ত্বক পরিচর্যায় করার প্রাকৃতিক ভাবে ১০ টি উপায়
আপনারা অনেকেই ত্বক পরিচর্যায় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্ন।কেননা পোস্টের মধ্যে ত্বক পরিচর্যায় করার প্রাকৃতিক ভাবে ১০ টি উপায় বিস্তারিত ভাবে আলোচনার করার চেষ্ট করেছি।
গায়ের রঙটা যেনো কালো দেখাচ্ছে আরেকটু যদি ফর্সা হতো তাহলে সুন্দর দেখাতো। প্রতিদিনের চলাফেরায় এতো ধূলোবালিতে চলাফেরা করতে হয় যে, সকালে সুন্দর ত্বক বের হওয়ার পর দিন শেষে দেখা যায় কালো চেহারা।তাই ত্বক পরিচর্যায় করার প্রাকৃতিক ভাবে ১০ টি উপায় নিচে দেওয়া হল।
ত্বক পরিচর্যায় অ্যালোভেরার ও গোলাপ জল
অ্যালোভেরা জেল - ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল - কয়েক ফোঁটা
বাজার থেকে অ্যালোভেরা গাছের অংশ কিনে নিয়ে আনতে পারেন কিংবা দোকানে প্যাকেটজাত অ্যালোভেরা জেল কিনতে পাওয়া যায় সেটিও ব্যবহার করতে পারেন। তবে অ্যালোভেরার জেল যেটি গাছের থেকে পাওয়া যায় সেটি সরাসরি ত্বকে লাগালে অনেক সময় এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্যাকেটজাত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করাই ভালো হবে।
- অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তার মধ্যে গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে
- সেটি পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে রাখুন। পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।দিনে ২ বার সকালে এবং রাতে শুইতে যাওয়ার আগে এই পদ্ধতিটি মেনে চলতে হবে।
- এ নিয়ম মেনে চললে এক সপ্তাহের মধ্যেই দেখতে পারবেন ত্বকে কিরূপ পরিবর্তন হয়েছে।
এটি ত্বকের যে ভাবে সাহায্য করে
অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে থাকে ভিটামিন, খনিজ উপাদান যে গুলি ত্বককে উপযুক্ত পুষ্টি জুগিয়ে ত্বককে আরো সুন্দর করে তোলে। এছাড়াও ব্রণ, পিম্পলস-এর মত গুরুতর সমস্যাগুলির সমাধান করে। ত্বকের রং হালকা করে আরো ফর্সা করে তুলতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা অনেক দ্রুত ত্বককে ফর্সা করে । এছাড়াও বার্ধক্যজনিত সমস্যা কিংবা পিগমেন্টেশনের মতন সমস্যা থাকলে সেই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারে অ্যালোভেরা জেল ।
ত্বক পরিচর্যায় ডাবের পানি
ডাবের পানি - পরিমাণ মতো
পরিমাণ মতো ডাবের জল নিয়ে মুখ এবং ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। ডাবের পানি লাগানোর পর হালকা হাতে একটু মেসেজ করে নিতে হবে।তারপর আরেকবার ত্বকের ওপরে ডাবের পানি লাগিয়ে নিতে হবে।এরপর ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।তারপর সাধারণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে তিনদিন স্নানের আগে কিংবা পরে এটি ব্যবহার করতে পারেন।২ সপ্তাহ ব্যবহারের পরেই ত্বকের মধ্যে তফাৎটা বুঝতে পারবেন।যে ত্বককে আরো কত উজ্জ্বল এবং দাগহীন করে তুলেছে ডাবের পানি।
এটি ত্বকের যে ভাবে সাহায্য করে
ত্বক ফর্সা করে তুলতে এবং ত্বক থেকে যেকোন কালো দাগ দূর করতে ডাবের পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। বসন্তের দাগ কিংবা পোড়া দাগ, ব্রণের দাগ বা যে কোন ধরনের ত্বকে দাগের সমস্যা কিংবা বার্ধক্যজনিত রিংকেলস ফাইন লাইনস এর সমস্যা দূরীকরণে ডাবের পানির ভূমিকা অনস্বীকার্য। দৈনিক ডাবের পানি ব্যবহারের ফলে ত্বক ফর্সা এবং দাগহীন হয়ে ওঠে। ডাবের পানির মধ্যে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টিকর করে তোলে।
ত্বক পরিচর্যায় পেঁপে ও মধু এবং লেবুর রস
পাকা পেঁপে - অর্ধেক
মধু - ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস - হাফ টেবিল চামচ
অর্ধেক পাকা পেঁপেটি মিক্সিতে ভালো করে বেটে নিতে হবে। এরপর মিশ্রন করা পাকা পেঁপেটির মধ্যে মধু এবং লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার পেস্ট টি মুখে গলায় ঘাড়ে হাতে ভাল করে লাগিয়ে নিতে হবে। এবার ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ১৫-২০ মিনিট পর সাধারণ পানি দিয়ে এগুলো ধুয়ে ফেলতে হবে ।
পাকা পেঁপে সরাসরি আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন । দৈনিক স্নানের আগে হাতে মুখে একবার যদি পাকা পেঁপে ব্যবহার করে নিতে পারেন তাহলে সান ট্যানের সমস্যা কমবে এবং আপনার ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। পেঁপের এই প্যাকটি সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া শুধু পাকা পেঁপে রোজ স্নানের আগে ব্যবহার করতে পারেন।
এটি ত্বকের যে ভাবে সাহায্য করে
পেঁপেতে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় ত্বকের উপযোগী সমস্ত উপাদান গুলি এর মধ্যে রয়েছে। এটি খাওয়া এবং এর পাশাপাশি মুখে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করার ফলে একটি সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যেতে পারে। পেঁপেতে এক ধরনের এনজাইম থাকে যেটি ত্বককে ফর্সা করে তুলতে সহায়তা করে থাকে । এছাড়াও পেঁপের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদানগুলি ত্বকের ওপর থেকে মৃত কোষগুলি সরিয়ে ত্বকের মধ্যে থাকা সুক্ষ ছিদ্র গুলিকে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে থাকে ।
যারা ব্রণ কিংবা ফুসকুড়ির সমস্যায় ভুগছেন কিংবা যাদের মুখে দাগ রয়েছে তাদের জন্য পেঁপে খুব উপকারী হয়ে থাকে । এছাড়াও বার্ধক্যজনিত যে ফাইন লাইনস রিংকেলস মুখে দেখা যায় সেগুলিকে পেঁপে কমাতে সহায়তা করে থাকে । পেঁপের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ত্বককে আর্দ্র এবং লাবণ্যময় করে তোলে। যার ফলে ত্বকের শুষ্কতা এটি দূর করে দেয়।
ত্বক পরিচর্যায় মুলতানি মাটি ও চন্দন গুঁড়ো এবং গোলাপ জল
মুলতানি মাটি - চার চামচ
চন্দন গুঁড়ো - এক চামচ
গোলাপ জল - পরিমাণ মতো
মুলতানি মাটি, চন্দন গুঁড়ো এবং গোলাপ জল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে । এবার মিশ্রণটি মুখে পরিষ্কার করে ত্বকের ওপর, গলায়, ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ফেনের পাখার তলায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে । সপ্তাহে একদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে হবে । এটি ত্বকের ফর্সাকারী প্যাক ছাড়াও ব্রণ ও এবং পিম্পল এর সমস্যার সমাধান করবে।তবে খুব বেশি শুষ্ক ত্বক যাদের তারা গোলাপ জলের বদলে মধু দিয়ে মিশিয়ে মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন।
এটি ত্বকের যে ভাবে সাহায্য করে
মুলতানি মাটিতে থাকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় বিভিন্ন খনিজ পদাথ যা ত্বককে ভেতর থেকে পরিশুদ্ধ করে তোলে । এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বক ও ব্রণের সমস্যা থাকলে মুলতানি মাটির ব্যবহার করা আবশ্যক যা ত্বক এর অনেক উপকার করে । এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল সরিয়ে ত্বকের প্রাকৃতিক পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখে।
আরো পড়ুনঃ মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য কিছু টিপস
বার্ধক্যজনিত কারণে যাদের ত্বক ভারসাম্য হারিয়েছে ফেলেছে তাদের ক্ষেত্রে মুলতানি মাটি একটি অসাধারণ উপাদান। মূলত, তৈলাক্ত ত্বকের জন্যই মুলতানি মাটি খুব উপযোগী হয়ে উঠে । ঘরোয়া পদ্ধতিতে মুলতানি মাটির প্যাক বানিয়ে ত্বককে আরও ফর্সা করে তুলা যায় ।
ত্বক ফর্সা করতে আলুর রস ও লেবুর রস
আলুর রস - ৩ টেবিল চামচ
লেবুর রস - ১ টেবিল চামচ
আলু এবং লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ করে নিতে হবে। মিশ্রণটি এবার ত্বক পরিষ্কার করে ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে । সপ্তাহে ২ দিন এই মিশ্রণটি মুখে ব্যবহার করতে হবে । এটি ব্যবহারের ফলে খুব দ্রুত ত্বকের যেকোনো দাগ হালকা হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ফর্সা হওয়ার অন্যতম সহজ উপায় আলুর ব্যবহার করা হয় ।
এটি ত্বকের যে ভাবে সাহায্য করে
আলুর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ত্বককে ভেতর থেকে অনেক সুন্দর করে তোলে। এটি ত্বকের রিংকেলস কমিয়ে ত্বককে জীবন্ত করে তোলে থাকে । এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের ওপর থেকে যে কোনো রকমের কালো দাগ, ব্রণের দাগ অল্প সময়ে পরিষ্কার করে দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মেকাপ ছাড়া কি ভাবে সুন্দর হওয়া যায় বিস্তারিত জানুন
এছাড়াও চোখের তলায় কালো দাগ খুব সহজেই আলু ব্যবহার করে এর মাধ্যমে পরিষ্কার করা যায়। এটি ত্বকে রক্ত সঞ্চালন এর বৃদ্ধি ঘটায়। ত্বকের শুষ্কতা থেকে বাঁচিয়ে ত্বককে আরও আর্দ্র করে তোলে। এর পাশাপাশি ত্বক থেকে সানবার্ন দূর করতেও এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ত্বক ফর্সা করতে টক দই ও মধু
টক দই - ২ টেবিল চামচ
মধু - ১ চা চামচ
টক দই এবং মধু ভালো করে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে হবে । এবার প্যাকটি ত্বক পরিষ্কার করে ত্বকে লাগাতে হবে । ১৫-২০ মিনিট প্যাকটি লাগিয়ে রাখতে হবে । অল্প শুকিয়ে এলে সাধারণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে রোজ এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বককে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে তুলতে সহায়তা করবে।
এটি ত্বকের যে ভাবে সাহায্য করে
ফর্সা হওয়ার উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম উপাদান হল দই । দই এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের ক্ষুদ্র লোমকূপে জমে থাকা ময়লাকে টেনে বের করে ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে থাকে । দৈনিকভাবে ত্বকে টক দই ব্যবহার করার ফলে ত্বকের রং হালকা হয় এবং তা ফর্সা হয়ে ওঠে। এছাড়া, যদি খাদ্য তালিকাতেও টক দই রাখা যায় তবে তা স্বাস্থ্যসম্মত হয়।
ত্বক ফর্সা করতে হলুদ ও লেবুর রস
কাঁচা হলুদ বা হলুদ গুঁড়ো - এক চামচ
লেবুর রস - ২ চামচ
কাঁচা হলুদ বেটে নিন কিংবা হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ নিতে হবে । এবার তার সাথে ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে । লেবুর রস এবং হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে । এবার মিশ্রণটি মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। মূলত, যেই সমস্ত জায়গাগুলিতে সূর্যের তাপে কালচে হয়ে গিয়েছে, সেই জায়গাগুলিতে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে ।
আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্বির উপায়
এরপর ১৫-২০ মিনিট মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখটা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে । সপ্তাহে ২ বার এই প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে । তাহলে এক মাসের মধ্যে পার্থক্যটা নিজের চোখেই দেখতে পারবেন কি ভাবে পরিবতন হয় ।
এটি ত্বকের যে ভাবে সাহায্য করে
হলুদের মধ্যে থাকা উপাদান ত্বকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টি ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে থাকে যা ত্বককে সমস্ত রকম জীবাণু থেকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়াও হলুদের মধ্যে থাকা উপাদান ত্বককে দ্রুত প্রক্রিয়ায় ফর্সা করে তোলে। এটি ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে ফেলে ।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে অলিভ ওয়েল কিভাবে ব্যবহার করবেন
এছাড়া ত্বক থেকে বার্ধক্যের ছাপ সরিয়ে দিয়ে ত্বককে সবসময় টান টান এবং উজ্জ্বল করে রাখতে সহায়তা করে। হলুদ মুখে লাগানোর পাশাপাশি দৈনন্দিন খালি পেটে এক টুকরো করে খাওয়া গেলে তা শরীরকে ভিতর থেকে শুদ্ধিকরণ করে ঘটায়।
ত্বক ফর্সা করতে দুধ ও মধু
দুধ - ১ টেবিল চামচ
মধু - ১ চা চামচ
দুধ এবং মধুকে ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে নিতে হবে । এরপর ১৫-২০ মিনিট মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে । ত্বক যদি খুব শুষ্ক থাকে সে ক্ষেত্রে দুধের বদলে দুধের সর মধুর সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই এই মিশ্রণটি মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
এটি ত্বকের যে ভাবে সাহায্য করে
দুধের মধ্যে উপস্থিত প্রাকৃতিক উপাদান সমূহ ত্বকের রং কে ভিতর থেকে হালকা করে এবং ত্বককে সুন্দর,মসৃণ এবং আর্দ্র করে থাকে।প্রতিদিন দুধের ব্যবহারের ফলে ত্বক আরও লাবণ্যময় হয়ে ওঠে। এছাড়াও দুধ ত্বককে ফর্সা করে তুলতে সাহায্য করে এবং এটি ফর্সা হওয়ার একটি সহজ উপায় হয়ে থাকে ।
ত্বকের জন্য গোলাপ
কবি হেলাল হাফিজের কবিতায় এভাবেই গোলাপ এসেছে প্রেমে। রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতায় শোভনলালের টিনের পেটরার ভেতর ‘গোলাপ ফুলের পাপড়ি দিয়ে আচ্ছন্ন’ অবস্থায় লাবণ্যর যে ছবি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলত।জোরালো চরিত্র অমিতের কাব্যময় প্রেম নিবেদনের উল্টো পিঠে থাকলেও শোভনলালের ভালোবাসা যেন মিথ্যা হবার নয় গোলাপের ।
আরো পড়ুনঃ বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
শুধুই কি প্রেমের কাব্য-উপন্যাসে গোলাপ? গোলাপ আছে রূপচর্চায়ওতে।প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় গোলাপের ব্যবহার করা হয়ে থাকে । গোলাপ কাজ করে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে। এটি ত্বকের দাগ দূর করে, ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। আবার গোলাপের সুঘ্রাণ মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে থাকে ।
প্রাকৃতিক ক্লিনজার
প্রতিদিন এই ক্লিনজার ত্বকে হালকা ম্যাসাজ করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যবহার করলে বাড়তি কোনো কৃত্রিম ক্লিনজারের প্রয়োজন নেই। আর এ মিশ্রণ ব্যবহারে ত্বকের টোন দুই থেকে তিন ধাপ (শেড) পর্যন্ত উজ্জ্বলতর হয়ে ওঠে।
ঠোঁটের ঔজ্জ্বল্যে
প্রথম অবস্থায় চিনি ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ঠোঁট হালকাভাবে স্ক্রাব করে নিতে হবে । এর ফলে ঠোঁটের মৃত চামড়া উঠে আসে। এরপর গোলাপ পেস্ট ও মধুর মিশ্রণ ঠোঁটে লাগাতে হবে। ১০-১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। গোলাপি আভার জন্য লাল গোলাপ সবচেয়ে বেশি কার্যকর করা হয় ।
আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় তুলসী পাতার ব্যবহার
প্রতিদিন গোলাপ ও মধুর ব্যবহার করে ঠোঁট এর কালচে ভাব দূর করে থাকেে।গোলাপি আভা ফুটে ওঠে। তবে স্ক্রাবিং করবেন সপ্তাহে একটি দিনই। আর সাত দিনের জন্য গোলাপ পেস্ট ও মধুর মিশ্রণ কাচের জারে করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।
কনুইয়ের দাগ
কনুইয়ে যদি কালো দাগ থাকে তাহলে গোলাপ পেস্ট, অলিভ অয়েল, মধু ও লেবুর রস এক সাথে পেস্ট সেই দাগের অংশে লাগিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চিনি দিয়ে স্ক্রাব করুন ৫ মিনিট ধরে। মোটমাট ১৫ মিনিট লাগবে। সপ্তাহে দুই দিন এ মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
বডি স্ক্রাব হিসেবে
- ত্বক পরিচর্যায় ১ চা চামচ গোলাপ পেস্ট
- আর আধা কাপ টকদই
- ২ চা চামচ চালের গুঁড়া
- ১ চা–চামচ মধুর বডি স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে হবে ।
সপ্তাহে এক দিন এ মিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে ।
ঘরে বা স্নানঘরে
ঘরে মিষ্টি সুবাস আনতে এক গুচ্ছ গোলাপ ফুল রাখতে পারেন। অ্যারোমায় গোলাপ এর ব্যবহার অনেক উপকারি। গোসল এর টাইমে বাথটাবে গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিতে পারেন। কিছু বিষয় জেনে নিন আরও গোলাপের পেস্ট দিয়ে যেকোনো প্যাক তৈরির পর শুধু পানি দিয়ে তা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
সাবান বা ফেসওয়াশ জাতীয় কিছু দিয়ে ধোবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হয়।পেস্ট ধুয়ে ফেলার পর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।কেননা যে কোনো রঙের গোলাপ দিয়েই প্যাক তৈরি করা যায়। তবে ঠোঁটে গোলাপি আভা আনতে লাল গোলাপ সবচেয়ে ভালো হয়। আমদানি করা গোলাপ ফুল সংরক্ষণের জন্য রাসায়নিক পদার্থ দেওয়া থাকে।
এর জন্য সরাসরি গোলাপ এর পাপড়ি ব্যবহার না করাই ভালো। সব থেকে ভালো যদি অর্গানিক গোলাপ ফুল ব্যবহার করা হয়। তবে তা যদি পাওয়া না যায়, অর্থাৎ যদি রাসায়নিকযুক্ত গোলাপ ফুল ব্যবহার করতে হয়, তাহলে পেস্ট করার আগে পরিষ্কার পানিতে পাপড়িগুলো ভিজিয়ে রাখুন ২০-২৫ মিনিটের জন্য। এরপর তুলে নিয়ে সেগুলো দিয়ে পছন্দের প্যাকটি তৈরি করতে হবে ।
ত্বক পরিচর্যায় করার প্রাকৃতিক ভাবে ১০ টি উপায়-শেষ কথা
উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ফর্সা ও পরিচর্যা সে সম্বন্ধে। সাথে আরো আলোচনা করেছি ত্বক পরিচর্যায় করার প্রাকৃতিক ভাবে ১০ টি উপায় এর বিভিন্ন তথ্য সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার কাছে ভালো লেগেছে।এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতি দিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url