মেয়েদের ফ্যাশন কেমন হতে পারে বিস্তারিত পড়ুন
মেয়েদের ফ্যাশন সম্পর্কে জানতে আপনি হয়তো গুগলে সার্চ করেছেন। কিন্তু আপনারা অনেকেই মেয়েদের ফ্যাশন সম্পর্কে জানে না।তবে সমস্যা নেই আজকে আমি মেয়েদের ফ্যাশন সম্পর্কে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
যেহেতু আপনি মেয়েদের ফ্যাশন সম্পর্কে জানেন না সে ক্ষেত্রে মেয়েদের ফ্যাশন কি এবং মেয়েদের ফ্যাশন সম্পর্কে আমাদের ভালো জ্ঞান রাখা জরুরি। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা মেয়েদের ফ্যাশন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করি।
মেয়েদের ফ্যাশন
মেয়েদের ফ্যাশন হওয়া দরকার মার্জিত রুচিশীল। কেননা পোশাক মানুষের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে । আর মেয়েদের যত সুন্দর পোশাক পরিধান করবে তাদেরকে তত বেশি সুন্দর লাগে । মেয়েরা মূলত শারি ও থ্রীপিছ পরতে বেশি ভালোবাসে।
তবে ঊনবিংশ শতাব্দির মধ্যভাগ পর্যন্ত বাঙালির সেলাই বিহীন পোশাক পরিধানের তথ্য জানা যায়৷ ড. নীহাররঞ্জন রায় তার ‘বাঙালীর ইতিহাস’ বইয়ে বিস্তারিত লিখে গেছেন ৷ তবে এর পরের শতাব্দিতে পোশাকের ইতিহাস অত্যন্ত গতিশীল ৷বর্তমানে বাজারে মেয়েদের জন্য বিভিন্ন ধরনের নতুন ডিজাইনের পোশাক পাওয়া যায়।
মেয়েদের পোশাক বা ফ্যাশন সচেতনতা
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন ১৯৩২ সালে৷ পরনে শাড়ি, এমন বেগম রোকেয়াই বেঁচে আছেন বাঙালির দৃশ্যপটে৷ বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামের আরেক সাহসী নারী বেগম সুফিয়া কামাল৷
শাড়ি পরিহিত সুফিয়া কামালই রয়ে গেছেন বাঙালির দৃশ্যপটে৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আওয়াজে দেশ কাঁপানো জননী জাহানারা ইমামকেও বাঙালি মনে রেখেছেন শাড়ি পরিহিত অবয়বেই৷ শাড়ি বাঙালির প্রিয় পোশাক, রুচিশীল-মার্জিত-আকর্ষণীয় পোষাক৷ বিচিত্র রঙ-ঢঙ্গের শাড়ি,বহু ঢঙ্গে-রীতিতে পরিধানের বর্ণনা ইতিহাসে পাওয়া যায়৷
মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ বা থ্রীপিছ
মেয়েদের প্রিয় পোশাক বিষয়ে অনেক কিছু লেখার উপাদান আছে ৷ মেয়েদের নিজস্ব পোশাক কী? এই প্রশ্নের সহজসরল উত্তর জানা নেই৷ কেউ জানেন কিনা,তাও জানিনা৷ যতটা জানি, বহু বর্ণ গোত্রের থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে আসা পোশাকই মেয়েদের পোশাক হয়ে উঠেছে৷
গত ৩০ বা ৩৫ বছরে পোশাকে বাঙালি মেয়েদের ফ্যাশন সচেতনতা বহু গুণ বেড়েছে৷ শাড়ি-সালোয়ার কামিজের পাশা-পাশি পশ্চিমা পোশাকে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে বাঙালি নারী৷ পশ্চিমের মেয়েদের মত অত ছোট পোষাকে অভ্যস্ত না হলেও, জিন্স-টিশার্টের মত পোশাককে বাঙালি মেয়েদের প্রিয় করে নিয়েছে৷ ফ্যাশনে থ্রি পিস হয়ে যাচ্ছে টু পিস ৷
আরও বহু রকমের দেশ বিদেশের পোশাকের সঙ্গে নিজেকে অভ্যস্ত করে নিয়েছে মেয়েরা । তবে শাড়ির গ্রহণযোগ্যতা-আকর্ষণ কমেনি একটুও ৷ একই সঙ্গে মেয়েদের একটি বড় অংশের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হিজাব ৷ পূর্বের রীতিতে মেয়েদের মধ্যে সাধারণত বয়স্কদের বোরকা পড়ার চল ছিল ৷ তা এখন যে নেই তা নয় ৷ তবে কম বয়সী মেয়ে-নারীদের হিজাব পড়ার প্রবণতা বেড়েছে ৷
ফলে পোশাক নির্বাচন বা ফ্যাশন সচেতনতায় মেয়েদের এক বাক্যে চিত্রিত করা যাবে না৷ জিন্স-টিশার্ট বা আরও ছোট গ্রাম পর্যায়ে হিজাবের সংখ্যা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বাড়ছে৷ বহুজাতিক কোন্পানিগুলো তাদের প্রসাধন সামগ্রীর বিজ্ঞাপন করছেন হিজাবের সঙ্গে মিলিয়ে ৷
সামগ্রিক ভাবে বলা যায়,সময়ের সঙ্গে মিল রেখে মেয়েদের ফ্যাশন সচেতনতাও এগিয়ে চলছে৷ বর্তমানের ছোট হয়ে আসা পৃথিবীতে কবে কোথায় কী ঘটছে,তা জানা সহজ৷ সেই ধারা বাহিকতায় দিল্লি বা প্যারিসের আজকের ফ্যাশনের সংবাদ পৌঁছে যায় ঢাকার মেয়ে-নারীদের কাছেও ৷
আরো পড়ুনঃ পুরুষের ফ্যাশন কেমন হতে পারে বিস্তারিত পড়ুন
পোষাক বা ফ্যাশন একটি দেশর অঞ্চলের আবহাওয়া-পরিবেশ-প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত৷ ফলে সব পোষাক সব অঞ্চলের মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়তা পায় না এবং জীবনের মত পোশাকও বিবর্তনশীল৷ ফ্যাশন বা পোশাকের সেই বিবর্তন শীলতার সঙ্গেই আছে নারী-মেয়েরা ৷
মানুষ পোশাক পরে কেন? শরীরের কিছু অংশ ঢেকে রাখার জন্যে মানুষ পোশাক পরেন৷নিজেকে সুন্দর-আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপনের জন্যে মানুষ পোশাক পরে৷ সাধারণত মানুষ রূপচর্চাও করে সে কারণেই৷ শুধু নিজের ভালো লাগার থেকে পোষাক নির্বাচন করেন না, রূপচর্চা করেন না৷অন্যের চোখে তাকে সুন্দর বা আকর্ষণীয় দেখা যাবে,সেই বিবেচনাটা মূখ্য থাকে ৷
তবে পৃথিবীতে শিল্প-সাহিত্যের বর্ণনায় মেয়েরা বহুবিধ উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়৷নারীর সৌন্দর্যের বর্ণনা পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্পীর তুলিতে,কবির কবিতায় স্থান করে নিয়েছে৷ কোন পোশাক কে পরবেন,সেটা তার রুচির বিষয় ৷কাকে কোন পোশাকে ভালো বা আকর্ষণীয় বা আবেদনময়ী লাগে, সেটাও যিনি দেখছেন তার বিষয়৷ দেহের বর্ণনা দেওয়া যেমন কবির কাছে অপরাধ নয়৷ নারী বা পুরুষ তার পছন্দ অনুযায়ী যেমন পোশাক পরতে পারেন।
কোন পোশাকে কাকে কেমন লাগে, শরীরের কোন অংশ বের করে বা ঢেকে রাখলে কেমন লাগে, তার বর্ণনা একজন শিল্পী-সাহিত্যিক-কবি দিবেন বা দিতে পারবেন,সেটাই স্বাভাবিক৷রূপ, সৌন্দর্য বা ফ্যাশন নিয়ে ভিন্নমত থাকতেই পারে,যুক্তি দিয়ে লেখা যেতে পারে৷ তবে চরিত্রহনন বা বিষেদগার আধুনিক চিন্তা-চেতনা ও ফ্যাশনের সঙ্গে বেমানান ৷ মেয়েদের ফ্যাশন সচেতনতা সময়ের সঙ্গে মিল রেখে সামনের দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন থাকুক ৷
মেয়েদের সবচেয়ে নান্দনিক পোশাক শাড়ি
বিশিষ্ট্য সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ রচিত সেই প্রবন্ধে উঠে এসেছে মেয়েদের দৈহিক গঠনের অসমতা, আর শাড়ি তাদের কতটা আবেদনময়ী করে তোলে সেই আলাপ৷ তাতেই ক্ষেপেছেন পাঠক সমাজ৷ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই প্রবন্ধ নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ লড়াইয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷ পাঠকদের একাংশ দাবি করছেন, পোশাকের স্তুতি করতে গিয়ে মেয়েদের প্রতি বর্ণবাদী আচরণ করেছেন লেখক৷ কেউ কেউ বলছেন এটি যদি সাহিত্য হয় তবে সাহিত্যে এমনটি লেখা যেতেই পারে, সেক্ষেত্রে লেখকের কথা আমলে নেওয়ার কিছু নেই ৷
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পক্ষ-বিপক্ষের দ্বন্দ্বে শাড়ির নন্দনতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব বা হাজার বছরের ঐতিহ্য যেন একটু চাপা পড়েই গেছে ঠিক কবে থেকে মেয়েদের বসন হিসেবে শাড়ি ঠাঁই পেয়েছে সেসব প্রশ্ন সামনে আসছে বারবার৷ একইসঙ্গে সাহিত্য বা প্রবন্ধের ভাষা কেমন হওয়া উচিত, কিংবা আদৌ একজন মেয়েদের পোশাক কিসের ভিত্তিতে হবে কিংবা শাড়ির মতো ঐতিহ্যবাহী পোশাককে গণমাধ্যম কেমন করে তুলে ধরছে এসব আলাপও উঠছে ৷
শাড়ির ইতিহাস প্রসঙ্গে লোকশিল্প ও শাড়ি গবেষক শাওন আকন্দ বলেন- আমাদের পোশাক শিল্পের ইতিহাস বুঝতে হলে প্রথমত বুঝতে হবে আমাদের আবহাওয়া কী আর এই অঞ্চলে কী পাওয়া যায়৷ ইতিহাস বলে, এখানে তুলা উৎপাদন হতো৷ আর বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল আবহাওয়ার দেশ৷ যেকোনো দেশের পোশাক শিল্প গড়ে এই দুটো জিনিসের ওপর নির্ভর করে ৷
যেহেতু গরমের দেশ আমাদের প্রয়োজন ছিল সূক্ষ্ম সুতার কাপড়ের৷ যেটা ইউরোপে হয়নি৷ ওরা মোটা মোটা কাপড় ব্যবহার করে ওদের আবহাওয়ার কারণে৷ আমাদের দেশের যে আবহাওয়াকে শীত বলি সেটি ইউরোপের জন্য গরম৷ তাই আবহাওয়ার কারণেই এ অঞ্চলে পাতলা সুতি কাপড় তৈরির চল শুরু হয়েছিল৷ এখনকার বঙ্গ মেয়েরা যেভাবে শাড়ি পরছেন সেটি বড়জোর ১০০ বছরের চল, ঠাকুর বাড়ির স্টাইল থেকে এমন শাড়ি পরার চল এসেছে ৷
আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক ভাবে নখের যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন
প্রাচীন আমলে মেয়েরা এভাবেই শাড়ি পরতো কিনা সেটি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে৷ শাড়িকে আসলে কাপড় হিসেবে দেখতে হবে ৷ লজ্জা নিবারণের জন্য প্রাচীন আমলে এই কাপড় ব্যবহার করতো৷ তবে আগে এমনটি হতো না, শুধুমাত্র নিচের অংশ ঢাকতেই কাপড় ব্যবহৃত হতো৷ বিহারে একটি যক্ষী মূর্তি পাওয়া যায়, রাজশাহী বরেন্দ্র যাদুঘরেও এমন একটি যক্ষ্মী মুর্তি পাওয়া যায় যার কোমর থেকে পা পর্যন্ত শাড়ি পরা ৷
ওপরের অংশ কোনো কাপড় নেই৷ তবে ওপরে এমন প্যাচ দিয়ে কবে থেকে শাড়ি পরা হচ্ছে সেটি নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন৷ পাল যুগের দেবিমূর্তিতে আমরা শাড়ি দেখতে পাই৷ আবার ভদ্রস্থ নারী পোশাক হিসেবে শাড়ি উঠে এসেছে৷ কারণ বাঙালি মেয়েরা একসময় অন্তঃপুরে থাকতো৷ বাইরে যাওয়ার ভদ্রস্থ নারী পোশাকের প্রয়োজন পড়েনি৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে যাবার কাজ বেড়েছে মেদের পোশাকের পরিবর্তন হয়েছে ৷
এই মুহূর্তে যেসব শাড়ি ঐতিহ্য ধরে রেখেছে সেসব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঐতিহ্য বলতে তো আমরা সেটাই বুঝি যা এখনো চলমান সেটিই৷ সেই হিসেবে জামদানির কথা বলতে পারি৷ আমাদের দেশে মূল ঘটনা যেটা ঘটেছে সেটি হচ্ছে আমরা আসলে কাপড় বুনতে পারি সেটিকেই ধূতি বানিয়ে পরেছে মানুষ, শাড়ি হিসেবে পড়েছে৷ সেলাই-ফোড়াই বা কস্টিউম বিষয়টি মুসলমানদের আগমনের সঙ্গে ঘটেছে ৷
এখনো খেয়াল করলে দেখা যায় হিন্দুদের অনেকে এবং বৌদ্ধদের একাংশ সেলাই বিহীন কাপড় পরে৷ সেভাবে হিসাব করলে সুলতানী আমল থেকে জামদানির ইতিহাস পাওয়া যায় এবং জামদানিটাই টিকে আছে ৷ জামদানির চার/পাঁচশ বা ৭০০ থেকে ১ হাজার বছরের একটা ইতিহাস পাওয়া যাবে৷ আরেকটি শাড়ি রয়েছে হ্যান্ডলুম যেটা ড্যানিশ কলোনিতে শেখা জ্যাকার্ড মেশিনে তৈরি৷ যেটার ইতিহাস একশ বছরের বেশি না৷ স্বাধীনতার পর সেই জ্যাকার্ডে বোনা শাড়ি নারীরা লুফে নেয়৷ যেটাকে আমরা টাঙ্গাইলের শাড়ি হিসেবে চিনি৷ সেটার ইতিহাস অল্প দিনের হওয়ায় ঐতিহ্য বলতে জামদানিই টিকে আছে ৷
মেয়েদের ফ্যাশনে দরকারি কিছু জিনিস
স্টাইল আপনার কিন্তু ফ্যাশন সকলের। মেয়েরা স্টাইলিশ হয়ে উঠতে চাইলে ভাবুন ভিন্ন ভাবে। সাধারণ কিছু আপনার ছোঁয়ায় হয়ে উঠতে পারে অসাধারণ। পোশাকের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জিনিস বা অনুষঙ্গ। অর্থাৎ ফ্যাশন এক্সেসোরিজ। ফ্যাশন দুনিয়াতে এই উপকরণটিকে তুলনা করা যেতে পারে পুষ্টি উপাদানের সঙ্গে। ছোট অথচ অতি গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাশন অনুষঙ্গের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে একটি সাধারণ নকশার পোশাক হয়ে ওঠে অনন্য।
কোমর বন্ধনী
কোমর বন্ধনী বাংলাদেশে ওয়েস্ট বেল্ট নামে পরিচিত। যা পোশাককে দেহের সঙ্গে আঁট-সাঁট করে ধরে রাখে। পাশাপাশি পোশাকের সৌন্দর্য বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।কোমর বন্ধনী বা ওয়েস্ট বেল্ট মেয়েরা ও ছেলেরা উভয়ে ব্যবহার করে থাকে।‘ওভার দ্য ব্লেজার’ বেশ কিছু দিন ধরেই ফ্যাশন জগতের ট্রেন্ড। কোটের লেয়ারের উপরে চিকন বেল্ট এখন ফ্যাশন সচেতনদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ।
আরো পড়ুনঃ নখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও মজবুত করার উপায় সম্পর্কে পড়ুন
বেল্ট পরিধান বা বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে আপনি তুলে ধরতে পারেন আপনার ফ্যাশন ভাবনাকে। বেল্টের বাকল বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। দৈর্ঘ্যে-প্রস্থেও থাকে নানান রকমফের। নিজের দেহের আকার এবং কোন পোশাকটির সঙ্গে বেল্টটি ব্যবহার করবেন তা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিন। দেহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বেল্ট ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি হয় দৃষ্টি বিভ্রম। বাড়তি মেদ লুকিয়ে রাখার এটি একটি জনপ্রিয় কৌশল।
মানুষকে সুন্দর দেখায় তার পোশাকের জন্য। অন্যদিকে পোশাক দেহের সঙ্গে সুন্দর ভাবে ধরে রাখতেও ভূমিকা রাখে এই উপকরণ। রঙ বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রথম দিকে বেসিক কালার যেমন-এ্যস,কালো, ট্যান এসবে থাকতে পারেন। বাকলের ক্ষেত্রে কালো বা সোনালি আভা বেশ নজর কাড়বে।
রোদ চশমা
রোদ চশমার মূল কাজ রোদ থেকে চোখকে রক্ষা করা। সবাই জানি আমরা এ কথা। এই চির চেনা রোদ চশমা বা সানগ্লাস বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে মুখের গড়নের দিকে লক্ষ্য রাখলে, এক সঙ্গে হতে পারে দুই কাজ।রোদ থেকে আপনার চোখকে রক্ষা করার পাশাপাশি এটা আপনাকে এনে দেবে স্টাইলিশ লুক। তাই সানগ্লাস বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে মুখের আকার, ত্বকের রঙ, রোদ চশমার গ্লাসের রঙ, ফ্রেমের গঠনের দিকে।
হাত ঘড়ি
সময় দেখার জন্যে এখন মুহূর্তেই আপনার চোখ চলে যায় মুঠোফোনের স্ক্রিনে, তাই তো? হতেই পারে। কিন্তু হাত ঘড়ির আবেদন যে এক রত্তি কমেনি, সেটাও তো ঠিক, তাই না? রিস্ট ওয়াচ অথবা হাত ঘড়ি বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে মনোযোগ দিন নিজের দিকে।ভাবছেন, ঘড়ি কেনার জন্যে নিজের দিকে কেন নজর দিতে হবে? এর কারণ, ঘড়ি আপনার ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে।
হাত ঘড়ি হাতের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে। ঘড়ির ডায়ালের আকার বেছে নিন আপনার নিজের মতো করে। বড়, ছোট নাকি মাঝারি-এ আপনার একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্রেন্ডে এখন কী চলছে তার সঙ্গে নিজের চাহিদার সংমিশ্রণে সিদ্ধান্ত নিন কোন ধরনের ঘড়ি পরবেন। ব্রেসলেট, বেল্ট নাকি মেটাল চেইন।
স্টেটমেন্ট জুয়েলারি
আমরা জানি যে,স্টেটমেন্ট জুয়েলারি মানুষ সব ধরনের পোশাকের সাথেই পরতে পারে । সাধারনত স্টেটমেন্ট জুয়েলারি বলতে বোঝায় যে, সে সকল অলংকারের কথা যেগুলো শুধু নিজের সৌন্দর্যেই বিশেষ ভাবে আকর্ষণীয় করে থাকে।আর সাজ ও পোশাকের সাথে এ ধরনের গহনাকে প্রাধান্য দিয়ে সম্পন্ন করা হয়।স্টেটমেন্ট জুয়েলারি সাধারণত আকারে খানিকটা বড় হয়ে থাকে এই অলংকার গুলো। ফ্যাশন ক্যালেন্ডারে এবার দেখা যাচ্ছে নেকলেসের ক্ষেত্রে গহনার এ বিশেষত্ব বেশ মন কেড়েছে ফ্যাশন সচেতনদের।
ভস্টেটমেন্ট জুয়েলারি সঙ্গে সঙ্গে হাতে ব্রেসলেট বেছে নেয়ার ক্ষেত্রেও স্টেটমেন্ট জুয়েলারির জয় জয়কার।কানের দুল হিসেবে স্টেটমেন্ট জুয়েলারি বিশেষ একটি ভূমিকা রাখে। বেছে নিতে পারেন স্টেটমেন্ট ইয়ার রিং। নানান নজরকাড়া নকশার মধ্য থেকে নান্দনিক একটি বাছাই করুন। কিছু নকশা চিরন্তন। যুগের পর যুগেও হারিয়ে যায় না। স্টেটমেন্ট জুয়েলারির ক্ষেত্রে এমন ধরনের নকশা বেছে নিন।
হাত ব্যাগ
হাত ব্যাগ সবার কাছে অনেক জনপ্রিয়।মেয়েরা বাইরে এক পা রাখলেই সঙ্গে চাই হাত ব্যাগ। ব্যাগের নানান ধরনের মাঝে কোনটি রেখে কোনটি বেছে নিবেন আপনাকেই পছন্দ করতে হবে।বাজারে এখন অনেক ধরনের হাত ব্যাগ পাওয়া যাই । ক্রস বডি ব্যাগের জনপ্রিয়তা দীর্ঘ দিনের। বলা যায় ‘ইন-ট্রেন্ডে’র দুনিয়াতে এটি টাইমলেস। এর কারণ এটি একই সঙ্গে আকর্ষণীয় এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক। দেহের সঙ্গে সুন্দর ভাবে বহন করা যায় বলে বাড়তি ঝক্কি একদম নেই ।
আরো পড়ুনঃ নারীর রুপ লাবণ্য বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে পড়ুন
হাত ব্যাগ সবার কাছে অনেক প্রয়োজনীয়। নিত্য দিনের ব্যগের বাইরে আপনার দরকার হতে পারে ক্লাচ। ছোট্ট-হ্যান্ডি ক্লাচ পার্টিতে আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গীর মতো পাশে থাকবে। নান্দনিক সৌন্দর্য যেমন মুগ্ধতা ছড়াবে, তেমনি দাওয়াতের স্বল্প সময়ে প্রয়োজনীয় সকল কিছু বহন করতে পারবেন নিশ্চিন্তে। কালো, সোনালি আর রুপালি–এই তিন রঙের তিনটি ক্লাচ রাখুন সংগ্রহে। তাহলে যে কোন রঙ পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যাবে।
মেয়েদের জন্য শীত ফ্যাশনের কিছু টিপস
লং কোট
লং কোট মেয়েদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ৷ শুধু ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতেই না।এটি করে তুলতে পারে আপনাকে বেশ স্টাইলিশ৷ এই কোটটি পেতে পারেন বিভিন্ন রঙে৷ এমনকি এটি পেতে পারেন ডেনিম জিন্স এর মধ্যেও।
সোয়েটার
আমাদের শীতের অন্যতম পোশাক সোয়েটার। ওয়েস্টার্ন এবং দেশি উভয় আউটফিটের জন্য মেয়েদের সোয়েটার সবসময় মানানসই।পোশাকের সাথে সোয়েটার পরলে মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। আমাদের অবশ্যই সোয়েটার কালার এবং সাইজের ব্যাপারটি বিশেষ ভাবে নজরে রাখতে হবে৷
হুডি
আমরা জানি এখন পর্যন্ত শীতের সবচেয়ে ট্রেন্ডি পোশাক হলো হুডি। আমাদের দেশে মেয়েদের জন্য নানা ডিজাইনের নানা ধরনের ও রঙের হুডি। শীতের কালার ফুল মেয়েদের হুডি আপনাকে এনে দিতে পারে একটু ভিন্ন লুক।
শা
শীতের দিনে মেয়েদের অন্যতম পছন্দ হলো শাল ৷ বছরের পর বছর ধরে শালের ট্রেন্ড রয়েছে অপরিবর্তিনীয়৷ আর তাই প্রত্যেক বছর এই শালকে ঘিরেই চলে বিভিন্ন ধরণের এক্সপেরিমেন্ট৷ মজার ব্যাপার হলো আধুনিক মেয়েরা খালি দেশীয় পোশাকের সাথেই যে শাল পরছে তা কিন্তু নয়। ওয়েস্টার্ন অউটফিটেও সুন্দর ভাবে মানিয়ে নিচ্ছে এই শাল ৷
বুট
আমরা আরও জানি ওয়েস্টার্ন লুককে নতুন মাত্রা দিতে বুটসের রয়েছে অন্য ধরণের আবেদন। একজোড়া বুট ম্যাজিকের মতো বদলে দিতে পারে আপনার লুক৷ তারুণ্যকে আরো বাড়িয়ে দিতে চামড়ার বুটের নেই কোনো জুড়ি ৷
মেয়েদের ফ্যাশন কেমন হতে পারে-শেষ কথা
আজকের পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল মেয়েদের ফ্যাশন সে সম্বন্ধে। আরও আলোচনা করেছি মেয়েদের ফ্যাশন ও অনেক রকম পোশাক এর বিভিন্ন তথ্য সম্বন্ধে। আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার অনেক ভালো লেগেছে ।এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় পোস্টে প্রতি দিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url