সৌদি আরবের কাজের ভিসা,কাজের ভিসার প্রয়োজনী ডকুমেন্ট ও কাজের বেতন
প্রিয় বন্ধু আপনি কি সৌদি আরবের কাজের ভিসা,কাজের ভিসার প্রয়োজনী ডকুমেন্ট ও কাজের বেতন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে নিচের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।কেননা আমারা এ আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করেছি সৌদি কাজের ভিসা,কাজের ভিসার প্রয়োজনী ডকুমেন্ট ও কাজের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর সৌদি আরবে অনেক মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যেয়ে থাকেন। যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই যানা উচিত সৌদি কাজের ভিসা,কাজের ভিসার প্রয়োজনী ডকুমেন্ট ও কাজের বেতন সম্পর্কে । যদি না জেনে থাকেন তাহলে এ সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন তাহলে এখানেই জানতে পারবেন কাজের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় কাজের ভিসার প্রয়োজনী ডকুমেন্ট ও কাজের বেতন কত টাকা। আশা করি নিচের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
সৌদি আরবের কাজের ভিসা
সৌদি আরবের কাজের ভিসা বিদেশি নাগরিকদের জন্য । ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য সৌদি আরবে কাজ করার জন্য কাজের ভিসা গ্রহণ যোগ্য। যে কোন কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয়তা যা সরকারী মানকে সন্তুষ্ট করে এই ধরণের ভিসার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হয় । আবেদনকারী ইতিমধ্যেই সৌদি আরবে এসেছেন, বরাদ্দকৃত সময় প্রায় শেষ করেছেন এবং তাদের অবস্থান দীর্ঘায়িত করতে চান ।
আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়ান ভিসা অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম সমূহ
তাহলে কাজের ভিসা পুনরাই আবেদন করতে হবে।আবার যদি প্রায় এক বছরের বিরতির পরে সৌদি আরবে পুনরায় যেতে চান তবে আবার অবশ্যই পুনরায় প্রবেশের ভিসা করতে হবে। এটি প্রাথমিক ভাবে সেখানে অবস্থানরত বিদেশী কর্মীদের অতিথিদের দেওয়া হয়। কাজের ভিসার মাধমে অনেক বিদেশি শ্রমিক আয়ের পথ খুজে পাচ্ছে।
সৌদি আরবের কাজের ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজ
- আবেদনকারী ব্যক্তির অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট অবশ্যই ছয় মাসের বেশি মেয়াদ থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন তিনটি খালি পৃষ্ঠা রাখতে হবে। কিন্তু পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা বেশি খালি থাকে এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
- ভিসার জন্য আবেদন করার সময় আবেদনপত্রে পাসপোর্ট নাম্বার সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- ভিসা আবেদনপত্রে আবেদনকারীর নাম সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- আবেদনকারীর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ইউটিলিটি বিলের সাথে মিল রাখতে হবে।
- জন্মের তারিখ জাতীয় পরিচয় পত্র জন্ম নিবন্ধন এর সাথে মিল রাখতে হবে।
- আবেদনপত্রে আবেদনকারীর স্ক্যান করা ছবি লাগাতে হবে।
- আবেদনকারী কোন পেশা করে সাধারণত তার বিবরণ সঠিকভাবে দিতে হবে।
- পরবর্তী পাসপোর্ট যদি থেকে থাকে তাহলে মূল পাসপোর্ট এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। যদি কোন ভাবে হারিয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে জিডি কপি যুক্ত করতে হবে।
- ভিসা করার জন্য সাধারণত আবেদন পত্রের সাথে এই ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হয়ে থাকে ।
সৌদি আরবের ভিসা কী
বর্তমানে সৌদি আরবে ই-ভিসা বা ইলেকট্রনিক ভিসা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে । সৌদি আরবের কাজের লোকদের জন্য ইতিহাসে ই-ভিসা একে বারে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে হয়। অনলাইন ই-ভিসা মাধ্যমে সৌদি ভিসা অনেক সহজ ভাবে আবেদন করা যাই।সহজ করে তোলে জন্য সারা বিশ্ব নাগরিকদের এটি জন্য আবেদন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র, উত্তর আমেরিকা,এশিয়া এবং ওশেনিয়া সহ সৌদি আরবের অনলাইনে কাজের ভিসা করতে সহজ হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ সৌদি ভিসা অনলাইনে আবেদনর নিয়ামবলি
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে অনলাইনে কাজের ভিসা জন্য আবেদন করা হয় । অনলাইনে কাজের ভিসা জন্য আবেদন করা অত্যান্ত সহজ । কিন্তু সৌদি নাগরিক এবং যারা সৌদি আরবে বসবাস করে থাকেন তারা এই ভিসার জন্য যোগ্য নয়। বর্তমানে ৪৯ টির ও বেশি দেশ অনলাইনে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে ।
সৌদি আরবের কাজের ভিসা আবেদনের বয়স
সৌদি আরব পৃথিবীর অন্যান্য দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম ধনী রাষ্ট্র।সৌদি আরব সরকারের আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যেতে চাইলে তার সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ২১-৪৫ বছর।একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যার ২১ বছর বয়সের সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে পারবে।
তাই বাংলাদেশ ভারত ও অন্যান্য দেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে যে সকল ব্যক্তিরা যায় সৌদি আরবে তাদের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ২১ তবে তারা যেতে পারবে। ২১ বছরের নিচে হলে সৌদি আরবে যেতে পারবে না গৃহকর্মী বা অন্যান্য কাজের জন্য যদি মহিলা যেতে চাই সৌদি আরবে তাহলে সর্বনিম্ন বয়স ২৫ থেকে ৪৫ এর মধ্যে হতে হবে।
সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে
সৌদি আরবে যেতে বর্তমানে কাজের জন্য যেতে চাইলে অনেক টাকার প্রয়োজন হয় । যদি বর্তমানে কাজের জন্য সৌদি আরবে যাওয়া যায় আপনার ৩ লক্ষ থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা মত লাগতে পারে । সৌদি আরবে যাওয়া সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ভিসার ধরন ,মেয়াদ ও কাজের উপর ।
সাধারণত সৌদি কাজের ভিসার মূল্য পঞ্চাশ হাজার থেকে ষাট হাজার টাকা হয়ে থাকে। কিন্তু আপনারা যদি বিভিন্ন দালাল এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে আপনাদের এক লাখ থেকে তিন লাখ টাকা ভিসার দাম নিয়ে থাকে।
এছাড়াও যারা সৌদি আরব মেডিকেল খরচ, ভ্যাকসিনেশন, বিএমইটি, বিমান টিকিট সৌদি আরবে যেতে চাই তাদের চার লক্ষ সারে চার লক্ষ টাকা লাগে। সৌদি আরবের বর্তমানে একটি ভিসা সংগ্রহ করতে পনেরশো থেকে সর্বোচ্চ পঁচিশো রিয়াল খরচ হয়।
তবে বিভিন্ন এজেন্টরা সাত হাজার থাকে দশ হাজার রিয়াল পর্যন্ত দামেও বিক্রি করে থাকে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে বিভিন্ন ভাবে যাওয়া যায়। আপনার ভিসার উপর নির্ভর করে আপনার ভিসার কত টাকা খরচ হবে।
সৌদি আরবে কোন কাজের সব থেকে চাহিদা বেশি
সৌদি আরবে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি নিতে হবে যে আপনি কোন কাজের জন্য যাবেন। যেই কাজে চাহিদা বেশি অবশ্যই আপনাকে সেই কাজের জন্যই যেতে হবে এবং কাজের দক্ষতা অর্জন করতে হবে । তাহলে আপনার কাজ করতে সুবিধা হবে। কাজের দক্ষতা অর্জন করে সৌদি আরবে যেতে পারলে প্রতিমাসে প্রায় এক হাজার থেকে দুই হাজার রিয়াল অফ ডি ইনকাম করা যায় । আর এখানে প্রাইভেট গাড়ি চালালে আরও বেশি টাকা ইনকাম করা যাই ।
সৌদি আরবে অটোমোবাইল, টেকনিশিয়ান,ইলেকট্রিশিয়ান, ক্লাম্বিং বা ওয়েল্ডিং এ কাজের চাহিদা প্রতিনিয়ত সৌদি আরবের বেড়েই চলছে ফলে আপনারা এই কাজে শিখে গেলে অবশ্যই এই কাজের বেতন বেশি এবং আপনাদের এই কাজে চাহিদা বেশি। বর্তমানে সৌদি আরবের চাহিদা বেশি ।
আরো পড়ুনঃ আমেরিকান ভিসা আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন
কাজগুলোর মধ্যে প্লাম্বিং ওয়েল্ডিং ইলেকট্রিশিয়ান অটোমোবাইল এসি টেকনিশিয়ানদের কাজে এসব কাজে প্রতি বছর পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার দক্ষ ক্রমিক নেয়। বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ সৌদি আরবের যাওয়া প্রবাসীরা শ্রমিক ভিসায় যায় তবে আমরা অনেকেই জানিনা সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তাহলে আপনারা হয়তো জানতে পেরে গিয়েছেন যে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
নিজেকে যেকোনো একটি কাজের মধ্যে দক্ষ তৈরি করে আপনারাও সৌদি আরবে যেতে পারেন এবং বিদেশ থেকে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারেন। এছাড়া অন্যান্য দক্ষতা থাকলে আপনারা সেই দক্ষতা অনুযায়ী কাজ পেতে পারেন।
সৌদি আরবে কাজের বেতন
বাংলাদেশ হতে কাজের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর মানুষ সৌদি আরব যায় । সৌদি আরব যাওয়ার আগে কোন কাজের কত টাকা বেতন জানা উচিত । সৌদি আরবে চাকরির সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার । সৌদি আরবে চাকরি করতে বেসরকারি ভাবে যাই ।
সৌদি আরবে সরকারি ও বেসরকারি চাকরির জন্য অনেক জন বল নিয়ে থাকে ।এখানে বেসরকারিতে প্রতিদিনের বেতন ৪০০ থাকে ৫০০ (সৌদি রিয়াল) বাংলাদেশী টাকায় ১১ হাজার ৭২০ টাকা থেকে ১৪ হাজার ৬৫০ টাকা।সংশ্লিষ্ট যে কোন কাজের কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বয়স ৩৫ থেকে ৪০ এর মধ্যে থাকতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিতে সৌদি আরবে তারা কাজ করতে পারেন এখানে শিক্ষাগত যো ভালো এখানে চাকরি করলে প্রতিদিনের বেতন ৪০০ থাকে ৫০০ (সৌদি রিয়াল) বাংলাদেশী টাকায় ১১ হাজার ৭২০ টাকা থেকে ১৪ হাজার ৬৫০ টাকা।সংশ্লিষ্ট যে কোন কাজের কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বয়স ৩৫ থেকে ৪০ এর মধ্যে থাকতে হবে।
এরকম বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিতে । সৌদি আরবে আপনারা কাজ করতে পারেন এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা ভালো হলে অনেক বেশি বেতনে আপনি চাকরি করতে পারেন। বিশ্বে প্রবাসী কর্মীদের সবচেয়ে বেশি বেতন দেওয়া হয়। সৌদি আরবে যুক্তরাজ্যের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান এই তথ্য জানিয়েছেন।
সৌদি আরবের সর্বনিম্ন বেতন কত
আপনি কোন কাজের ভিসা সৌদি আরবে যাচ্ছেন এবং আপনার কাজটা কি সেটার উপর নির্ভর করে আপনার কত টাকা বেতন হবে। সৌদি আরবে বেসরকারি খাতে কর্মরত নাগরিকদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে দেশটির মানব সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
বেসরকারি বিভিন্ন খাতে কর্মরত সৌদি নাগরিকদের প্রতিদিন ন্যূনতম বেতন হবে ২০০ থাকে ২৫০ রিয়াল। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার ৩২৫ টাকা। বেতন বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক কর্মীর মাথাপিছু আয় ৩২০০ রিয়াল ভর্তুকি দেবে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সৌদি আরবের কাজের ভিসা-শেষ কথা
উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল সৌদি আরবের কাজের ভিসা কাজের ভিসার প্রয়োজনী ডকুমেন্ট ও কাজের বেতন সম্পর্কে। সাথে আরো আলোচনা করেছি ও সৌদি আরবের কোন কাজের চাহিদা বেশি ও সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে ।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার অনেক ভালো লেগেছে।এরারকম গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতি দিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url