করা যাবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতুর সুবিধার-শেষ কথাঃ
উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল স্বপ্নের পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতু সুবিধা সমূহ সে সম্বন্ধে। সাথে আরো আলোচনা করেছি পদ্মা বহুমুখী সেতু সুবিধা সমূহ এর বিভিন্ন তথ্য সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার কাছে ভালো লেগেছে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কোন কোন বিষয় গুলি ভালো লেগেছে এবং আপনি কত টুকু উপকৃত হয়েছেন তা আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতি দিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url