কক্সবাজার ভ্রমন,হোটেল ভাড়া ও ঐতিহ্যবাহী খাবার সম্পর্কে জানুন
প্রিয় পাঠক আপনি কি কক্সবাজার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কক্সবাজার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।কেননা এ আর্টিকেলটি মধ্যে কক্সবাজার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। কক্সবাজার ভ্রমন করার আগে আর্টিকেলটি পড়লে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন। আশা করি কক্সবাজার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে থাকবেন।
বর্তমানে সময়ে কক্সবাজার ভ্রমন করার জন্য অনেক পর্যটক যেয়ে থাকে।তাই এ আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করেছি কক্সবাজার কি ভাবে জাবেন ,ভাড়ার পরিমাণ ও ঐতিহ্যবাহী খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।সাথে আর বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য হোটেল ভাড়া ও কক্সবাজার কোন সময় ভ্রমন করা ভালো।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতঃ
বর্তমানে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে প্রতিনিয়ত পর্যটনরা ভ্রমনের জন্য যেয়ে থাকে । কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দর্শনীয় স্থানের জন্য। দর্শনীয় স্থানের পাশে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো বাজার, দোকান ও রেস্তোরার আবাসস্থল। সব মিলিয়ে, ভ্রমণের কথা উঠলে সবার প্রথমেই মনে পড়ে যায় কক্সবাজার ভ্রমণ আর সমুদ্র সৈকতের কথা।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।এই সমুদ্র সৈকত ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের একটি বৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র। এখানে অনেক ধরনের বড় হোটেল ও ছোট হোটেলও রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঝিনুক মার্কেট ও বার্মিজ মার্কেট রয়েছে, এখানে মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও চীনের বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যঃ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সবচেয়ে মনোরম ও সৌন্দর্যময় স্থান।পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরময় স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি স্থান হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ।এর প্রকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব । ছুটির দিন পালন বা অবসর সময় কাটানোর জন্য সবচেয়ে উতম জায়গা হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ।এর নীল জলরাশি, সারি সারি ঝাউবন, গর্জনের মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের নাম কক্সবাজার।
সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। কক্সবাজারে অবস্থিত প্রায় ১২০ কিলো মিটার দীর্ঘ প্রসারিত বালু কাময় সৈকত এবং ফিরোজা-নীল রঙের পানির সৌন্দর্য আকর্ষিত করে সমুদ্র পৃথিবীর পর্যটক প্রেমীদের। শ্বাসরুদ্ধকর সূর্যাস্ত সাথে আছে পরিষ্কার নীল আকাশ এবং মৃদু সমুদ্রের বাতাস সহ সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য । যার সৌন্দর্য এককথায় অতুলনীয়।
এছাড়াও পর্যটকরা কক্সবাজার ভ্রমণ আসে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে। এছাড়াও সাঁতার কাটা, সার্ফিং, সানবাথিং এবং বিচকম্বিংয়ের মতো বিভিন্ন ধরনের বিনোদন মূলক কর্মকান্ড উপভোগ করতে পারেন।
কক্সবাজার ভ্রমণের কারনঃ
বাংলাদেশের মধ্যে যদি কাউ ভ্রমনের চিন্তা মাথায় আনে তাহলে সবার প্রথমে অবশ্যই কক্সবাজারের কথা আসবে মাথাতে। শুধু দেশীয় পর্যটক না, দেশের বাইরে থেকেও প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক বিশ্বের সবচাইতে বৃহৎ এই সমুদ্র সৈকত দেখতে আসেন।কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারনে অনেকপর্যটক ভীর জমায়। বাংলাদেশের মোট পর্যটকের ২ তৃতীয়াংশ।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে কি ভাবে কাশ্মীরে ভ্রমন করা যায় বিস্তারিত জানুন
শ্রাবণের মুখর বাদল দিন এসে গেছে। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সাগর দেখেছেন এ অন্য রকম সৌন্দর্য। ভিন্ন রকম মজা। এই আনন্দটুকু উপভোগ করতে এই চলে যেতে পারেন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে। কক্সবাজারকে বাংলার পর্যটন রাজধানী বললে মোটেও ভুল হবেনা। প্রতিবছর যে পরিমাণ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করেন।
কীভাবে যাবেন এবং ভাড়ার পরিমানঃ
ঢাকা-কক্সবাজার পথে প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি বা বাস চলাচল করে। নন-এসিতে জনপ্রতি টিকিটের মূল্য ৮০০ টাকা। এসি-ইকোনমি ক্লাসে ভ্রমণে খরচ জনপ্রতি ১৬০০ টাকা। আর এসি-বিজনেস ক্লাসে যেতে লাগবে জনপ্রতি ২০০০ টাকা। বাসে যাবার জন্য সময় লাগে ১০ ঘন্টা থেকে ১২ ঘন্টা।
আবার বর্তমানে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে । ট্রেনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার জনপ্রতি টিকিটের মূল্য S CHAIR ভাড়া ৬৯৫ টাকা এবং SNIGDHA ভাড়া ১৩২৫টাকা। ট্রেনে যাবার জন্য সময় লাগে ৯ ঘন্টা থেকে ১০ ঘন্টা।
অথবা আপনি চাইলে বিমানে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে ডমেস্টিক ফ্লাইটে কক্সবাজার যেতে পারেন। ফ্লাইটে ভাড়া ৩৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে । ফ্লাইটে যাবার জন্য সময় লাগে ১ ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
নোট-অনেক সময় নিধারিত ভাড়ার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
কক্সবাজার ভ্রমণের উপযুক্ত সময়ঃ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত প্রকৃতির অপূর্ব রূপ লাবণ্য উপভোগের জন্য সারা বছরই ভ্রমণ পিপাসুদের ভীড় লেগেই থাকে। কেননা কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব ।বছরের যেকোন সময়ই আকর্ষণীয় থাকে কক্সবাজার। কক্সবাজার ভ্রমণ এর জন্য বেশিরভাগ দর্শনার্থীই বেছে নেয় শীতকালের সময়টাকে। ঠান্ডা আবহাওয়া সমুদ্রের হালকা উষ্ণ লোনা পানি সত্যিই মনোমুগ্ধকর। সাথে থাকে প্রচন্ড বাতাস ও আবছা মায়াবী আকাশ। পরিবারের সাথে শীতকালীন এই সময়টাকে উপভোগ করে অনেকেই।
তবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যে গাঁভাসাতে যে কোনো সময়েই যেতে পারেন কক্সবাজার ভ্রমণ করতে।প্রতিটি মৌসুমেই কক্সবাজার এর রূপ সুভায় দেখা যায় পার্থক্য। ভিন্ন মৌসুমে রয়েছে ভিন্ন স্বাদ। তাই বর্ষায় মুষল ধারে বৃষ্টির সাথে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের শব্দ ও বৃষ্টির শেষে সমুদ্র সৈকতের স্নিগ্ধ অনুভূতি অতুলনীয়। অথবা হেমন্তের জোৎস্না রাতের লাবণ্যময়ী রূপের স্বাদ নিতে পারবেন সমুদ্র সৈকতে বসে।কক্সবাজার ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।
কক্সবাজার ভাড়া ও হোটেলের ঠিকানাঃ
এই কক্সবাজারে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে। তবে কক্সবাজারে ভ্রমণ করার যথাযোগ্য সময় হচ্ছে বছরের শুরুর দিকে। অর্থাৎ এই সময় আবহাওয়া অনেকটা শীতল এবং মনোরম হয়ে থাকে, যা একজন ভ্রমণকারীর জন্য অনেকটা আরামদায়ক। এই ভ্রমণকে আরামদায়ক করার জন্য অনেকেই হোটেল ভাড়া অনেকটা সাশ্রয় করতে চান।
কক্সবাজারে অল্প খরচে হোটেল ভাড়া পাওয়া যায়। মাত্র ১০০০ টাকায় কক্সবাজারে হোটেল ভাড়া করতে পেতে পারেন। তবে এই ১০০০ টাকা হোটেল হবে খুবই নিম্ন মানের। এসব হোটেলে তালিকা খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর ও দুষ্কর। তবে এসব হোটেলবেশি খুঁজলে তালিকা আপনি পেয়ে যেতে পারেন। তবে অনেকটা অনুসন্ধান করার পর এই ১০০০ টাকার হোটেল পেতে পারেন ।
আবার কিছু কিছু হোটেল আছে তার ভাড়া অনেক বেশী হয়ে থাকে।আসলে আপনি যত ভালো হোটেল বা রিসোর্ট বেঁছে নিবেন থাকার জন্য তত বেশি ভাড়া হবে। কক্সবাজারে এমন ও হোটেল বা রেশরত আছে যেগুলোর পতি রাতের ভাড়া ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ও আছে।
সায়মন বিচ রিসোর্ট ভাড়া কতঃ
কক্সবাজার কলাতলী বিচে মেরিন ড্রাইভ রোডে এই সায়মন বিচ রিসোর্ট অবস্থিত। এই হোটেলটি পর্যটকদের অনেক আকর্ষণ করে থাকে। অন্যান্য রিসোর্ট থেকে এ রিসোর্টের রুমগুলোর ভাড়া অনেকটা কম হয়ে থাকে। তবে ভালো মানের সার্ভিস পেয়ে যাবেন এখান থেকে। প্রতি রাতের জন্য সর্বনিম্ন ৭ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ২৮ থেকে ৩২ হাজার টাকা ভাড়া প্রদান করতে হয়।
ইনানী রয়েল রিসোর্ট ভাড়া কতঃ
আপনি যদি ইনানী রিসোর্টে এসে থাকতে চান তাহলে সেইন্টমার্টিনে থাকার যে অনুভূতি এবং যে আকর্ষণ তা পুরোটাই এই রিসোর্ট থেকে পেয়ে যাবেন। কেননা এই ইনানী রয়েল রিসোর্টে আছে প্রবালের রাজ্য। তবে জেনে নেওয়া যাক এই ইনানী রয়েল রিসোর্ট এর ভাড়া কত।
- স্ট্যান্ডার্ড কাপল বেড ভাড়া ৬০০০ টাকা
- ডিলাক্স টুইন বেড ভাড়া ৭৫০০ টাকা
- ডিলাক্স কাপল বেড ভাড়া ৭৫০০ টাকা
- ডিলাক্স হিল ভিউ বেড ভাড়া ৭৫০০ টাকা
এছাড়াও এই রয়েল রিসোর্টে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকায়একটি রুম পেয়ে যাবেন।
কক্সবাজার কলাতলীতে হোটেল ভাড়া কতঃ
কক্সবাজারে কলাতলী বীচে যদি যে কোন একটি হোটেল ভাড়া করতে চান। তাহলে হতেলের সর্বনিম্ন রুম ভাড়া ৪০০০ হাজার থেকে ৫০০০ হাজার টাকায় একটি রুম ভাড়া নিতে হবে। তবে এই রুম ভাড়ার সময় মাত্র একটি রাতের জন্য।আবার হোটেলের ১ রুম এর মূল্য ৪০০০ হাজার থেকে শুরু করে প্রায় ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়।
কক্সবাজার ঐতিহ্যবাহী খাবারঃ
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন জেলা কক্সবাজার । কক্সবাজার ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য অনেকটাই পরিচিত। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের আনাগোনা ঘটেছে এই জেলায় । ফলেই এখানকার খাদ্যাভ্যাসে এসেছে ব্যপক বৈচিত্র্যতা। আছে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, যা দিয়ে তৈরি করা হয় নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার।কক্সবাজারের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকবসবারই পছন্দের শীর্ষে এই জেলার স্থানীয় পদ্ধতিতে তৈরি ঐতিহ্যবাহী সব খাবার। কক্সবাজার জেলার জনপ্রিয় খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
ভর্তাঃ
কক্সবাজার জেলার মানুষের সাধারণ ভর্তা অনেক পরিচিত। এই জেলার মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নিত্য সঙ্গী বিভিন্ন বাহারি ভর্তা। কক্সবাজার গেলে নরমাল হোটেল থেকে শুরু করে ফাইভ স্টার হোটেল, সব জায়গাতেই একটা কমন আইটেম ভর্তা প্লেটার।সাধারণ আলু ভর্তা থেকে শুরু করে সামুদ্রিক আনকমন সব শুটকি ও মাছ ভর্তা ।
আরো পড়ুনঃ ট্রেন ভ্রমণ বাংলাদেশ থেকে ভারত
কক্সবাজারের প্রত্যেকটা ভর্তার মধ্যেই যেন লুকিয়ে আছে অথেনটিক স্বাদ।হোটেল বা রিসোর্ট গুলোতেই নয়, কক্সবাজার জেলার সাধারণ মানুষের কাছে ভর্তা অনেক প্রিয়। সাধারনত মানুষের খাওয়ায় দাওয়ারর তালিকায় থাকে কোনো না কোনো ভর্তা থাকে ।
কক্সবাজার জেলার ভর্তা গুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল শুটকি ভর্তা, ডাল ভর্তা, মাছ ভর্তা, সিম ভর্তা, মিক্সড সবজি ভর্তা, বাঁধাকপি ভর্তা, আলু ভর্তা, ডিম ভর্তা, চিংড়ি ভর্তা, মরিচ ভর্তা ইত্যাদি।
চিকেন লাকসুঃ
কক্সবাজারে এ ভর্তা অনেক জনপ্রিয়।চিকেন লাকসু হলো এক ধরনের ঝাল ভর্তা।এটি তৈরি হয় মুরগির মাংস দিয়ে বিশেষ ধরনের ভর্তা।কক্সবাজারের পাহাড়ি অঞ্চল গুলোতে বিভিন্ন ধরনের আদিবাসীদের বসবাস। এখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী খাবার চিকেন লাকসু।
চিকেন লাকসু বর্তমানে পাহাড়িদের মধ্যেই শুধু সীমাবদ্ধ নেই ।কক্সবাজার বেড়াতে আসা পর্যটকদেরও মন কেড়েছে জনপ্রিয় এই খাবারটি।মুরগির মাংসের এই অসাধারন স্বাদের রেসিপি যে কারো জিভে জল আনতে একশভাগ সক্ষম। তাইতো কক্সবাজারের ফাইভ স্টার হোটেল গুলোতে চিকেন লাকসুর বেশ চাহিদা রয়েছে।
বলা পিঠাঃ
বলা পিঠা কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্য বাহী খাবার। সাধারণত শীত কালে পিঠা পুলি খাওয়া হয় থাকে।এটি কক্সবাজার জেলায় সবচেয়ে বিখ্যাত বলা পিঠা খাওয়ার প্রচলন গরমের সময়। প্রচন্ড গরমে মনে প্রশান্তির ছোয়া নিয়ে আসে বলা পিঠা। বলা পিঠার সবগুলো উপাদানই ঠান্ডা হয় বলে গরমের সময় এই পিঠা খুব বেশি পছন্দের খাবার। কক্সবাজার জেলার স্থানীয়দের ও পর্যটকদের কাছে অনেক জনপ্রিয় খাবার।
মুন্ডিঃ
কক্সবাজার জেলার পর্যটকদের কাছে অনেক জনপ্রিয় খাবার মুন্ডি নুডলস। মুন্ডি নুডলস কক্সবাজারের পাহাড়ি আদিবাসীদের নিজের হাতে তৈরি করা হয়। বর্তমানে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে এই খাবারটি। কক্সবাজার গিয়ে মুন্ডি খায়নি এমন মানুষ খুবই কম।মুন্ডি হলো মূলত নুডলস জাতীয় খাবার, যেটা মুরগির স্যুপ, চিংড়ি ও বিভিন্ন ধরনের মসলা দিয়ে পরিবেশন করা হয়।
মোচা ভাতঃ
কক্সবাজার জেলার পর্যটকদের কাছে অনেক জনপ্রিয় খাবার । মোচা ভাত তৈরি করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠানে জন্য।মোচা ভাত কলাপাতা কেটে পরিবেশন করা হয় ।এর দারুণ স্বাদের মোচা ভাত। তৈরি করাটা একটু ঝামেলার কিন্তু খেতে একেবারেই অসাধারণ।
মধু ভাতঃ
কক্সবাজারের জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার মধু ভাত।কক্সবাজার অঞ্চলে শীত কালে ঘরে ঘরে মধু ভাত খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। মধুভাত এক ধরনের মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার।আগের দিন রাতে রান্না করে পরদিন সকালে খালিপেটে মধুভাত খাওয়া হয়।
লইট্যা ফ্রাইঃ
কক্সবাজারের পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয় কাবার লইট্যা ফ্রাই। কক্সবাজার মানেই সামুদ্রিক মাছের ছড়াছড়ি। এ বেলা এই মাছ তো ওবেলা ঐ মাছ। তেমনই সুস্বাদু এক মাছ লইট্যা। কক্সবাজার বিচ এর স্ট্রিট ফুড থেকে ফাইভ স্টার হোটেলের স্পেশাল ডিস হিসেবে লইট্যা ফ্রাই বিশেষ ভাবে নিজের স্থান করে নিয়েছে।আবার স্ট্রিট ফুডের দোকানের সামনে দাড়িয়ে মচমচে ফিস ফ্রাই শুধু খেতেও বেশ ভালো লাগে।
ছুরি শুটকিঃ
কক্সবাজার বিচে ঘুরতে গেলে দেখা যায় বিচের বালুর মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে বিশাল সাইজের ছুড়ি মাছ। ছুরি শুটকি যে শুধু কক্সবাজার জেলার মানুষের কাছেই প্রিয় খাবার তা কিন্তু নয়। বাংলাদেশের সব জেলাতেই কম বেশি এর চাহিদা রয়েছে। কক্সবাজার ঘুরতে আসলে আর কিছু না হলেও ছুরি শুটকি সবাই কম বেশি কিনে নিয়ে যায়।এগুলো আসলে ফেলে রাখা হয়নি, শুটকি তৈরির জন্য শুকোতে দেয়া হয়েছে। ছুড়ি শুটকির জন্য কক্সবাজার জেলা অনেক পরিচিত ।
কক্সবাজার জেলার আরও কিছু জনপ্রিয় খাবারঃ
- টুনা মাছ
- ট্যাং ফল
- কালাভুনা
- কোরাল মাছের শুটকি
- ছতং (স্কুইড)
- রূপচাঁদা মাছের ফ্রাই
- ভেটকি পাতুরি
- ধুপপাইস পিঠা ইত্যাদি
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানসমূহঃ
- সোনাদিয়া দ্বীপ
- হিমছড়ি
- ইনানী সমুদ্র সৈকত
- ছেড়া দ্বীপ
- মহেশখালী দ্বীপ
- আদিনাথ মন্দির
- কুতুবদিয়া
- টেকনাফ
- সেন্টমার্টিন দ্বীপ
- ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক
- রামকোট বৌদ্ধ বিহার
কক্সবাজার ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতাঃ
- সমুদ্রে গোসল এ নামার পূর্বে সতর্ক থাকবেন এবং অবশ্যই জোয়ার-ভাটার সময় জেনে নিন।
- জোয়ার ভাতার সময়ে সমুদ্রে গোসল করা বিপজ্জনক।অনেক সময় ভাটার টানে মুহূর্তেই হারিয়ে যেতে পারে যে কেউ।
- এসব বিচ ফটোগ্রাফারদের আইডি কার্ড যাচাই করে নিন। এদের প্রত্যেকের রয়েছে একটি করে আইডি কার্ড।
- ফটোগ্রাফির সময় অন্য মনস্ক হয়ে সমুদ্রে মধ্যে যাবেন না
- বিচে বেশ কয়েকটি স্পিডবোট থাকে এ গুলোতে উঠার সময় সতর্ক থাকবেন।
কক্সবাজার ভ্রমন,হোটেল ভাড়া ও ঐতিহ্যবাহী খাবার-শেষ কথাঃ
উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল কক্সবাজার সম্বন্ধে। সাথে আরো আলোচনা করেছি সাথে আর বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি কক্সবাজার কি ভাবে জাবেন,ভাড়ার পরিমাণ ও ঐতিহ্যবাহী খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
সাথে আর বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য হোটেল ভাড়া ও কক্সবাজার কোন সময় ভ্রমন করা ভালো।আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার অনেক ভালো লেগেছে।এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতি দিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url