সিরাজগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি সিরাজগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন । তাহলে আর চিন্তা নয় আপনারা এই আর্টিকেলেটি মনোযোগ সহকারে পড়লে সিরাজগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা একটি ছোট জেলা হলেও এর দর্শনীয় স্থানের জন্য বিখাত।এখানকার কিছু দর্শনীয় স্থান আছে যে গুলার সৌন্দর্য অপূর্ব মায়াবী। যদি অবসর বা ভ্রমন করার ইচ্ছা থাকে তাহলে সিরাজগঞ্জ জেলা ভ্রমন করা উচিৎ।
সিরাজগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম জেলা হল সিরাজগঞ্জ। সিরাজগঞ্জ জেলার মোট আয়তন ২ লক্ষ ৪৯৭ দশমিক ৯২ বর্গ কিমি। সিরাজগঞ্জ জেলা রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত,সিরাজগঞ্জ জেলা ছোট হলেও সবার কাছে পরিচিত তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও দর্শনীয় স্থানের জন্য । সিরাজগঞ্জ জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান বঙ্গবন্ধু সেতু বা যমুনা সেতু,বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্ক,থার্ড পয়েন্ট বা যমুনা প্রতিরক্ষা বাঁধ,চলনবিল,শিশু শেখ রাসেল পার্ক,আল আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ, রবীন্দ্রনাথ কাচারি বাড়ি,জয়সাগর দীঘি,হুড়া সাগর নদী,বাঘাবাড়ী নদী বন্দর ।
বঙ্গবন্ধু সেতু বা যমুনা সেতু
বাংলাদেশের অন্যতম একটি সেতু হলো বঙ্গবন্ধু সেতু বা যমুনা সেতু। যমুনা নদী বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নদী। দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু যমুনা সেতু। যমুনা নদীর উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে হয়েছে বলে সেতুটি যমুনা সেতু নামে পরিচিত । যমুনা সেতু স্থাপনের জন্য প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৪৯ সালে ও ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর কাজ শুরু করা হয়। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন মাসের উদ্বোধন করা হয়।
আরো পড়ুনঃ কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন
পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর এর নাম অনুসারে সেতুটির নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু সেতু। বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দুই অংশকে একত্রিত করেছে। বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের অর্থ সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সড়ক ও রেলপথে মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হচ্ছে।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে পুনরায় রেল যোগাযোগের জন্য নতুন সেতু তৈরি করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতু উপর থেকে নিচের যমুনা নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেক সুন্দর। সেতু পারাপারের সময় স্পিডবোড ট্রলার ও বিভিন্ন ধরনের জাহাজ নদীতে চলাচল করতে দেখা যায়। সেতু পারাপারের সময় অনেক মানুষ যমুনা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য উচ্ছ্বাসিত থাকেন। আবার অনেকে পর্যটক যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু দেখার জন্য যায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটক বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে বনভোজন করেন।
বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্ক
সিরাজগঞ্জ জেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হল বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্ক। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে ১২০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধুর যমুনা ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়। ইকো পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যান্ত মায়াবী। কেননা ইকোপার্ক সবুজ বৃক্ষে আচ্ছন্ন ইকোপার্ক থেকে যমুনা নদী এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
বঙ্গবন্ধুর যমুনা ইকো পার্কে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে দিন দিন পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য। বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকো পার্কে বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখা যায় যেমন , আকাশমনি তেতুল জাম জলপাই জামরুল কাঁঠাল আমলকি ডুমুর পেয়ার অর্জুন সহ নানা ধরনের গাছ।
আরো পড়ুনঃ ঐতিহাসিক ভাসমান পেয়ারা বাজার ঝালকাঠি
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রাণী আমরা ইকো পার্কের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় যেমন, খরগোশ, বানর , সজারু , কাঠবিড়ালি হরিণ ময়ূর ও নানা ধরনের পাখি। বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্ক টি প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। যমুনা ইকো পার্কে প্রবেশ করার জন্য মে মেইন গেট থেকে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে।
হার্ড পয়েন্ট বা যমুনা প্রতিরক্ষা বাঁধ
সিরাজগঞ্জ শহরের জন্য যমুনা প্রতিরক্ষা বাঁধ অত্যন্ত জরুরী কেননা যমুনা প্রতিরক্ষা বাঁধ সিরাজগঞ্জ শহরকে রক্ষা করে। হার্ড পয়েন্ট এর ওপর একটি নাম হল চায়না বাঁধ। যমুনা প্রতিরক্ষা বাঁধ ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ৩কিলোমিটার নগর জুড়ে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। যমুনা প্রতিরক্ষা বাঁধ যমুনা নদীর জায়গাটা কে অত্যান্ত সুন্দর করে তুলেছে এখানে প্রতিনিয়ত পর্যটকেরা ভিড় জমায় বাঁধ দেখার জন্য।
সবচেয়ে ভালো লাগবে এখানে যদি বর্ষাকালে যাওয়া যায় কারণ বর্ষাকালে যখন নদীতে অনেক পানি থাকে তখন যমুনা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব মায়াবী লাগে। যমুনা প্রতিরক্ষা বাঁধের মেইন গেট থেকে কালো পিচ ঢালা রাস্তা রয়েছে আর এই রাস্তা ধরে যমুনা প্রতিরক্ষা বাঁধের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যাওয়া যায়। চায়না বাঁধের দুই পাশে নদী আর মাঝখানে সবুজ ঘাসের গালিচায় বসে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই সিরাজগঞ্জ জেলা যমুনা প্রতিরক্ষা বাঁধে ঘুরে আসা উচিত।
শিশু শেখ রাসেল পার্ক
সিরাজগঞ্জ জেলার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান হল শিশু শেখ রাসেল পার্ক। মূলত যমুনা নদীর তীরে শিশু শেখ রাসেল পার্ক অবস্থিত। মূলত ১৯৯৯ সালে শিশুদের খেলাধুলার জন্য পার্টি নির্মাণ করা হয়। শিশুর শেখ রাসেল পার্কের ভিতর থেকে যমুনা নদীর অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। বর্তমানে বর্তমানে শিশুরা এখানে ঘুরতে এসে অনেক আনন্দ ও মজা পায় কারণ এখানে শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলার জায়গা ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন বিভিন্ন ধরনের রাইজ, যা শিশুদের অভিভাবকদের আগ্রহী করে তোলে শিশু শেখ রাসেল পার্কে তাদের শিশুদের নিয়ে যাওয়ার জন্য।
চলনবিল
বাংলাদেশের সব চাইতে বড় ও সমৃদ্ধ জলাভূমি বা বিল হচ্ছে চলনবিল।এটি সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও পাবনার বেশ কিছু অংশ নিয়ে এর অবস্থান। সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ ও তারাস থানার তিন চতুর্থ অংশ এ বিলের মধ্যে অবস্থিত। চলনবিলের সৌন্দর্য বর্ষার সময় বেশি বৃদ্ধি পায় কেননা চারিদিকে পানি আর পানি দেখা যায়। চলন বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব মায়াবী।
আরো পড়ুনঃ কাশ্মীরের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন
চলন বিল উত্তরবঙ্গের মাছের চাহিদা পূরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও শুকনা মৌসুমে বিলগুলো শুকিয়ে যায় এবং এখানে নানা ধরনের ফসল উৎপাদন হয় যেমন ধান ,সরিষা ও অন্যান্য ফসল। শুকনো মৌসুমে যখন সরিষা উৎপাদন করা হয় তখন এই বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায় কেননা সরিষার ফুলে চারিদিকে হলুদে ভরে যায় ও মৌমাছির সরগম বৃদ্ধি পায় আর এই সরিষা ফুল থেকে মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে।
চলনবিল সিরাজগঞ্জের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এখানে দর্শনার্থীরা প্রতিনিয়তই বিলের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ভিড় জমায় এবং চলন বিলের পাশে দর্শনার্থীর জন্য ছোট বড় দোকানে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী বিক্রি করা হয় এবং দর্শনার্থীদের বসার জন্য বিলের পাশে জায়গা করা আছে।
আল আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ
সিরাজগঞ্জ মাইন শহর থেকে প্রয়াই ২০ কিলোমিটার দূরে বেলকুচি পৌরসভা এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুকুন্দগতি মহল্লায় সিরাজগঞ্জ এনায়েতপুর সড়কের পশ্চিম পাশে আড়াই বিঘা জমির উপর নির্মিত একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে ও নির্মাণ কাজ শেষ করে চালু হয় ২০২১ সালে।
মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মোহাম্মদী সরকার। তিনি একজন তাঁত ব্যবসায়ী ছিলেন। মরহুম মোহাম্মদী সরকার তার নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদটি নির্মাণ করেন মসজিদে নির্মাণ কাজে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বেশি খরচ করেছে। তিনি তার মায়ের নামে মসজিদটির নাম রাখেন। প্রতি শুক্রবার এ মসজিদে হাজার হাজার মানুষ জুম্মার নামাজ আদায় করে এবং অনেক দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা মসজিদটির সৌন্দর্য দেখার জন্য ভিড় জমায়।
হুড়া সাগর নদী
হুড়া সাগর নদী সিরাজগঞ্জ জেলার অন্যতম একটি নদী ।এটি চাটমোহর থেকে ৪৮ কিঃ মিঃ পূর্ব-দক্ষিণে বাঘাবাড়ির কাছে এই আত্রাই-বড়াল নদী তার বাম তীরে ফুলঝোড় (বাঙ্গালী-করতোয়া) নদীকে ধারন করে এবং মিলিত প্রবাহ হুড়াসাগর নামধারণ করে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। মোরা সাগর নদীটি মূলত বেলকুচি থানার কামারখন্দ উপজেলায় অবস্থিত। হুরা সাগর নদীর তীরে গড়ে উঠেছে ব্রিজ আর এই ব্রিজ দেখার জন্যই প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী ভিড় জমায়।
আরো পড়ুনঃ সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান
হুরা সাগর নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যন্ত সুন্দর। এখানে সূর্য অস্তের আগে গেলে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব ব্রিজের উপর থেকে নদীর দৃশ্য দেখতে মায়াবি লাগে অনেক পর্যটকেরা সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য ভিড় জমায়। সিরাজগঞ্জ জেলার অন্যতম একটি দর্শনের স্থান হল ঘোড়াসাগর নদীর তীর।
রবীন্দ্রনাথের কাছারি বাড়ি
সিরাজগঞ্জ জেলার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দর্শনীয় স্থান রবীন্দ্রনাথের কাছারি বাড়ি। সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায় অবস্থিত। রবীন্দ্রনাথের কাছারি বাড়িতে রবীন্দ্রনাথের পৈতৃক জমিদারি ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম ১৮৯০ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে জমিদারি দেখাশোনার জন্য প্রথম শাহজাদপুরে আসেন। এরপর তিনি ১৯৯৬সাল পর্যন্ত জমিদারের কাজে অবস্থান করেন এবং এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম রচনা করেন।
ঠাকুর পরিবারের জমিদারি ভাগাভাগির পর থেকে শাহজাদপুরের জমিদারি চলে যায় রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য শরিকদের হাতে। ১৮৯৬ সালে তিনি শেষবারের মতো শাহজাদপুর থেকে চলে যান এবং এর পরবর্তীতে আর কোন সময়ে তিনি শাহজাদপুরে আসেনি। রবীন্দ্রনাথের কাছে শাহজাদপুর ছিল অত্যন্ত প্রিয় ও ভালোবাসার স্থান।
রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিচারণ করে এখনো সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রতিবছর সরকারি উদ্যোগে জেলা এর প্রশাসনের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ব্যাপক অনুষ্ঠান মালার মাধ্যমে রবিন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। এই জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়।২০২৪ সালে ১৬তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান পালন করা হয়।আর এ অনুষ্ঠান তিন দিন ব্যাপী চলে ও অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- গান, আলোচনা সভা, নাচ, আবৃত্তি ও নাটক।। ।বর্তমান সময়ে রবীন্দ্রনাথের কাছারি বাড়ি শাহজাদপুরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
জয়সাগর দিঘী
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের নিমগাছি বাজার হতে প্রায় ১ কিঃ মিঃ পশ্চিমে দিঘীটির অবস্থান। ঢাকা- বগুড়া মহাসড়কের মধে ভূইয়া গাঁতী নামক স্থান হতে তাড়াশ অভিমুখী রাস্তার পাশে অবস্থিত। এ দিঘী সংলগ্ন উদয় দিঘী/কাতলা দিঘীসহ আরও কয়েকটি দিঘী রয়েছে। জয়সাগর দিঘীর বিশাল জলাধার ছাড়াও পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার নিমিত্ত পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। পর্যটকরা জয় সাগর দিঘির অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রতিনিয়তই স্থানটিতে যান এটি সিরাজগঞ্জ জেলার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান।
বাঘাবাড়ী নদী বন্দর
বাংলাদেশ সরকার ১৯৬০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তারিখের ৪৬২-এইচটিডি নং গেজেট নোটিফিকেশন দ্বারা ১৯০৮ সালের বন্দর আইনের প্রবিধানসমূহ এই পাঁচটি অভ্যন্তরীণ নৌবন্দরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে ঘোষণা করেন। মূলত ঢাকা, নারায়নগঞ্জ,সিরাজগঞ্জ,চাঁদপুর, বরিশাল এবং খুলনা.পরবর্তী সময়ে আইডব্লিউটি খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ছয়টি নতুন অভ্যন্তুরীণ নদীবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এ গুলো হল পটুয়াখালী (১৯৭৫),বাঘাবাড়ি (১৯৮৩), নগরবাড়ি (১৯৮৩), আরিচা (১৯৮৩),দৌলতদিয়া (১৯৮৩),এবং নরসিংদী (১৯৮৩)।বাঘাবাড়ি নদী বন্দর সিরাজগঞ্জ জেলার অন্যতম একটি নদীবন্দর।এটি শাহজাদপুর উপজেলায় বড়াল নদীর তীরে অবস্থিত। বাঘাবাড়ি নদী বন্দরের পেট্রোলিয়াম ডিপো থেকে পেট্রোলিয়াম জাতীয় দ্রব্য এবং সার সরবরাহ করা হয়।
বাঘাবাড়ী নদী বন্দর থেকে পেট্রোলিয়াম জাতীয় দ্রব্য ও সার দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ অর্জিত হয়।বাঘাবাড়ী নদী বন্দরটিবন্দরটি সিরাজগঞ্জের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এটি সিরাজগঞ্জ জেলার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। বন্দর থেকে একটু হাঁটলেই উপরে ব্রিজ আছে ব্রিজের ওপর থেকে নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য অপরূপ লাগে। অনেক দর্শনার্থী নদীর এই প্রাকৃতিক দৃশ্য ও বন্দরটি দেখার জন্য এখানে আসে।
সিরাজগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থানের-শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণে আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে সিরাজগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন যে সিরাজগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত।সিরাজগঞ্জ জেলায় যে দর্শনীয় স্থানগুলোর কথা আজ আমরা আপনাদেরকে বললাম সেগুলো হচ্ছে সিরাজগঞ্জ বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান।
আপনার অবসর সময়ে এই জায়গা গুলো দর্শন করে উপভোগ করতে পারবেন। এবং আপনি সেই ভ্রমণ থেকে অনেকটা শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন যা আপনার জীবনের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। আশাকরি আর্টিকেলটি পড়ে সিরাজগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেছেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url