আচারের বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু রেসেপি সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

প্রিয় পাঠক আপনি আচার সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করছেন । নিচের আর্টিকেলটি আচারের বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু রেসেপি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করবো । আশাকরি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন ।

আচারের বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু রেসেপি সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

সবার কাছে অনেক পছন্দের খাবার । সকলের কাছে আচার অতি পরিচিত ।আচার ভাত ও খিচুড়ি সব কিছুর সাথে খাওয়া যায়। আমের আচার বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ । আবার আমের আচার কাঁচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা যায় ।

আমের আচার

আমের আচার খেতে অনেক সুস্বাদু হয় । এই আচার ভাত ও খিচুড়ি সব কিছুর সাথে খাওয়া যায়। আমের আচার বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ । আবার আমের আচার কাঁচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা যায় । নিচে আমের আচার বানানোর উপায় দেওয়া হলো ।

উপাদানগুলি

  • ১ কেজি আম
  • ১ কাপ মিঠাই
  • ১/২ কাপ সিরকা
  • সরিষার তেল পরিমাণ মতো
  • লবণ সাদ মতো
  • ২ টেবিল চামচ পাঁচফোড়ন
  • ৪/৫ টি সুকনা মরিচ
  • ৫/৬ টি রসুন কোয়া,
  • ১ টেবিল চামচ লাল মরিচের গুঁড়ো
  • ১ টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া
  • ২ টেবিল চামচ গোটা ধনিয়া

ধাপগুলি 

আমরা আম আগে ভালো ভাবে ধুয়ে আমের পানি ছাড়িয়ে নিব । তারপর আম চার থেকে ছয় ফালি করে আমের আটি সহ একটি পেনে ২-৩ কাপ পানি দিয়ে চুলায় বসাবো । যখন ২/৩ টি বলক আসবে তখন নামিয়ে ছেকে নিব। আমটা হাতের সাহায্য চটকে নিব আমের আটি গুলি ফেলে দিব। তারপর চুলায় একটি পেন বসিয়ে পরিমান মতো সরিষার তেল দিব । তেল টা গরম হলে রসুন বাটা, হলুদের গুঁড়া, লাল মরিচের গুঁড়ো, লবণ দিয়ে নাড়বো ও সামান্য পানি দিয়ে মশলাটা নারতে  যাতে পুড়ে না যায়। 

আরো পড়ুনঃ কেকের বিভিন্ন ধরনের রেসেপি

তারপর চিনি বা গুর টা  মশলার সাথে ঢেলে দিব। এরপর নাড়তে থাকবো যখন চিনি বা গুর গলে যাবে তখন আমটা ঢেলে দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকবো । আম যখন গলে যাবে তখন সিরকা দিয়ে নাড়তে যাতে তলায় না লাগে। যখন আমটা পেনের গা ছেড়ে আসবে তখন আবার ও ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিব, দিয়ে লবণ, মিষ্টি দেখে নামিয়ে নিব। 

এরপর শুকনা মরিচ তেলে টেলে নিব ।এবার পাঁচ ফোড়ন হাল্কা টেলে নিব আস্ত ধনিয়া টেলে নিয়ে সব মশলা এক সাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিব। এখন মশলা গুঁড়া আমের সাথে মিশিয়ে নিব । তারপর রসুনের কোয়া গুলি ও আমের সাথ মিশিয়ে নিব । এতে করে আচার ভালো থাকবে। তারপর ঠান্ডা হলে একটি কাঁচের বয়ামে সংরক্ষণ করবো । তাতে করে অনেক দিন ভালো থাকবে।

খোসা সহ আমের আচার

খোসা সহ আমের আচার খেতে অনেক সুস্বাদু হয় । এই আচার ভাত ও খিচুড়ি সব কিছুর সাথে খাওয়া যায়। খোসা সহ আমের আচার বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ । আবার আমের আচার কাঁচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা যায় । নিচে খোসা সহ আমের আচার বানানোর উপায় দেওয়া হলো ।

উপাদান গুলি

  • 2 কেজির মত আম টকরো খোসা সহ
  • সরিষার তেল পরিমান মত, হলুদ গুরা পরিমান মত
  • দের চা চামচ আদা ও রসুন বাটা
  • চিনি পছন্দমত
  • 1 চা চামচ মরিচ গুরা
  • 1/2 চা চামচ ধনেজিরা গুরা
  • 2 চা চামচ পাচপূড়ন গুরা
  • লবণ পরিমানমত
  • শুকনা মরিচ আস্ত কয়েকটি
  • 4 টি এলাচ
  • 2 টি দারচিনি
  • 2 টি তেজপাতা

ধাপগুলি

আমরা আম আগে ভালো ভাবে ধুয়ে আমের পানি ছাড়িয়ে নিব । তারপর খোসা সহ আম  ছয় ফালি করে আমের আটি সহ একটি পেনে ২-৩ কাপ পানি দিয়ে চুলায় বসাবো । যখন ২/৩ টি বলক আসবে তখন নামিয়ে ছেকে নিব। । তারপর চুলায় একটি পেন বসিয়ে পরিমান মতো সরিষার তেল দিব । তেল টা গরম হলে রসুন বাটা, হলুদের গুঁড়া, লাল মরিচের গুঁড়ো, লবণ দিয়ে নাড়বো ও সামান্য পানি দিয়ে মশলাটা নারতে  যাতে পুড়ে না যায়।

এরপর অর্ধেক তেল করাইয়ে দিয়ে চুলায় দিব, এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা দিয়ে নেরেচেরে নিব, আমগুলো ও সব উপকরন মসলা ও চিনি দিয়ে নারতে থাকব, চিনি গলে গেলে আরো কিছু তেল দিয়ে পাচপূড়ন মসলা দিয়ে নেরেনেরে নিব যতক্ষননা পানি শুকিয়ে যবে।এভাবে দুদিন চুলায় মিডিয়াম আচে জ্বাল দিলে পানি শুকিয়ে কাল হয়ে আসবে তারপর ঠান্ডা করে বয়ামে ভরে রাখব, আচার যত পুরানো হবে ততই খেতে ভাল লাগে

বরই টক মিষ্টি আচার

বরই টক মিষ্টি আচার খেতে অনেক সুস্বাদু হয় । এই আচার ভাত ও খিচুড়ি সব কিছুর সাথে খাওয়া যায়। বরই টক মিষ্টি আচার বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ । আবার বরই টক মিষ্টি আচার কাঁচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা যায় । নিচে বরই টক মিষ্টি আচার বানানোর উপায় দেওয়া হলো ।

উপাদানগুলি 

  • ১ কেজি বরই
  • ১ কাপ মিঠাই
  • ১/২ কাপ সিরকা
  • সরিষার তেল পরিমাণ মতো
  • লবণ পরিমাণ মতো
  • ২ টেবিল চামচ পাঁচফোড়ন
  • ৪/৫ টি সুকনা মরিচ
  • ৫/৬ টি রসুন কোয়া
  • ১ টেবিল চামচ লাল মরিচের গুঁড়ো
  • ১ টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া
  • ২ টেবিল চামচ গোটা ধনিয়া

ধাপগুলি

প্রথমে বরই ভালো করে ধুয়ে নিব, তারপর বরই  গুলো পানি ছাড়িয়ে নিবো । তারপর চুলায় একটি পেন বসিয়ে পরিমান মতো সরিষার তেল দিব তেল টা গরম হলে রসুন বাটা, হলুদের গুঁড়া, লাল মরিচের গুঁড়ো, লবণ দিয়ে নাড়বো সামান্য পানি দিয়ে যাতে মশলাটা পুড়ে না যায়।

এখন মিঠাই টা কুঁচি করে মশলার সাথে ঢেলে দিব, নাড়তে থাকবো যখন মিঠাই টা গলে যাবে তখন বরইটা ঢেলে দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকবো বরই যখন গলে যাবে তখন সিরকা দিয়ে নাড়তে যাতে তলায় না লাগে।

আরো পড়ুনঃ বিরানির বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় রেসিপি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

যখন বরই পেনের গা ছেড়ে আসবে তখন আবার ও ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিব। তারপর দিয়ে লবণ, মিষ্টি দেখে নামিয়ে নিব।এখন শুকনা মরিচ টেলে নিব, পাঁচফোড়ন হাল্কা টেলে নিব আস্ত ধনিয়া টেলে নিয়ে সব মশলা এক সাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিব।

এখন মশলা গুঁড়া আমের সাথে মিশিয়ে নিব। তারপর রসুনের কোয়া গুলি ও আমের সাথ মিশিয়ে নিব এতে করে আচার ভালো থাকবে। তারপর ঠান্ডা হলে একটি কাঁচের বয়ামে সংরক্ষণ করবো অনেক দিন ভালো থাকবে।

চালতার ঝাল-মিষ্টি আচার

চালতার ঝাল-মিষ্টি আচার খেতে অনেক সুস্বাদু হয় । এই আচার ভাত ও খিচুড়ি সব কিছুর সাথে খাওয়া যায় ।চালতার ঝাল-মিষ্টি আচার বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ । আবার চালতার ঝাল-মিষ্টি আচার কাঁচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা যায় । নিচেবরই টক মিষ্টি আচার বানানোর উপায় দেওয়া হলো ।

উপাদানগুলি

  • ৫-৬ টা চালতা
  • ২ কাপ আখের গুড়
  • ২ কাপ চিনি,আস্ত গোটা মসলা এলাচ, দারচিনি ও তেজপাতা
  • ৪ চা চামচ পাঁচফোড়ন
  • ৪ চামচ শুকনা মরিচের গুঁড়া
  • ৭-৮ কোয়া রসুন
  • পরিমাণ মতো লবণ

ধাপগুলি

প্রথমে একটি পাত্রে পানি দিয়ে চালতা গুলো কেটে সিদ্ধ করে নিতে হবে।এবার চালতা গুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে একটি ছাঁকনিতে ছেকে পানি ঝরিয়ে অন্য একটি কড়াই চালতা গুলো দিয়ে এরমধ্যে গুড়, চিনি, আস্ত গোটা মশলা ও সামান্য লবণ দিয়ে ভালো করে নেড়ে কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে।

তারপর চিনি ও গুড় এর পানি শুকিয়ে আসলে আচার এর মধ্যে শুকনা মরিচের গুঁড়া, পাঁচফোড়ন গুঁড়্‌ দিয়ে ভালো করে নেড়ে রসুন কোয়া দিয়ে ভাল করে রান্না করে নামিয়ে নিলেই তৈরি মজাদার ঝাল মিষ্টি আচার।

জলপাইয়ের আচার

জলপাইয়ের আচার খেতে অনেক সুস্বাদু হয় । এই আচার ভাত ও খিচুড়ি সব কিছুর সাথে খাওয়া যায়। জলপাইয়ের  আচার বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ । আবার জলপাইয়ের  আচার কাঁচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা যায় । নিচে জলপাইয়ের আচার বানানোর উপায় দেওয়া হলো ।

উপাদানগুলি

  • ৫ কেজি জলপাই
  • ১.৫ কেজি আখের গুড়
  • ২ কাপ চিনি
  • ৩-৪ টা আস্ত গোটা মসলা , এলাচ, দারচিনি ও তেজপাতা
  • ৪ চামচ শুকনো চিলি ফ্লেক্স মরিচের গুঁড়া
  • ৫ চামচ পাঁচফোড়ন গুঁড়া
  • ১ কাপ সরিষার তেল
  • পরিমাণ মতো লবণ

ধাপগুলি

প্রথমে একটি পাত্রে জলপাইগুলো পানি ও লবণ দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর জলপাই গুলো ভালো করে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।

অন্য একটি পাত্রে সামান্য সরিষার তেল দিয়ে এর মধ্যে গোটা মসলা দিয়ে হালকা ভেজে জলপাইগুলো চটকে ঢেলে দিতে হবে। পর গুড় ও স্বাদমতো চিনি দিয়ে ভালো করে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। এক সময় দেখা যাবে যে জলপাইতে পানি উঠেছে তখন চুলার আঁচ মিডিয়াম রেখে লবণ মরিচের গুঁড়া সামান্য পাঁচফোড়ন দিয়ে আবার নাড়তে হবে।

তারপর পানি একসময় শুকিয়ে আসলে অল্প অল্প সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিতে হবে। আচার চুলা থেকে নামানোর 5 মিনিট আগে আবার কিছুটা মরিচের গুঁড়া ও পাঁচফোড়ন গুঁড়া দিয়ে ভালো করে নেড়ে নামিয়ে নিন।এবার একটি এয়ারটাইট বক্সে আচার গুলো রেখে ফ্রিজে অনেক দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন।

শশার আচার

শশার আচার খেতে অনেক সুস্বাদু হয় । এই আচার ভাত ও খিচুড়ি সব কিছুর সাথে খাওয়া যায়। শশার আচার বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ । আবার শশার আচার কাঁচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা যায় । নিচে শশার আচার বানানোর উপায় দেওয়া হলো

উপাদানগুলি

  • ১/২ কেজি শসা 
  • স্বাদ মতো লবণ
  • ১/২ কাপ চিনি
  • ১ কাপ পানি
  • দেড় কাপ সিরকা বা ভিনেগার
  • ৪/৫ টা রসুনের কোয়া
  • ৫ টা শুকনো মরিচ 
  • ২/৩ টা ফালি কাঁচামরিচ
  • ১ চা চামচ হলুদ গুড়া

ধাপগুলি

প্রথমে শসা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে একটা কিচেন টাওয়েল দিয়ে ভালো করে মুছে ড্রাই করে নিবো। এবং পছন্দ মতো সেইপে কেটে স্লাইস করে নিবো। তবে বেশি পাতলা বা ভারী করে কাটা যাবেনা।

এরপর একটি হাড়ি তে  ১ কাপ পানি দিয়ে দিবো তারপর এর সাথে দেড় কাপ ভিনেগার দিয়ে দিবো।তারপর এর মধ্যে বাকি সব উপকরণ, অর্থাৎ হলুদ গুড়া, স্বাদ মতো লবণ, রসুনের কোয়া, কাঁচা মরিচ ফালি ও শুকনো গোটা লাল মরিচ গুলো দিয়ে সব একসাথে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে ২/৩ মিনিট পানি না ফুটিয়ে নিবো।

আরো পড়ুনঃ ভর্তার বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় রেসিপি সম্পর্কে বিস্তারিত

পানি ফুটে গেলে পানি টা নামিয়ে এই গরম ফুটানো পানি টাই কেটে রাখা শশার স্লাইসের মধ্যে ঢেলে দিবো, এবং কাঁটাচামচ দিয়ে শসা গুলোকে চেপে গুড়িয়ে দিবো। এভাবে কিছুক্ষণ রেখে দিবো, যতক্ষণ না ঠান্ডা হয়ে যায়।

পুরোপুরি ঠান্ডা হলে বয়ামে গেলে সংরক্ষণ করবো। এবং এয়ার টাইট বয়ামে রেখে মুখ বন্ধ করে ২/৩ দিন এমনি রেখে দিবো, ২/৩ দিন পর এই আচার খাওয়ার জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত হবে। এই আচার ফ্রিজে রেখে ৭-১০ দিন খাওয়া যাবে। আর এটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে, এতে অনেক রিফ্রেশিং লাগবে।

রসুনের আচার

রসুনের আচার খেতে অনেক সুস্বাদু হয় । এই আচার ভাত ও খিচুড়ি সব কিছুর সাথে খাওয়া যায়। রসুনের আচার বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ । আবার রসুনের আচার কাঁচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা যায় । নিচে রসুনের  আচার বানানোর উপায় দেওয়া হলো ।

উপাদানগুলি

  • ২ কাপ পরিমাণ ভিতরের খোসা সহ ফ্রোজেন রসুন,
  • ১/২ কাপ তেঁতুলের মাড়,
  • পরিমাণ মতো সরিষার তেল,
  • ১ টে চামচ সরিষা বাটা,
  • ১/২ চা চামচ পাঁচফোড়ন গুঁড়ো,
  • ১ চিমটি হলুদ গুড়া,
  • ১ টে চামচ ভিনেগার,
  • ১ চা চামচ লবণ,
  • ০.২৫ কাপ চিনি,
  • ১ টে চামচ শুকনা মরিচ গুঁড়া,
  • ১ চা চামচ জিরা গুড়া,
  • ১/২ চা চামচ আদা বাটা,
  • ১ চা চামচ মৌড়ি গুড়া,
  • ৫/৬ টা শুকনো মরিচ,
  • তেঁতুলের মাড় তৈরি করার উপকরণ:
  • ১ কাপ পানি, 
  • ২৫০ গ্রাম তেঁতুল, 
  • ১ টে চামচ ভিনেগার,

ধাপগুলি

প্রথমেই ২৫০ গ্রাম তেঁতুল ১ কাপ পানি তেল ভিজিয়ে রাখবো কমপক্ষে ৩০ মিনিট।এইফাঁকে একটি কড়াই তে পরিমাণ মতো সরিষার তেল গরম করে তাতে পাঁচফোড়ন দিয়ে একটু নেড়ে ৫/৬ টা গোটা শুকনো মরিচ দিয়ে একটু নেড়ে নিবো একটু ফুটতে শুরু করলেই ভিতরের খোসা সহ ফ্রোজেন বাসি রসুন গুলো দিয়ে একটু নেড়ে সব মিশিয়ে ভেজে নিবো।

রসুন গুলো বেশি নরম ও হবেনা, শক্ত ও হবেনা। এবারে এর সাথে আদা বাটা, লালমরিচের গুঁড়া, হলুদ গুড়া, ধনেগুঁড়া, স্বাদ মতো লবণ দিয়ে একটু নেড়ে নিবো। এবং ১ টে চামচ ভিনেগার ও সরিষা বাটা দিয়ে আবারো নেড়ে চেড়ে নিবো। এবং ভিজিয়ে রাখা তেঁতুলের মাড় টা দিয়ে দিবো, ভিজিয়ে রাখা তেঁতুলের বিচি গুলো ফেলে দিয়ে বাকি সবটুকু দিয়ে দিবো, এবং পরিমাণ অনুযায়ী চিনি মিশিয়ে নিবো। অনবরত নেড়েচেড়ে নিবো। একটু ঘন হয়ে এলেই নামিয়ে নিব ।

যখন আচার রুম টেম্পারেচারে চলে আসবে তখন এটি একটি এয়ার টাইট বয়ামে ভরে রাখবো এবং ২/৩ দিন পরপর রোদে একটু রাখতে হবে। এই আচারের পর্যাপ্ত সরিষার তেল দিয়ে আচার প্রিযার্ড করতে হবে। এতে করে আচারের ফাংগাস পরবেনা।

আর এই আচার ফ্রিজে না রেখে নরমাল রুম সংরক্ষণ করে রেখে খাওয়াই ভালো। কারণ ফ্রিজে রাখলে অনেক সময় আচারের স্বাদ নষ্ট হয়।এই আচার ৫/৬ মাস পর্যন্ত ভালো ভাবে সংরক্ষণ করে রাখলে খাওয়া যাবে। তাই এখন থেকে বাসি রসুন অকেজো ভেবে ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলুন অসাধারণ স্বাদের ও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী রসুনের আচার।

কাচাঁ মরিচের আচার

কাচাঁ মরিচের আচার খেতে অনেক সুস্বাদু হয় । এই আচার ভাত ও খিচুড়ি সব কিছুর সাথে খাওয়া যায়। কাচাঁ মরিচের আচার বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ । আবার কাচাঁ মরিচের আচার কাঁচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা যায় । নিচে কাচাঁ মরিচের আচার বানানোর উপায় দেওয়া হলো

উপাদানগুলি 

  • ১০০ গ্রাম কাচামরিচ
  • ১ টেবিল চামচ সরিষা বাটা
  • ১ টেবিল চামচ ধনিয়াগুড়া
  • ১ টেবিল চামচ ভাজা পাঁচফোড়ন গুড়া
  • ১/২ চা চামচ হলুদগুড়া
  • ২ চা চামচ মরিচগুড়া
  • স্বাদমতো-লবণ
  • ২ কাপ সরিষা তেল
  • ৫/৬ কোয়া রসুন
  • ১/২ কাপ সিরকা
  • ১/২ কাপ চিনি
  • ১ টেবিল চামচ তেতুলের কাথ
  • ১ চা চামচ রসুন বাটা
  • ২ চা চামচ আদাবাটা

ধাপগুলি

প্রথমে কাচা মরিচের বোটা ফেলে, ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে।রান্নার কড়াইতে সরিয়া তেল দিয়ে গরম করতে হবে। এতে সরিষা বাটা দিয়ে নেড়ে একে একে আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদগুড়া, মরিচ গুড়া, ধনিয়া গুড়া ও স্বাদ মতো লবণ দিয়ে নাড়তে হবে।

তারপর এতে কাচা মরিচ দিয়ে নাড়তে হবে। চিনি ও তেতুলের কাথ দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে ৫ মিনিট।এরপর এতে সিরকা ও পাচ ফোড়ন গুড়া দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিতে হবে।ব্যাস মজাদার কাচা মরিচের আচার তৈরী। উপভোগ করুন খিচুড়ি, পরোটা, রুটি কিমবা ভাতের সঙ্গে।

বিলেম্বুর গোল্লা আচার

বিলেম্বুর গোল্লা  আচার খেতে অনেক সুস্বাদু হয় । এই আচার ভাত ও খিচুড়ি সব কিছুর সাথে খাওয়া যায়। বিলেম্বুর গোল্লা  আচার বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ । আবার বিলেম্বুর গোল্লা আচার কাঁচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা যায় । নিচে বিলেম্বুর গোল্লা আচার বানানোর উপায় দেওয়া হলো

উপাদানগুলি

  • ২ কাপ বিলেম্বু
  • গুড়- প্রয়োজন মত
  • লবণ- প্রয়োজন মত
  • ২ চা চা পাঁচফোড়ন
  • ১ টে চা ভাজা পাঁচফোড়নের গুঁড়া
  • ১ টে চা রশুন কুচি
  • ২ টে চা সরষের তেল
  • ১ চা চা লাল মরিচ গুঁড়া

  • পানি- প্রয়োজন মত

ধাপগুলি

বিলেম্বু ধুয়ে কেটে অল্প পানি ও লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। তারপর ব্লেনডারে ব্লেন্ড করে নিন। এগুলো একটি কড়াইয়ে গুড় ও মরিচ সব জ্বালে বসান।মাঝারী আঁচে মিশ্রণ টি জ্বাল দিতে দিতে থাকুন ও নাড়তে থাকুন। প্রায় ৪০/৪৫ মিনিট লাগবে ঘন হতে। ঘন হলে টক মিষ্টি ব্যালেন্স ঠিক হয়েছে কিনা চেখে প্রয়োজন মত গুড় বা লবণ মিশান।

একটি কড়াইয়ে সরষের তেল দিন। গরম হলে পাঁচফোড়ন দিন। ফুটে উঠলে রশুন কুচি দিন। বাদামী হলে বিলেম্বুর মিশ্রনের উপর ঢেলে দিন। নেড়ে আরো কিছুক্ষণ চুলায় রেগে পাঁচফোড়ন গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে হাতে একটু তেল মাখিয়ে গোল গোল করে শেপ দিন। গোল না করেও এমনিতেই খাওয়া যাবে।

আমড়া আর রসুনের আচার

আমড়া আর রসুনের আচার খেতে অনেক সুস্বাদু হয় । এই আচার ভাত ও খিচুড়ি সব কিছুর সাথে খাওয়া যায়। আমড়া আর রসুনের আচার বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ । আবার আমড়া আর রসুনের আচার কাঁচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা যায় । নিচে আমড়া আর রসুনের আচার বানানোর উপায় দেওয়া হলো ।

উপাদানগুলি

  • ১ কেজি আমড়া
  • আধা কেজি রসুন
  • ১ কাপ সিরকা
  • ১ টেবিল চামচ পাঁচফোড়ন
  • ২ কাপ সরিষার তেল
  • ১ চা চামচ হলুদগুড়া
  • ১ টেবিল চামচ স্বাদমত টালা শুকনা মরিচ গুড়ো

ধাপগুলি

আমড়া ধুয়ে পানি ঝরিয়ে টুকরো করে কেটে নিতে হবে। একটা কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করে নিতে হবে। তেল গরম হয়ে আসলে এর মদ্ধে আস্ত পাঁচফোড়ন দিয়ে কিছু ক্ষণ নেড়ে নিতে হবে। এরপর একে একে আমড়া, রসুন, হলুদ গুড়া আর লবণ দিয়ে অল্প আঁচে কিছু ক্ষণ নেড়ে নিতে হবে।

পানি শুকিয়ে আসলে শুকনোমরিচ এর গুড়ো আর সিরকা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়ে নিতে হবে। ব্যাস হয়ে গেল আমড়ার আর রসুনের আচার।এরপর ঠান্ডা করে কৌটায় ভরে রোদে অথবা ফ্রিজে রেখে অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায় এই আচার।

আনারসের আচার

আনারসের আচার খেতে অনেক সুস্বাদু হয় । এই আচার ভাত ও খিচুড়ি সব কিছুর সাথে খাওয়া যায়। আনারসের আচার বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ । আবার আনারসের আচার কাঁচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা যায় । নিচে আনারসের আচার বানানোর উপায় দেওয়া হলো ।

উপাদানগুলি

  • ১ টি -আনারস
  • ১ কাপ -সরিষা তেল
  • ২০০ গ্রাম-গুড়/চিন
  • ১ চা চামচ- পাঁচফোড়ন ভাজা গুড়া
  • ১ চা চামচ-রসুনবাটা
  • স্বাদমতো-লবণ
  • ১ কাপ -সিরকা
  • ১ টেবিল চামচ-চিলি ফ্লেক্স
  • 1/2 চা চামচ-বিটলবণ
  • 1/2 চা চামচ-কালোজিরা
  • ১ টেবিল চামচ-সোডিয়াম বেনজয়েট

ধাপগুলি

আচার রান্নার জন্যে কড়াইতে তেল দিয়ে গুড় বা চিনি দিতে হবে।এরপর বা চিনি গুড় গলে গেলে এতে আনারসের টুকরো, লবণ ও বীট লবণ দিয়ে নাড়তে হবে।

আনারস প্রায় সিদ্ধ হয়ে এলে এতে সিরকা, চিলি ফ্লেক্স, আস্ত কালোজিরা, ভাজা পাঁচফোড়ন এর গুড়া দিয়ে নাড়তে হবে।এরপর আধা কাপ সিরকা নিয়ে এতে সোডিয়াম বেনজয়েট দিয়ে গুলে নিতে হবে। এরপর তা আচারে ঢেলে দিতে হবে।এরপর ভালো করে নেড়ে নামিয়ে নিতে হবে। ব্যাস মজাদার আনারসের আচার তৈরী।

বোম্বাই মরিচের আচার

জলপাইয়ের আচার খেতে অনেক সুস্বাদু হয় । এই আচার ভাত ও খিচুড়ি সব কিছুর সাথে খাওয়া যায়। জলপাইয়ের  আচার বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ । আবার জলপাইয়ের  আচার কাঁচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা যায় । নিচে বরই টক মিষ্টি আচার বানানোর উপায় দেওয়া হলো

উপাদানগুলি

  • ১ কাপ বোম্বাইমরিচ নিতে হবে
  • তারপর ২ কাপ কাঁচা আম নিতে হবে
  • এরপর সিরকা ১ কাপ

  • ২ চা চামচ পাঁচ ফোড়ন 

  • ১ কাপ রসুন 
  • ৩ কাপ সরিষার তেল
  • ১ টেবিল চামচ লবন
  • ২ চা চামচ হলুদ গুড়ো

ধাপগুলি

প্রথমে মরিচগুলো মাঝ খান থেকে টুকরো করে নিতে হবে, এরপর রসুন খোসা ছাড়িয়ে এবং আমগুলো টুকরো করে কেটে নিতে হবে।তারপর একটা কড়াই চুলায় বসিয়ে এর মদ্ধে সরিষার তেল দিয়ে গরম করে নিতে হবে। এর মদ্ধে পাঁচ ফোড়ন দিয়া সামান্য নাড়া চাড়া করে রসুন ও আম দিয়ে দিতে হবে।

আম থেকে পানি শুকিয়ে আসতে থাকলে তখন হলুদ, লবন ও মরিচগুলো দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে হবে। মরিচের পানি শুকিয়ে আসলে সিরকা দিয়ে কিছু ক্ষণ নেড়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে বয়ামে ভরে রোদে শুকাতে দিতে হবে।ব্যাস হয়ে গেলো ঝাল ঝাল মজার বোম্বাই মরিচের আচার। এই আচার ভাত আর ডাল দিয়ে খেতে খুব মজা। খিচুড়ি দিয়ে ও ভালো লাগে।

আচারের বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু রেসেপি-শেষ কথা

উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল আচারের বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু রেসেপি সম্পর্কেআশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার ভালো লেগেছে।

আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কোন কোন বিষয় গুলি ভালো লেগেছে এবং আপনি কত টুকু উপকৃত হয়েছেন তা আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতি দিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url