ভাইভা বোর্ডে করণীয়

ভাইভা বোর্ডে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।কেননা এ আর্টিকেলটি মধ্যে ভাইভা বোর্ডের গঠন ও সর্বাধিক নম্বর পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।ভাইভা বোর্ড সম্পর্কে না জানলে আর্টিকেলটি পড়লে অনেক উপকৃত হবেন। আশা করি ভাইভা বোর্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে থাকবেন।

ভাইভা বোর্ডে করণীয়
ভাইভা বোর্ডের নাম আমরা অনেকেই শুনেছি এবং জানি চাকরির জন্য ভাইভা দেওয়া হয়।আর ভাইভা ভাল হলেই চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আমরা ভাইভা বোর্ডে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিনা।তাই আমাদের চাকরির ভাইভা দেওয়ার আগে ভাইভা বোর্ডে আমাদের কি করণীয় সে সম্পর্কে জানতে হবে।

ভাইভা বোর্ডে করণীয়ঃ

আমরা জানি যে কোন চাকরির ক্ষেত্রে  লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষার নম্বর যোগ করে মেধাতালিকা তৈরি করা হয়। তাই ভাইভায় ভালো করলে আপনার নাম বা পরীক্ষার রোল নাম্বার মেধাতালিকায় থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে।এর জন্য ভাইভা বোর্ডে নিজের মনোবল ধরে রখাতে হবে কখনো ভয় পাওয়া যাবে না।আর ভাইভা বোর্ডে যে কোন প্রশ্নের উওর ভালো ভাবে চিন্তা করে দিতে যেন ভুল না হয়। ভাইভা বোর্ডে যদি কোন প্রশ্নের উওর না জানা থাকে তাহলে কথা না বাড়িয়ে উওর জানা নাই বলতে পারেন কিন্তু ভুল উওর দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ভাইভা বোর্ডের গঠনঃ

প্রতিটি ভাইভা বোর্ডে ভাইভা পরীক্ষা নেওয়ার সাধারণত তিন জন সদস্য থাকেন। এদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন থাকেন।আর এই চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন থাকেন PSC ' একজন সদস্য। দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে থাকেন সরকার নিযুক্ত একজন প্রতিনিধি।

তৃতীয় সদস্য হতে পারেন সরকারের কোনো অধসরপ্রাপ্ত সচিব, যুগ্ম সচিব বা প্রতিষ্ঠিত সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, বিশিষ্ট লেখক বা সাংবাদিক বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। চেয়ারম্যান যেহেতু PSC 'র একজন সদস্য তাই তিনি আলাদা করে কোনো টানা পান না। তবে বাকি দুই সদস্য প্রত্যেকে ,৫০০ টাকা করে পান।

সর্বাধিক নম্বর পাওয়ার উপায়ঃ

ভাইভা বোর্ডে সর্বাধিক নম্বর পাওয়ারন জন্য আপনাকে স্মার্ট হতে হবে ও সকল প্রশ্নের উওর ভালো ভাবে দিতে হবে।তাহলে ভাইভা বোর্ডের সদস্যদের ওনেক সহজেই মন জয় করতে পারেন।এতে করে প্রার্থীকে ভাইভায় বেশি নম্বর পেতে সাহায্য করবে।আপনি কিছু প্রশ্নের উত্তর না জানতেই পারেন, কিন্তু আপনি যে জানেন না, এটা যে বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করছেন বা কোন প্রশ্নের উত্তর বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কীভাবে দিচ্ছেন, এর ওপর ভাইভার নম্বর নির্ভর করে।প্রার্থীর খুব ভালো শিক্ষাগত সনদ বা বিদেশি ডিগ্রি থাকলে প্রার্থীর প্রতি ভাইভা বোর্ডের একটা আলাদা কৌতূহল তৈরি হয়,যা ভালো নম্বর তুলতে দারুণ কাজ করে।

আরো পড়ুনঃ সময় নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস

যেমন আপনি সাধারণ প্রার্থী হলে আপনার ভাইতায় মোগল সাম্রাজ্য বা পছন্দের ক্যাডারের গতানুগতিক প্রশ্ন হতে পারে।আবার আপনি অক্সফোর্ডগ্যাজুয়েট মাস্টার্স হলে আপনার ভাইভার প্রশ্ন হতে পারে, অক্সফোর্ড এবং বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পড়াশোনার মৌলিক পার্থক্য কী? যুক্তরাজ্যের জীবন কেমন উপভোগ করেন? সেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কেমন? ইত্যাদি।আপনার কোনো ব্যতিক্রন বিশেষ যোগ্যতা রয়েছে, যা সাধারণ প্রার্থীদের নেই (যেমন বিশেষ খাতের কন্ট্রিবিউটর, সোশ্যাল ওয়ার্ক, গান, খেলাধুলায় পারদর্শী, ইংরোজ ব্রিটিশ উচ্চারণে কথা বলতে পারা), এখন অবস্থায় আগনার প্রতি ভাইভা বোর্ডের ইতিবাচক মনোভাব থাকবে, যা আপনাকে ভালো নম্বর পেতে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে।

মৌখিক পরীক্ষায় ফেলের কারণঃ

বর্তমান সময়ে সকল চাকরির প্রার্থীদের এই ধারণা যে, মৌখিক পরীক্ষার সব প্রশ্নের উত্তর করা মানেই সেরা ভাইভা, আর উত্তর না জানা মানেই ভাইভায় ফেল। এটি ভুল ধারণা। ভাইভায় মূলত দেখা হয়, একজন প্রার্থী তার আবেদিত পদের জন্য কতটুকু উপযুক্ত, আর যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে কতটা স্মার্ট ও বুদ্ধির পরিচয় দেন।

যেসব কারণে ভাইভায় ফেল করতে পারেন। ভাইভা বোর্ড আপনাকে তার যদি অযোগ্য মনে ক্রে অনেক সময় ভাইভায় ফেল করিয়ে  দিতে পারে।যেমন-আপনি বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পছন্দক্রমের প্রথমে রেখেছেন, কিন্তু আপনি ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন না।সিভিল সার্ভিসে আাপনাকে যে পদে নিয়োগ দিবে আপনার মধ্যে সেই কর্মকর্তার স্বরূপ অনুপস্থিত থাকলে বা যদি এমন মনে হয় প্রশিক্ষণ দিয়েও আপনাকে যোগ্য করা যাবে না। প্রশ্নোত্তরে ভাইভা বোর্ডের প্রশ্নকর্তার সঙ্গে অযথা তর্কে জড়াবেন না। বোর্ড সদস্য ইচ্ছা করেই কোনো ভুল তথ্য দিয়ে আপনাকে পরীক্ষা করতে পারেন। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতে বিনয়ী ও নম্রতা প্রকাশের চেষ্টা করেন।

সব প্রশ্নের উত্তর না পারলেও নিজের পঠিত বিষয়, নিজ জেলা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব আপনার সম্পর্কে ভাইভা বোর্ডে নেতিবাচক বার্তা প্রকাশ পাবে। আপনার কোনো কথা বা আচারনে যদি মনে হয় আপনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সাবভৌমত্বেলা প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন বা নিজের রাজনৈতিক পরিচয় বারবার প্রকাশ করতে আগ্রহী যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর।

ভাইভা বোর্ডে করণীয়-শেষ কথাঃ 

সিভিল সার্ভিসের মতো একটি গুরটুপূর্ণ চাকরিতে একজন কর্মকর্তাকে অনেক ধরনের মানসিক চাপ সামলাতে হয়। তাই অহেতুক ভীতি প্রকাশ থেকে বিরত থাকুন।

প্রশ্নের উওর বা তথ্য প্রদানে ছলনার আশ্রয় নেওয়া, কোনো বিষয়ের অজুহাত দেওয়া, স্যরি বলতে কার্পণ্য করা, ইংরেজি প্রশ্নে বাংলা উত্তর দেওয়া, আত্নবিশ্বাসের অভাব, সিদ্ধান্তহীকতা, মুদ্রাদোষ suppose মনে করেন, ধরেন, বুঝলেন স্যার ইত্যাদি বলা, তোতলামি এসব কারণে ভাইভা বোর্ডে আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা হতে পারে।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • sifat
    sifat 26 February 2024 at 09:14

    Very Good

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url