পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন

আপনি হয়তো পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার জানুন প্রাকৃতিক উপায়ে সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন। কিন্তু আপনারা অনেকেই পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার জানুন প্রাকৃতিক উপায়ে সম্পর্কে জানেন না।তবে সমস্যা নেই আজকে আমি পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার জানুন প্রাকৃতিক উপায়ে সম্পর্কে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। 

পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন

যেহেতু আপনি পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার জানুন প্রাকৃতিক উপায়ে সম্পর্কে জানেন না সে ক্ষেত্রে পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ কি এবং পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ,চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের ভালো জ্ঞান রাখা জরুরি। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার জানুন প্রাকৃতিক উপায়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করি।

পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার জানেন কী

পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন। পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যায় প্রায় অনেকেই ভুগে থাকেন। এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের সারা বছর পায়ের গোড়ালি ফাটে। তাদের সব সময়ই যত্ন নিতে হয়। যাদের পায়ের গোড়ালি শুধু শীতকালে ফাটে, তাদের-ও সারা বছরই পায়ের যত্ন নেয়া উচিত যাতে শীতকালে আর না ফাটে। 

আমরা অনেক সময় আমরা হাত মুখের যত্ন নিলেও পায়ের যত্ন টা নিতে এড়িয়ে যাই। পায়ের গোড়ালির যত্ন তো নেয়াই হয় না। মনে হতে পারে এটা শুধু সৌন্দর্য গত সমস্যা, কিন্তু এটা অনেক সময়ই বিরক্তির উৎপাদন করতে পারে। এর থেকে গুরুতর কিছু শারীরিক সমস্যাও হয়। চলুন জেনে নিই পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত। 

পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ

  • পায়ের গোড়ালি ফাটার অন্যতম কারণ গোড়ালির চার পাশের ত্বক শুষ্ক। 
  • আবার যারা গোড়ালির ত্বক একটু মোটা তাদের পা ফাটে। 
  • দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করলে তাদের পা ফাটে। 
  • অতিরিক্ত ওজন হলে। 
  • জুতার পেছনের অংশ খোলা হলে গোড়ালিতে চাপ পড়ে পা ফেটে যায়। 
  • বয়স বাড়ার কারণে ত্বকের পরিবর্তনে। 
  • দীর্ঘ সময় ভেজা পরিবেশে থাকলে বা স্যাঁত স্যাঁতে বাথরুম এ থাকলে। 
  • জুতোর সাইজ বা মাপ ঠিক না হলে। 
  • কিছু রোগের কারণে পা ফাটতে পারে। যেমন – একজিমা, থাইরয়েড ডিজিজ, ডায়াবেটিস। 
  • অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করলে। 
  • পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ভিটামিন, মিনা-রেলস এবং জিঙ্কের অভাব হলে। 
  • পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ শুষ্ক জলবায়ু। 
  • পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ নিষ্ক্রিয় ঘর্মগ্রন্থি। 

পায়ের গোড়ালি ফাটার চিকিৎসা ও প্রতিকার

এক বার যদি গোড়ালি ফেটে যায় তাহলে দেরি না করে নিয়মিত চিকিৎসা করতে হবে।আর পা পরিষ্কার রাখার দিকে বেশি গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।তা না হলে ব্যাক-টেরিয়ার সংক্রমণ হবে। পা ফেটে গেলে বেশি ঘষা যাবে না, এতে রক্ত পাত হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ পুরুষের ফ্যাশন কেমন হতে পারে বিস্তারিত পড়ুন 

উষ্ণগরম পানিতে লেবু এবং শ্যাম্পু দিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট, তারপর আলতো করে নরম কোন ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করুন। কিন্তু কোনও কিছুই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত হবে নয়। 

ঘরোয়া পরিচর্যা

পায়ের গোড়ালি ফাটা প্রতিরোধ করার সবথেকে ভালো উপায় হচ্ছে ঘোরোয়া ভাবে পরিচর্যা করা। ঘরোয়া ভাবে গোড়ালি ফাটার জন্য যা যা করতে পারেন- 

ভেজি-টেবল অয়েল পায়ের গোড়ালির ফাটা অংশে লাগিয়ে  ভালো ভাবে ময়েশ্চারাইজার করতে পারেন ।তারপর রাত ভর পা ঢেকে রাখতে হবে, এর জন্য মোজা ব্যবহার করতে পারেন। আবার এক চামচ ভ্যাসলিন এর সাথে কয়েক ফোটা লেবু মিশিয়ে ফাটা অংশে লাগিয়ে রাতভর মোজা পরে থাকলে, কয়েক দিনেই আকর্ষণীয় রেজাল্ট পাওয়া যায়। পা ফাটার পরে কলার পুরু পেস্ট ওখানে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুঁয়ে ফেলুন।

যদি বাজারে আপনি একটু খোঁজ নিন তাহলে এভোক্যাডো পাবেন।তারপর এর সাথে নারিকেল এবং কলা মিক্স করে ঘন পেস্ট তৈরি করে পায়ে লাগান। এই মিশ্রণ অনেক রিচ তেলসমৃদ্ধ। পা ফাটা ঠেকাতে এর কোন জুড়ি নেই।লেবুর রস পায়ে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। লেবু আপনার গোড়ালির মৃত কোষগুলো তুলে ফেলে এবং পা ফাটা প্রতিরোধ করে।তারপর ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষে আপনার পায়ের গোড়ালির মৃত কোষগুলো তুলে ফেরালি পরিষ্কার এবং ময়েশ্চারাইজ করা পা, ফাটার বিরুদ্ধে হাতিয়ার।

পরিষ্কার করার সব থেকে জনপ্রিয় উপায় হল- একটি ভাল বা বালতি তে সহনীয় মাত্রার গরম পানি নিয়ে তাতে বেবি সাবান অথবা শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। এতে একটু লেবুর রস এবং লবণ মিক্স করে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পর গোড়ালির মৃত কোষ গুলো নরম হয়ে এলে ব্রাশ অথবা পিউমিস স্টোন দিয়ে ঘষে তুলতে হবে।এরপর শুকনো কাপড় দিয়ে পানি মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।নিয়মিত পায়ে গোলাপ জল এবং গ্লিসারিন এর মিশ্রণ লাগালে এর হিলিং ইফেক্ট পাওয়া যায়।

বাজারের ময়েশ্চারাইজার আপনার যদি পছন্দ না হয় তাহলে ঘরে বসেই ময়েশ্চারাইজার বানিয়ে ফেলতে পারেন।একটি বোতলে এক চামচ অলিভ অয়েল এবং কয়েক ফোটা ল্যাভেন্ডার অয়েল নিয়ে তাতে সমান পরিমাণ পানি মিশিয়ে ঝাঁকান এবং দুধসাদা রং আসলে তৈরি হয়ে গেল আপনার ময়েশ্চারাইজার।

শুষ্ক আবহাওয়াতেও ফাটবে না গোড়ালি, জেনে নিন কিছুু টিপস

  • আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে শীতের রুক্ষতা প্রবলভাবে ছাপ ফেলে গোড়ালিতে। শুষ্ক হয়ে ফাটতে শুরু করে গোড়ালি। শীত আসার আগেই তাই যত্নে রাখুন তাদের। এতে শীতে গোড়ালি ফাটার বিড়ম্বনা পোহাতে হবে না। জেনে নিন টিপস। 
  • পায়ের গোড়ালি ফাটার জন্য বাইরে থেকে ফিরেই গোড়ালি ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। কুসুম গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। পানিতে বাথ সল্ট, লেবুর রস, গোলাপ জল ইত্যাদি মিশিয়ে নিতে পারেন। 
  • পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ফুট ক্রিম ম্যাসাজ করুন গোড়ালিতে। গোড়ালি স্ক্রাব করার পরও অবশ্যই ব্যবহার করবেন ফুট ক্রিম। 
  • পায়ের গোড়ালি ফাটার জন্য পায়ের ত্বক এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। এতে পায়ের দাগ, রোদে পোড়া দাগ ও মরা চামড়া উঠে যায়। পিঙ্কনসল্টের সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল ও গোলাপ জল মিশিয়ে ফুট স্ক্রাব বানিয়ে নিতে পারেন। 
  • পায়ের গোড়ালি ফাটার জন্য মধু, চিনি এবং গরম পানি মিশিয়েও বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন স্ক্রাব। এটি পায়ের পাতায় রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করবে। 
  • সব সময় পা পরিষ্কারের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।আর রাতে ঘুমানোর পূর্বে অবশ্যই পায়ে ময়েশ্চারাইজার মাখুন। পেট্রোলিয়াম জেলি ও গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়েও ম্যাসাজ করতে পারেন গোড়ালি। 
  • শীতে সব সময় পায়ের গোড়ালি ঢাকা থাকে এমন জুতা পরবেন।আর সব চেয়ে ভালো হয় কাপড়ের নরম কেডস পরতে পারলে। পায়ের গোড়ালি বের হয়ে থাকলে ফাটা অংশে ধুলাবালি ঢুকে যায়। এতে পা ফাটা আরও বাড়ে। 
  • অলিবয়েল তেল, নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল অথবা তিলের তেল নিয়মিত ম্যাসাজ করুন গোড়ালিতে। 
  • ওটমিল ও গোলাপ জল সম পরিমাণ মিশিয়ে গোড়ালিতে লাগান। আধা ঘণ্টা পর ফুট ব্রাশ দিয়ে ঘষে পা ধুয়ে নিন। 
  • অ্যালোভেরা জেল ও নারিকেল তেল দিয়ে বানিয়ে নিন প্যাক। অ্যালোভেরা গাছের পাতা কেটে জেল বের করে মিশিয়ে নিন নারিকেল তেল। মিশ্রণটি গোড়ালিতে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ৩০ মিনিট। এরপর ধুয়ে পিউমিস স্টোন দিয়ে ঘষে নিন।

গোড়ালি ব্যথা থেকে বাঁচতে যেসব বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা উচিত

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। পায়ের জুতো নির্বাচনের সময় অবশ্যই সঠিক মাপের জুতো নির্বাচন করতে হবে। শক্ত চপ্পল বা স্লিপার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।সিলিকন হিল দেওয়া জুতো ব্যাবহার করা সবচেয়ে উত্তম। অধিক সময় ধরে হাঁটা বা দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না, অসমতল জায়গায় বেশি হাঁটাচলা করা যাবে না।

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে খালি পায়ে শক্ত বা উঁচু নিচু জায়গা চলাফেরা করা যাবে না হাই হীল অথবা টাইট ফিট জুতো পরিধান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শরীরে ভিটামিন ডি এবং ই এর অভাব আছে কিনা তার দিকে লক্ষ রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি-ফলমূল সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। 

পায়ের গোড়ালি ব্যথা বা পায়ে ব্যাথা হলে কি করবেন

পায়ের গোড়ালি ব্যথা বেশি হলে অনেকেই নিয়মিত ব্যথার ওষুধ খান , কিন্তু কোনভাবেই ভাল হচ্ছেন হয় না । বিশেষত ব্যথার ওষুধ খেলে সাময়িকভাবে ব্যথা কমে , পরে আবার একই ব্যথা ফিরে আসে । তাই এই ব্যথা নিয়ে অনেকে মাসের পর মাস কষ্ট পাচ্ছেন ।

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে তাই অযথা ব্যথার ওষুধ না খেয়ে নিজে কিছু নিয়ম মেনে চলবেন এবং নিয়মিত এক্সারসাইজ করবেন । তবে ঘরোয়া ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপি বেস্ট চিকিৎসা । বিশেষ করে শকওয়েভ থেরাপি ৪/৫ সেশন নিলেই স্থায়ীভাবে ব্যথা ভাল হয়ে যাবে । 

গোড়ালি ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে নরম জুতা এবং হিল কুশন পায়ে ব্যাথা প্রতিরোধ করতে অনেক কার্যকরী । দাঁড়ানো বা হাটার সময় যে গোড়ালিতে যেন চাপ কম পরে সেইজন্য নরম জুতা পরে হাটতে হবে । 

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে এক ধরনের নরম সিলিকন জেলের কুশন পাওয়া যায় , যেটা জুতার ভিতরে ব্যবহার করতে পারেন । এই নরম জুতা বিভিন্ন ধরনের জুতার দোকানে পেতে পারেন , হিল কুশন ফার্মেসীতে পেতে পারেন । এছাড়া অনলাইন মার্কেট টেকনো হেলথেও ভাল কোয়ালিটির হিল কুশন পাবেন । 

পায়ে ব্যাথা বা পায়ের গোড়ালি ব্যাথা এর জন্য বরফ দিন

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে পায়ের গোড়ালি ব্যথা বা প্লান্টার ফ্যাসাইটিস দূর করতে চাইলে বাসায় নিয়মিত কিছু এক্সারসাইজ করতে হবে ।এছাড়াও আছে কিছু প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ

বরফ

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে ব্যথার জায়গায় দিনে বরফ দিবেন ১৫ মিনিট করে দিনে ৩/৪ বার দিবেন । বরফকে হালকা কাপড় দিয়ে মুড়িয় ব্যথার জায়গায় ধরে রাখবেন । 

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে এই টকজাতীয়  অ্যাপল সাইডার ভিনিগার অনেক কার্যকারী উপাদান। অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে এক টুকরা ব্যান্ডেজের কাপড় ডুবিয়ে আক্রান্ত গোড়ালির উপর বসিয়ে বেঁধে রাখা যেতে পারে। এই পদ্ধতি ব্যবহারের সময় বিশ্রামে থাকলে ভালো উপকার মিলবে। 

বাঁধাকপির পাতা

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে প্রতিরোধকারী উপাদান যুক্ত বলে পরিচিত বাঁধা কপির পাতা।  এটি আক্রান্ত গোড়ালিতে বেঁধে  রাখলে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ব্যবহারের আগে পাতাটিকে সামান্য গরম করে নরম করে নিয়ে লাগাতে হবে। শুকিয়ে গেলে তা পরিবর্তন করে নতুন পাতা লাগাতে হবে। 

বেইকিং সোডা

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে বেইকিং সোডায় কয়েক ফোঁটা পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে মাখিয়ে রেখে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আক্রান্ত স্থানে পেস্ট মাখানোর পর এক টুকরা পরিষ্কার ব্যান্ডেজের কাপড় তার উপর বসিয়ে বেঁধে দিতে হবে। 

নারিকেল তেল

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে আক্রান্ত স্থানে নারিকেল তেল সামান্য গরম করে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়। গোড়ালিতে জমে থাকা বাড়তি ক্যালসিয়াম গলিয়ে ফেলতে সাহায্য করে এই তেল। পাশাপাশি ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। 

ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে স্বাস্থ্যকর ওমেগাথ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের শক্তিশালী প্রতিরোধকারী উপাদান গোড়ালি এর ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এজন্য ওমেগাথ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট কিংবা তেলযুক্ত সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যেতে পারে। 

তিসির তেল

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে গোড়ালির হাড় বেড়ে যাওয়ার চিকিৎসায় ওমেগাথ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত এই তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।ব্যান্ডেজের কাপড় বা সাধারণ কাপড় তিসির তেলে ডুবিয়ে আক্রান্ত স্থানে তোয়ালে  দিয়ে বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।

পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে সাধারণত, সারাদিন চামড়ার জুতা পরে থাকার কারণে ব্যাক্টেরিয়া ও ফাঙ্গাস বৃদ্ধি পায় ও এর থেকে পায়ে দুর্গন্ধ হয়।এ ধরনের জীবাণু অন্ধকার ও স্যাঁত স্যাঁতে জায়গায় দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

আরো পড়ুনঃ মেকাপ ছাড়া কি ভাবে সুন্দর হওয়া যায় বিস্তারিত জানুন

তিনি আরও জানান আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে , শীতকাল পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার উপযুক্ত সময়। কারণ এই মৌসুমে পা আরামে রাখার জন্য ভারি জুতা পরা হয়। আর সারাদিনে পা ঘেমে খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। আবার মোজা ছাড়া জুতা পরলেও পা ঘেমে জীবাণু তৈরি হয়। যা থেকে দুর্গন্ধ হয়। 

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু সহজ কৌশল তুলে ধরা হয়। এই প্রতিবেদনে সেসব কৌশলগুলো জানানো হল

  • আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে মোজা ছাড়া জুতা না পরা
  • আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পায়ের পাতা বেশি ঘামে। 
  • শান্দ্রা বলেন, “জুতা পরার সময় অবশ্যই মোজা পরা উচিত। কারণ পাতলা সুতির মোজাও পায়ের সাথে আটকে থাকে এবং তা ঘাম শুষে নেয়। ফলে পায়ে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না।” 
  • সিনথেটিকের বা উলের মোজা ও ঘামরোধক হিসেবে কাজ করে। 
  • মোজা পায়ের ঘাম শুষে নেয় তাই প্রতিদিন অন্তত একবার মোজা পরিবর্তন করতে হবে। 

টি ব্যাগ ব্যবহার

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে পায়ের পাতায় ঘাম হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চা-পাতা বিশেষ উপযোগী। ফুটানো চা-পাতা দিয়ে প্রতিদিন ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখলে পা ঘামার পরিমাণ কমে। ফুটানো চা-পাতার অ্যাসিড জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে এবং পায়ের খোলা লোমকূপ বন্ধ করে। অ্যামেরিকান একাডেমি অফ পডিয়াট্রিক প্র্যাকটিস ম্যানেজমেন্টের তথ্যানুসারে, প্রতি ২০ আউন্স পানিতে দুটি টি ব্যাগ দিয়ে, তা ঠাণ্ডা করে পা ডুবিয়ে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়। 

জীবাণুনাশক ব্যবহার করে

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে প্রতিদিন একবার অ্যান্টিফ্যাঙ্গাল ফুট স্প্রে ব্যবহার করলে পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যা কমে। কেউ স্প্রে করতে না চাইলে অ্যান্টিফ্যাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। পায়ে অ্যান্টিফাংগাল স্প্রে করে বা পাউডার ছিটিয়ে মোজা পরে নিতে হবে। এতে পায়ে জীবাণুর বিস্তার কম হয়। ফলে দুর্গন্ধও হয় না। 

প্রতিদিন একই জুতা না পরা

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে এক জামা যেমন দুই দিনের বেশি পরা যায় না, জুতার ক্ষেত্রেও তাই। একই জুতা প্রতিদিন পরলে জুতায় লেগে থাকা ঘাম ভালোমতো শুকায় না। ফলে জীবাণু বৃদ্ধি পায়। যেখান থেকে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। তাই অন্তত দুই জোড়া জুতা রাখুন। 

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে একদিন এক জোড়া পরলে অন্যদিন অন্যজোড়া জুতা পরুন। মেয়েরা খেয়াল রাখুন, পরপর দুই দিন হাই হিল ব্যবহার না করাই ভালো। করলে হাড়ের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। তেমনি একই মোজা পরপর দুই দিন ব্যবহার করা উচিত না। প্রতিদিন ধোয়া মোজা ব্যবহার করুন। 

পায়ের পাতায় বাতাস লাগতে দিন

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে যতটা সম্ভব পায়ের পাতা খোলা বাতাসে রাখা উচিত। তাই সময় পেলে যেমন, অফিসে কাজের ফাঁকে বা গাড়িতে যাওয়ার সময় জুতা খুলে রাখা ভালো। এতে পা অক্সিজেনের সংস্পর্শে থাকে যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই দুর্গন্ধও হয় না। অনেক ধরনের জুতা আছে যেগুলোতে নকশাই করা থাকে ছোট ছোট ছিদ্র করে, এগুলো পরলে পা ঘামে কম।

আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্বির উপায়

আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে আবার কাপড়ের জুতা পরলেও পায়ে বাতাস চলাচল করতে পারে। এই ধরনের জুতা ব্যবহার করলেও পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কমে। মনে রাখবেন ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। তাই এসব কৌশল নেওয়ার পরেও যদি সমস্যা না যায়, তবে খেয়াল করুন কী কারণে দুর্গন্ধ তৈরি হচ্ছে। সেই হিসেবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার-শেষ কথা

উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন সে সম্বন্ধে। সাথে আরো আলোচনা করেছি পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার এর বিভিন্ন তথ্য সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার অনেক ভালো লেগেছে।

আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কোন কোন বিষয় গুলি ভালো লেগেছে এবং আপনি কত টুকু উপকৃত হয়েছেন তা আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতি দিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।  



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url