ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি ও অনলাইনে আবেদনের নিয়ম

আপনারা ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি ও অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম জানার জন্য গুগলে সার্চ করেছেন?তাহলে এ পোস্টটি পড়ুন।কেননা এ পোস্টের মধ্যে ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি ও অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে।

ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি ও অনলাইনে আবেদনের নিয়ম

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করেছে।ই-পাসপোর্টের ফুল অর্থ হচ্ছে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট।।বর্তমান সময়ে বাড়িতে বসে আপনার ই-পাসপোর্ট আপনি নিজেই আপনার আবেদন করতে পারবেন।বাড়িতে বসে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি ও অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানা জরুরি।

আরো পড়ুনঃ  ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

ই-পাসপোর্ট এর আবেদন ফরম জমা করার আগে দেখতে হবে কোথাও ভুল আছে কিনা না।কারন পর যদি কোথাও ভুল হয় তাহলে আপনি তা সংশোধন করার সুযোগ পাবেন না।তাই সঠিক ভাবে আবেদন করতে হবে।আর একটি জন্ম নিবন্ধন বা ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একবারই ই-পাসপার্টের জন্য আবেদন করা যায়।

ই-পাসপোর্ট আবেদন ফিঃ

বাংলাদেশি ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য নিদিষ্ট পরিমান ফি জমা দিতে হয়।কিন্তু আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ ও কত পৃষ্ঠার করবেন তার উপর নির্ভর করবে আপনাকে কত টাকা ফি জমা দিতে হবে।

 পৃষ্ঠা সংখ্যা

সময়

কর্ম দিবস ও আবেদন ফি

সাধারণ

(১৫ কর্মদিবস)

জুরুরী

( কর্মদিবস)

অতিব জুরুরী

( কর্মদিবস)

৪৮ পৃষ্ঠা

বছর

৪০২৫ টাকা

৬৩২৫ টাকা

৮৬২৫ টাকা

১০বছর

৫৭৫০ টাকা

৮০৫০ টাকা

১০৩৫০ টাকা

৬৪ পৃষ্ঠা

বছর

৬৩২৫ টাকা

৮৬২৫ টাকা

১২০৭৫ টাকা

১০বছর

৮০৫০ টাকা

১০৩৫০ টাকা

১৩৮০০ টাকা

অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন নিয়মঃ

অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলে সহজেই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়।আর আবেদন জমা দেওয়ার জন্য দিন বা তারিখ পাওয়া যাবে অনলাইনে টাকা জমা দেওয়ার পর।কিন্তু কাগজপত্রেও বর্তমানে সময়ে লাগছে না কোনো সত্যায়ন। প্রথমে আপনাকে যেতে হবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে।

আরো পড়ুনঃ  মালয়েশিয়ান ভিসা অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম সমূহ

ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য প্রথমে  ওয়েবসাইটে ঢুকার পর ‘ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন  এ বাটনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে শুরুতেই অ্যাপ্লাই অনলাইন ফর ই-পাসপোর্ট/রি-ইস্যু বাটনে ক্লিক করে সরাসরি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। তবে আবেদন করার আগে দেখে নিতে হবে, ই-পাসপোর্ট আবেদনের পাঁচটি ধাপ।

  • সর্ব প্রথমে বর্তমান ঠিকানার সাথে জেলা, উপজেলা নাম ও থানার নাম নিধারন করে ক্লিক করতে হবে।
  • তারপর ব্যক্তিগত ই-পাসপোর্টের মূল আবেদন ফরমটি সঠিক ভাবে পূরণ করার পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর আপনি আপনার মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠার সংখ্যা অনুযায়ী ব্যাংকে বা অনলাইনে ফি জমা দিতে হবে।
  • চতুর্থ ধাপে আপনার ই-পাসপোর্ট ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে টাকা জমা দেওয়া যায়। 
  • পঞ্চম ধাপে আপনার অনুমোদিত পাঁচ ব্যাংকের যেকোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে সেই জমা স্লিপের নম্বর নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

সব কাজ শেষ হলে ‘ফাইনাল সাবমিট করতে হবে। এরপরই আপনার তথ্যগুলো পাসপোর্টের কার্যালয়ের সার্ভারে চলে যাবে।

অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনের কাগজপত্রঃ

  •  জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড এবং ছবি লাগবে।
  • এ ছাড়া ১৮-এর কমবয়সীদের জন্য জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট, বাবা-মায়ের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।

  • আপনাকে অনলাইনে  আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

  • নির্ধারিত তারিখে অনলাইন আবেদন ফরমের কপি
  • পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রিসিট
  • যে বাসায় থাকেন সে বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি

ই-পাসপোর্টের জমা দেওয়ার নিয়মঃ

  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পুরান পাসপোর্টের কপিসহ পাসপোর্ট অফিসে যাবেন ও সাথে অবশ্যই মূল কাগজপত্র গুলো নিয়ে যাবেন।
  • তারপর লাইনে দাড়িয়ে আপনার  কাগজপত্র অফিসে জমা দিতে হবে।
  • কাগজপত্র অফিসে জমা করার পর ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসে আবার লাইনে দাঁড়াতে হবে।
  • উপরোক্ত কাজ গুলো শেষ হলে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ একটি রিসিট দেবে এটা ভাল ভাবে রাখে দিবেন।

ই-পাসপোর্টের ডেলিভারি নেওয়ার নিয়মঃ

পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির রসিদ প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক।তারপর পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে পাসপোর্ট অফিস থেকে মেসেজ এর মাধ্যমে জানাবে হবে। এরপর আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।

ই-পাসপোর্টের সুবিধাঃ

বাংলাদেশে ২০২০ সালের ২২শে জানুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্ট চালু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

  • ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীর ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।আর ইয়ারপোর্টে ভিসা চেক করার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না।
  • ই-পাসপোর্টে পাসপোর্ট আবেদনকারীর তিন ধরণের ছবি, আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ সংরক্ষিত থাকে। ফলে ভ্রমণ নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
  • ই-পাসপোর্ট বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে গ্রহণযোগ্য। ফলে ভ্রমণকারীরা ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে সহজেই বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।
  • ই-পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর। এটি এমআরপি পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছরের চেয়ে বেশি।
  • ই-পাসপোর্টে চিপ ব্যবহার করা হয়। ফলে পাসপোর্টের তথ্য হ্যাক করা কঠিন হয়ে যায়।

ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি ও অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম শেষ কথাঃ

উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি ও অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম সে সম্বন্ধে।সাথে আরো আলোচনা করেছি ই-পাসপোর্টের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

আশাকরি আজকের পোস্টটি পরে ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি ও অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।এ রকম গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় পোস্টটি প্রতি দিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন।এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url