কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করছেন। তাহলে নিচের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন । কেননা এ আর্টিকেলে আলোচনা করেছি কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। সাথে আর ও আলোচনা করেছি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। আশা করি কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে থাকবেন।
কক্সবাজার বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমনের জন্য অন্যতম দর্শনীয় স্থান।বিভিন্ন বয়সের মানুষ প্রতিনিয়ত কক্সবাজার ভ্রমন করতে আসে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারনে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
বর্তমানে সময়ে বাংলাদেশে এর সবচেয়ে বড় এবং আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত । এখানে প্রতিনিয়ত অনেক পর্যটনরা ভ্রমনের জন্য যেয়ে থাকে।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দর্শনীয় স্থানের জন্য অনেক বিখ্যাত।তারপর দর্শনীয় স্থানের গুলোর পাশে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো বাজার, দোকান ও রেস্তোরার আবাসস্থল। সব মিলিয়ে, ভ্রমণের কথা উঠলে সবার প্রথমেই মনে পড়ে যায় কক্সবাজার ভ্রমণ আর সমুদ্র সৈকতের কথা।
আরো পড়ুনঃ কক্সবাজার ভ্রমন,হোটেল ভাড়া ও ঐতিহ্যবাহী খাবার সম্পর্কে জানুন
বিশ্বের মধ্যে কক্সবাজার এর সমুদ্র সৈকত দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।এই সমুদ্র সৈকত প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের একটি বৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র। এখানে অনেক ধরনের বড় হোটেল ও ছোট হোটেলও রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঝিনুক মার্কেট ও বার্মিজ মার্কেট রয়েছে, এখানে মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও চীনের বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়।
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দর্শনীয় ও পর্যটন স্থানের নাম কক্সবাজার। ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন চালু হয়ার জন্য কক্সবাজার ভ্রমন হয়েছে সহজ, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী। বিশ্বের মধ্যে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের জন্য কক্সবাজার এর সুনাম ছড়িয়ে আছে সারা দুনিয়ায়।সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারের রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থাপনা এবং বেশ কিছু আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান। আর একারণে কক্সবাজারকে পর্যটন নগরী হিসাবে অভিহিত করা হয়।
সোনাদিয়া দ্বীপ
সোনাদিয়া দ্বীপ কক্সবাজার এর মধ্য মহেশখালি উপজেলার সব থেকে সুন্দরমই একটি দ্বীপ। এভ দ্বীপ এর আয়তন প্রায় ৯ বর্গ কিলোমিটার। কক্সবাজার জেলা সদর বাজার থেকে প্রায় ১৫ কিমি উত্তর-পশ্চিমে এবং মহেশখালি দ্বীপের দক্ষিনে সোনাদিয়া দ্বীপটি অবস্থিত। একটি খাল দ্বারা এটি মহেশখালি দ্বীপ থেকে বিছিন্ন হয়েছে। তিন দিকে সমুদ্র সৈকত, সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, কেয়া- নিশিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন এবং বিচিত্র প্রজাতির জলাচর পাখি দ্বীপটিকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত।
আরো পড়ুনঃ কাশ্মীরের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন
সোনাদিয়া দ্বীপে অনেক আগে থেকেই মানুষ বসবাস করে। মানব বসতির ইতিহাস মাত্র ১০০-১২৫ বছরের। দ্বীপটি ২টি পাড়ায় বিভক্ত। পূর্ব ও পশ্চিম পাড়া। দ্বীপের মোট জনবসতি প্রায় ২০০০ জন। এই দ্বীপে ২টি মসজিদ, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি সাইক্লোন সেন্টার, আনুমানিক ১২টি গভীর নলকূপ রয়েছে। পূর্ব পাড়ায় তুলনা মূলক ভাবে জনবসতি বেশী।
সোনাদিয়া দ্বীপে বসবাসকারী মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা এবং মাছ শুকানো, চিংড়ি ও মাছের পোনা আহরন। দ্বীপের মানুষের কিছু মানুষ ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও কাঠের সাধারন নৌকা এবং উহা চালানোর সহকারী হিসাবে কাজ করেও জীবিকা নির্বাহ করে। চারিদিকে নোনা পানি বেষ্টিত হওয়ায় এই দ্বীপে তেমন কোন খাদ্য শষ্য উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। দৈনন্দিন প্রয়োজনাদি জিনিস পত্র সব মহেশখালি থেকে ক্রয় করে আনতে হয়।
সেন্ট মার্টিন'স দ্বীপ
আমরা সবাই জানি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবালদ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরা বলা হয়ে থাকে।
আমরা অনেকেই জানি ইতিহাসে প্রচলিত আছে ,অনেক অনেক বছর আগে প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যে এখানে দারুচিনি বোঝাই আরবের একটি বাণিজ্যিক জাহাজ পানির নীচে থাকা একটি বিশাল পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ভেঙ্গে পড়ে । যার ফলে জাহাজে থাকা দারুচিনি এই দ্বীপের সবখানে ছড়িয়ে যায়।পরবর্তীতে সেন্ট মার্টিন'স দ্বীপের নাম হয়ে যায় 'দারুচিনির দ্বীপ'। এখানে হুমায়ুন আহমেদের লেখা ও তৌকির আহমেদের পরিচালনায় দারুচিনির দ্বীপ মুভির স্যুটিং হয়েছিল।
আরো পড়ুনঃ সিরাজগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত
সেন্ট মার্টিন'স দ্বীপটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন মৌসুমে এখানে প্রতিদিন ৫টি লঞ্চ বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড হতে আসা যাওয়া করে। সেন্ট মার্টিনের আসল মজা একরাত না থাকলে উপভোগ করা সম্ভব নয়। আরো ভাল হয় দুইরাত থাকলে। সেক্ষেত্রে ১টা দিন ছেড়া দ্বীপের জন্য, আরেকটা দিন সেন্টমার্টিনের জন্য বরাদ্দ রাখা যেতে পারে।
সেন্ট মার্টিন'স দ্বীপটি বিকালবেলা বেড়াতে অনেক ভালো লাগে। কেননা প্রতিদিনের পর্যটকরা বিকেলের মধ্যেই ফিরে যায়। তাই বিকেলের পর থেকে দ্বীপে ঘুরে বেরানোর মজাই আলাদা। আর যদি ভরা পূর্ণিমায় যেতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই, রাতের বেলা সেন্ট মার্টিন'স দ্বীপে ঘুরে বাড়াবেন আর বাঁচার ইচ্ছেটা বাড়িয়ে নিবেন।সেন্ট মার্টিন পর্যটকদের সবচেয়ে পছন্দের দর্শনীয় স্থান।
ইনানী বীচ
ইনানী বীচ পর্যটকদের সবচেয়ে পছন্দের দর্শনীয় স্থান। এটি হিমছড়ি থেকে আরো ৫ কিলোমিটার গেলেই ইনানী বীচ বা ইনানী সমুদ্র সৈকত। ইনানী বীচে প্রবাল পাথরের ছড়াছড়ি। অনেকটা সেন্টমার্টিনের মতই। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মত এখানে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে না সৈকতের বেলাভূমিতে। অনেকটাই শান্ত প্রকৃতির সৈকত এই ইনানী। জোয়ারের সময় এলে প্রবাল পাথরের দেখা পাওয়া যাবে না। ভাটার সময়েই কেবল মাত্র বিশাল এলাকা জুড়ে ভেসে উঠে এই পাথর।
প্রবাল পাথরে লেগে থাকে ধারালো শামুক ঝিনুক। তাই এখানে বেশী লাফালাফি করা বিপদজনক।ইনানী সৈকতের প্রধান আকর্ষণ প্রবাল আর পাথর। প্রায় প্রতিটা পাথরই নানা আকার আর ধরণের। কত বছরের পুরনো সে পাথর! আর তাতে মিশে আছে কত স্মৃতি! আপনি যদি টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ইনানী সৈকতে যান তবে যাবার পথে আপনার দু চোখ জুড়িয়ে দেবে উঁচু উঁচু পাহাড় আর উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ।
শুধু চোখই জুড়বে না বরং পুরো সময়টা আপনি থাকবেন এক ধরণের সিদ্ধান্তহীনতায়। কারন এক পাশে পাহাড় আরেক পাশে সাগর। কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবেন বুঝে ঠিক পাবেন নাক। মন যে দু দিকই দেখতে চাইবে।সাগরে নামতে না চাইলে বা সে রকম পরিকল্পনা না থাকলে ইনানী সৈকতে যেতে পারেন বিকেল বেলায়। পড়ন্ত বিকেলের শান্ত সাগর আপনার সামনে তুলে ধরবে তার বিশালতা। মাটিরও টিপভোগ করা যায় ইনানী বীচ ভ্রমনের মাধ্যমে।
হিমছড়ি
হিমছড়ি পর্যটকদের সবচেয়ে পছন্দের দর্শনীয় স্থান। এটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি পর্যটনস্থল। কক্সবাজার থেকে এটি ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। হিমছড়িতে একটি জলপ্রপাত রয়েছে যা এখানকার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ।পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এ সমুদ্র সৈকতের নাম হিমছড়ি।
হিমছড়ি সমুদ্র সৈকত দেখতে অনেক সুন্দর। এই সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নির্জন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। হিমছড়ি সৌন্দর্যও কোনো অংশে কম নয়। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো হিমছড়ি যত না সুন্দর তারচাইতে সুন্দর ও রোমাঞ্চকর হল কক্সবাজার থেকে এ সৈকতে যাওয়ার পথটি। এক কথায় অসাধারন, কাব্যক, স্বপ্নের মত মত সুন্দর। একপাশে বিস্তৃর্ন সমুদ্রের বালুকা বেলা আর এক পাশে সবুজ পাহাড়ের সাড়ি।
আরো পড়ুনঃ ঐতিহাসিক ভাসমান পেয়ারা বাজার ঝালকাঠি
আমরা জানি হিমছড়ির মাঝে পিচ ঢালা মেরিন ড্রাইভ। এমন দৃশ্য সম্ভবত দেশের আর কোথাও পাওয়া যাবে না। কেউ কক্সবাজার এলো অথচ এই পথ ধরে ছুটলো না তার পুরো ভ্রমনই মাটি। পাহাড়ে উঠলে চোখের সামনে ভাসবে নীল দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া বিশাল সমুদ্র। হিমছড়ির পাহাড়ের হিমশীতল ঝরনা গুলো বেশ আকর্ষণীয়। ছোট ছোট ঝর্না আপন মনে ঝরে পরছে পাহাড়ের গায়ে ছুটে যাচ্ছে সাগরের দিকে।
হিমছড়িতে রয়েছ ছোটছোট পর্যটন কেন্দ্র । টিকেট কেটে এখানে ঢুকতে হয়। ভীতরের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। পাহাড়ের উপরে আছে অনেকগুলো বিশ্রামাগার। প্রায় ২ শতাধিক সিড়ি মাড়িয়ে উপরে উঠতে হয়। কষ্টটা মুহুর্তেই ভুলে যাবেন যখনপাহাড়ের চুড়া থেকে কক্সবাজারের পুরো সমুদ্র সৈকতটা এক পলকে দেখতে পাবেন। দুলর্ভ সে দৃশ্য। এখানে একটি ছোট ঝর্না রয়েছে। ঝর্নাটি ছোট কিন্তু বর্ষামৌসুমে এটি দারুন রূপ ধারন করে।
আদিনাথ মন্দির
আদিনাথ মন্দির বাংলাদেশের বিখ্যাত অন্যতম হিন্দু মন্দির। এটি বাংলাদেশের উপকূলীয় শহর কক্সবাজার থেকে ১২ কিমি দূরের দ্বীপ মহেশখালীতে অবস্থিত। হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা,দেবদদেবী ও মহাদেবের নামানুসারে এ মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মন্দিরটি শিব মন্দিরও নামেও বহুল প্রচলিত। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ আদিনাথ মন্দির যেয়ে থাকেন।
আবার মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ মন্দিরের সৌন্দর্য দেখার জন্য যায়। কক্সবাজার জেলার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান আদিনাথ মন্দির। এ মন্দির হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য অনেক গুরুত্বপূন্য। আদিনাথ মন্দিরে দেবতা,দেবদদেবী ও মহাদেবের পূজা দেওয়ার উদ্দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ কক্সবাজার ভ্রমন করে থাকে।
ছেড়া দ্বীপ
ছেড়া দ্বীপ বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহৎ বদ্বীপ। এই বদ্বীপের সর্ব দক্ষিণের স্থান ও দ্বীপের নাম হলো ছেড়া দ্বীপ। সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৫ কি: মিটার দক্ষিণে এ দ্বীপটির অবস্থান। ছেড়া দ্বীপের আয়তন তিন কিলোমিটার। ২০০০ সালের শেষের দিকে ছেড়া দ্বীপটির সন্ধান পাওয়া যায়। এটি সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।ছেড়া দ্বীপে দেখা যাবে অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। সামুদ্রিক ঢেউ আর সারিসারি নারিকেল গাছ।
প্রবাল পাথর ও পাথরের তৈরী বিভিন্ন কারুকার্য চোখে পড়বে ছেড়া দ্বীপে গেলে। চাঁদনী রাতে ছেড়া দ্বীপ সাজে তার অপরুপ সাজে। চাঁদনী রাতে যে কোন ভ্রমণকারীর মনভরে যাবে ছেড়া দ্বীপের অপরুপ শোভা অবলোকন করে। ছেড়া দ্বীপের একদম উপরের দিকটাতে ভরা পূর্ণিমাতে ক্যাম্পিং করে থাকার মজাই আলাদা।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক পর্যটকদের জন্য পছন্দের একটি দর্শনীয় স্থান।এ পার্কটি কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার উত্তরে এবং চকরিয়া থানা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার জেলা সদরের দক্ষিণ বন বিভাগের ফাসিয়াখালি রেঞ্জের ডুলাহাজারা ব্লকে অবস্থিত। মূলত হরিণ প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কর্তৃক এই পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সাফারি পার্কটি ৯০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
আরো পড়ুনঃ সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ককে কেউ কেউ সাফারি পার্ক বলতে রাজি নন। কারণ এখানে প্রাকৃতিক অবকাঠামোর বদলে অত্যাধুনিক ও কৃত্রিম অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে বেশি। আটটি ব্লকে ভাগ করে গড়ে তোলা এ পার্কে মুক্ত পরিবেশে হাঁটাচলা করা যায়।পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনায়াসে বেড়ানো যায়।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক মূলত হরিণ প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখানে বাঘ, সিংহ, হাতি, ভালুক, গয়াল, কুমির, জলহস্তী, মায়া হরিণ, সম্বর হরিণ, চিত্রা হরিণ, প্যারা হরিণ প্রভৃতি প্রাণীও রয়েছে। এই পার্কে স্বাদুপানির কুমির যেমন আছে, তেমনি আছে লোনা পানির কুমির। কিছু পশুপাখি খাঁচায় বন্দি হলেও এ পার্কে অবস্থারত অধিকাংশ পশুপাখিদের বিচরনের জন্য প্রচুর উন্মুক্ত জায়গা রয়েছে। পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিশ্রামাগার ও ডরমেটরী।
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সমূহ-শেষ কথা
উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে সম্বন্ধে। সাথে আরো বিস্তারিত ভাবে সাথে আরও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি কক্সবাজার সৌন্দর্য ও কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। বাংলাদেশ এর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরতম স্থান কক্সবাজার। কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে উপরের আর্টিকেলটি আশাকরি সম্পন্ন পরবেন।
উক্ত আর্টিকেল পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন বা আপনার কাছে ভালো লেগেছে।আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কোন কোন বিষয় গুলি ভালো লেগেছে আশাকরি সকলের সাথে সেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url