সময় নিয়ে কথা

সময় নিয়ে কথা ও সময় নিয়ে উক্তি সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য। সময় আমাদের জীবনে খুব মূল্যবান একটা জিনিস। আজ আমি এই পোস্টে সময় নিয়ে কথা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। তাহলে আপনি সময় নিয়ে উক্তি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

সময় এমন একটা জীনিস যা আমাদের কাছে অনেক আছে আবার নাই। আল্লাহ আমদের যে সময় দিয়েছে তা যদি আমরা সঠিক কাজে না লাগায় তাহলে সেই সময়ের কোনো দামই নাই। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সময় নিয়ে কথা।

সূচিপত্রঃ সময় নিয়ে কথা

• সময় কি বা কাকে বলে?
• সময়ের প্রকৃতি
• খারাপ সময় নিয়ে কথা
• কেন আপনার সন্তানদের সময় সম্পর্কে শেখানো গুরুত্বপূর্ণ?
• শেষ কথা

সময় কি বা কাকে বলে?

সময় নিয়ে কথা বলতে গেলে বলতে হয় সময় সবার কাছে পরিচিত, তবুও এটি সংজ্ঞায়িত করা এবং বোঝা কঠিন। বিজ্ঞান, দর্শন, ধর্ম এবং শিল্পকলাগুলিতে সময়ের বিভিন্ন সংজ্ঞা রয়েছে, তারপরেও স্ময়ের সঠিক সংজ্ঞা বোঝা সহজ নয়। ঘড়ি সেকেন্ড, মিনিট এবং ঘন্টার উপর ভিত্তি করে চলে। আর আমরাও সময়কে এভাবেই চিনে থাকি।

সময়ে বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা

পদার্থবিদরা সময়কে অতীত থেকে বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের ঘটনাগুলির অগ্রগতি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেন। সময়কে বাস্তবের চতুর্থ মাত্রা হিসাবে ধরা যেতে পারে, যা ত্রিমাত্রিক স্থানের ঘটনা বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়। এটি আমরা দেখতে, স্পর্শ করতে বা স্বাদ নিতে পারিনা, তবে আমরা এর উত্তরণ পরিমাপ করতে পারি।

সময়ের প্রকৃতি

সময়কে জায়গার চেয়ে বেশি বিভ্রান্তিকর বলে মনে হয় কারণ এটি প্রবাহিত হয় বা চলে যায় বা অন্যথায় মানুষও এর মধ্য দিয়ে যায় বলে মনে হয়। যদি পৃথিবীকে স্থান-কালের মধ্যে বিস্তৃত বলে মনে করা হয়, তাহলে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে যে মানুষের চেতনা এই বিশ্বের সময়ের মতো একটি দিকে এগিয়ে যায় কিনা এবং স্থান-কালের এই ধরনের পরিবর্তনগুলি কীভাবে উপস্থাপন করা যেতে পারে।

আরো পড়ুনঃ শীতের আগমনী বার্তা - শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে কবিতা

সময়কে আমরা সেকেন্ডে, মিনিট এবং ঘন্টা দিয়ে পরিমাপ করি। আগেকার দিনে একটি ঘন্টার গ্লাসে বালির প্রবাহ এর মাধ্যমে সময়ের পরিমাপ করতে ব্যবহার করা হত। যখন ঘড়ি আবিষ্কার হয়েছিল না। সাধারণভাবে বলতে গেলে, অস্থায়ী পরিমাপের পদ্ধতি, বা ক্রোনোমেট্রি, দুটি স্বতন্ত্র রূপ ধারণ করে তারমধ্যে ক্যালেন্ডার একটি এবং ঘড়ি। দৈনন্দিন জীবনে, এক দিনের সময়ের জন্য ঘড়ি ব্যবহার করা হয়, যেখানে ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে এক দিনের বেশি সময়কালের জন্য ব্যবহার করা হয়।

খারাপ সময় নিয়ে কথা

খারাপ সময় এর একটা চালো দিক হল খারাপ সময় সবসময় থাকে না। জীবনে একবার ভালো সময়, একবার খারাপ সময় আসতে থাকে। জীবনে যে শুধু ভালো সময় আসবে তার কোনো মানে নাই কারণ তাহলে মানুষ ভালো থাকার মর্ম বুঝতে পারবে না। সময়কে একটি বইয়ের সাথে তুলনা করতে পারেন। বই যেমন অনেক গুলো ছোট, বড়, কঠিন আবার সহজ অধ্যায় থাকে। সেরকমই জীবনের সময় গুলো একইরকম। জীবনের কোনো সময় খারাপ যায় আবার কোনো সময় ভালোও যায়।

এভাবেই জীবনের কোনো সময় আনন্দ, হাসি ও খুশি নিয়ে আসে। তবে আমাদের কাছে মনে হয় সুখের সম্যের থেকে কষ্টের সময় একটু দীর্ঘ হয়। জীবনে যখন খারাপ সময় আসে তখন আপন মানুষ চেনা যায়। কারণ কারাপ সময় গুলোতে যারা আপন তারাই শুধু পাশে থাকে আর যারা স্বার্থপর তারা খারাপ সময়ে পাশে থাকেনা তারা শুধু সুখের সময় পাশে থাকে। তাই এমন স্বার্থপর মানুষদের ভালোভাবে চিনতেও জীবনে খারাপ সময় আসার দরকার আছে।

আরো পড়ুনঃ শীতের পিঠা নিয়ে উক্তি ২০২৩ - শীতের পিঠা নিয়ে কবিতা

জীবনে ভালোভাবে সামনে আগাতে আমাদের আপন মানুষদের পাশে প্রয়োজন। তাই এভাবে ভাবলে এক দিক থেকে জীবনে খারাপ সময় আসা ভালো। এ জন্য জীবনের খারাপ সময়ে ভেঙে পড়বেন না, হতাশ হবেন ধর্য্য ধরবেন এবং আল্লাহ্‌র কাছে ভরসা রাখবেন। এই খারাপ সময়ে হতাশ হয়ে যদি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন তাহলে সারা জীবন তার জন্য আফসোস করতে হবে। তাই জীবনে খারাপ সময় গুলোতে ভেঙ্গে না পড়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শক্ত থাকতে হবে।

কেন আপনার সন্তানদের সময় সম্পর্কে শেখানো গুরুত্বপূর্ণ?

সময় যে কতটা মূল্যবান তা যে সঠিক কাজে সঠিক সময়ে লাগানো উচিত তা আপনার বাচ্চাদের শিখানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার সন্তানের বুদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে আপনি তাদের সাথে সময় নিয়ে কথা বলুন। এই কারণেই আমরা বাচ্চাদের তাদের স্বাভাবিক খেলায় সময়ের রুটিন অন্তর্ভুক্ত করে সময় সম্পর্কে শিখতে সাহায্য করতে পারেন, কারণ খেলা বাচ্চারা খুব সহজে বুঝতে পারে। তাই খেলার ছলে ছলে তাদের সময়ের মূল্য শিখান।

বাচ্চাদের সময় সম্পর্কে শেখানোর সময় মনে রাখার মূল বিষয় হল যে তারা ছোট বয়সে যেভাবে এটি বোঝে তা ভবিষ্যতে বড় হলে সেভাবে বুঝবে না, কীভাবে সময় তাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং খারাপ সময়ের দিকে নিয়ে যায়। সপ্তাহে মাত্র ১৬৮ ঘন্টা আছে, তাই আপনাদের বাচ্চাদের এই সময় গুলো সঠিক ভাবে ব্যবহার করার কথা বলবেন। আমি মনে করি না যে এটি একটি বয়সের উপর ভিত্তি করে করা উচিত। আমি বিশ্বাস করি এটি বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের উপর ভিত্তি করে করা উচিত।

আরো পড়ুনঃ বৃষ্টি নিয়ে রোমান্টিক কবিতা - বৃষ্টি নিয়ে রোমান্টিক স্ট্যাটাস

বাচ্চা থেকে যখন আপনার সন্তান কিশোর বয়সে চলে যায় তখন তাদের ব্রেইন এক জায়গায় স্থির হয়না। আর এই সময়েই বাচ্চারা খারাপ পথে চলে যায়। সময় গুলোকে ঠিক ভাবে কাজ লাগায় না। তাই ছোট বেলা থেকে আপনি যদি বাচ্চাদের সময় নিয়ে সঠিক জ্ঞান দিয়ে থাকেন তাহলে কিশোর বয়সে বাচ্চারা আর তাদের সময়কে নষ্ট করবেনা। আপনারা যদি আপনাদের সন্তানদের জীবনে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে চান বা দেখতে চান তাহলে নিজের সন্তানকে ছোট বেলা থেকে সময়কে সঠিক ভাবে সঠিক কাজে লাগাতে শিখানোর জন্য সময় নিয়ে কথা বলুন।

সময় নিয়ে কথা - শেষ কথা

সময় নিয়ে কথা বলতে গেলে বলতে হয় এটা এমন একটা জীনিস যা দেখা যায়না, ধরা যায়না বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়না। কিন্তু সময় যে কত মূল্যবান তা বলে বোঝানো যায় না। কারণ যে সময় একবার যায় তা আর কখন ফিরে আসেনা। তাই জীবনের প্রতিটি সময় নষ্ট না করে খুব ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে। আর আপনার সন্তানদেরও ছোট বেলা থেকেই সময়ের মূল্য শিখাতে হবে। আমি উপরে অনেক ধরণের সময় নিয়ে কথা জানিয়েছি। ২২৪৯৮