বাইম মাছ চাষ করার উপায় - লাভবান হওয়ার পদ্ধতি পড়ুন

আপনি হয়তো বাইম মাছ চাষ সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন। কিন্তু আমরা অনেকেই বাইম মাছ চাষ সম্পর্কে জানি না । তবে সমস্যা নেই আজকে আমি বাইম মাছ চাষ সম্পর্কে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

বাইম মাছ চাষ করার উপায় - লাভবান হওয়ার পদ্ধতি পড়ুন

যেহেতু আপনি বাইম মাছ চাষ সম্পর্কে জানেন না সে ক্ষেত্রে বাইম মাছ চাষ কি এবং বাইম মাছ সম্পর্কে আমাদের ভালো জ্ঞান রাখা জরুরি। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা বাইম মাছ চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করি।

বাইম মাছ চাষ

বাইম মাছ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মাছ । আমাদের দেশের, বাইম, মাগুর, শিং, খলিসা, টেংরা, গুলসা, রাণি, ইত্যাদি মাছ রয়েছে।এদের মধ্যে বাইম মাছ অনেক জনপ্রিয় মাছ।কিন্তু বর্তমানে এ মাছ বিলুপ্ত  প্রায় ।

বাইম মাছের লম্বা, হলুদাভ, সর্পিলাকার এ মাছের লেজের দিকে গোলাকার মত কালো দাগ রয়েছে। ভারতের আসামে এটি পিকক ইল, টোরা, মাড্ ইল নামে পরিচিত। বাইম বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল ও মায়ানমারে পাওয়া যায়। এ মাছটি দেখতে খুবই সুন্দর, বাহারি, খেলোয়াড় মাছ হিসাবে এ্যাকুরিয়ামের শোভা বর্ধক মাছ হিসাবে বহুল প্রচলন রয়েছে। 

বাইম মাছ এদেশের সংস্কৃতিতে দেশিয় প্রজাতির মাছ হিসাবে ঐতিহ্যগত ভাবে মিশে আছে।বর্তমান সময়ে প্রকৃতি আর প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর   বিরূপ প্রভাব, মানুষের অত্যাচার, জুলুমের ফলে আমাদের সমৃদ্ধ মৎস্য ভান্ডার এখন কিংবদন্তিতে রূপ নিতে যাচ্ছে। সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে জলজ পরিবেশের বিপর্যয়, নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ব্যবহার, ডুবন্ত জলজ উদ্ভিদ ও শ্যাওলা কমে যাওয়ার কারণেও এখন এ মাছটি বিলুপ্তির পথে।

বাইম মাছের জাত

বাংলাদেশের অতীত কাল থেকেই নদ-নদী, খাল-বিল, ডোবা, পুকুর ও দিঘিতে ছোট দেশিয় প্রজাতির মাছ প্রাকৃতিক ভাবেই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। আমাদের দেশিয় ছোট প্রজাতির মাছের মধ্যে খলিসা, টেংরা, গুলসা, রাণি, বাইম ইত্যাদি মাছ প্রজনন করিয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যেতে পারে। বাহারি মাছ হিসাবে টেংরা, গুলসা, রাণি ও খলিসা মাছের মত এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। বাহারি মাছ হিসাবে মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য বর্হিবিশ্বে এর চাহিদা অনেক।

আরো পড়ুনঃ পাবদা মাছ পকুরে চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন

বাইম মাছ অনেক ধরনের হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রধানত দুই ধরনের  বাইম মাছ পাওয়া যায় । যথা,

  • গুচি বাইম মাছ
  • তারা বাইম মাছ

বাইম মাছের প্রজনন

বাইম মাছের প্রজনন উপায় অনেক সহজ।কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া প্রজনন করানো যায়। এ মাছের প্রজননের ক্ষেত্রে ব্রুড মাছ (মা ও বাবা মাছ) ব্যবস্থাপনা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ছোট বড় যে কোন ধরনের পুকুরেই ব্রুড মাছ লালন করা যেতে পারে। তবে সাধারণত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুকুরেই লালন করা ভাল।উন্নত ব্রুড ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছ প্রজননের জন্য পরিপক্ক হলে প্রণোদিত প্রজননের জন্য ২টি পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়।

  • চাপ প্রজনন পদ্ধতি
  • কচুরিপানায় প্রজনন পদ্ধতি 

চাপ পদ্ধতিতে প্রজনন

আমরা জানি চাপ পদ্ধতি প্রজনন করার জন্য প্রথমে ব্রড মাছের পুকুর থেকে পরিপক্ক প্রজননক্ষম স্ত্রী ও পুরুষ নির্বাচন পূর্বক হ্যাচারীতে ঝর্ণার সাওয়ারের পানিতে ৮-/ ১০ ঘন্টা রেখে খাপ খাওয়ানোর পর প্রথমে স্ত্রী মাছকে পিজি (পিটুইটারি গ্ল্যান্ড) ৪০ মি. গ্রাম/কেজি ডোজ দিয়ে ৬ ঘন্টা ব্যবধানে ২য় মাত্রা ৫০ মি.গ্রাম/কেজি প্রয়োগ পূর্বক পুরুষ মাছকে একক মাত্রায় ৪০ মি.গ্রাম/কেজি দিয়ে সিসর্টানে ঝর্ণার নিচে রাখতে হবে।

আবার ২য় ভোজের ৭-৮ ঘন্টা পর (২৭-৩৩০ সে. তাপমাত্রায়) মাছ যখন কোর্টসীপ আচরণে জোড়ায় জোড়ায় দৌড়াদৌড়ি করতে থাকবে, আলিঙ্গন করতে থাকবে, তখন স্ত্রী মাছকে নরম টাওয়েল দিয়ে ধরে চাপ পদ্ধতিতে ছোট প্লেটে ডিম সংগ্রহ পূর্বক পুরুষ মাছ হতে একই নিয়মে শুক্রানু বের করে দিয়ে ৬ ঘন্টা ব্যবধানে ২য় মাত্রা ৫০ মি.গ্রাম/কোজ প্রয়োগ পূর্বক পুরুষ মাছকে একক মাত্রায় ৪০ মি. গ্রাম/কেজি দিয়ে সিসর্টানে ঝর্ণার নিচে রাখতে হবে।

আমারা অনেকেই জানি নিষিক্ত ডিম গুলোকে ট্রেতে রেখে পাইপ লাইনে ফোঁটা ফোঁটা পানি সরবরাহ পূর্বক এরেশন দিয়ে রাখতে হবে। ট্রেতে পানির গভীরতা হবে ১০-১২ সে.মি. এবং পানি হতে হবে সম্পূর্ণ আয়রন মুক্ত। এভাবে ২০-৩৩০ সে. তাপমাত্রায় ৩৬-৪০ ঘন্টা পর ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হয়। প্রজননের জন্য মে-জুন হচ্ছে উৎকৃষ্ট সময়। তবে বাইম মাছের মে থেকে আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রজনন মৌসুম।

কচুরিপানায় প্রজনন পদ্ধতি

উপরের উক্ত চাপ পদ্ধতির মত বা একই নিয়মে আপনাকে পিজি ১ম ও ২য় মাত্রা প্রয়োগ করে প্রভাবক হিসাবে পরিস্কার কচুরিপানা যুক্ত হাপার পানিতে রেখে ঝর্ণার সাওয়ারে ৮-১০ ঘন্টা পর স্ত্রী মাছ ডিম ছাড়ার পর পুরুষ মাছ শুক্রানু ছাড়ার মাধ্যমে নিষিক্ত করে থাকে। কচুরিপানায় প্রজনন পদ্ধতিতে বাইম মাছ ভাল ভাবে প্রজনন করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ হাইব্রিড মাগুর মাছ চাষ করে কী ভাবে লাভবান হওয়া যায়

আমরা জানি এই পদ্ধতিতেও ৩৬-৪০ ঘন্টার মধ্যে ডিম ফোটা শুরু হয়। আবার ডিম ফোটা শেষ হলে কচুরিপানা গুলো হাপা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। এই পদ্ধতিতে পোনা মৃত্যু হার কম, স্বাস্থ্য ভাল থাকে ও বৃদ্ধি হারও বেশি।বাইমের ডিম হয় আঠালো । আঠালো ডিম কচুরিপানার শিখরে লেগে থাকে। ডিম গুলো দেখতে অনেকটা গোলাকার ও সবুজ রংয়ের হয়।

পুকুর প্রস্তুতি করন

আলো বাতাস আছে এমন জাইগাউ পুকুর নির্বাচন করতে হবে। পুকুর হতে হবে কাদামুক্ত। পুকুরের উপর কোন গাছপালা না থাকাই ভাল। মাছ যাতে বেরিয়ে যেতে না পারে যে জন্য পুকুরের ভিতরের চারিদিক ঘন বাঁশের বানা দিয়ে বেড়া দিতে হবে। পুকুরের পাড়ে যেন কোন গর্ত বা ছিদ্র না থাকে সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

পুকুর পুরাতন হলে তলদেশ কমপক্ষে ১৫ দিন শুকনা অবস্থায় রৌদ্র লাগাতে হবে। প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন গুলে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। শতাংশে ৬/৭ কেজি হারে পচা গোবর সমম্ভ পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। তারপর পুকুরে বৃষ্টি অথবা পাম্পের সাহায্যে ৪/৫ ফুট আয়রন মুক্ত পানি দিয়ে ভর্তি করতে হবে।

পানি দেয়ার পর প্রতি শতাংশে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম টিএসপি এবং ১০ গ্রাম পটাশ সার এক সঙ্গে মিশিয়ে পানিতে গুলে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। এভাবে সার দেবার পর পানি সবুজ বা বাদামি রং ধারণ করার পর প্রতি শতাংশে ৫০-৮০টি কমপক্ষে ১ বছর বয়সের ১৫-২৫ সে. মি. সাইজের বাইম মাছ মজুদ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ  শিং ও মাগুর মাছ চাষ করে কী ভাবে লাভবান হওয়া যায়

সাধারণত বাইম মাছ মজুদ রাখার পর থেকে সরিষার খৈল, অটোচালের কুড়া, আটারভুষি, ফিসমিল, ভিটামিন প্রি-মিক্স ও ডাই ক্যালসিয়াম ফসফেট (২০:৩৩:২৫:২০:১:১) অনুপাতে মিশিয়ে মাছের ওজনের ৪-৫% হারে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ও ভোরে খাবার প্রয়োগ করতে হবে। খাবার মাটির প্লেট অথবা ট্রেতেও দেয়া যেতে পারেন।

এভাবে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ ও পরিচর্যার মাধ্যমে বাইম মাছ পুরুষ ও স্ত্রী ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে প্রজননক্ষম ও পরিপক্ক হয়ে থাকে।বাইম মাছ নিশাচর এরা রাতে ও ভোরে খাবার খায়। দিনের বেলায় নিজেদের এরা গর্তে আবর্জনার নিচে ডুবন্ত উদ্ভিদের নিচে লুকিয়ে রাখে। এজন্য এদের আশ্রয়ের জন্য পুকুরে মাটির ভাংগা চাড়ি, ছোট ছোট বাঁশের পুল, প্লাস্টিক পাইপ ইত্যাদি দিয়ে রাখতে হবে।

বাইম মাছ প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় পুরুষ ও স্ত্রী চেনা যাই না চিনতে অনেক কষ্ট হয়। তবে একই বয়সের স্ত্রী মাছ পুরুষ মাছ অপেক্ষা একটু বড় হয়ে থাকে। প্রজনন মৌসুমে পরিপক্ক স্ত্রী মাছে পেট বড় নরম ও ওভারি গোলাকার নীলাভ বর্ণের হয়ে থাকে এবং পুরুষ মাছের পেট সমান শক্ত লম্বাটে ও চাপ দিলে বিন্দু বিন্দু সাদা শুক্র (Sperm) বের হয়ে থাকে প্রজননের জন্য সাধারণত ১৫-২০ সে.মি. সাইজের অথবা ১৫-২৫ গ্রাম ওজনের মাছ ব্যবহার করাই ভাল।

বাইম মাছ চাষের সুবিধা সমূহ

বাইম মাছ চাষের সুবিধা সমূহ আমাদের অনেকেরই জানা নেই। বাইম মাছ মাছ আমাদের দেশে প্রচুর পরিমানে চাষ হয়ে থাকে। বাইম মাছ মাছ আমাদের সকলের নিকটই প্রিয়। আগে আমাদের প্রাকৃতিক উৎসগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বাইম মাছ পাওয়া যেত।

কালের বিবর্তনে এখন আর এই মাছ গুলোকে নদ-নদীতে খুব একটা দেখা যায় না। তবে পুকুর কিংবা ছোট জলাশয়ে এই মাছ দুটির চাষ করা হয়ে থাকে। আজকে জেনে নিব পুকুরে বাইম মাছ চাষের সুবিধা সমূহ সম্পর্কে-

  • আমাদের দেশের বাজারগুলোতে বাইম মাছ প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এর ফলে বাইম মাছের চাষ করে খুব সহজেই লাভবান হওয়া যায়।
  • বাইম মাছের চাষ অন্যান্য মাছ চাষের তুলনায় অনেক সহজ। যে কেউ চাইলেই বাড়ির আশপাশের পুকুর কিংবা ছোট জলাশয়ে বাইম মাছ চাষ করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ পাঙ্গাস মাছ চাষ করে কী ভাবে লাভবান হওয়া যায়

  • বাইম মাছের খুব কম পানিতে তুলনা মূলকভাবে অধিক ঘনত্বে চাষ করা যায়। এইসব মাছ চাষের সবচেয়ে বড় সুবিধাই হল খুব কম পরিমান জায়গায় চাষ করে বেশি পরিমান অর্থ উপার্জন করা যায়। তাই যাদের জায়গা কম রয়েছে তারাও চাইলে এসব মাছের চাষ করে লাভবান হতে পারেন।
  • বাইম মাছের চাষের আরেকটি বড় সুবিধা হল এসব মাছ প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থেকে জীবন ধারণ করতে পারে। কোন কারণে যদি পুকুরে পানির তাপমাত্রা বেশি থাকে কিংবা অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দেয় তাহলে সেই পুকুরেও বাইম মাছের মাছের চাষ করা যায়।
  • বাইম মাছের চাষ করলে মাছের খাবার নিয়ে কোন চিন্তা করতে হয় না। এসব মাছ বাড়ির ফেলে দেওয়া খাদ্য থেকে প্রায় সকল ধরণের খাদ্যই গ্রহণ করে থাকে। খাদ্য কেনার জন্য আলাদাভাবে তেমন কোন খরচ করতে হয় না।
  • বাইম মাছের মাছের রোগ বালাই অনেক কম হয়ে থাকে। তাই এসব মাছের চাষ করলে মাছের রোগ কিংবা চিকিৎসা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে হয় না। চিকিৎসার জন্য আলাদা কোন খরচও করতে হয় না।

বাইম মাছ রপ্তানি করে আয়

বাইম মাছ দেশের বাইরে রপ্তানি করেও অনেক টাকা আয় করা যায়।বাইরের দেশে এ মাছে চাহিদা রয়েছে কিন্তু বর্তমানে এ মাছ বিলুপ্তের পথে।তাই দেশীয় ভাবে চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত প্রতি বছর আন্তর্জাতিক বাজারে বাহারি একুরিয়াম মাছ হিসাবে বাইম মাছ রপ্তানি করে লক্ষ লক্ষ ডলার আয় করে থাকে।বাইমের সুন্দর বাদামি, হলুদাভ রং, গোলাকার লেজুর, লম্বাকার শরীরের আকৃতি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাহারি একুরিয়াম মাছ হিসাবে প্রচুর চাহিদা ও গুরুত্ব রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ পুকুরে মাছ চাষ করে কিভাবে লাভবান হওয়া যায়

বাইন মাছ আবহমান কাল থেকে এ দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এবং পুষ্টি যোগানে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। এতে আছে মানুষের দেহ গঠনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ক্যালসিয়াম ও আয়রন ফিস প্রোটিন অন্যান্য মাংসের  ন্যায় রক্তে কোলেস্টেরল জমতে দেয় না।

মাছে উচ্চমানের প্রোটিন ছাড়াও লাইসিন, থিয়োনিন ও ফসফরাস প্রচুর পরিমাণে থাকে যা মানবদেহ গঠন, সুস্থ ও সবল রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ জন্য বাইন মাছ চাহিদা বেশি। তাই বাইন মাছ বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক অর্থ উপার্যন করা যায়।

বাইম মাছ চাষ করার উপায়-শেষ কথা

উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল  বাইম মাছ চাষ করার উপায় - লাভবান হওয়ার পদ্ধতি  সে সম্বন্ধে। সাথে আরো আলোচনা করেছি  বাইম মাছ চাষ জন্য পুকুর প্রস্তুতি এর বিভিন্ন তথ্য সম্বন্ধে।আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার অনেক ভালো লেগেছে।এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url